নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বজনীন পেনশন (স্কিম) বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার সময় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ বাস্তবায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম। এ ছাড়া অন্যান্য আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।
প্রধান অতিথি আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। ৬০ বছর বয়সে যখন মানুষ উপার্জন করার সুযোগ সীমিত হয়ে আসে, সেই সময়ে পেনশনের স্কিম নেওয়া থাকলে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। পেনশন সুবিধা ভোগ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) গ্রহণ করতে আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে অবহিতকরণ সভা করে এটি ছড়িয়ে দিব। এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারের জন্য শিগগিরিই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির রেজিস্ট্রেশন মেলা করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, এনজিও প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন