মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে লোমহর্ষক তথ্য দিল ডিবি
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের লোমহর্ষক তথ্য পেয়েছে ডিবি। মাদকাশক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।  ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ সময় ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে। মিল্টন একজন সাইকোপ্যাথ সে কীভাবে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।  তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী শিশু ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষদের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে ফেলতেন।  হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিল্টন স্বীকার করেছেন তার অপারেশন থিয়েটারের কথা। যেখানে সে এই কাটাছেঁড়া করতেন। সেই সঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে সে এসব অসহায় মানুষদের পেটাতেন।  এ ছাড়াও মিল্টনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন হারুন অর রশীদ। সংবাদ সম্মেলন শেষে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।  এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

মিল্টনের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, জানাল ডিবি
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।  এ সময় ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও রোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাদকাশক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।  তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতেন।  সংবাদ সম্মেলন শেষে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়েছে।  এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।  এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডেকেছে ডিবি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম। সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে৷ এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা৷ যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

‘তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় মিলেছে’
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের নাম পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে ডিবি।  বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  তিনি বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটার পরে ডিবি সব সময় ছায়াতদন্ত করে। রেলে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণ চলে যায়। যারা এ কাজটি করেছে তারা ২৮ তারিখের পর থেকেই নির্বাচনকে ভুন্ডুল করার জন্য ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্যই এই কাজটি করেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গায় তারা বাসায় আগুন লাগাচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ করেছেন। নতুন করে তারা এখন ট্রেনে আগুন লাগানো শুরু করেছে।  হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো রাজনৈতিক কোনো পার্ট না। এটা এক ধরনের দুর্বৃত্তায়ন। যারা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়েছে তারা ছাড় পাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ডিবি পুলিশ কাজ করছে। অনেকেই নাম পেয়েছি, আশা করি তাদের দ্রুতই পেয়েছি।  যারা ভাড়াটিয়া হিসেবে হোক আর টাকার লোভে হোক যারা এই কাজ করছে সেই জায়গা থেকে সরে এসে নাশকরা ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন। কোনো বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজটি করা মোটেও ঠিক না।  আমি মনে করি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সামনে হবে। সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কেউ যদি নাশকতা করে, দুর্বৃত্তায়ন করে তাদের আইনের আওতায় আনব।  এক দুইটা গাড়ি গাড়িতে আগুন লাগালেই কিংবা ককটেল ফুটালেই যে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে ঠিক নয়। আমরা প্রতিটি জায়গায় কাজ করছি, আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি, চেকপোস্ট রয়েছে, টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।  সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, যারা নাশকতা করতে চায় তাদের নাম-নম্বর নিয়ে আমাদের জানাবেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনব।  সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করে জানানো হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

মিয়ান আরেফিকে হেফাজতে নিতে আজ কারাগারে যাবেন ডিবি প্রধান হারুন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টার মিথ্যা পরিচয় দেওয়া মিয়ান আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেবে তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এজন্য আজ মঙ্গলবার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। প্রয়োজনে ওই আসামিকে কারা ফটকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ডিবির দায়িত্বশীল সূত্র কালবেলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মিয়ান আরেফিকে গত বৃহস্পতিবার পাঁচদিনের রিমান্ডে পায় ডিবি। এরমধ্যেই খবর বের হয়, তদন্ত সংস্থা দুই দফা কারাগারে আনতে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ আসামিকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করেনি। এমন পরিস্থিতি আজ ডিবি প্রধান নিজেই কারাগারে যাচ্ছেন। মিয়ান আরেফি বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক। তার পৈত্রিক নিবাস  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া। তার প্রকৃত নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি। গ্রামের লোকজন তাকে বেলাল নামেও চেনে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং ডেমোক্র্যাট দলের ন্যাশনাল কমিটির সদস্য পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলেন। ওই সময় তার পাশে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বিএনপি নেতা ইশরাকসহ কয়েকজন ছিলেন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় ‘মিথ্যা পরিচয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ অভিযোগসহ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি মামলা করেন। এরই মধ্যে মিয়ান আরেফি ও চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ আমলে নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ায় ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হওয়া মামলার সঙ্গে এখন রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের ধারা যুক্ত করে তদন্ত চলছে। মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ তদন্ত করছে। ২৯ অক্টোবর দেশ ছাড়ার সময় বিমানবন্দর থেকে মিয়ান আরেফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালত তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আদেশ দেন। একই মামলায় গত মঙ্গলবার হাসান সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। তিনি এখন ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর মিয়ান আরেফির দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সারওয়ার্দীর বক্তব্য না মেলায় গত বৃহস্পতিবার ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে মিয়ান আরেফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি সূত্র জানায়, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ডিবির কর্মকর্তারা মিয়ান আরেফিকে আনতে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে যান; কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ডিবির কাছে দেয়নি। গত শনিবার ডিবি কর্মকর্তারা ফের তাকে হেফাজতে পেতে কারাগারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। সেদিনও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়নি। অবশ্য কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা দৈনিক কালবেলাকে জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই আসামিকে তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে অবশ্যই হেফাজতে নিতে পারবেন। তবে রোববার পর্যন্ত তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হেফাজতে নেননি।  মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আজ স্বয়ং ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান ওই আসামি আনতে কারাগারে যাবেন। এদিন তদন্তের প্রয়োজনে কারা ফটকেই জিজ্ঞাসাবাদ বরা হতে পারে মিয়ান আরেফিকে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩
X