কুবি শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী ভিসিপন্থি শিক্ষকদের মৌন অবস্থান
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষকদের ওপর হামলা করে এবার মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। কী কারণে এই মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে- তা জানতে চাইলে কথা না বলে তাড়াহুড়ো করে অবস্থান ত্যাগ করেন তারা। তবে আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা কি জন্য এই কর্মসূচি পালন করতেছি তা প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে।  রোববার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় এই কর্মসূচি পালন করে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। কর্মসূচিতে যুক্ত না হয়ে দূর নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী।  এ সময় তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক হোক সৌহার্দ্যপূর্ণ্য, তালা সংস্কৃতির অবসান হোক, গবেষণার পথ সুপ্রসন্ন হোক, এগিয়ে যাবে সব সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৮ এপ্রিল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোকসহ নানা প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করেন। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছেন আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, সহকারী প্রক্টর আবু ওবায়দা রাহিদ, জাহিদ হাসান ও অমিত দত্ত ও অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান সিকদার। এরাসহ বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন উপাচার্যপন্থি শিক্ষক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।  আয়োজন করেও কেন মৌন অবস্থান কর্মসূচিতে দাঁড়ায় নাই জানতে চাইলে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি আয়োজন করি নাই, শিক্ষকরা আমার কাছে চেয়েছে, আমি অনুমতি দিয়েছি। আমি প্রশাসনিক পার্ট হিসেবে তাদের সঙ্গে দাঁড়ায় নাই। তবে আমি শিক্ষকদের অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষকের মাঝে মাত্র ১৫-১৬ জন নামছেন। এখানে বোঝাই যাচ্ছে উপাচার্যের সঙ্গে এখন কারা আছেন। এটা হাস্যকর। যারা শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়েছেন, বিভিন্ন নিপীড়নে সংযুক্ত হয়েছেন, যারা অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত, যারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা এবং অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত, যাদের অবৈধভাবে ডিন ও চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভেঙে অবৈধভাবে একাডেমিক বিশৃঙ্খলা করে বসে আছেন তারাই আজকে এখানে এসে মায়াকান্না করছেন। এটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছু নয়। শিক্ষক সমিতি থেকে এদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী শনাক্তে ডিএমপির কমিটি
রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অনুসন্ধান কমিটি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে এ কমিটি করা হয়। পরে কমিটিতে পুলিশের অন্য সদস্যদের যুক্ত করা হবে। এর আগে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে স্মারকলিপি দেন আহতরা। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির বার্তাপ্রধান (হেড অব নিউজ) শাকিল আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব মানস ঘোষ, সাংবাদিক নিজামুল হক বিপুলসহ নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে দৈনিক কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক রাফসান জানি বলেন, হামলাকারীরা প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সাংবাদিকদের মারধরের পাশাপাশি তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়, ক্যামেরা ভাঙচুর করে। আমরা চাই, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারী জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ গ্রেপ্তার
২০০৪ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভাষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারী এবং হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এটিইউর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া জুঁই জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় হয়। তাতে ৪ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। রায়ে বলা হয়, হুমায়ুন আজাদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান এবং সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। বইমেলায় এ দুই জঙ্গি নেতার নির্দেশে আতাউর রহমান সানির নেতৃত্বে মিনহাজ, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ, হাফিজ মাহমুদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে শামীমসহ অন্যরা হুমায়ুন আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর একই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানিতে মারা যান হুমায়ুন আজাদ। পরে হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। অন্য একটি মামলায় ২০০৭ সালে আবদুর রহমান ও সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কারাগারে আছে জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর ও আনোয়ারুল, মারা গেছেন হাফিজ মাহমুদ। তবে পলাতক ছিলেন নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম আর সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন। রায়ের ২ বছর পর গ্রেপ্তার করা হলো তাকে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

সীতাকুণ্ডে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিলেন সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী মো. ফয়সাল মুন্সি ক্ষমা চেয়েছেন। সে সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।তিনি উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জানে উল্লাহ মুন্সিবাড়ির বাসিন্দা। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক নেতা ও অভিযুক্তের পক্ষের লোকজনের মধ্যস্থতায় এ সমাধান করা হয়। এর আগে দৈনিক কালবেলার সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধি এস এম ইকবাল হোসাইন ১২ ডিসেম্বর পেশাদার দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিটিসি গেট এলাকায় যান। সেখানে ফকরিজ ইটভাটায় অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় ইটভাটায় কাঠ সরবরাহকারী মো. ফয়সাল মুন্সি কালবেলা প্রতিনিধির ওপর হামলা চালান। পরে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি জিডি করেন ভুক্তভোগী। ঘটনার পর থেকে ফয়সাল মুন্সী ও তার লোকজন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের নেতা ও কালবেলা প্রতিনিধির কাছে ক্ষমার জন্য ধরনা দিতে থাকেন। শনিবারের মধ্যস্থতায় অভিযুক্ত ব্যক্তি কালবেলা প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাব নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক এস এম ইকবাল হোসাইন বলেন, সাংবাদিক হলো জাতির দর্পণ। অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, উভয়পক্ষ মীমাংসা হওয়াতে জিডিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X