Mon, 20 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের শোক
১০ মিনিট আগে
চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজকে ইসিতে সশরীরে তলব, প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কা
৩৮ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ, আবেদন ফি ৩০০
৫৯ মিনিট আগে
ভদ্রতা দেখাব সর্বোচ্চ, আইনের প্রয়োগ হবে শতভাগ : এসপি সাতক্ষীরা
১ ঘণ্টা আগে
২৫০০ অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে মামলা
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি চালু হলে আমরা আবহাওয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাব। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১২টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমবায়ের ধারণা থেকেই ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ ও ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক খুলেছি যাতে যুবকরা বিনা জামানতে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারে। চাকরির পেছনে না ছুটে, নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। এতে কেউ যদি ৫০০ টাকা জমা দেয় তাহলে তাকে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই বলেও জানান তিনি। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, নতুন আরেকটি আধুনিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। আজকের শিশু-কিশোর যুবক তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রত্যেককে দুই-তিনটা করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ৯টার পর টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেন তিনি। সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
১০ মে, ২০২৪
স্যাটেলাইট বসানো সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরের নদীতে
সুন্দরবনের চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে তিনটি সুন্দরবনে থাকলেও একটি বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরের নদীতে ঘোরাফেরা করছে। বুধবার (২৭ মার্চ) করমজল বণ্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, বিশ্বে বিভিন্ন প্রাণি নিয়ে গবেষণা করা হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ চারটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবন এলাকায় থাকলেও একটি কুমির বন ছেড়ে মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে। আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনের চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি কুমির এখন বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে। স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু ট্যাগধারী কুমির দুটি হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আর অন্য যে কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিল সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
২৭ মার্চ, ২০২৪
স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগন্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশা, নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে। গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিলো সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে। বন বিভাগ বলছে, এই গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ সম্পর্কে তারা জানতে চায়। বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে”। কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)। আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন গবেষণা হয় নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে”। বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে। যেভাবে শুরু হলো গবেষণাটি গত ১৩ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুইটি স্ত্রী কুমির। এদের মধ্যে পুরুষ কুমির জুলিয়েট সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির মধুকে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই মোট চারটি কুমিরে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেওয়া হয় সুন্দরবনের খালে। এই কাজের জন্য আইইউসিএন বাংলাদেশ নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে। তারা দু জন অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন। আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা”। তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার। কুমিরে কিভাবে বসানো হল স্যাটেলাইট ট্যাগ? গত ১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েটকে নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে ওই কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুন্দরবনের করমজলের খালে। যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের আরেকটি কুমির আনা হয়েছিলো আগে থেকেই। একই দিন সেটিতেও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো হয়। পরে সেটিকেও ছাড়া হয় একই খালে। ওই গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিটটি। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারি চালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা। যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সাথে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে। গবেষক দলের সদস্য মি. দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও এটি চাইলে আরও বাড়ানো যাবে”। এর পরের দুই দিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরো দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ। কুমিরের মাথার ওপরের অংশে আঁশের মতো যে স্কেল থাকে। ওই স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটা ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারটি। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই ট্রান্সমিটার চিপটি খুব হালকা। যার ওজন দুই গ্রামেরও কম। যেটি একটি কুমিরের শরীরের ওজনের চেয়েও কয়েকগুণ কম। এই ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোন ক্ষতি হয় না”। ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়? কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে ওই দিন থেকেই। এই গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে। ১৬ই মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই ওই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে। গত দশদিনে কুমিরটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এই কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে। স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বর্তমানে বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু ট্যাগধারী কুমির দুটি হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আর অন্য যে কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও। গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, “লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে”। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোন কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী খালগুলোতে যায়। বিশেষজ্ঞ মি. আহমেদ বলেন, “ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে”। কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন? বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না। আইইউসিএন’র গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোন কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণাটি করা হচ্ছে। আইইউসিএন’র গবেষক মি. দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পারে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিলও। এবার প্রথমবারের মতো যেটি শুরু হলো। বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবনক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন জীবিকায় এক ধরণের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এই ধরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জিআইজেড এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্যা মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণাটি চলছে। বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এখন যেভাবে লোনা পানির কুমির নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা”। সংবাদটি বিবিস বাংলার সৌজন্যে কালবেলার পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
২৭ মার্চ, ২০২৪
গোপনে শত শত গোয়েন্দা স্যাটেলাইট তৈরি করছে মাস্কের স্পেসএক্স
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার অন্ত নেই। বিরোধী ও শত্রু দেশ থেকে এগিয়ে থাকতে নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে তারা। এরই অংশ হিসেবে মহাকাশে নিজেদের শক্তির জানান দিতে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর সঙ্গে একটি গোপন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির আওতায় একটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে শত শত গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। রোববার (১৬ মার্চ) মার্কিন সরকারের এই কর্মসূচির বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন ৫টি সূত্রের বরাতে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে এসব তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের দেখভাল করে থাকে ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও)। ২০২১ সালে এই গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ১ দশমিক ৮ বিলিয়র মার্কিন ডলারের একটি গোপন চুক্তি করেছে স্পেসএক্স। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক শাখা এ নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পে স্পেসএক্স কতটা সম্পৃক্ত এসব পরিকল্পনার মাধ্যমে তা সামনে এলো। একই সঙ্গে মার্কিন পদাতিক বাহিনীকে সহায়তা করার লক্ষ্যে স্যাটেলাইট সিস্টেমে পেন্টাগনের মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের চিত্রটিও সামনে চলে এসেছে। যদি এই কর্মসূচি সফল হয়ে যায় তাহলে মার্কিন সরকার ও সামরিক বাহিনী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের শত্রুঘাঁটি খুব সহজে শনাক্ত করতে পারবে। তবে এসব স্যাটেলাইটের নতুন নেটওয়ার্ক কখন চালু হবে তা জানাতে পারেনি রয়টার্স। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট কোম্পানি হলো স্পেসএক্স। এনআরও-এর সঙ্গে তাদের চুক্তি, এতে তাদের ভূমিকা ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বেশ কয়েক যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি। পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এনআরও ও স্পেসএক্সের কাছে রেফার করেছে। এক বিবৃতিতে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম তৈরি এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করলেও স্পেসএক্স নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও)।
১৭ মার্চ, ২০২৪
এবার কুমিরের পিঠে বসানো হলো স্যাটেলাইট
কাছিমসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর খবর শোনা গেলেও প্রথমবারের মতো কুমিরের পিঠে বসানো হয়েছে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো দুটি কুমির অবমুক্ত করা হয়। এশিয়া মহাদেশে এটিই প্রথম ঘটনা। বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সহযোগিতায় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর কাজ সম্পন্ন করেন শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. রু সোমবীরা ও অস্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. পল বন। এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রে থেকে পুরুষ কুমির জুলিয়েট ও যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করার কাজ শুরু করেন ডা. পল বনের নেতৃত্বে বিশেষঙ্গ টিম। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল ও যেসব কুমির নদীতে অবমুক্ত রয়েছে, তাদের সারভাইভাল রেট জানা যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর প্রমুখ।
১৪ মার্চ, ২০২৪
মহাকাশে একসঙ্গে তিনটি স্যাটেলাইট পাঠাল ইরান
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে একের পর এক নিজেদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করেছে ইরান। নতুন করে অস্ত্রসম্ভার সামনে আনার পর এবার একসাথে তিনটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি। বোরবার (২৮ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটি প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিনটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এসব স্যাটেলাইট উদ্ভাবন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব স্যাটেলাইটের মধ্যে একটি ৩২ কেজি (৭০ পাউন্ড) এবং বাকি দুটি ন্যানো স্যাটেলাইট। এ দুটির ওজন ১০ কেজির নিচে। এসব স্যাটেলাইট ৪৫০ কিলেমিটার দূরের সর্বনিম্ন কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে। ন্যানো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ন্যারোব্যান্ড কমিউনিকেশন এবং ভূতাত্ত্বিক অবস্থান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির উদ্ভাবন করা বড় স্যাটেলাইটের নাম মাহদা। এটি ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নির্মাণ করেছে। এর মাধ্যমে সিমোর্গ রকেটের সাহায্যে মহাকাশে একাধিক কার্গো পাঠানোর নির্ভুলতার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি এসিবি নিউজ জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই সফলভাবে নতুন একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ইরান। সোরাইয়া নামের ওই স্যাটেলাইটটি ৭৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছানো হয়েছে। এটি ইরানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানো স্যাটেলাইট। কায়েম-ওয়ান হান্ড্রেড স্যাটেলাইট ক্যারিয়ারের মাধ্যমে ‘সুরাইয়া’ স্যাটেলাইটকে মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ইরানের প্রথম তিন ধাপের সলিড ফুয়েল পরিচালিত রকেট যা ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। ইরানের নতুন এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের মাঝে উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তেহরান ৭৫০ কিলোমিটার দূরে স্যাটেলাইট পাঠানোর মাধ্যমে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি জানান দিচ্ছে বলে মত সামরিক বিশ্লেষকদের। শুধু তাই নয়, ইরানের নতুন স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে টেলিমেট্রি ডেটা পাঠানো শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী এই দেশটি নতুন করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করায় অনেকটা অবাক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। কারণ ইরান কিছুদিন আগেও জানিয়েছে, তারা কোনো মহাকাশ প্রোগ্রাম চালাচ্ছে না। মূলত দেশটি তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আড়াল করতে এমনটা বলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ চলছে। তেহরান ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য কী করতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। ইরানকে অক্টোপাসের প্রধানের সঙ্গে তুলনা করে নেতানিয়াহু বলেন, হুতি থেকে হিজবুল্লাহ, হিজবুল্লাহ থেকে হামাস পর্যন্ত চারদিকে ইরানের তাঁবু দেখতে পাচ্ছে ইসরায়েল।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
ইরানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, হতবাক পশ্চিমারা
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই সফলভাবে নতুন একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ইরান। শনিবার সোরাইয়া নামের ওই স্যাটেলাইটটি ৭৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছেছে। এটি ইরানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানো স্যাটেলাইট। এই খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এবিসি। কায়েম-ওয়ান হান্ড্রেড স্যাটেলাইট ক্যারিয়ারের মাধ্যমে ‘সুরাইয়া’ স্যাটেলাইটকে মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ইরানের প্রথম তিন ধাপের সলিড ফুয়েল পরিচালিত রকেট যা ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। ইরানের নতুন এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের মাঝে উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তেহরান ৭৫০ কিলোমিটার দূরে স্যাটেলাইট পাঠানোর মাধ্যমে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি জানান দিচ্ছে বলে মত সামরিক বিশ্লেষকদের। শুধু তাই নয়, ইরানের নতুন স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে টেলিমেট্রি ডেটা পাঠানো শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী এই দেশটি নতুন করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করায় অনেকটা অবাক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। কারণ ইরান কিছুদিন আগেও জানিয়েছে, তারা কোনো মহাকাশ প্রোগ্রাম চালাচ্ছে না। মূলত দেশটি তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আড়াল করতে এমনটা বলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ চলছে। তেহরান ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য কী করতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। ইরানকে অক্টোপাসের প্রধানের সঙ্গে তুলনা করে নেতানিয়াহু বলেন, হুতি থেকে হিজবুল্লাহ, হিজবুল্লাহ থেকে হামাস পর্যন্ত চারদিকে ইরানের তাঁবু দেখতে পাচ্ছে ইসরায়েল। এর আগে গত মঙ্গলবার সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। পরদিন পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠন জৈশ আল-আদলের দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করেও হামলা চালায় তেহরান। ইরাক কিংবা সিরিয়া ইরানের হামলার কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও অনেকটা সাথে সাথেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তান। ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নেতৃত্বে আরব বিশ্বজুড়ে প্রক্সি বাহিনীর বৃহত্তর একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে ইরান। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের পর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাহিনীগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বর্তমানে গাজা, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন সবকটি দেশেই ইরানের ওইসব প্রক্সি বাহিনী সক্রিয় আছে এবং লড়াই করে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত শনিবার ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট ইরানপন্থি হাশদ আশ-শাবির যোদ্ধারা ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছে।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪
মহাকাশে আরও গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠাবে উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে। এ কারণে আরও তিনটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পাশাপাশি ২০২৪ সালে সামরিক ড্রোন নির্মাণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে উত্তর কোরিয়া। শনিবার পাঁচ দিনব্যাপী ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। খবর রয়টার্সের। পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির নবম পূর্ণাঙ্গ সভা গত মঙ্গলবার শুরু হয়। ক্ষমতাসীন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনব্যাপী এই সমাবেশ থেকে দেশের মূল নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। যদিও আগে নববর্ষের দিনে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় কিমের বক্তব্য প্রকাশ করা হতো। কিম জং উন বলেন, আমাদের ওপর হামলার জন্য শত্রুদের বেপরোয়া পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার সমগ্র ভূখণ্ডকে শান্ত করে দিতে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি হামলার জবাবে পারমাণবিক বোমাসহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিম বলেন, যদি আমরা শত্রু বাহিনীর আক্রমণাত্মক সামরিক কর্মকাণ্ডের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিই তাহলে দেখতে পাব যুদ্ধ শব্দটা একটি বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। এটা আর কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। চীন ও রাশিয়া—দুই দেশের সঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বিদায়ী ২০২৩ সালে মহাকাশে প্রথমবারের মতো সফলভাবে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠানোর দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। এই বছরই কঠিন জ্বালানি চালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জায়গায় পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে কিম জং উনের দেশ।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
স্যাটেলাইট আটকালে যুদ্ধ বাঁধাবে উত্তর কোরিয়া
মাত্র কয়েক দিন আগে প্রথমবারের মতো মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পর পরই এই স্যাটেলাইট দিয়ে মার্কিন হোয়াইট হাউস, সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ছবি তুলে নিয়ে আসে কিম জং উনের দেশ। এবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটে হস্তক্ষেপ করা হবে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। খবর রয়টার্সের। উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তরের স্যাটেলাইট চলাচলে বাধা দেয়, তাহলে মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে পাল্টা জবাব দেবে উত্তর কোরিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বৈধ সীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে, তাহলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে উত্তর কোরিয়া। অথবা মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা ধ্বংস করে দেবে দেশটি। গত ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এরপর কেসিএনএ জানায়, তাদের উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ বেশ কয়েকটি শহর ও সেনাঘাঁটির ছবি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট থেকে হোয়াইট হাউসসহ পেন্টাগনের ছবি পাঠানোর দাবি করেছে দেশটি। এসব ছবি পর্যালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। উত্তরের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গত বৃহস্পতিবার দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত সাইবার গ্রুপ কিমসুকির ওপর আরোপ করা হয়েছে। এ গ্রুপটিকে দেশটির কৌশলগত এবং পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
স্যাটেলাইট আটকালে যুদ্ধ বাধিয়ে দেবে উত্তর কোরিয়া
মাত্র কয়েক দিন আগে প্রথমবারের মতো মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পরপরই এই স্যাটেলাইট দিয়ে মার্কিন হোয়াইট হাউস, সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ছবি তুলে নিয়ে আসে কিম জং উনের দেশ। এবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটে হস্তক্ষেপ করা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। খবর রয়টার্সের। উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তরের স্যাটেলাইট চলাচলে বাধা দেয় তাহলে মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে পাল্টা জবাব দেবে উত্তর কোরিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বৈধ সীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তাহলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে উত্তর কোরিয়া। অথবা মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা ধ্বংস করে দেবে দেশটি। গত ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এরপর কেসিএনএ জানায়, তাদের উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ বেশ কয়েকটি শহর ও সেনাঘাঁটির ছবি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট থেকে হোয়াইট হাউসসহ পেন্টাগনের ছবি পাঠানোর দাবি করেছে দেশটি। এসব ছবি পর্যালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। উত্তরের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত সাইবার গ্রুপ কিমসুকির ওপর আরোপ করা হয়েছে। এ গ্রুপটিকে দেশটির কৌশলগত এবং পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এ নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সমন্বয় করে আরোপ করা হয়েছে।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩
আরও
X