চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীদের সমাবেশ
চাকরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৩৫, বিজেএস-ডাক্তার-মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩৭, পুলিশের এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করার দাবিতে সরকারের প্রতি আন্দোলকারীদের দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ‘বৃহৎ সমাবেশ’ আয়োজন করেছে আন্দোলনকারীরা।  শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সমাবেশ শেষ হলে তারা গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন বলে জানা গেছে।  এ ছাড়া বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সুপারিশের ভিত্তিতে দ্রুত প্রজ্ঞাপন চেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাবি বাস্তবায়নে ৩০ ঊর্ধ্ব অর্জিত সার্টিফিকেট পানিতে ধুয়ে প্রতীকী প্রতিবাদও তাদের কর্মসূচির অংশ ছিল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত। তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর ধরে তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে হয়েছে। ফলে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততধিক। ফলে চাকরি প্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। আমরা সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিনি। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্ত্বশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।
১১ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মে, ২০২৪

পাল্টাপাল্টি সমাবেশ থেকে সরে গেল আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের প্রধান দুই দল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির সংস্কৃতি চালু করে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো কোনো কর্মসূচি দিলেই পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ থাকলেও মাঠে দেখা যায়নি ক্ষমতাসীনদের। আজ শনিবার নয়াপল্টনে যুবদলের সমাবেশ রয়েছে। এদিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকলেও তা হবে নয়াপল্টন থেকে অনেক দূরে মোহাম্মদপুরে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, এটি কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়। গত বছর বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ সৃষ্টি করে। এর পাল্টা হিসেবে বিএনপি যেন দেশের কোথাও ‘নৈরাজ্য’ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করে। দুই কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে নয়াপল্টনে বিএনপি এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করে। এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি সর্বশেষ মহাসমাবেশের আয়োজন করে। একই দিন আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহাসমাবেশ করে। কিন্তু বিএনপির সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। কয়েক ডজন পুলিশ ও সাংবাদিককে আহত করে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালায়, পুলিশের হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কয়েক মাস বিরতি দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পর আবারও গত ২৬ এপ্রিল বিএনপি সমাবেশের ঘোষণা দেয়। একই সময় আওয়ামী লীগও রাজধানীতে সমাবেশ আহ্বান করে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুমতি না মেলায় দুই দলই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সমাবেশ স্থগিত করে। গতকাল রাজধানীতে সমাবেশ করে বিএনপি। কিন্তু এদিন আওয়ামী লীগ কোনো সমাবেশ বা এলাকায় এলাকায় পাহারা দেওয়ার কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। আজ শনিবার বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের নয়াপল্টনে সমাবেশ রয়েছে। এদিনও ধারেকাছে কোথাও আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দেয়নি। নয়াপল্টন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রাজধানীর অন্য প্রান্তে মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগ উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করবে আজ। এ কর্মসূচি সফল করতে দলের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথ সভারও আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দলটি। এ সভায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। কাজেই গোটা রাজধানীকে যদি বিএনপির কাছে ছেড়ে দিই, তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে।
১১ মে, ২০২৪

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে বৃহৎ সমাবেশ আজ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য ৩৭ বছর করতে চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বৃহৎ সমাবেশ আহ্বান করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যম বিষয়ক সংগঠক খাদিজা খাতুন মুক্তা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেন আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা। সে ধারাবাহিকতায় দাবি বাস্তবায়নে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, যশোর-৬ আসনের এমপি আজিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা থাকবেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সমাবেশে আরও থাকবেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের (নাটোর-নওগাঁ) সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ ও মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাত অরচি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল হাসান শুভ কালবেলাকে বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর চাই। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করতে অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেনকে সম্প্রতি চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
১১ মে, ২০২৪

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শনিবার ঢাকায় বৃহৎ সমাবেশ
সরকারি চাক‌রিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ ও মু‌ক্তি‌যোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য ৩৭ বছর করতে চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (১১ মে)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বৃহৎ সমাবেশ আহ্বান করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যমবিষয়ক সংগঠক খাদিজা খাতুন মুক্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা। সে ধারাবাহিকতায় দাবি বাস্তবায়নে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এ ছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের (নাটোর-নওগাঁ) সংসদ সদস্য অ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর শরীফ ও মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাত অরচি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল হাসান শুভ কালবেলাকে বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর চাই। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। আমরা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর। তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। এর আগে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করতে অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেনকে গত ২৯ এপ্রিল চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী লিখেন, ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত যুবসমাজকে মানবসম্পদ হিসেবে কাজে লাগাতে পারলে সেটি হবে যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কয়েক ধাপ অগ্রসর হওয়া যাবে।
১০ মে, ২০২৪

আ.লীগ সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায়: গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগ সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার সময় পাবেন না।  ক্ষমতার যত অপব্যবহার করেন, এর জবাব একদিন দিতে হবে। জবাব দিতে পারবেন কিনা জানি না। সেটি কি সহ্য করতে পারবেন? কারণ সীমা লংঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।  তিনি বলেন, বুধবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন থেকেও কম। ওরা (সরকার) বলে, ভোট ফেয়ার (সুষ্ঠু) হয়েছে। তবে যে যত টুকু পেয়েছে, সিল মেরেছে।  শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি-সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মহানগর বিএনপি নেতাসহ সকল রাজবন্দির নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ ও মিছিল হয়। সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকলের মুক্তি চাই, শুধু তাই নয়,  গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা কারাগারে আছেন সকলের মুক্তি চাই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফেলানীর লাশ যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে। এটা হতে দেওয়া যায় না। গয়েশ্বর বলেন, আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। যে অত্যাচার করা হয়েছে তারপরও বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়। সেটা দমনোর ক্ষমতা কারো নয়। পার্শ্ববর্তী দেশেরও নেই। ‘দেশের মানুষকে সচ্ছল করেছি’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল দেখছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছের ব্যক্তিকে দেখি বিশ্বের ধনী তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন।  আগে ছিলেন সিঙ্গাপুরের মধ্যে শীর্ষ ধনী তালিকায়, এবার গ্লোবালি (বৈশ্বিক) ধনী হয়েছেন। আপনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেননি বরং কাজ করেছেন আপনার কাছের ব্যক্তির জন্য। আপনি সচ্ছল করেছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগকে। আর কাউকে করেননি। গরীব মানুষকে আরও গরীব করছেন, পদদলিত করেছেন। উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান রিজভী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যে দু:শাসন কায়েম করেছেন। এটা চলতে দেওয়া যায় না।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ইউনুস মৃধা, তানভীর আহমেদ রবিন, লিটন মাহমুদ, মোশাররফ হোসেন খোকন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড় ঘুরে ফের সেখানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উক্ত নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সালাউদ্দিন ভুইয়া শিশির, যুবদলের মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১০ মে, ২০২৪

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করছে বিএনপি। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। যদিও সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টায়। এরই মধ্যে দলের নেতারা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন, তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে বিশেষ অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ বছরের প্রথম সমাবেশ করছে দলটি।
১০ মে, ২০২৪

বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করছে। বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যে কোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে। এদিকে নতুনভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের চিন্তা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া আজ এবং আগামীকালের সমাবেশের পর ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। এর আগে গত ১ মে শ্রমিক দিবসে বড় ধরনের শোডাউন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়। 
১০ মে, ২০২৪

স্বাধীন ফিলিস্তিন দাবিতে সমাবেশ ছাত্রলীগের
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ’ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাবির টিএসসি-সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা বাকস্বাধীনতার সার্টিফিকেট দেয়, যারা বলে দেয়, কোন দেশটি গণতান্ত্রিক আর কোন দেশটি অগণতান্ত্রিক, যারা সারা জীবনের জন্য গণতন্ত্রের টেন্ডার নিয়ে নিয়েছে, ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের কথা বলে, একাডেমিক ফ্রিডমের কথা বলে, রাইট টু প্রোটেস্টের কথা বলে, রাইট টু অ্যাসেমব্লির কথা বলে—ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়ে গেছে। সাদ্দাম হোসাইন বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত ব্যারিকেড, ভাষার ব্যবধান—সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধমুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত-নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছেন, তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়াব। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবর্জিত নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি আগ্রাসনের জন্য যারা অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে, ইতিহাসের কী অমোঘ পরিণতি, সেখান থেকেই এই দুর্বার প্রতিবাদের জয়ধ্বনি শুরু হয়েছে। যারা জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভেটো দিয়েছে, সেই দেশের তারুণ্য আজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ‘হ্যাঁ’ বলেছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যতবার ‘নো’ বলেছে, তার চেয়ে বহুগুণ জোর দিয়ে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ইয়েস’ বলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে যারা কথা বলেছে এবং ইসরায়েল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, পুলিশি হামলার শিকার হয়েও যারা কণ্ঠস্বর উচ্চ করেছে, তাদের প্রতি ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আমরা সংহতি জানাই, অভিনন্দন জানাই। ছাত্রলীগের এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে ফিলিস্তিনি নাগরিক ইসহাক আহমেদ নামে একজন বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং আমাদের সঙ্গে সংহতি পোষণ করার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য পুরো বিশ্বের যে বা যারা কথা বলছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি এক ছাত্র সংগঠনের প্রধান নেতা ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বাদাওয়ী বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত আমাদের ফিলিস্তিনের নারী-শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশকে, ছাত্রলীগকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, দেশটির স্বাধীনতার দাবি এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে পদযাত্রা এবং সমাবেশে অংশ নিতে দেখা যায়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জয় জয় ফিলিস্তিন’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতেও দেখা যায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর সৈকতসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য দেন। রংপুর ব্যুরো জানায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম, সহসভাপতি তন্ময়, তানভির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, নেসার উদ্দীন, রাকিবুল হাসান রুপম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম। বগুড়া ব্যুরো জানায়, সরকারি আজিজুল হক কলেজে ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের আয়োজনে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ হয়। আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় সাহা, জিহাদ, আরমান হোসেন, সানোয়ার ও রুদ্র বক্তব্য দেন। এ ছাড়া শমিজেক ক্যাম্পাসে সমাবেশে বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সহসভাপতি অর্ঘ্য রায় ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. তৌফিক হাসান নিশাত। রাবি প্রতিনিধি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে পদযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। কুবি প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মহসিন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ। সভা সঞ্চালনা করেন রাকিব হোসেন। এ ছাড়া পাবনা জেলা ছাত্রলীগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ একই কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
০৭ মে, ২০২৪

ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ও যুবদল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল। গতকাল মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এদিকে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ আটককৃত নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আগামী ১১ মে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে সংগঠনটি। ওইদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে যুবদলের ঢাকা বিভাগের ১১টি জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। পরে বিকেলে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল আয়োজিত সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, সরকার জনগণের অবস্থা দুর্বিষহ করে তুলেছে। ব্যাংকিং খাত, আর্থিক খাতসহ সর্বক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সরকারকে বিদায়ে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।
০৭ মে, ২০২৪
X