দিনাজপুরে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দিনাজপুরের খানসামাসহ গোটা দেশ। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ তপ্ত রোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এ তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরও কষ্ট পেতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সারাদিনে তিন ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ৩টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।  এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৯.৮ রেকর্ড হয়েছিল। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ভ্যানচালক, কুলি ও নিম্ন আয়ের দিনমজুর। গরমের তীব্রতায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। গরমের তীব্রতায় পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, জেলায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর চাপ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে। সাধারণত বাতাসের চাপ ক্রমাগত কমতে থাকলে বুঝতে হবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাতাসের চাপ বাড়তে থাকলে আবহাওয়া পরিষ্কার বা ফেয়ার হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘের সঞ্চার হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বিরাজমান তাপ প্রবাহের দাপট বেশ কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা কমলেও এক্ষেত্রে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের সৃষ্টি হবে এবং ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকবে।
০১ মে, ২০২৪

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দিন যতই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাতক্ষীরার তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহনীয় এ দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২১ বছরের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ। তীব্র এ দাবদাহে দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। গরমে পিপাসা নিবারণে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি ও শরবত সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলায় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এটাই ছিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে হিসাবে ২১ বছর পর সাতক্ষীরার তাপমাত্রার নতুন পারদে ঠেকল। আর তাতেই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ল জেলাটি। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বিকেল ৩টায় সাতক্ষীরার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ২৫ শতাংশ। এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহে সাতক্ষীরায় হিটস্ট্রোকে মো. ফারুক হোসেন নামে বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি তার কর্মস্থল শহরের নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। মৃত শিক্ষক ফারুক হোসেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক। নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাজমুন লায়লা জানান, সোমবার সকালে ফারুক হোসেন বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় দ্রুত তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ তাকে দেখার পর অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হয়েছে বলে ধারণা করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালে সকালে তার মৃত্যু হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে
যশোরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টাই যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ। যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এই মৌসুমে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি আজ ছাড়িয়ে যশোরে সর্বোচ্চ পারদ উঠল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে। তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জেলায় আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অব্যাহত তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সবজি ক্ষেত। তবে কৃষি বিভাগের কাছে ক্ষতির তথ্য নেই। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার (২৫) এপ্রিল বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ১৪ শতাংশ। যা দেশের সর্বোচ্চ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বর্তমানে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। তিনি জানান, মাঝে একদিন বাদে চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আওতায় রয়েছে। তিনি আরও জানান, আর্দ্রতা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জন্য গরমে অস্বস্তি বেড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কোনোভাবেই কমার সম্ভাবনা নেই।  এদিকে চুয়াডাঙ্গায় ক্রমাগত তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে সবজি ক্ষেত পানি (সেচ) দিয়েও রক্ষা করতে পারছেন কৃষকরা। সবজির পাশাপাশি আম-লিচু ও কাঁঠালে গুটি ঝরে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহে ক্ষেতের ফসল পুড়লেও সে সব তথ্য নেই কৃষি বিভাগের কাছে। বারং বার এ জেলার ৪টি উপজেলায় সবজির ক্ষতির পরিমাণ জানাতে ব্যর্থ হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।  সরেজমিনে ডিঙ্গেদহের হাটখোলা গ্রামে গেলে সেখানকার কৃষক স্বপন বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে করল্লার আবাদ করেছি। ২-৩ দিন পর পর পানি দিয়েও তা রক্ষা করতে পারছি না। করল্লা গাছ থেকে ঝরে পড়ছে।  চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিননাথপুর গ্রামের হারিস মিয়া বলেন, এ তাপদাহে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কচু, পান, তরমুজ ও কাঁচা মরিচের। ঘনঘন সেচ দিয়েও কোনোভাবেই শুকিয়ে যাওয়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না। তাছাড়া সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপদিত পণ্য বিক্রি নিয়ে আমি শঙ্কিত। কারণ অধিক দামে এগুলো বিক্রি করতে হবে। একই কথা বলেন, সদর উপজেলার হানুরবাড়াদী গ্রামের কৃষক দোয়াল্লিন। তিনি বলেন, তার ফলন্ত কলা গাছের কাঁদি পড়ে যাচ্ছে, তরমুজের ফল ঝরে যাচ্ছে, বেগুন গাছে বেগুন ধরছে না, কচু গাছ রোদে পুড়ে যাচ্ছে, শসা ক্ষেত তাপপ্রবাহে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দেরিতে লাগানো ভূট্টা ক্ষেতেরও একই দশা। কোনোভাবেই ফসল ধ্বংস ঠেকানো যাচ্ছে না।  তিনি আরও বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ক্রমাগত সেচ দিয়ে কিছু ফসল ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর কত টাকা ব্যয় করে সেচ দেয়া যায়। চুয়াডাঙ্গার হানুড়বাড়াদী গ্রামের আবুল বলেন, তিনি তার ৬ বিঘা জমিতে বিনা-২৫ জাতের ধানের আবাদ করেছে। ধান ভাল হয়েছে। রোদ গরমের কারণে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তিনি নিজের স্যালোমেশিন চালিয়ে সেচ দিচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আশা করছি এ জমি থেকে ১৫০ মণ ধান হবে। মাজরা পোকা না ঠেকাতে পারলে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবো। একই গ্রামের ধান চাষি আনসার ও খাইরুল বলেন, সরকার নির্ধারিতের চেয়ে বেশি ৩ হাজার টাকা ব্যয় করে বিএডিসির সেচ পাম্প থেকে আমাদের সেচ সুবিধা নিতে হচ্ছে। টাকা খরচ বেশি হলেও ঠিকমত সেচ সেবা পাচ্ছি।     সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আম চাষি ওমর আলী বলেন, আম বাগানে সেচ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলার ঈশ্বচন্দ্রপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিক রবগুল বলেন, গত বছরও তীব্র খরায় লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছিল। এবারও একই অবস্থা হবে মনে হচ্ছে। বৃষ্টি নেই। গুটি পুষ্ট হচ্ছে না। অনেকাংশে ঝরে যাচ্ছে।  চলমান তাপদাহে ফসল রক্ষায়  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, অতি তাপবাহের কী কী ফসলের ক্ষতি হচ্ছে তা আমরা এখনো নিদিষ্ট করতে পারিনি। উপজেলা পর্যায়ে কাজ চলছে। দুএক দিনের মধ্যেই আমরা ফসলের ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস । বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ।  শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩২ শতাংশ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৭ শতাংশ।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।  আবহাওয়া অফিস জানায়, বেশকিছু দিন ধরেই চলছে খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ। বিশেষ করে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে। গত বৃহস্পতিবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তখন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার যশোরে সেই তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষেরা ভোগান্তিতে রয়েছেন চরমে। তাছাড়া গরমে গলে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে বেশ। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দয়েছে চিকিৎসকবৃন্দ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। টানা চার দিন ধরে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা এ জেলায়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহে হিট ওয়েভ জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। এর আগে ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ। এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ (তীব্র দাবদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২২ শতাংশ। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিষয়টি নিশ্চত করে চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বুধবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ নিয়ে টানা দুই দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো। এদিকে এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস। তীব্র তাপপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন ওষ্ঠাগত। তাপ প্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ঠিকমতো ফিরতে পারছে না। এ সময় রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা বিরাজ করে সূর্য একেবারে পাটে পড়ার আগ পর্যন্ত। গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ। বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৩ শতাংশ। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রাও পারদও বেড়ে যাচ্ছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দিনভর তীব্র দাবদাহ ও আর গরমে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। একদিকে জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অপরদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। সোমবার (১ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সন্ধ্যাকালীন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ও খুলনার মংলায় ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পার। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এ বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। তীব্র এই তাপপ্রবাহে সব থেকে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদাররা। এছাড়াও বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে বের হওয়ার সময় অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।  
০১ এপ্রিল, ২০২৪
X