ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ও যুবদল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল। গতকাল মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এদিকে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ আটককৃত নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আগামী ১১ মে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে সংগঠনটি। ওইদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে যুবদলের ঢাকা বিভাগের ১১টি জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। পরে বিকেলে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল আয়োজিত সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, সরকার জনগণের অবস্থা দুর্বিষহ করে তুলেছে। ব্যাংকিং খাত, আর্থিক খাতসহ সর্বক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সরকারকে বিদায়ে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।
০৭ মে, ২০২৪

ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য (দপ্তরের চলতি দায়িত্ব) সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানাযায়, আগামী ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বিকেল ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ হবে।   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মজনুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বুধবার (৮ মে) দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।  
০৬ মে, ২০২৪

আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বিএনপি : কাদের
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরপূর্তির হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  সোমবার (৬ মে) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে সাংবাদিক এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কিন্তু আমাদের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সমস্ত অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপিও পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও পাবে। তিনি বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা পার্টির হীরকজয়ন্তী উদযাপন করব। ব্যাপকভাবে এটা সংগঠিত করার চিন্তাভাবনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে থাকবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। বিদ্যুতের সংকটের কথা বিবেচনা করে আলোকসজ্জা বাদ দিয়েছি। আনন্দ র‍্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ২৩ জুন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে। আলোচনা সভার আগে আধাঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুপুরে সব ধর্মালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবুজ ধরিত্রী কর্মসূচি নিয়েছি। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন। যারা ডিসিপ্লিন ভাঙবে, সময়মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের অ্যাকশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়? বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোট তো তাদেরই সৃষ্টি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপি মাগুরা মার্কা আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছে। বিএনপিরই গণতন্ত্রে কোনো দিন আগ্রহ ছিল না। গণতন্ত্রকে ম্যাচুরিটি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মাহবুবউল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।  
০৬ মে, ২০২৪

বিএনপি অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায় : মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
বিএনপি অগণতান্ত্রিক পন্থায় বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  সোমবার (৬ মে) আহসানউল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, দেশে গুম-খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বিদেশি প্রভুদের কথায় নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা অগণতান্ত্রিক পন্থায় বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে, গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। সেজন্যই আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিল। আর আজ হত্যাকারীরা বলে, এ দেশে গণতন্ত্র নেই। জীবিত থাকলে তিনি এ অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন। তিনি আরও বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেন। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মো. আতাউর রহমান।
০৬ মে, ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন / ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপি নেতার অডিও ফাঁস!
বিএনপি সাংগঠনিকভাবে চলমান উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। আর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদেরও বহিষ্কার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিয়ে ভোটের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ। বক্তব্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি পন্থিদের পক্ষে কৌশলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সোমবার (৬ মে) সকালে কালবেলা প্রতিনিধির কাছে এসেছে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ফরহাদ হোসেন আজাদের বক্তব্যের একটি অডিও রেকর্ড। বক্তব্যটি বোদা উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাম্প্রতিক কোনো গোপন কর্মসূচির- ধারণা করা হচ্ছে। অডিও রেকর্ডে তাকে বলতে শোনা যায়, যারা ভোটের বিরুদ্ধে জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নাই, তারা স্থানীয় রাজনীতি বুঝে না। তারা মনে করে স্থানীয় রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতি এক, মূলত এক নয়। ইতোমধ্যে আমি এতটুকু আশ্বস্ত হয়েছি- এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা অনেক পজিটিভ জায়গায় আছি, তোমরা মন দিয়ে নির্বাচনটা করো আশা করি সফল হব।  ফরহাদ হোসেন আজাদ অডিওতে বলেন, নির্বাচনের অন্যতম ধারক, বাহক এবং শক্তি হলো- যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল ও মহিলা দল। বিএনপি গার্ডিয়ান হলেও সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে এই সংগঠনগুলোর। কাজেই উপজেলা নির্বাচনে যদি তোমাদের সম্পৃক্ত করতে না পারি, তাহলে আমাদের যে লক্ষ্য সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। আজকে বোদায় যদি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান দিতে পারি তাহলে অন্তত উপজেলা চত্বরে গিয়ে একটা বসার জায়গা পাবো। চেয়ারম্যানের চেম্বারে গিয়ে বসতে পারবো, এক কাপ চা খেতে পারব। আমার থানা পুলিশে কোনো সমস্যা হলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান দিয়ে একটু হেমারিং করতে পারবো। কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করাতে পারব। দলীয় লোকজন সুযোগ সুবিধা পাবে। কাজেই আমরা চিন্তাভাবনা করে আমাদের প্রতিনিধিকে যদি এই জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, অন্তত এই সুবিধাগুলো আমরা পাব।  তাকে আরও বলতে শোনা যায়, জনপ্রতিনিধি শূন্য একটা দল টিকে থাকা অনেক কঠিন। আমরা সমর্থক নির্ভর একটা দল, আমাদের কর্মীর চেয়ে সমর্থক বেশি। আমাদেরকে উজ্জীবিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে আমি তোমাদেরকে প্রস্তাব করছি- আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা নির্বাচনে যাবো এবং আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আমাদের ছোট করার চেষ্টা করবে, বলবে বিএনপি ভোট বর্জন করেছে তাও আমরা ভোট করছি। মূলত তারা কাজকে এড়িয়ে যেতে চায়। যেই যেই বিএনপি নেতা এগুলো বলবে ইনশাআল্লাহ ২১ মে’র পরে জুন-জুলাইয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি আমি পূণর্গঠন করবো। যারা যারা বিভিন্ন অযুহাতে দূরে সরে থাকবে, তাদের বলব ভাই এই দলের মেইন স্ট্রিমে আপনার থাকার দরকার নাই।  এদিকে ভোটে অংশ নেওয়ায় যখন নেতাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে, তখন কৌশলে ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে ফাঁস হওয়া অডিও সুপার এডিট বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আজাদ। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, আমি নির্বাচন বর্জন বিষয়ে আলোচনা সভা করেছিলাম, সেটি আমার বাড়িতে ছোট পরিসরে করেছিলাম। এর মাঝে কে বা কাহারা এই আলোচনা সভাকে নিয়ে, আমাকে হেয় প্রতিবন্ধকতা করার জন্য এই কাজটি করেছে। এটি সুপার এডিট করে তৈরি করা হয়েছে, আর কিছু না। রেকর্ডটাতে যদি আমার পুরো বক্তব্যটা আসত তাহলে বোঝা যেত, কিন্তু তাতে পুরো বক্তব্যটা নেই। যেটা ছড়িয়েছে এডিট করে ছড়ানো হয়েছে। এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, দলের একটা সিদ্ধান্ত আছে এবং সেই মতে দল কাজ করতেছে। যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছিল, তাদের প্রত্যাহারে আমরা চেষ্টা করেছি। সেও (ফরহাদ হোসেন আজাদ) এটাতে আমার সঙ্গে ছিল। যারা প্রত্যাহার করেনি, তাদের বিষয়ে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমার কথা হলো- দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, এই সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার কোনো সুযোগ নাই। সে নির্বাচনের বক্তব্য দিছে এমন রেকর্ড থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন, দল সিদ্ধান্ত নিবে। আর আমার কাছে কোনো রেকর্ড আসলে সেটাও আমি নেতাদের পাঠাব। উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ইতোমধ্যে পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়ার ৪ জন নেতাকর্মীকে অব্যহতি এবং বোদা ও দেবীগঞ্জের পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
০৬ মে, ২০২৪

সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা / বিএনএম-তৃণমূলের অনেক নেতা বিএনপিতে ফেরার পথ খুঁজছেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়ে আলোচনায় চলে আসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও তৃণমূল বিএনপি। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করলেও দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নতুন দুই দলে যোগ দিয়ে প্রার্থী হন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সর্বমোট ২২০ প্রার্থী দিয়েছিল বিএনএম ও তৃণমূল। তবে বিজয়ী হওয়া তো দূরের কথা, তাদের কারও জামানতও টেকেনি। এ নিয়ে দুটি দলেই বিরাজ করছে হতাশা। নির্বাচনের পর থেকে এ দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা সাংগঠনিক কোনো তৎপরতা নেই। বিভিন্ন কারণে দুটি দলেই বিরাজ করছে নানা কোন্দল। সে কারণে উপজেলা নির্বাচনেও বিএনএম কিংবা তৃণমূলের কোনো প্রার্থী অংশগ্রহণ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে কোনো আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না বিএনপি ছেড়ে আসা অনেক নেতা। এ কারণে তাদের কেউ কেউ এখন পুরোনো দলে ফেরার পথ খুঁজছেন। যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান পেলে বিএনপিতে ফিরতে চান তারা। তবে সরকারের আনুকূল্যের আশায় দলছুট নেতাদের বিষয়ে হাইকমান্ডের কঠোর মনোভাবের কারণে তাদের জন্য সহসাই দরজা খোলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, ‘নানা প্রলোভনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে কিংবা বিএনপি ছেড়ে যারা অন্য দলে গিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, দল তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী অন্য দলে যাবেন, সুবিধা না পেলে আবার বিএনপিতে ফিরবেন—কারও জন্যই সে সুযোগ নেই।’ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপিবিহীন সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার আশার কথা শুনিয়েছিলেন বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ নেতারা; কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক কিছু নেতা দল দুটিতে যোগ দিলেও হেভিওয়েট কোনো নেতা যাননি। দলীয় ‘নোঙ্গর’ প্রতীকে ঘোষিত ও ‘হিডেন’ মিলিয়ে বিএনএমের ৮৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কেউই বিজয়ী হতে পারেননি। অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপির দলীয় প্রতীক ‘সোনালী আঁশ’-এ ১৩৭ প্রার্থী ভোট করলেও কেউই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি। এজন্য অবশ্য ভোটে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ আনে দল দুটি। বিএনএমের প্রতিষ্ঠাকালীন ৩১ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি ড. আব্দুর রহমান। আর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করা মেজর (অব.) মুহাম্মদ হানিফ ছিলেন দলটির সদস্য সচিব। যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ওই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে বিএনপির সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ড. মো. শাহজাহান মহাসচিব পদ পান। দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির নেতারা বলছেন, ‘রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে বিএনএম গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু লোক এসে সেই বিএনএমকে হাইজ্যাক করেছে।’ দলটির অনেক নেতার অভিযোগ, নির্বাচনের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দল, কার্যক্রম না থাকাসহ নানা কারণে বিএনএম কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের মধ্যেই তৃণমূল বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। ভোটের আগ মুহূর্তে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের ৬০ প্রার্থী। তাদের অভিযোগ ছিল, দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিব তাদের নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দিয়ে খোঁজ রাখেননি। কেউ কেউ তাদের ‘জাতীয় বেইমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপেরও অভিযোগ আনা হয়। তবে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে তখন এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তৃণমূল বিএনপির অভ্যন্তরীণ সেই কোন্দল নির্বাচনের পরেও অব্যাহত থাকে। দলটির একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনের পরে দলের সব প্রার্থীকে নিয়ে মিটিং ডাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু তা হয়নি। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে দলের শীর্ষ দুই নেতাকে নির্বাচনের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে বলা হয়; কিন্তু তারা হিসাব দেননি। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেন, বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে আর একসঙ্গে চলা যাবে না। কারণ, ভবিষ্যতেও তারা একই কাজ করবে। তাই শমসের মুবিন ও তৈমূর আলমকে দলের শীর্ষপদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নেতাদের দাবি, তারা শমসের মুবিন ও তৈমূর আলমকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপিকে সাজিয়ে নতুন করে আগাতে চান। বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৩ সালে তার মৃত্যুর পর তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দলটির জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলে শমসের মুবিন চেয়ারপারসন ও তৈমূর আলম মহাসচিব নির্বাচিত হন। তারা দুজনই বিএনপির সাবেক নেতা। বিগত জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় এলেও উপজেলার ভোটে অংশগ্রহণ করছেন না বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপির কোনো প্রার্থী। তবে দল দুটির অনেক নেতার দাবি, নির্বাচন করার মতো তাদের অনেক প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দল, শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে অন্যদের দ্বন্দ্ব এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও কার্যক্রম না থাকায় নির্বাচন করার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে দুটি দলই। জানতে চাইলে বিএনএমের মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান কালবেলাকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন আমরা আমাদের প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছি। যদি কেউ দাঁড়াতে চায়, আমরা দলীয়ভাবে তাদের যেমন উৎসাহিত করছি না, নিরুৎসাহিতও করছি না।’ বিএনএমে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি নাকচ করে দেন দলের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দলের নেতাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে এটা সত্য, বিএনএমে এখনো কাউকে চেয়ারম্যান করা সম্ভব হয়নি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনএমের নেতারা আবার বিএনপিতে ফিরে যেতে চান, এমন কোনো তথ্য তার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ তাকে কিছু বলেননি। তবে এটা সত্য, আমাদের দলে এখন যারা আছেন, তারা সবাই শুরু থেকে বিএনএমে ছিলেন না। বিএনপিতে এখন যারা আছেন, শুরু থেকে তাদের সবাইও সেখানে ছিলেন না। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দলবদল একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারও ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা ও স্বাধীনতা থাকতেই পারে।’ তৃণমূল বিএনপিতেও কোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেই বলে দাবি করেন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘দলের নেতারা তাদের (শমসের ও তৈমূর আলম) শীর্ষপদ থেকে সরে যেতে বলেছেন—এমন কোনো কিছু তার জানা নেই। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে শমসের মুবিন বলেন, যারা নির্বাচন করতে চায় দল তাদের মনোনয়ন দেবে।’
০৬ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / শোকজের জবাব না দেওয়ায় দুই নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
শোকজের সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় মানিকগঞ্জের ঘিওরে ২ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কৃতরা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নান এবং জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার লিয়াকত হোসেন‌। নেতারা দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জনানো হয়। তারা দুজনেই ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক জনগণের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি। দীর্ঘদিন জনগণের সেবা করে আসছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে গেলে জনগণ আমাকে মেনে নেবে না। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাদের  বহিষ্কার করা হয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪

গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। গতকাল শনিবার বিএনপি নেতাদের ‘অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিএনপি হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে—উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁকডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না। প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবেন।
০৫ মে, ২০২৪

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি : কাদের
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৩ মে) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, বেগম জিয়া আইনের ফাঁদে আটকা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও ব্যর্থ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ, আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসন্ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা ব্যাপক উদযাপনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পালন করব। আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করব। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয় সৃষ্টি করেছে, জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।  এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
০৩ মে, ২০২৪
X