কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘সরকারের কাছে আর দাবি নয়, লড়াই চালিয়ে যাব’

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সেলিমা রহমান। ছবি : কালবেলা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সেলিমা রহমান। ছবি : কালবেলা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আজ থেকে সরকারের কাছে আমরা আর কোনো দাবি করব না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এখন থেকে আমরা লড়াই করে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্ত করব। এই লড়াই আমাদের চলছে, আন্দোলনও চলছে। আজকে কোথাও আইনের বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ পদদলিত হয়েছে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলম এবং সদস্য সচিব ইঞ্জি. মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, কৃষকদলের সহসভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম জাগপার মীর আমীর হোসেন আমু, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।

সেলিমা রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদও করতে পারে না। আজকে মহান ভাষা দিবসের মাসেও তারা কোনো কথা বলতে পারছে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে কারাগারে গিয়েছেন বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী। তারা এখনো কারাগারে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া জনপ্রিয়তার প্রতিহিংসার কারণে সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার ষড়যন্ত্র করেছেন। আজকে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তবুও সরকারের কাছে মাথানত করেনি। গৃহবন্দি থাকার পরও দেশনেত্রী বলছেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দেশের কোনো মানুষ ভোট দিতে যায়নি।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসী দল। আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠি, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে মেরেছে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। ছাত্রলীগের হাতে পিস্তল লাঠি দা তুলে দিয়েছে। তাই আজকে শিক্ষাঙ্গনে দেখা যায়, একদিকে টেন্ডার বাজি চলছে, অন্যদিকে মারামারি। সারা দেশে খুন-গুম করে বেড়াচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যান্ডাররা।

সেলিমা রহমান বলেন, সামনে রমজান আসছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ জনগণ চিন্তিত। জিনিসপত্রের দাম আগুন ছোঁয়া। সরকার প্রতিদিন বলছে দাম কমাবে কিন্তু দাম কমবে না। এই সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন। ছাত্রসমাজ, নারীসমাজসহ দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে বাংলাদেশ নিরাপদ। ২০০৮ সালে দেশে কোনো নির্বাচন নয়, তারা চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা বসিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা ছিল দেশকে রাজনৈতিক শূন্য করা, অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। তারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় আছে ততদিন দ্রব্যমূল্য কমবে না।

তিনি বলেন, মিথ্যা কথার বলার জন্য কাউকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলে এই সরকার নোবেল পুরস্কার পাবে। এই সরকার সাংবিধানিক অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার ও সামাজিক অধিকার ধ্বংস করছে। আওয়ামী রাজনীতি দল নয়, এরা সন্ত্রাসী দল। আজকে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবহার করে দুর্বৃত্তায়নে পরিণত করেছে। তাই স্বাধীন ও সার্বভোমত্ব রক্ষা করতে, মানুষের মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য পুনরায় আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। দেশনেত্রীকে ভয় পায় বলেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। শুধু খালেদা জিয়া নয়, বাংলাদেশের জনগণের ওপর প্রধানমন্ত্রীর অনেক বড় ক্ষোভ রয়েছে। নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় জনগণ তার প্রতিহিংসা শিকার হচ্ছে। তাই দ্রব্যমূল্য বাড়লেও তার কিছু আসে যায় না।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ৭ জানুয়ারি ‘আমি’ ‘ডামি’ আর ‘স্বামী’ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সার্কাসের সরকার গঠন করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে শুধু বিএনপিসহ দেশের ১৮ কোটি মানুষ বর্জন করেনি, আ.লীগও শেখ হাসিনাকে বর্জন করেছে। শেখ হাসিনাকে দেশের জনগণ এখন আর বিশ্বাস করে না। আজকে আন্তর্জাতিক মহলও মনে করে, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তার অধীনে দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেও থেমে নেই ইসরায়েলি হামলা

বোর্ডসভায় শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন নিয়ম চালু করলেন নবনির্বাচিত সভাপতি

নতুন দুই দিবস চালু সরকারের, একটি আজ

মুক্তির অপেক্ষায় দেবের ‘প্রজাপতি ২’

কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে সতর্ক থাকুন

মাঠে নামছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, জেনে নিন কবে কখন ম্যাচ

প্রবারণা পূর্ণিমার শোভাযাত্রায় ফানুস থেকে আগুন

প্রথম সপ্তাহে যা আয় করল ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’

প্রজ্ঞাপন জারি / আইসিটিতে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অংশ নেওয়া যাবে না নির্বাচনে

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

১০

আজ দেশের সব শিল্পকলায় আবরার ফাহাদের প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী

১১

স্বর্ণের দাম আকাশছোঁয়া, আসল কারণ কী

১২

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ-নারী নেত্রীদের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ

১৩

এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানা যাবে আজ

১৪

রাতে এই ৫ লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন, হতে পারে কিডনি সমস্যার সংকেত

১৫

তরুণ থাকতে সকালে গড়ে তুলুন এই ৫ অভ্যাস

১৬

ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের সহায়তা নিয়ে মুখ খুলল রাশিয়া

১৭

সকালে খালি পেটে এক মুঠো কাঁচা ছোলার যত উপকার

১৮

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৯

থানার সামনের দোকানে ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা

২০
X