উখিয়া শিবিরে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও এক রোহিঙ্গা খুন
কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উখিয়া উপজেলার ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫ ব্লকে ঘটনা ঘটে।  নিহত রোহিঙ্গা জাফর আহমদ (৪২) উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৯ ব্লকের বাসিন্দা রঞ্জু মিয়ার ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, সন্ধ্যায় উখিয়ার ৪-এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-ব্লকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় যান জাফর আহম্মদ। অস্ত্র দেখিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় আরসা সদস্যরা। পরে পার্শ্ববতী ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের কাঁটাতারের বাইরে নিয়ে তারা প্রথমে জাফরকে গুলি করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে, রোববার সকালে উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম-১৯ ব্লকে রেড ক্রিসেন্ট অফিসের পাশে নুর কামাল (২৯) নামের এক রোহিঙ্গাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
০৬ মে, ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৫ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক-এম ১৭ রেড ক্রিসেন্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম নূর কালাম (২৯)। তিনি উখিয়ার ক্যাম্প ১৯ ডি/১৪ ব্লকের নূর সালামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসাইন জানান, রোববার সকালে উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক-এম ১৭ রেড ক্রিসেন্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে ক্যাম্প-১৯ ডি/১৪ ব্লকের নূর কালাম নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ রেখে চলে গেছে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধ প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, তারা সংঘটিত করছে না। অপরাধী ধরলে কোনো না কোনোভাবে তারা ছাড়া পায়। যার কারণে অপরাধ কমছে না। এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানিয়েছেন, কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা নূর কামালকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
০৫ মে, ২০২৪

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুটারগান ও গুলিসহ আটক ৫
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান চালিয়ে দুটি ওয়ান শুটারগান ও গুলিসহ পাঁচজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  রোববার (১০ মার্চ) রাতে ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ও ক্যাম্প-১৭-তে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মো. ইকবাল।  আটকরা হলেন, বর্ধিত ক্যাম্প-৪ এর আবুল বাছেরের ছেলে মোহাম্মদ সালাম, বি-১ ব্লকের আমির হোসেনের ছেলে জিয়াউর রহমান, ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট আই-১৩ ব্লকের মোহাম্মদ ওলা মিয়ার ছেলে হাশিম উল্লাহ ওরফে মাস্টার হাশিম, এ-২৯ ব্লকের জাফর উল্লাহর ছেলে রহিম উল্লাহ ও ক্যাম্প-৪ এর এ-১১ ব্লকের মৃত মো. রশিদের ছেলে আতা উল্লাহ। এপিবিএন অধিনায়ক মো. ইকবাল জানান, গোপন সংবাদে ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ও ক্যাম্প-১৭-তে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২টি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ২ রাউন্ড তাজা গুলিসহ ২ জন এবং ৩ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ এপিবিএন, জেলা পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, আনসারসহ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এই অভিযানে অংশ নেয়।  তিনি আরও জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করছিল তারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১১ মার্চ, ২০২৪

পূজা উদযাপন পরিষদ উখিয়ার কমিটি গঠন
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ আয়োজন ছিল। এতে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে স্বপন শর্মা রনিকে সভাপতি ও রুপন দেওয়ানজীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতরা পরে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ। এতে অতিথি ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু, যুগ্ম সম্পাদক স্বপন দাশ ও মিটন পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিটন দাশ মিন্টু, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি সাংবাদিক দীপন বিশ্বাস, রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জয়ধন ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সজল কান্তি ধর, উদযাপন পরিষদের রাষ্ট্রন দেবনাথ, বীরেশ্বর রুদ্র, বিকাশ কান্তি চৌধুরী, কার্তিক শর্মা, সুমন শর্মা, অজিত শর্মা নিতাই, স্বপন শর্মা, আপন শর্মা, ইমন মল্লিক বাবু, রিপন রুদ্র, কাজল দাশ প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে গেলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সনাতনী সমাজের বিভিন্ন মঠ-মন্দির সুরক্ষা ও নানান সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র দাশ রবি। প্রথম অধিবেশন শেষে জেলা সভাপতি উজ্জ্বল করের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে পূর্ববর্তী উখিয়া উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গোলায় ফের আতঙ্ক উখিয়া টেকনাফে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে পরিস্থিতি দুদিন শান্ত থাকার পর ফের ওপার থেকে আসা মর্টার শেল, গুলি আর ভারী গোলার বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওপারে মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের বাসিন্দারা। থেমে থেমে গুলির শব্দ আসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়েও। এতে ফের আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন সীমান্তের মানুষ। মাসখানেক ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তুমুল লড়াই চলছে। সীমান্তলাগোয়া রাখাইন রাজ্যে দুই গ্রুপের সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে এর আঁচ পড়ে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীর মধ্যেও। ওপার থেকে উড়ে আসা মর্টার শেলে প্রাণ যায় বাংলাদেশি এক নারীসহ দুজনের; গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন; বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে গত সোম ও মঙ্গলবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তুমুল গোলা ও গুলিবর্ষণের শব্দে আঁতকে ওঠেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে চলে যেতে বাধ্য হন। গত বুধবারের পর থেকে গুলির শব্দ কমে আসায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ ও উখিয়ার ওপার থেকে টানা মর্টার সেল ও গুলির শব্দ এলো। স্থানীয়রা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাফ নদ সীমান্তের ওপার থেকে টানা গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছিল। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল, উনচিপ্রাং ও কানজরপাড়া সীমান্তের নাফ নদের ওপারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে গতকাল ভোর পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। গতকাল সকাল থেকে এ শব্দ আর পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ফের মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর লোকজন ছাড়াও সেখানকার স্থানীয়রা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নতুন করে অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে, সেদিকেও নজর রয়েছে তাদের। টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া ও হ্নীলা ইউপি মেম্বার নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, টেকনাফে সাবরাং শাহ্ পরীর দ্বীপ সীমান্ত ও হ্নীলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সীমান্তের লোকজন বলছেন, গতকাল ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উখিয়ার থাইংখালী রহমতের বিল সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলির শব্দ তারা পেয়েছেন। উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম এ গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, গতকাল ভোর থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। এতে আতঙ্ক থাকলেও লোকজন নিজ নিজ বাড়িতেই রয়েছেন। এদিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্তে অজ্ঞাতপরিচয়ে একজনের মরদেহ পড়ে থাকার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সংঘাতপূর্ণ ওই এলাকায় গিয়ে লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সীমান্তে মরদেহ পড়ে থাকার খবরটি জানার পর তা বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবির আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ হঠাৎ গুলির শব্দ কিংবা ভারী গোলার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেলেও তাদের এলাকায় বুধবার থেকে টানা গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না। এতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তিনি জানান, গতকাল সকাল ১১টার দিকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেকি বুনিয়া থেকে ভারী গোলা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনেছেন এলাকার লোকজন। হয়তো নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই মিয়ানমারের বিজিপির ক্যাম্পগুলোর দখলকারীরা এমন আওয়াজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমার সীমান্তের ‘লেফট ক্যাম্প ও রাইট ক্যাম্প’ নামে দুটি বড় স্থাপনা দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এজন্য তাদের শঙ্কা, সেই দুটি ক্যাম্প পুনঃদখলে নিতে জান্তা সরকারের বাহিনী পাল্টা হামলা চালাতে পারে। এমনটা হলে ফের প্রভাব পড়বে তাদের ওপর। এদিকে গতকাল বিকেলে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকার নাফ নদ দিয়ে অনুপ্রবেশকালে দুই রোহিঙ্গা নারীকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। ফের পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল মর্টার শেল তুমব্রু বাজারের পাশের সড়কের কাছে আরও একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেলের গোলা পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে গোলাটি পথচারীরা দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয়। এরপর ওই এলাকায় জনসাধারণ ও যান চলাচল সীমিত করে দেয় বিজিবি। স্থানীয়দের ধারণা, গত সোম ও মঙ্গলবার মিয়ানমারে তুমুল লড়াইয়ের সময় এ ধরনের ভারী গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশে ভেতর। ওই সময়ে লোকজন চলাফেরা না করায় তখন চোখে পড়েনি। স্থানীয় পথচারী সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি বাড়ি থেকে বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে অবিস্ফোরিত মর্টারের গোলাটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বিজিবিকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে বুধবার উদ্ধার করা মর্টার শেলটি গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমধুম নয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেনা ও বিজিবির বোমা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। ওই বিস্ফোরণের শব্দের পর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আবসার জানান, গতকাল সকালে একটি মর্টার শেল তাদের গ্রামে নিয়ে আসেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সেটি বিস্ফোরণের আগে স্থানীয়দেরও সতর্ক করা হয়। সেটি নিরাপদে বিস্ফোরণ হলেও বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। এর পরই ওপারের (মিয়ানমার) ঢেকিবুনিয়া এলাকা থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম হোসেন (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ/১৬ তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ইমাম হোসেন উখিয়ার ক্যাম্প-১ ইস্ট এর জি/১২ ব্লকের মনি উল্লাহর ছেলে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ/১৬ ব্লকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ইমাম হোসেনকে সরাসরি গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিত্যদিনের ঘটনা। সন্ত্রাসীরা ধরা পড়লে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে আবারও অপরাধে লিপ্ত হয়। তাই কঠিন হয়ে পড়ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা।  উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন আরও বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থলে টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

র‌্যাবের জালে উখিয়া সীমান্তের মাদক সিন্ডিকেটের শীর্ষ কারবারি
কক্সবাজারের উখিয়ার মাদক সিন্ডিকেটের শীর্ষ কারবারি জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বার (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা। বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের টেকনাফের কাটাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  র‍্যাব জানায়, বাবুল উখিয়া- টেকনাফ এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণসহ বিভিন্ন জিনিস দেশে নিয়ে আসতেন। বাবুলের হস্তক্ষেপে দেশে প্রতি মাসে প্রায় ৪০-৪৫ লাখ ইয়াবা নিয়ে আসা হতো। মাদক চোরাচালানের জন্য বাবুলের একটি নিজস্ব সশস্ত্র চক্র রয়েছে। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ২০-২৫ জন। চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে এই মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন বাবুল। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, গত রাতে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল টেকনাফের কাটাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বারকে (৪২) গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের সময় ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়। বাবুল কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার একজন অন্যতম শীর্ষ মাদক কারবারি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। স্থানীয় এলাকায় মাদক চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত তিনি। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক দেশে নিয়ে আসতেন। বাবুল মাদক কারবারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০-২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলেন। তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান এবং অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
০৫ অক্টোবর, ২০২৩

উখিয়ায় পুলিশের অভিযানে ১৫ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে।  রোববার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া কলেজ সংলগ্ন যৌথ চেকপোস্টে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশী চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনর্চাজের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।  শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, 'উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তারা অবৈধভাবে বের হয়ে আসছিল। আটককৃত রোহিঙ্গাদের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের (সিআইসি) এর কাছে পাঠানো হয়েছে।'  
০২ অক্টোবর, ২০২৩

উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে মোহাম্মদ ইউনুছ (১৮) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়া ক্যাম্প ৮-ডাব্লিউ বি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত ইউনুছ একই ক্যাম্পের মো. হামিদ হোসেনের ছেলে। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত কিশোর ক্যাম্প ৮/ইস্টের হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। সোর্স সন্দেহ তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাদের ধারণা। বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান জানান, একদল দুর্বৃত্ত অন্ধকারে ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এপিবিএনের এ কর্মকর্তা আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২৩ আগস্ট, ২০২৩
X