থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তার রোধে বাহকদের এবং আত্মীয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সবাই মিলে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ব- এটাই হোক এবারের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের অঙ্গীকার।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিনবাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। এজন্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগেই পরীক্ষার মাধ্যমে পুরুষ বা নারী কেউ এ রোগের বাহক কি না তা নির্ণয় করা জরুরি। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতাজনিত ভয়াবহ এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলাও প্রয়োজন।   রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
০৮ মে, ২০২৪

বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মানবাধিকারের চেয়ারম্যান 
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাল্যবিয়ের বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। শিকার হতে হয় পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের। বাল্যবিয়ে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু। এটি অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওতে বাংলাদেশ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার সমতা বিধানের লক্ষ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সরকারের বাল্যবিয়ে নিরোধকল্প জাতীয় পরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) এর আওতায় বাল্যবিয়ে রোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এ ছাড়াও গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যগত সচেতনতা বৃদ্ধি, কন্যাশিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত এবং তাদেরকে যে কোনো ধরনের সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে রাষ্ট্র কাজ করছে। একই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটিও। মাঠপর্যায়ে সরকার, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক সংস্থাগুলোর সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।  এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

মতবিনিময় সভায় বক্তারা / যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
যক্ষ্মা কারও একার সমস্যা নয়। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে একসঙ্গে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এর সদস্যরা এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, দেশে পৌনে চার লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করলে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফজালুর রহমান বলেন, দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার। প্রতিবছর যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে ১০০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়। যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান ডা. মো. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের সিনিয়র উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সদস্য সচিব আরমা দত্ত, ফখরুল ইমাম এমপি, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, লুৎফুন নেসা খান এমপি, ফেরদৌসী ইসলাম এমপি, শামীমা আক্তার খানম এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, নার্গিস রহমান এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি প্রমুখ।
০৬ আগস্ট, ২০২৩

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুনের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশব্যাপী দুর্নীতি দমন দুদকের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা দরকার। দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে সমাজের সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান এ সময় দুর্নীতি প্রতিরোধে পরিবার থেকেই সচেতনতা সৃষ্টি করার তাগিদ দেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে কমিশনার মোছা. আছিয়া খাতুন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক দুদক কমিশনার দুদকের সার্বিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ জুলাই, ২০২৩
X