বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফিরল ২০ বাংলাদেশি
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারত থেকে ২০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যশোরের বেনাপোল সীমান্তে তাদের প্রত্যাবাসন করে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রত্যাবাসনকালে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, কলকাতায় কর্মরত মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা এবং বিজিবি কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।  বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশকালে ও অবস্থানকালে আটক হওয়া এ সব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত এসব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে তাদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলি হামলা ঠেকানোর উপায় জানালেন মাহমুদ আব্বাস
টানা সাত মাসের ইসরায়েলি হামলায় পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা উপত্যকা। এখন বাকি কেবল দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহর, যেখানে বসবাস করছেন বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের ধ্বংস করতে শেষ পর্যন্ত শহরটিতে স্থল অভিযান পরিচালনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। যদিও এর বিরোধিতা করে আসছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এমন অবস্থায় রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ঠেকাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট জানান, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই ইসরায়েলকে গাজার সীমান্ত নগরী রাফাহতে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। রোববার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক বিশেষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আব্বাস ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। আব্বাস বলেন, রাফাহতে হামলা হলে ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে, যা হবে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।  গাজায় থাকা হামাসের সবশেষ ব্যাটিলিয়নগুলো ধ্বংস করতে রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। যদিও এলাকাটিতে নিয়মিতই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা করে। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যায় কয়েকশ ইসরায়েলিকে। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ শুরু করে। সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে তেলআবিব কোনো মানবিক নিয়ম মানছে না। নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭৭ হাজারের অধিক। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।  
৩০ নভেম্বর, ০০০১

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নেবে সীমান্ত ব্যাংক, ৪০ বছরেও আবেদন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের বেসরকারি ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি.। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘ব্রাঞ্চ ম্যানেজার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি. পদ ও বিভাগের নাম : ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, পিও-এফএভিপি আবেদনের বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৪০ বছর পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, সিলেট বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : ৬ থেকে ১২ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ কর্মক্ষেত্র : অফিস কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম প্রার্থীর ধরন : পুরুষ-মহিলা (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক/সম্মান (বিশেষত ব্যবসায়)। শিক্ষা জীবনের যে কোনো স্তরে ৩য় বিভাগ বা ৩য় শ্রেণি প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বি.দ্র. স্বল্পসংখ্যক প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি. কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই যে কোনো আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে। প্রাসঙ্গিক এবং অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয়তা শিথিল হতে পারে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি., কর্পোরেট হেড অফিস, রোড নং ২, বীর উত্তম এম এ রব সড়ক, সীমান্ত স্কোয়ার, ঢাকা- ১২০৫
২০ এপ্রিল, ২০২৪

টেকনাফ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে মিয়ানমারের ৪৬ জন বিজিপি সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে মোট ২৭৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় তারা কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড বিজিপি সদস্যদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে মোট ২৭৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে আছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার নৌ-সীমান্ত দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। এরপর নতুন করে আরও ২৭৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসব বিজিপি সদস্যদের আগামী সপ্তাহে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর বিজিবি’
বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১-বিজিবি পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন।  বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজারে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ১১-বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে পৌঁছান বিজিবি ডিজি। সেখানে পৌঁছেই প্রথমে তিনি ১১-বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন। পরে ১১-বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শনকালে সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বরত সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পরে বিজিবি ডিজি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী সকল সদস্যদের খোঁজখবর নেন। বিজিবি ডিজি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দুপুর ২টায় ১১-বিজিবির অধিন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১-বিজিবির জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসি ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাতা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

কেএনএফ কেন অস্ত্র হাতে নিল, তদন্ত চলছে : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) হঠাৎ কেন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে তা জানতে তদন্ত হচ্ছে। পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, চীন ও ভারত সীমান্তের কাছে চীন নামে তাদের একটি রাজ্য রয়েছে। মূলত সেখানে তাদের একটি ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। কুকি চিনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। এরপর হঠাৎ করে তারা কেন অস্ত্র হাতে নিল, সেই কারণ বের করতে তদন্ত হচ্ছে। কাদের বলেন, হঠাৎ করে এমনটা হতে পারে। ওই এলাকা সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে, যদিও আমি পাহাড়ের সর্বত্র অনেক রাস্তা ও সেতু করেছি, তবুও এগুলো বিচ্ছিন্ন এলাকা, যেমন রুয়াংছড়ি, থানচি ও রুমা। এসব এলাকায় আমি গেছি। সেখানে সেতু উদ্বোধন করেছি। এটা এখন তদন্ত হচ্ছে, সবই বেরিয়ে আসবে। কাদের আরও বলেন, সীমান্ত থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বা সন্ত্রাসের মদদ দেওয়া হবে বলে আমরা মনে করি না। তবে যাতে পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ২০১৭ সালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ (বম পার্টি নামেও পরিচিত, প্রতিষ্ঠাতা নাথাম বম) প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় হামলা, অপহরণসহ নানাভাবে তাদের শক্তি জানান দেয়। কয়েক দফা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানও পরিচালনা করেছিল। মাঝখানে কিছুদিন ‘শান্ত’ থাকার পর আবারও তৎপরতা শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটি। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে নতুন করে আলোচনায় আসে তারা। এর ১৬ ঘণ্টা না পেরোতেই গতকাল বুধবার বান্দরবানের আরেক উপজেলা থানচির কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে দিনদুপুরে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরপর এ দুটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তাদের ভয়ংকর একটি বার্তা।   
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
মিয়ানমারের গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত। রাত হলেই সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বেড়ে যায় গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দ; যার কারণে আতঙ্ক বাড়ে সীমান্তবাসীর।  নাফ নদীর তীরবর্তী সীমান্তের ওপারে রয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ঘাঁটি। একটি-দুটি নয়; রয়েছে অসংখ্য ঘাঁটি। এসব ঘাঁটি দখলে নিতে মরিয়া দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। যার জন্য দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে বিজিপির সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, ঝিমংখালী, খারাংখালীর হ্নীলা ইউনিয়ন, সাবারাং ইউনিয়ন এলাকায় ওপারে মিয়ানমারের ভেতর আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে এ পারে। নিয়মিত বিরতিতে শোনা যাচ্ছে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস জানান, সকালে তিনি বাড়ির উঠানে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ শুনে ভয় পেয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েন। বিস্ফোরণের শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। পরে বুঝতে পারেন মিয়ানমারে বিস্ফোরণ হয়েছে। সীমান্তে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে সীমান্ত থাকা চিংড়ি চাষিরা বলছেন, বিকট বিস্ফোরণের শব্দ তাদের কাছে এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। উনছিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, ভোর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে এখানকার মানুষ স্বাভাবিক দিনের মতো কাজে ফিরেছেন। হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে মিয়ানমার থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। তবে শব্দগুলো স্থানীয়দের কাছে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, কয়েক দিন সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। গতকাল বেশ কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও আজ ভোর থেকে একটু বেশি হচ্ছে। তবে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে এর তেমন প্রভাব পড়েনি। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। আজ সকাল থেকেও মর্টারশেল, গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের বলিবাজার, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পেয়ে এপারে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

মিয়ানমারে ব্যাপক সংঘর্ষ, পালিয়ে বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তাসহ ৩ সদস্য
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে কর্মকর্তাসহ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরস্ত্র করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।   শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই তিন সদস্য সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লোকালয়ে এসে আশ্রয় নেন। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোন সদরে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।   মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে টিকতে না পেরে দেশটির জান্তা সরকারের সেনা সদস্যরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে ১৭৭ জন বিজিপি ও তিন সেনাবাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন।  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আশ্রয় নিলে বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে হেফাজতে নিয়েছে। ইতোপূর্বে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের সবাইকে নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি জোন সদরের স্কুল ভবনে রাখা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। এদিকে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় জনসাধারণ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্ত ক্যাম্পগুলো ইতোমধ্যে আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। উল্লেখ্য আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এর আগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
৩০ মার্চ, ২০২৪

সীমান্ত সড়কে খুলছে অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্পের নতুন দুয়ার
পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় নির্মিত সীমান্ত সড়কে খুলছে অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্পের নতুন দুয়ার। এ সড়কের কারণে পাহাড়ি জনপদগুলোতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে যোগাযোগের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং পর্যটনশিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। ফলে এ তিন জেলা শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সড়ক যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নতি ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ সড়কের কারণে যোগাযোগ ছাড়াও পার্বত্য জেলার সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার, সামাজিক উন্নয়ন, স্থানীয়দের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও পর্যটনশিল্পের নতুন দুয়ার খুলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজস্থলী থেকে জুরাছড়ির দুমদুমিয়ায় ৫৬ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাঙামাটির দুর্গম দুমদুমিয়ায় আগে যেতে সময় লাগত দুই থেকে তিন দিন। এখন সীমান্ত সড়কের কারণে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এ সড়কের কারণে সহজে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারছেন। সড়কটির নির্মাণকাজ প্রায়ই শেষ। সড়কের দুপাশে প্রাণ জুড়ানো সবুজ প্রকৃতি। মাঝে মাঝে দেখা মিলে দুয়েকটি পাড়ার। রাজস্থলীর এই সড়ক দিয়ে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে জুরাছড়ির দুর্গম দুমদুমিয়ায় যাওয়া যায় মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায়। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে সময় আরও কমে আসবে। আগে যেখানে নদী ও পাহাড়ি পথে হেঁটে বিলাইছড়ির ফারুয়া ও জুরাছড়ির দুমদুম্যায় যেতে সময় লাগত দুই থেকে তিন দিন। সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উদয়াচল, শান্তিপাড়া, রোয়াপাড়া ছড়া, আমকাটাছাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ার মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারছে। এলাকাটি উঁচু পাহাড় হওয়ায় কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে জেড আকারে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।  জানা গেছে, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ২০১৯ সালে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিন পার্বত্য জেলায় সীমান্ত সড়ক নিমার্ণের প্রথম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সীমান্ত ও সংযোগ সড়কসহ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার। যা কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে একনেক কর্তৃক প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৩১৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ২২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৪৭ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ চলমান আছে, যা ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রকল্পটির বর্তমান ভৌত অগ্রগতি ৮২ ভাগ ও আর্থিক অগ্রগতি ৮৫ ভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠেগামুখ-লইতংপাড়া-থানচি-দুমদুমিয়া-রাজস্থলী পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার, সাজেক-দোকানঘাট-ঠেগামুখ পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার, সাজেক-শিলদা-বেতলিং পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার এবং উখিয়া-আশারতলী-ফুলতলী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১০৩৬ কিলোমিটারের পুরো সড়কটি নির্মিত হলে খাগড়াছড়ির রামগড় থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সরাসরি যাওয়া যাবে। প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের অধীনে ছয়টি সেতু, ৩৬টি বেইলি ব্রিজ ক্রয় ও প্রতিস্থাপন, ২২১টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণসহ পাহাড়ি পথে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রোয়াপাড়ার বাসিন্দা নন্দলাল চাকমা বলেন, এই সড়কটি হওয়ার পর আমি দোকান খুলেছি। বেচাকেনা দিন দিন বাড়ছে। সড়কটি পুরো হয়ে গেলে তা আরও বাড়বে। দুমদুম্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা শান্তি চাকমা বলেন, আগে আমাদের এখান থেকে হাসপাতালে রোগী নিতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগত। অনেক সময় রোগী পথে মারাও যেত। সড়ক হওয়ার কারণে এখন রোগী যেমন হাসপাতালে নিতে সুবিধা হচ্ছে তেমনি ফসলগুলো বাজারে নিয়ে বিক্রয় করতে সুবিধা হচ্ছে। যার কারণে আগের চেয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের পরিচালক কর্নেল ভূঁইয়া মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, সমতলের তুলনায় পাহাড়ে কাজ করা অনেক চ্যালেঞ্জ। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকাসহ দুর্গম এলাকা হওয়ায় শ্রমিকরা থাকতে চাইতো না। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও গুণগত মান বজায় রেখে কাজ চলছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলনে, সড়ক বিভাগের অধীনে এটি দেশের দীর্ঘতম সড়ক হতে চলেছে। সড়কটি নিরাপত্তাসহ স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পে ভূমিকা রাখবে। সেনাবাহিনীর অধীনে বাস্তবায়ন করা এ সড়ক আগামী মে মাসে কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
২৪ মার্চ, ২০২৪

সীমান্ত শান্ত হলেও আতঙ্ক কাটেনি
কক্সবাজারের টেকনাফে চৌধুরীপাড়া প্যারাবনের পাশে নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য অনেকটা শান্ত। গত তিন দিন থেমে থেমে সেখানে গোলাগুলি চললেও গতকাল বুধবার সকাল থেকে আর কোনো মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটেনি। এতে স্বস্তি দেখা দিয়েছে টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের ওপারে মংডু শহরের আশপাশে প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। তখন বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল টেকনাফ সীমান্তও। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। বাসিন্দাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের অনুপ্রবেশও বন্ধ আছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, কক্সবাজারের উখিয়ার রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত থেকে আর কোনো গুলি বা মর্টার শেলের শব্দ শোনা না গেলেও স্থানীয়রা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তারা বলছেন, পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। তবে বরাবরের মতো টেকনাফের হ্নীলা, নয়াপাড়া শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ বিজিবি সদস্যদের পাহারা জোরদার করায় স্বস্তি কিছুটা ফিরেছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, আগের চেয়ে পরিস্থিতি শান্ত থাকায় এলাকাবাসী কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি। টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক রয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বিজিবি। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
২১ মার্চ, ২০২৪
X