মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার অন্ত নেই। বিরোধী ও শত্রু দেশ থেকে এগিয়ে থাকতে নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে তারা। এরই অংশ হিসেবে মহাকাশে নিজেদের শক্তির জানান দিতে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর সঙ্গে একটি গোপন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির আওতায় একটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে শত শত গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করছে স্পেসএক্স। রোববার (১৬ মার্চ) মার্কিন সরকারের এই কর্মসূচির বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন ৫টি সূত্রের বরাতে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে এসব তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের দেখভাল করে থাকে ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও)। ২০২১ সালে এই গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ১ দশমিক ৮ বিলিয়র মার্কিন ডলারের একটি গোপন চুক্তি করেছে স্পেসএক্স। এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্সের স্টারশিল্ড ব্যবসায়িক শাখা এ নেটওয়ার্ক তৈরি করছে।
মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক প্রকল্পে স্পেসএক্স কতটা সম্পৃক্ত এসব পরিকল্পনার মাধ্যমে তা সামনে এলো। একই সঙ্গে মার্কিন পদাতিক বাহিনীকে সহায়তা করার লক্ষ্যে স্যাটেলাইট সিস্টেমে পেন্টাগনের মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের চিত্রটিও সামনে চলে এসেছে।
যদি এই কর্মসূচি সফল হয়ে যায় তাহলে মার্কিন সরকার ও সামরিক বাহিনী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের শত্রুঘাঁটি খুব সহজে শনাক্ত করতে পারবে। তবে এসব স্যাটেলাইটের নতুন নেটওয়ার্ক কখন চালু হবে তা জানাতে পারেনি রয়টার্স।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট কোম্পানি হলো স্পেসএক্স। এনআরও-এর সঙ্গে তাদের চুক্তি, এতে তাদের ভূমিকা ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বেশ কয়েক যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি। পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এনআরও ও স্পেসএক্সের কাছে রেফার করেছে।
এক বিবৃতিতে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট সিস্টেম তৈরি এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থা, কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথা স্বীকার করলেও স্পেসএক্স নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ন্যাশনাল রিকনেসেন্স অফিস (এনআরও)।
মন্তব্য করুন