‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে ফেনী পুলিশ
ফেনী জেলা শহর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছে ফেনীর পুলিশ প্রশাসন।  গত ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭ এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সারা দেশে এ কার্যক্রম আমলে আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ফেনী সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় হাঁটবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় জীবনহানী ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে সচেতনতা বাড়াতে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে ফেনীর ট্রাফিক পুলিশ। এ কর্মসূচির পাশাপাশি ট্রাফিক বিভাগ ও সব থানা ফাঁড়ি এবং ডিবি পুলিশ হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো, মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহন এবং বেপরোয়া বাইকারদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে ফেনীর প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ ফেস্টুন প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। পাম্প মালিক ও কর্মচারীদের পুলিশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেলমেট ছাড়া জ্বালানি তেল না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল বাস্তবায়নে পাম্পের আশপাশে চেকপোস্ট স্থাপন করে আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করছে ট্রাফিক বিভাগ। গত দুই দিনে হেলমেটবিহীন অবস্থায় মোটরসাইকেল চালানোসহ অন্যান্য অপরাধে মোট ৪৩টি যানবাহন মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়েছে। এদিকে ট্রাফিক আইন প্রতিপালনসহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, যানজট নিরসনে চালক ও অভিভাবকদের সচেতন করার লক্ষ্যে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে চালক ও অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভাও করা হচ্ছে।
১৮ মে, ২০২৪

বাইক আরোহীদের হেলমেট নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ
বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট পরিধান নিশ্চিতে অভিযান চালাচ্ছেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ। আর এই অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। একইসঙ্গে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (১৮ মে) বাসস্ট্যান্ডে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং ট্রাফিক বিভাগের শহর ও যানবাহন শাখার আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই বিশেষ অভিযানের সূচনা করেন পুলিশ সুপার। মোটরসাইকেল আরোহীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, চাঁদপুরে মোটরসাইকেল আরোহনকারীদের হেলমেট পরিধান নিশ্চিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাইক আরোহীদের হেলমেট পরিধান নিশ্চিতে পূর্ব ঘোষিত ট্রাফিক জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই অভিযান করা হচ্ছে। এতে করে আমরা আরও সতর্ক হচ্ছি। এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে না তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। চলাচলে সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রত্যেক মোটরসাইকেল আরোহীর সচেতনতা জরুরি। তাই মোটরসাইকেল চালকগণ অবশ্যই মাথায় হেলমেট পরিধান করতে হবে। অন্যথায় জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ প্রতিপাদ্যকে স্মরণে রেখে মোটরসাইকেল আরোহীদের যেন জ্বালানি সরবরাহ করা হয়, সে বিষয়ে জ্বালানি সরবরাহকারী মালিক ও শ্রমিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম, চাঁদপুরের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক প্রশাসন মাহফুজ মিয়াসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ মে, ২০২৪

‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নের নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত মাসিক (এপ্রিল, ২০২৪) অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) আতিকুল ইসলাম। সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে ডিআইজি অপারেশন্স (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অতিরিক্ত আইজিপি সড়ক দুর্ঘটনা মামলার তদন্ত সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 8
১৭ মে, ২০২৪

সিরিজ জয়ের পর মুশফিকদের হেলমেট উদযাপন 
চট্টগ্রামের সাগরিকায় লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতে লক্ষ্য সল্প রানেরই ছিল বাংলদেশের সামনে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহজ এই টার্গেটও একটা সময় কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে ‘কনকাশন সাব’ তানজিদ হাসান তামিম ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস আর মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও রিশাদ হোসেনের ঝড়ে দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরাজয় বরণ করলেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ঠিকই বিজয় ছিনিয়ে আনল। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা ছাড়ানো দুই দলের দ্বৈরথে এবার বাংলাদেশ শেষ হাসি হাসল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ের পর টাইমড আউট উদযাপন করে বাংলাদেশকে বলতে গেলে একপ্রকার খোঁচা দিয়েছিল লঙ্কানরা। ওয়ানডে সিরিজ জিতে সেটির প্রতিশোধ স্বরূপ নতুন এক উদযাপনের জন্ম দিল টাইগাররা। শেষ ওয়ানডেতে ৪ উইকেট ও ৫৮ বল হাতে রেখে জয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন টাইগার উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিককুর রহিম। এরপর ট্রফি হাতে উদযাপনেও মুশফিকুর রহিম সফরকারীদের দিলেন খোঁচা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে হাতের ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করে টাইমড আউট উদযাপন করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি নিয়ে উদযাপনের সময় মুশফিক করলেন হেলমেট-উদযাপন। স্ট্র্যাপ খোলা হেলমেট হাতে মুশফিক ইঙ্গিত করেন, সেটিতে সমস্যা। পাশ থেকে অবাক হওয়ার ভঙ্গি নাজমুল হোসেন শান্তর। উদযাপনে ইঙ্গিত ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সেই ত্রুটিযুক্ত হেলমেটের দিকে। উদযাপনেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ যেন মধুর প্রতিশোধ। একই সঙ্গে টেস্ট সিরিজের জন্যও উত্তেজনার বীজ পুঁতলেন মুশফিক। সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রিশাদ হোসেন। বল হাতে উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে এদিন ১৮ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। সিরিজসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৮ মার্চ, ২০২৪

হেলমেট পরা লাশ ভেসে এলো বাংলাদেশে
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী খালে জোয়ারের পানির সঙ্গে মিয়ানমার থেকে অজ্ঞাত এক মরদেহ ভেসে এসেছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। মরদেহের মাথায় জলপাই রঙের হেলমেট ও খাকি পোশাক পরা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর কোনো সদস্যের মরদেহ এটি। বালুখালীর স্থানীয় যুবক মঞ্জুর বলেন, মরদেহের মুখে কালি রয়েছে। মাথায় হেলমেট ও গায়ে খাকি পোশাক। দেখে মনে হচ্ছে, এটা মিয়ানমার বাহিনীর কোনো সদস্যের মরদেহ। এটি খালের ঝিরির চলন্ত পানিতে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া থেকে ভেসে এসেছে। এ বিষয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, খালের ঝিরি দিয়ে মরদেহ ভেসে আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শিশু লামিয়া হত্যা / হেলমেট পরা দুই ব্যক্তি কারা
নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু উম্মে সালমা লামিয়ার (৭) মরদেহ গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। কী কারণে শিশুটিকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়ার মা আয়েশা আক্তার ও সৎমা রেহানা বেগমকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী লামিয়ার বড় বোন পালিয়ে বাঁচা ফাতেমা আক্তার নিহার (১২) সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। নিহা পুলিশকে জানিয়েছে, হেলমেট পরা ওই দুই ব্যক্তি দেখলে চিনতে পারবে সে। এখন হেলমেট পরা ওই দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। এদিকে পৈশাচিক এ হত্যার ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ফেনীর পরশুরামের বাঁশপদুয়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক মো. নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয়ে দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তার দুই শিশু সন্তান দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরে ঢুকে শিশু লামিয়াকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একই সময় লামিয়ার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা একজনের হাত কামড়ে দিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। লামিয়াকে হত্যার পর দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে নিহা অজ্ঞান হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ঘটনার সময় নুরুন্নবীর বর্তমান স্ত্রী রেহানা বেগম তার ছেলে সিয়ামের চোখের চিকিৎসা নিতে ফেনী শহরের মা ও শিশু হাসপাতালে ছিলেন। পালিয়ে বেঁচে যাওয়া নিহার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকারীদের দেখলে চিনবে নিহা। পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয় দেওয়া দুই যুবকের মাথায় হেলমেট পরা থাকলেও বাসার ভেতরে ঢুকেই হেলমেট খুলে ফেলেন তারা। নিহা পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো ও হালকা মোটা। এর আগেও তাদের পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, এখন হেলমেট পরা ওই দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। এ ছাড়া নিহত শিশুর দুই মাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এদিকে মামলার বাদী মো. নুরুন্নবী বলেছেন, তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। পরে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে নিহা ও লামিয়া দুই মেয়ে আমার সঙ্গেই থাকত। মেয়ে দুটিকে আয়েশা নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাদের নিতে দিইনি। আমার ধারণা, মেয়েদের তার কাছে নিতে না পেরে আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে হত্যার মিশন চালিয়েছে সে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুরুন্নবী পরশুরাম কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার গাড়িচালক। চার বছর আগে প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে নিয়ে পরশুরাম বাজারের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের আমেরিকান ভবনের বাসায় থাকতেন। সংসারে তাদের বনিবনা না থাকায় সব সময় ঝগড়া লেগেই থাকত। চার বছর আগে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর আয়েশা চট্টগ্রামে আবার বিয়ে করে সেখানেই আছেন। অন্যদিকে নুরুন্নবীও বরিশালের রেহানা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বেশ কিছুদিন ধরে বাঁশপদুয়ার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এয়ার আহাম্মদের ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা বেগম ও রেহানার আগের সংসারের ছেলে সিয়াম (৭) এবং নুরুন্নবীর আগের সংসারের দুই মেয়ে লামিয়া ও নিহাকে নিয়ে থাকতেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হেলমেট বাহিনীর দাপটে তটস্থ ‘কাঁচি’র সমর্থকরা
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ীর আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কাঁচি প্রতীক) আতাউর রহমানের কর্মীদের নানা ধরনের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যাপক জনসমর্থন এবং মানুষের গণজোয়ার তৈরি হওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকার প্রার্থী নতুন নতুন নাটক সাজাচ্ছেন বলেও অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আতাউর রহমান বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক জনসমর্থন এবং মানুষের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে আমার পক্ষে। শুধু তাই নয়, এই গণজোয়ারে শামিল হয়েছেন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মী। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম আমার পক্ষে গণজোয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে নতুন নতুন নাটক সাজাচ্ছেন।’ আতাউর রহমান বলেন, ‘গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের লালিত কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমার নির্বাচনী প্রচার সভায় ভয়ভীতি দেখায়। পরে তারা আমার এক নারী সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় হেলমেট বাহিনী ওই নারী সমর্থকের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ওই ঘটনার নেতৃত্ব (লিড) দিয়েছেন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনীর সেকেন্ড ইন-কমান্ড সৌরাভ হোসেন সুমন। সুমন এর আগে স্বতন্ত্রের পক্ষে ভোট করলে পিটিয়ে মেরে ফেলবে বলেও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিল। তার ওই হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। আমরা ওই ঘটনায় থানায় মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ হেলমেট বাহিনী সন্ধ্যা হলেই বহিরাগতদের নিয়ে বের হয়ে অস্ত্রের মহড়া দেয়। তারা প্রতিনিয়ত আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছে।’ কাঁচি প্রতীকের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখেছি, সেদিন বিকেলে কেশারপাড় ইউনিয়নের দমদমা এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি সমাবেশ চলাকালে শত শত নেতাকর্মীর সামনে স্টেজে মোরশেদ আলমকে জুতা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেছিল। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। শত হলেও ৭৮ বছরের বয়োবৃদ্ধ আমাদের এমপি তিনি। এ ঘটনার পর আমি নিজেও আমার ফেসবুকে পোস্ট করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। কয়েকটা পত্রিকা ও টিভিতে দেখেছি এমপিকে জুতা দিয়ে পেটানো ওই লোক মানসিক ভারসাম্যহীন। আবার কেউ কেউ সংবাদ করেছে মোরশেদ আলমের নিকটতম লোকজনের দ্বারা তাদের পরিবার বিভিন্ন সময় অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাই রাগ ও ক্ষোভে সে প্রকাশ্যে জুতা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল এমপি মোরশেদ আলমকে।’ আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়েছেন। তারা মামলায় উল্লেখ করেছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাকি তাকে (মোরশেদ আলম) হত্যার চেষ্টা করেছে, অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে জুতা দিয়ে একজনকে মারার চেষ্টা করেছিল। তারা (নৌকার প্রার্থী) দেউলিয়া হয়ে এখন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার খেলায় নেমেছে। মামলা দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। জনবিস্ফোরণ ঘটবে আগামী ৭ তারিখে কাঁচি মার্কার। আমাদের বিজয় উৎসবের মাধ্যমে মামলাবাজ হেলমেট বাহিনীর জবাব দেবে জনগণ।’ তিনি বলেন, ‘আমি বারবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসব ঘটনার অভিযোগ দেওয়ার পরও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হেলমেট বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সৌরভ হোসেন সুমনকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; উদ্ধার করা হয়নি অস্ত্র। ঠেকানো যায়নি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নোয়াখালীতে হেলমেট বাহিনীর হামলা-ভাঙচুর
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির চার নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে আলোচিত ‘হেলমেট বাহিনী’। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই দফায় উপজেলার চর হাজারী ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় হেলমেট বাহিনী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহাব উদ্দিনের ৭০ বছর বয়সী মাসহ পরিবারের নারী ও শিশুদের মারধর করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত হেলমেট বাহিনীর ১৫-২০ সদস্য সাহাব উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। প্রথম দফায় হামলাকারীরা বাড়ির পাঁচটি বসতঘরের বেড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এর ঘণ্টাখানেক পর তারা দ্বিতীয় দফায় ওই বাড়িতে হামলা চালায়। তখন বিএনপির নেতা সাহাব উদ্দিনের বসতঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি মারধর, আসবাবসহ অন্যান্য জিনিস ভাঙচুর ও তছনছ করে। এ সময় তারা সাহাবের মা ফুলজান বিবি, ভাতিজি হুমায়রা আক্তার (১০), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নারগিস সুলতানা (৪০) ও ভাতিজা ওমর আলীকে (২০) মারধর করে। বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন জানান, হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা তার বাড়িতে দুই দফায় হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙচুর করেছে তার বসতঘরে। এ সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় নানা হুমকি দিয়ে গেছে। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান জানান, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে তার বাড়িসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা-ভাঙচুর চালাচ্ছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছেন। পুলিশ এলাকায় গিয়ে এর প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জে পোলট্রি কারখানায় হেলমেট বাহিনীর হামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হেলমেট বাহিনী পোলট্রি ফিড কোম্পানির কারখানার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। গত রোববার রাতে গোয়ালের পোল এলাকার এ কে পোলট্রি ফিড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেলে করে এ কে পোলট্রি ফিড কারখানার সামনে মহড়া দেন। তাদের ভয়ে ফটকে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ভয়ে ভেতরের দিকে চলে যান। এরপর হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা কারখানার কার্যালয়ের একটি কক্ষে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায়। ভেতরে হামলা ও ভাঙচুর শেষে হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৪০ মিনিট কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকায় মহড়া দেন। কারখানার লোকজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে রাতেই কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কারখানার পরিচালক শরফুদ্দিন ফারুক বলেন, হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা কারখানার অফিস কক্ষে কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। হামলা ও ভাঙচুরে তাদের প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলাকারীদের সবার মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১ মাস ধরে কোম্পানীগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হেলমেট বাহিনী। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার আশ্রয়ে থাকা হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা গত কয়েকদিনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৪ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। প্রাণনাশের ভয়ে এসব ঘটনায় কেউ প্রশাসন ও পুলিশে অভিযোগ করছেন না। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, হামলা-ভাঙচুরের সত্যতা মিলেছে। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা কারখানার মালিক জানাতে পারেননি।
২১ নভেম্বর, ২০২৩

নওগাঁয় মাস্ক হেলমেট পরে কুপিয়ে হত্যা
নওগাঁয় কামাল আহমেদ নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে হেলমেট ও মাস্ক পরিহিত দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড়ে এ হামলার শিকার হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কামাল আহমেদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কামাল আহমেদ সাংস্কৃতিক সংগঠন নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) নওগাঁ জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। নওগাঁ সদর থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে কামাল আহমেদ সান্তাহার রেলস্টেশন এলাকা থেকে অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় পৌঁছলে তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন অটোরিকশার পথরোধ করে। কামাল আহমেদকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হেলমেট ও মাস্ক পরা ছয়-সাতজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কামাল আহমেদকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার ঘাড়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩
X