সিবিএ নেতাকে মারধর, রাজশাহী চিনিকলে বিক্ষোভ
রাজশাহী চিনিকলের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শ্রমিক ইউনিয়নের (সিবিএ) এক নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চিনিকলে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে অভিযুক্ত প্রকৌশলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, শ্রমিকরাই তাকে মেরেছেন। অভিযুক্ত প্রকৌশলীর নাম সামিউল ইসলাম। রাজশাহী চিনিকলে তিনি সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) পদে কর্মরত। গত রোববার তিনি চিনিকল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে মারধর করেছেন বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের থামিয়ে রেখেছিলেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। কিন্তু ব্যবস্থা না নেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রকৌশলী সামিউল ইসলামের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন চিনিকলের এমডি। জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) সামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি রড দিয়ে মারতে যাব কেন? শ্রমিকরাই আমাকে মারধর করেছে।’ চিনিকলের এমডি আবুল বাসার বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে দুপক্ষই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তে যে প্রতিবেদন এবং সুপারিশ আসবে, এর আলোকে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলব।’
২৯ মার্চ, ২০২৪

বিআইডব্লিউটিএর ছয় সিবিএ নেতার বিচার শুরুর নির্দেশ
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রধান কার্যালয়ে এক কর্মচারীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের মামলায় সংস্থাটির ৬ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে নিম্ন আদালতকে (বিচারিক আদালত) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ২০১৯ সালের এক আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ গত ১৬ নভেম্বর এ আদেশ দেন। এতে বিচারকাজ পরিচালনায় আর কোনো আইনি বাধা থাকল না। হাইকোর্ট যে ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন, তারা হলেন বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত), সহসভাপতি আক্তার হোসেন (বর্তমানে কার্যকরী সভাপতি), অর্থ সম্পাদক নাজমুল কবির মজুমদার (বহিষ্কৃত), সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলী হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পান্না বিশ্বাস। মামলার বাদী একই সংগঠনের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ও বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ে হিসাব বিভাগের তৎকালীন রেকর্ড কিপার সঞ্জীব কুমার দাশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই দুপুরে সঞ্জীব কুমার দাশ দায়িত্ব পালনকালে উল্লিখিত কর্মচারীরা সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সঞ্জীব কুমার দাশের ওপর হামলা চালান তারা। এতে রক্তাক্ত জখম হন তিনি। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক কর্মচারী আহত সঞ্জীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে সিএমএম আদালতে ৬ জন হামলাকারীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন তিনি, যার নং সিআর ১৫৯৭/২০১৭। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। তদন্ত শেষে ৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই। এরপর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত-১৫-এ পাঠান। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। আসামিদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ৬ আসামির মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অন্য আসামি মো. আলী হোসেনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১নং আসামি আবুল হোসেন মামলাটি বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে যান। দীর্ঘ ৪ বছর পর আদালত সেই আবেদন নাকচ ও অভিযোগপত্রভুক্ত ৬ আসামির বিরুদ্ধেই নতুন করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আদালতে সঞ্জীবের পক্ষে আইনজীবী মন্টু চন্দ্র ঘোষ শুনানি করেন। পিটিশনকারী আবুল হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

বিআইডব্লিউটিএর ছয় সিবিএ নেতার বিচারে হাইকোর্টের নির্দেশ
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রধান কার্যালয়ের এক কর্মচারীকে কর্মস্থলে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের মামলায় সংস্থাটির ছয় সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে নিম্ন আদালতকে (বিচারিক আদালত) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ পরিচালনায় আর কোনো আইনি বাধা নেই।   ১৬ নভেম্বর এই আদেশ দেন বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের দ্বৈতবেঞ্চ। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ২০১৯ সালের এক আদেশের বিরুদ্ধে করা আসামিপক্ষের কোয়াশমেন্ট পিটিশনের (মামলা নং ফৌজদারি বিবিধ ৪৩৮৫৪/২০১৯) ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়।  অভিযোগে ছয় আসামির মধ্যে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম (চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত), সহসভাপতি মো. আক্তার হোসেন (বর্তমানে কার্যকরী সভাপতি), অর্থ সম্পাদক নাজমুল কবির মজুমদার (বর্তমানে বহিস্কৃত), সমাজকল্যণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পান্না বিশ্বাস।  অন্যদিকে মামলার বাদী হলেন একই সংগঠনের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিস্কৃত) ও বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ে হিসাব বিভাগের তৎকালীন রেকর্ড কিপার সঞ্জীব কুমার দাশ।  মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই দুপুরে সঞ্জীব কুমার দাশ দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত ছয় কর্মচারী সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সঞ্জীব কুমার দাশের ওপর হামলা চালান তারা। এতে রক্তাক্ত জখম হন তিনি। এ সময় হামলাকারীরা তার কাছে থাকা নগদ টাকা, সোনার চেইন, মোবাইল ফোনসেট ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কিছু কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন।  ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক কর্মচারী আহত সঞ্জীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে সিএমএম আদালতে ছয়জন হামলাকারীর নামোল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন তিনি। যার নং সিআর ১৫৯৭/২০১৭। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। তদন্ত শেষে ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।  এরপর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত-১৫ তে পাঠান। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। আসামিদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর আসামি মো. আলী হোসেনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। বিচারিক আদালতের এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১নং আসামি আবুল হোসেন মামলাটি কোয়াশমেন্ট (খারিজ/বাতিল) চেয়ে উচ্চ আদালতে যান। দীর্ঘ চার বছর পর উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদালত আবুল হোসেনের আবেদন নাকচ এবং পিবিআইর অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।  হাইকোর্টে সঞ্জীব কুমার দাশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ শুনানি করেন। আর পিটিশনকারী আবুল হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান।      
২১ নভেম্বর, ২০২৩
X