স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে : এনামুল হক শামীম 
দেশকে স্বনির্ভর করতে হলে আমাদের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, সুস্থ সবল জাতি গঠনে আমিষ এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণে এর বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশে একই সঙ্গে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার কাজে মনোনিবেশ করেছে। আমাদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে সামগ্রিক কৃষি উন্নয়ন তথা প্রাণিসম্পদের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও সবার জন্য সুষম পুষ্টির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রাণিসম্পদ সেক্টর দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ গবাদিপশু-পাখির জাত সংরক্ষণ, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।  তিনি আরও বলেন, চামড়াসহ বিভিন্ন উপজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও এ খাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার নিরাপদ প্রাণিজ পুষ্টি উৎপাদনের  লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ খাত নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন ও পুষ্টি নিরাপত্তার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। মানবসভ্যতা বিকাশের প্রতিটি স্তরে প্রাণিসম্পদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ভেদরগঞ্জ ইউএনও মো. রাজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, ভেদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল বাশার চোকদার প্রমুখ।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের প্রতিটি পরিবারকে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রতিটি পরিবারকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করছে সরকার। প্রতিটি নাগরিক যাতে যথাযথ অধিকার ও সম্মানের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তরুণদের স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এটি ভূমিকা রাখছে। সরকারের এ কর্মসূচি সফল করতে হবে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সবুজবাগ বৌদ্ধমন্দির অডিটোরিয়ামে এক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় প্রথমে ঢাকা ৯ নির্বাচনী এলাকার তিন থানার ৭৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সফলভাবে সমাপ্তকারীদের ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। তবে ল্যাপটপ গ্রহণকারীদের ১০ জন তরুণকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, পরে পর্যায়ক্রমে ১ হাজার জন তরুণকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ঢাকা-৯ সকল ক্ষেত্রে সকল এগিয়ে থাকবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কেও ১ নম্বর মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা হবে।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস, নকরেক আইটির সিইও ফ্রিল্যান্সার সুবীর নকরেক প্রমুখ। 
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত সমাজ এবং স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এ দেশের প্রতিবন্ধী জনগণকে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ৩২তম আন্তর্জাতিক ও ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় মনে করা হতো, প্রতিবন্ধীতা অভিশাপের কারণ। আধুনিক বিজ্ঞান বলে, এটি অভিশাপ নয় বরং মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে জিনগত ও নানাবিধ প্রাকৃতিক কারণে মানুষ প্রতিবন্ধী হয়। পরিবার ও সমাজে অসচেতনতার কারণে তারা একসময় দূর্বিষহ জীবনযাপন করেছে। এখন তারা স্বাভাবিক মানুষের মত মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করছে। সরকার প্রতিবন্ধীতা শনাক্তকরণ করে সুবর্ণ কার্ডের বিপরীতে ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও অনুদানসহ নানাবিধ সুযোগ প্রদান করছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে তারা সমাজের মূলধারায় এসেছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রে সমানভাবে অংশগ্রহণ করছে। প্রতিমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর সাভারে প্রায় সাড়ে চারশত কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৮ বিভাগে এনডিডি ব্যক্তিদের জন্য সমন্বিত আবাসন ও পূনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রকল্পে প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ। দিবসটির উদযাপনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থা ও বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন চত্ত্বরে আয়োজিত তিনদিব্যাপী মেলায় স্টল পরিচালনা করছে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ,  নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন’।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
X