সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবি
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মচারীরা। সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বকসী বলেন, ‘পেনশন নিয়ে সরকারের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত মানি না। কারণ সেখানে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি অংশকে সুবিধাবঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেনশন সংক্রান্ত জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে সবার জন্য পেনশন যেমন ছিল তেমনই বহাল রাখার দাবি জানাই। আগামী ২৪ জুলাই থেকে স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের সরকারের গৃহীত সর্বজনীন পেনশনে আওতাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দেশের সুনাগরিক হিসেবে আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে পেনশনের প্রক্রিয়া বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এতে বলা হয়, ‘সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই ডাকা হোক না কেন ১ জুলাই ২০২৪ ও তার পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন। তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হলো।’
১৩ মে, ২০২৪

ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে কর্মশালা
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট সবাইকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে অবহিত করা এবং এ কার্যক্রমে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা। ওয়ালটন হাই-টেক পার্কের শতাধিক কর্মকর্তা এ কর্মশালায় অংশ নেন। ‘সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এ স্লোগানে সোমবার (৬ মে) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈরের ইউএনও কাউছার আহম্মেদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস। অতিথিরা ওয়ালটন কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী এবং ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। এর মাধ্যমে সরকারি চাকুরীজীবী ছাড়াও দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকরাও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। পেনশনে মোট ৪টি প্যাকেজ বা স্কিম ঘোষণা করেছে সরকার। এগুলোর নাম দেয়া হয়েছে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। কর্মশালায় জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফল এ স্কিম। নাগরিকদের সুবধিার্থেই পেনশনের স্কিমগুলো ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি যত আগে স্কিমে যুক্ত হবেন; তিনি ততো বেশি সুবিধাভোগি হবেন। আমরা আশা করি দল-মত নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিক এই পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন। এতে উপকৃত হবেন সবাই। এ সময় তিনি পেনশন স্কিমের ওপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।  কর্মশালায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ওয়ালটনের অনেক কর্মকর্তা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সঙ্গে যুক্ত হন। রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের হাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রিন্ট কপি তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। ইউএনও কাউছার আহম্মেদ বলেন, সরকার জনগণের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই পেনশন স্কিম চালু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্য দ্রুততম সময়ে কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া। এসব স্কিমের আওতায় আসলে নাগরিকরা নিজেদের অর্থনৈতিক নিরপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন।  ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেন, সরকারের এই পেনশন স্কিম উদ্যোগ আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি সময়োপযোগি দারুণ এক সিদ্ধান্ত। আমরা এ পেনশন স্কিমকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ স্কিম জনমানুষের উপকারে আসবে। জনগণ নিজ দায়িত্বে এই উদ্যোগে সাড়া দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। সরকারের পাশাপাশি ওয়ালটনও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সন্ধ্যায় অতিথিরা পর্যায়ক্রমে ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, মোল্ড অ্যান্ড ডাই ইত্যাদি উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সেও বিশাল উৎপাদন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত হন।
০৭ মে, ২০২৪

নীলফামারীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন সভা
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বজনীন পেনশন (স্কিম) বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার সময় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ বাস্তবায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম। এ ছাড়া অন্যান্য আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। প্রধান অতিথি আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। ৬০ বছর বয়সে যখন মানুষ উপার্জন করার সুযোগ সীমিত হয়ে আসে, সেই সময়ে পেনশনের স্কিম নেওয়া থাকলে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। পেনশন সুবিধা ভোগ করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) গ্রহণ করতে আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে অবহিতকরণ সভা করে এটি ছড়িয়ে দিব। এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারের জন্য শিগগিরিই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির রেজিস্ট্রেশন মেলা করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম শুরু করা হবে। অন্যান্য বক্তারা বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।  এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, এনজিও প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৭ আগস্ট, ২০২৩
X