ঝিনাইদহে লড়বেন না হিরো আলম
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না হিরো আলম। ব্যাকআপ না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে, গত সোমবার হিরো আলম বলেছিলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সবাই আমাকে চেনেন বলেছেন। তারাও চান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। শুক্রবার হিরো আলম উপনির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে আসবেন বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও হিরো আলম যাননি। হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু পরে চিন্তা-ভাবনা করে আর যাইনি। যে কোনো জায়গা থেকেই ভোট করা যায়; কিন্তু এলাকায় ব্যাকআপ লাগে। ব্যাকআপ ছাড়া ভোট করব কীভাবে? হিরো আলম আরও বলেন, অনেকেই আগে ফোন করে আওয়ামী লীগের পরিচয় দিতে বলেন। আমি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভাপতি, সেক্রেটারি, সভাপতি, চেয়ারম্যান, ওমুক-তমুক। আর বলত, আসেন ভোট করেন, আমরা আছি; কিন্তু এখন, দু-একজন যে বলবে, আসেন, এলাকায় ভোট করেন, যা লাগে আমরা দেখব—এমন কাউকেই পাচ্ছি না।
০৪ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন / ভোটে দাঁড়াবেন না হিরো আলম
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না হিরো আলম। ব্যাকআপ না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। শুক্রবার (৩ মে) মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হিরো আলম বলেছিলেন, আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে বলেছি, তারা আমাকে বলেছেন, তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চান আমি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন, নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সবসময় থাকব। আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চান আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার। এ সংবাদ প্রচার হওয়ার পরপরই শৈলকুপার সর্বত্র শুরু হয় তুমুল আলোচনা। আজ শুক্রবার হিরো আলম উপনির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে আসবেন বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হিরো আলমকে এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়, হিরো আলম আর আসেন না। ভক্তরা তাকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিকেলে হিরো আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‌নির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরে চিন্তা-ভাবনা করে আর যাইনি। ভোট করা কোনো বিষয় না, যে কোনো জায়গা থেকেই ভোট করা যায়। ভোট করতে গেলে এলাকায় ব্যাকআপ লাগে। ব্যাকআপ ছাড়া ভোট করব কীভাবে? হিরো আলম বলেন, সবাই তো খালি আমাকে ফোন দিয়ে আওয়ামী লীগের পরিচয় দেয় আর বলে, আমি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভাপতি, সেক্রেটারি, সভাপতি, চেয়ারম্যান, ওমক-তমক; দুনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফোন দিতে থাকে। আর তারা বলে, আসেন ভোট করেন, আমরা আছি। কিন্তু ভোট করতে হলে তো ব্যাকআপ লাগে। দুই একজন তো বলবে আসেন, এলাকায় ভোট করেন, যা লাগে আমরা দেখব—এমন কাউকেই পাচ্ছি না।
০৩ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহে উপনির্বাচনে লড়বেন হিরো আলম
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। হিরো আলম বলেন, আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে বলেছি, তারা আমাকে বলেছেন, তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চান আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন, নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সবসময় থাকব। তিনি বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চান আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার। তিনি আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচার চালাতে যাচ্ছি। ওখান থেকে ফিরেই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র কিনব। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। ১৭ মে প্রতীক বরাদ্দ। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। তবে কোনো নির্বাচনেই তিনি জিততে পারেননি। এদিকে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১১ জন। এ থেকে দলটির আয় হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়। এদিন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নজরুল ইসলাম, সাইদুল করিম মিন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জাহাঙ্গীর আলম, সেলিনা পারভীন, রেজাউল ইসলাম, সাইদুর রহমান, পারভেজ জামান, নায়েব আলী জোয়াদ্দার, কাজী আশরাফুল আজম প্রমুখ। মনোনয়ন বিক্রি ও জমা দেওয়ার কার্যক্রম আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

উত্ত্যক্তের অভিযোগ নিয়ে ডিবিতে হিরো আলম
মুশতাক-তিশার পর দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে। এমন অভিযোগ নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ডিবি অফিসে উপস্থিত হন হিরো আলম। এ সময় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বইমেলায় আমাকে দুয়োধ্বনি দেওয়া হয়েছে, যেটা আমার কাছে উত্ত্যক্তের পর্যায়ে মনে হয়েছে। তাই ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। বিষয়টি ডিবিপ্রধান হারুন ভাইকে লিখিতভাবে অবহিত করব। বিষয়টির একটা সুরাহা করা উচিত। এর আগের দিন বুধবার বিকেল ৪টার দিকে অমর একুশে বইমেলায় নিজের লেখা বইয়ের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন আলম। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী তার উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া, ছিঃ ছিঃ ধ্বনি দিতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে টিএসসি গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে হিরো আলমকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন। হিরো আলমের বইয়ের নাম ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দিব’। বইটি কয়েক বছর আগে প্রকাশ পেয়েছে। মেলার ২১তম দিনে ওই বইয়ের প্রচারণা চালাতে গিয়ে ভুয়া ভুয়া, ছিঃ ছিঃ ধ্বনি শুনে বইমেলা ছাড়তে হয় তাকে।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দিলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভোট বর্জনের কাগজ জমা দেন তিনি।  এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সারাদিন নির্বাচন মাঠে ঘুরেছি। আমার এজেন্টরা বলেছে, তাদের বলা হয়েছে, আলম যদি কেন্দ্রে আসে তখন তাকে যেন বলা হয় ভোট খুব ভালো হচ্ছে। কিন্তু আমরা চলে আসার পর দুপুরে লাঞ্চের সময়ে তারা সিল মারছে। এ ছাড়া, কিছু সিল মারাই নিয়ে এসেছিল ওরা। আমরা যখন কেন্দ্রে যাই তখন প্রতিটি কেন্দ্রে ২টা, ১৫টা, ৯৬টা করে ভোট পড়েছে।’ হিরো আলম বলেন, গতকাল যে নির্বাচন হয়েছে এটা নাটকীয় নির্বাচন। আমি ভোট করতে চাইছিলাম না। ভোট একটা কারণেই করেছি, এই আসনে প্রতিবারই দুর্নীতি করা হয় আমার ওপর। এবারও করবে সেটা আমি আগে থেকেই জানতাম। দেশবাসীর কাছে এটা প্রমাণ করার জন্যই আমি নির্বাচনের মাঠে ছিলাম। আমি ইচ্ছে করলে গতকাল সকালেই ভোট বর্জন করতে পারতাম। কিন্তু করিনি। কারণ আপনারা শেষ পর্যন্ত দেখেন মাঠে কি হয়।’ এ সময় হিরো আলম বলেন, ‘জিয়াউল হক বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা। তার তো এত ভোট পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যে জায়গায় বিএনপি ভোট দিতে যায়নি, সেখানে উনি এত ভোট পেলেন কোথায়?’ হিরো আলম অভিযোগ করেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসাররা যখন কেন্দ্র থেকে রেজাল্ট ঘোষণা করবে তার আগে আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের গণনাকৃত ফলাফলের রেজাল্ট শিট ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের তৈরি রেজাল্ট শিট হাতে ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের রেজাল্ট শিট দিয়ে ঘোষণার নির্দেশ দেন। এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে অনিয়ম করেছে। কাজেই আমি এই ফলাফল মানি না।’  হিরো আলম বলেন, ‘আমি এবার ভোট পেয়েছি ২৪ হাজার ৬০০। কিন্তু আমার ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র ২ হাজর ১০০টি। আমি প্রথমে যখন ওখানে যাই তখন নৌকা পেয়েছে ৬ হাজার ভোটের মতো। কিন্তু পরে নৌকায় সিল মেরে ভোট দেখিয়েছে ২৫ হাজার। ঈগল মার্কা ভোট পেয়েছে ১০ হাজারের মতো। আমার যারা এজেন্টরা ছিল তারা আমাকে এগুলো জানিয়েছে।’ আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও ভোটের চাল খাটাইছে। গতবার আমাকে ৮০০ কয় ভোটের ব্যবধানে তানসেনের কাছে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। এবার ঈগলকে দেখানো হয়েছে ১০০ কয় ভোটে ফেল করেছে। সারাজীবন কী খালি এক-দেড়শ ভোটে ফেল দেখায়? ২-৪ হাজার ভোট কি কেউ কম বেশি পায় না? তানসেনের কি জনপ্রিয়তা এতই বেশি? আমার কি জনপ্রিয়তা এতই কম। যে জায়গায় গতবার আমি ১৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। এবার ২ হাজার ভোট পাই। হিরো আলমের জনপ্রিয়তা কি এতই কমে গেছে? যে হিরো আলম ভোট পায়নি?’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতকাল সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ‘ডাব’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।  
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

জামানত হারালেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ডাব প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামানত হারিয়েছেন। হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি হতে হবে। কিন্তু এই নির্বাচনে হিরো আলম ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।  বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট প্রদত্ত ভোট ৯৬ হাজার ৬০৮টি। যার বৈধ ভোট গণনা করা হয় ৯৩ হাজার ৭৪৯টি। এই নির্বাচনে জামানত রক্ষার জন্য একজন প্রার্থীকে পেতে হবে ১২ হাজার ৭৬ ভোট।   নির্বাচনে এই আসনে জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২হাজার ৭৫৭ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লা ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন। বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, প্রতিটি আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগ ভোট না পেলে তার জামানত ফিরে পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সেই হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই হিরো আলমের জামানত বাতিল হবে। 
৩০ নভেম্বর, ০০০১

ভোটে হেরে ভোটার ও প্রশাসনকে দুষলেন হিরো আলম
বহুল আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম ভোটে হেরে ভোটার ও প্রশাসনকে দুষলেন। নিজ বাসভবনে বোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, হাজার টাকার একটি করে নোট আর জিলাপির পোটলার কাছে হিরো আলমের ভক্তরাও বিক্রি হয়ে যেতে পারে ভাবতেও পারিনি। ভোটকেন্দ্রের পাশে টাকা আর জিলাপির পোটলা নিয়ে বসে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার কর্মীরা। আমার কাছে এর প্রমাণ আছে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নিজ বাড়িতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই আসনের নির্বাচনে বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট। আর হিরো আলম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৫ ভোট। নির্বাচনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে হিরো আলম বলেন, ‘এই ফল আমি মানি না।’ ভোটের ফল বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের পাশে তার লোক জিলাপির পোটলা নিয়ে বসেছিল। তারা কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। ভোটারদের হাতে হাতে হাজার টাকার নোট আর জিলাপির পোটলা দিয়েছে, আমার কাছে ছবি এবং প্রমাণ আছে। ছবিসহ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি। টাকার লোভে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতার ঈগলের ভোট করেছে।’ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফল নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘উপনির্বাচনে আমাকে তানসেনের সাথে ৮২০ ভোটে হারানো হয়েছিল। এবারও ঈগল মার্কার প্রার্থীকে প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধান দেখানো হয়েছে। তানসেনের কোনো ভোট নাই। দুপুরের খাবারের বিরতির সময় তার পক্ষে সিল মারা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে আমাকে হারানো হয়েছে।’
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোটগ্রহণ শেষে বর্জনের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়া-৪ আসনে আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজের ভেরিফাই ফেসবুক পেজে তিনি এই ঘোষণা দেন। হিরো আলম বলেন, এবারের নির্বাচনেও নানারকম অনিয়ম হয়েছে। এইসব নিয়ে রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলব। হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত ডাব মার্কার প্রার্থী। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় আসনটিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে। এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে আছেন ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। এছাড়া বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ আরও চারজন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোটার উপস্থিতি কম হবে : হিরো আলম
অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। এবার ভোটার উপস্থিতি কম হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে এ মন্তব্য করেন হিরো আলম। বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী হলেও বগুড়া সদরের এরুলিয়ার ভোটার তিনি। সংবাদমাধ্যমে হিরো আলম বলেন, ‘এবার ভোটারের উপস্থিতি কম হবে। গতকাল রাতেই বগুড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে’। তবে উপনির্বাচনের মতো এবার পোলিং এজেন্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। হিরো আলম বলেন, এবার রাত থেকে সব কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টরা অবস্থান করছে। তবে সারাদিন কী হবে জানি না। জয়ের বিষয়েও শতভাগ আশাবাদী হিরো আলম। তিনি বলেন, এবার ভোট সুষ্ঠু হবে, ভোট সুষ্ঠু হলে আমি অবশ্যই জিতব। অন্যদিকে ঈগল মার্কার প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ এনেছেন হিরো আলম। টাকা দেওয়ার বেশকিছু ছবিও তার কাছে আছে বলে দাবি করেন। ভোটদান শেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-৪ আসনের দিকে যান হিরো আলম। ওই আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ভোটের মাঠে লড়ছেন মোট ৬ জন। এবার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন ভোটার রয়েছেন এই আসনে। মোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৪টি।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

আমার জয় নিশ্চিত : হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে ৮৩৪ ভোটে হেরেছিলেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ওই নির্বাচনে জয়ী হন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব প্রতীকে অংশগ্রহণ করেছেন হিরো আলম। ওই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে লড়ছেন ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। এ ছাড়া ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাপিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। সংবাদমাধ্যমে হিরো আলম বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করে যা বুঝেছি, তাতে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। এলাকার জনগণ আগামীকাল (রোববার) ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। অনেক উৎসাহ কাজ করছে তাদের মধ্যে। আশা করি, তারা সবাই আমার পক্ষেই ভোট দেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে, তবে আমার জয় নিশ্চিত। আপনারা জানেন, গত নির্বাচন আমার পক্ষে জনগণ ভোট দিয়েছে। সেবার অল্পের জন্য বিজয়ী হতে পারিনি। এবার আমাকে নিয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটা আরও দৃঢ় হয়েছে।’ হিরো আলম বলেন, ‘সব কিছু আপাতত ঠিক আছে। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট থাকছে। নির্বাচনী প্রচারণাতেও কোনো ঝামেলা হয়নি। আশা করি, এবার সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ভোটের দিনের পরিকল্পনার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘রোববার সকালে এরুলিয়া ভোটকেন্দ্রে ভোট দেব। এরপর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অবস্থা বুঝে পরবর্তী পরিকল্পনা সাজাব।’
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X