কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রোহিঙ্গাদের জন্য এর বেশি করার সুযোগ বাংলাদেশের নেই : ড. ইউনূস

রোহিঙ্গাদের জন্য এর বেশি করার সুযোগ বাংলাদেশের নেই : ড. ইউনূস
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সিচুয়েশন শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : কালবেলা

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অতিরিক্ত সম্পদ সংস্থান করা সম্ভব নয়।

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ : টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রার আট বছর পূর্ণ উপলক্ষে আয়োজিত এ সংলাপে সংকট সমাধানে সাত দফা কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। কক্সবাজারের বিউটি স্পট ইনানীর হোটেল বে-ওয়াচে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অংশগ্রহণ করছেন কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতারা, বৈশ্বিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে বহু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ জোগাড় করার আর কোনো সুযোগ দেখি না। রোহিঙ্গা সংকট এবং এর টেকসই সমাধানকে বৈশ্বিক আলোচনায় সক্রিয় রাখতে হবে। কারণ বাড়ি ফেরা পর্যন্ত আমাদের সমর্থন তাদের প্রয়োজন।

এ সংলাপ থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরার কথা বলছে সরকার। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রায় ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাসহ নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর দুর্দশা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হবে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রার আট বছর পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। ২০১৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেই ঢলের শুরু হয়েছিল। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

জাতিসংঘ সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই হত্যা ও নির্যাতনকে চিহ্নিত করেছিল ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো ওই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপরি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) অংশগ্রহণকারীরা সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন, যাতে শরণার্থীদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সরাসরি ধারণা পাওয়া যায়।

এর আগে, এদিন সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্মেলনে যোগ দিতে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছেন। সেখান থেকে তিনি মেরিন ড্রাইভ হয়ে সম্মেলন স্থল উখিয়ার ইনানীর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত হোটেল বে-ওয়াচে পৌঁছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে বসেই ৬০ সেকেন্ডের পরীক্ষায় জেনে নিন আপনার ফুসফুসের অবস্থা কেমন 

খেলোয়াড়ের ওপর ভেঙে পড়ল বাস্কেটবলের পোল

বাউল শিল্পীদের ওপর ফের হামলা

২৩ মাস পর গ্যাস সংযোগ পেল যমুনা সার কারখানা

কাপড়ের মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

সুখবর পেলেন মহিলা দলের নেত্রী পাপিয়া

কিডনির রোগ নিয়ে প্রচলিত ১৭ ভুল ধারণা, সত্যতা জেনে নিন এখনই

শেখ হাসিনার স্বর্ণ নিয়ে যে তথ্য দিলেন দুদক মহাপরিচালক

ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে জবি শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে ডোপ টেস্ট স্থগিত

স্বর্ণের দামে বড় লাফ, দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ

১০

ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে চবিতে অবস্থান কর্মসূচি

১১

হরিণের মাথা-পা-মাংস ও ফাঁদসহ শিকারি আটক

১২

প্রসূতির মরদেহ রেখে পালানো সেই ক্লিনিক সিলগালা

১৩

‘মিস ইউনিভার্স’ মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

১৪

দেশের সব কলেজকে ‘অতীব জরুরি’ নির্দেশনা

১৫

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

১৬

৪৭তম বিসিএস : এক দিন আগে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

১৭

মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়তে হবে : ড. কাইয়ুম

১৮

শীতের সকালে নদীতে ভাবনা

১৯

আন্তর্জাতিক রচনা প্রতিযোগিতায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সাফল্য

২০
X