অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নবনিযুক্ত উপদেষ্টামণ্ডলীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)। বাংলাদেশের কৃষিবিদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষি-বিজ্ঞানী ও অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কৃষিবিদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
রোববার (১১ আগস্ট) এ্যাবের আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনা ছদ্মবেশে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছিল। ফলে গণতন্ত্রহীন হয়ে যায় বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক প্রবল চাপে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।
তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ এখন একটি চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে এনে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। বিগত প্রায় ১৬ বছরে হাসিনা সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার এবং মানবাধিকার হরণ করেছে। সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পঙ্গু করে দিয়েছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশের এমন দুঃসময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। আমরা মনে করি সরকারের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ আছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকার যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এসব সমস্যা মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার এবং জনগণের সার্বিক প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
নেতারা ছাত্র-জনতাসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবার প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা সবাই সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। যার যার স্থানে থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ দেশপ্রেমিক জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কোনো অপশক্তিকে নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ দিবেন না। সবাই উদ্ভূত পরিস্থিতি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা এবং নতুন সরকারকে সহযোগিতা করুন।
মন্তব্য করুন