মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ৫০ বছরের পুরোনো
১ ঘণ্টা আগে
ছেলের আত্মহত্যায় মায়ের বিষপান
২ ঘণ্টা আগে
স্ত্রীর মরদেহ বিছানায়, ফ্যানে ঝুলছিলেন স্বামী
২ ঘণ্টা আগে
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে টেনিস বল গ্রাউন্ড নির্মাণকাজে অনিয়ম
২ ঘণ্টা আগে
যাত্রীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক খুন
৩ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২১ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুসংবাদ দিলেন প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে জনশক্তি প্রেরণ বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। তিনি বলেছেন, আবারও কোটা পেতে সরকার কাজ করছে। আমরা মালয়েশিয়ার সাথে যোগাযোগ করেছি। ইনশাআল্লাহ-মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা হবে এবং খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিজয়-৭১ হলে সম্পূর্ণ বিনা অভিবাসন ব্যয়ে বোয়েসেল এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ‘সেন্ড-অব প্রোগ্রাম’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবের এসব কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান কোটার আওতায় মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ সহ ১৪টি কর্মী প্রেরণকারী দেশ হতে আগামী ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোটা অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে সরকার। আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কোটা অনুযায়ী সকল কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তবে আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে তারা যদি সময় না বাড়ায় তাও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা আগামী ৩১ তারিখকেই লক্ষ্য করে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যে ৩১ তারিখের মধ্যে কোটার সকল কর্মী যেনো পাঠাতে পারি। কোটার মধ্যে যতজন কর্মী বাকি রয়েছেন তাদের সবার মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কর্মীদের মালয়েশিয়া গমনের প্রাক্কালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ বিনা অভিবাসন ব্যয় মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের সরকারের মহতী উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তোমরা আমাদের দেশের অ্যাম্বাসাডর, তোমাদের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আমি আশা করি, তোমরা সঠিকভাবে দেশের জন্য কাজ করবে। তোমরা যে অর্থ উপার্জন করবে তা সঠিক মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করবে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের আমরা সরকারের পক্ষ থেকে রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে বিদেশে প্রেরণ করার লক্ষ্য আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো কাজ করছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যতম হাতিয়ার দক্ষ জনশক্তি । মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, দেশকে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। সভায় জানানো হয়, ২০২২ সালের অক্টোবর মাস হতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হয়। অদ্যাবধি মোট ১৩০৮ জন কর্মী প্রেরণ করেছে বোয়েসেল। আজ আরও ৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন (ইউপি) বারহাত-এ গমন করবে। সম্পূর্ণ বিনা ব্যয়ে বোয়েসেল-এর মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়া গমন করছেন। সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ মে, ২০২৪
খামখেয়ালিতে হাতছাড়া রোমানিয়ার শ্রমবাজার
মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছিলেন পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায়। সহজে ভিসা প্রাপ্তি এবং কাজের সুযোগ থাকায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছিল দেশটি। বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছিল রোমানিয়ার অস্থায়ী ভিসা সেন্টারও। তবে কিছুদিনের মধ্যেই হোঁচট খায় সেই উদ্যোগ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হঠকারী আচরণ, বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির খামখেয়ালি এবং অতি লোভের পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যেও তৈরি হয় পশ্চিম ইউরোপে পাড়ি জমানোর প্রবণতা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভিসা সেন্টার। সর্বশেষ গত ছয় মাসে বেশ কিছু শ্রমিক ভিসা পেলেও বিএমইটির কিছু কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনার কারণে যথাসময়ে পাড়ি জমাতে পারছেন না তারা। এসব কারণে ক্ষয়িষ্ণু শ্রমবাজারের আশার আলো হয়ে আসা রোমানিয়ার শ্রমবাজারও এখন পড়তির দিকে। আর এই সুযোগে রোমানিয়ার শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে নেপালসহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার অন্য দেশগুলো। জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সংখ্যায় কম হলেও দীর্ঘ বছর ধরেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা রোমানিয়ায় যান। তবে মাঝখানে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে বন্ধ থাকে শ্রমিক রপ্তানি। ২০২০ সালের দিকে পুরোদমে শ্রমিকদের গন্তব্য হয়ে ওঠে রোমানিয়া। এর পরের সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক যান দেশটিতে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসে রোমানিয়ার ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। তখন বলা হয়েছিল, দেশে অস্থায়ী ভিসা কনস্যুলেট অফিস স্থাপন করা হবে। প্রাথমিক অবস্থায় কাকরাইলের বিএমইটি কার্যালয়ের ৬ তলায় অস্থায়ী অফিস থেকে কর্মীদের সরাসরি সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন। ৬ মাসে ১৫ হাজার কর্মীর নামে ভিসা দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই সেই অফিস গুটিয়ে দিল্লির রোমানিয়ান অফিসে ফিরে যান কর্মকর্তারা। ওই সময় অভিযোগ উঠেছিল, বিএমইটির কয়েকজন কর্মকর্তা এবং দুটি রিক্রুটিং লাইসেন্সের মালিক অনৈতিক সুবিধা চেয়েছিলেন। একই সঙ্গে রোমানিয়ান কর্মকর্তাদের ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছিল। এরপর পেরিয়ে গেছে বছরেরও বেশি সময়। বিএমইটি কিংবা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সেই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শ্রমিক রপ্তানির এমন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরেও দায়ীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে রোমানিয়াগামী শ্রমিকদের। কারণ রোমানিয়ার দূতাবাস রয়েছে দিল্লিতে। বাংলাদেশিদের যে কোনো বিষয় দিল্লির দূতাবাসেই সমাধান করতে হয়। ভিসার ক্ষেত্রেও আবেদন করা কর্মীদের স্কাইপির মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়ে ভিসা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছে দূতাবাস। জানা যায়, গত কয়েক মাসে ছয় শতাধিক শ্রমিককে রোমানিয়া থেকে ভিসা দেওয়া হয়। তবে এর মধ্যে সেখানে যেতে পারছেন অল্প কয়েকজনই। বাকিরা বিএমইটির নানা শর্তের বেড়াজালে আটকে আছেন। ভিসা পাওয়া একজন শ্রমিক কালবেলাকে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে ভিসা পেয়েছি। এর আগে এই ভিসার জন্য অপেক্ষা করেছি প্রায় তিন বছর। কিন্তু এখনো যেতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেই কোম্পানির ভিসা পেয়েছি সেখানে বাংলাদেশি তিনজন, ভারতীয় দুজন এবং নেপাল থেকে ৮ জন ভিসা পেয়েছে। বাকি দেশের সবাই রোমানিয়া চলে গেলেও বিএমইটি থেকে বলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা অ্যাটেস্টেশন (সত্যায়ন) করে ম্যানপাওয়ার কার্ড করতে হবে। যদিও একই প্রক্রিয়ায় ভারত এবং নেপালের শ্রমিকরা চলে গেছে। রোমানিয়ান কোম্পানি এতসব ঝামেলা নিয়ে আমাদের দেশের শ্রমিকদের কেন নেবে।’ আরও কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ভিসা পাওয়ার পরে এখন বিএমইটি থেকে বলা হচ্ছে, ওই কোম্পানির অ্যাটেস্টেশন লাগবে। এর জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কিন্তু অন্য দেশের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া লাগছে না। ফলে রোমানিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে। অন্যদিকে রোমানিয়ায় যাওয়ার পরেও শ্রমিকদের ক্ষেত্রে উল্টোচিত্র দেখা যায়। রোমানিয়ান দূতাবাস সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশি শ্রমিকদের রোমানিয়ায় পৌঁছানোর পরে বেশিরভাগেরই লক্ষ্য থাকে পশ্চিম ইউরোপের দেশে প্রবেশ করা। বিশেষ করে ইতালিতে অনুপ্রবেশ। বাংলাদেশি অনেক রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি রয়েছেন রোমানিয়ায়। যারা মূলত দালাল হিসেবে কাজ করেন। এসব দালাল শ্রমিকদের ইতালিতে পাঠিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। অনেক ক্ষেত্রে দেশ থেকেই চুক্তি করে নেন। ২০২২ সাল থেকে রোমানিয়ায় রয়েছেন শাহ কামাল নামে একজন শ্রমিক। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘একজন দালালের মধ্যেমে রোমানিয়ায় যাওয়ার চুক্তি করি ৯ লাখ টাকায়। তখন বলা হয়েছিল, রোমানিয়ায় পৌঁছানোর পরে ইতালি প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। যদিও এর আগে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক রোমানিয়া থেকে ইতালি পাড়ি জমিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘রোমানিয়ায়ও কাজ রয়েছে। কিন্তু এর পরেও সবার লক্ষ্য থাকে ইতালি। ইদানীং রোমানিয়া সরকার শ্রমিকদের পালানোর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে চাইলেও ইতালি প্রবেশ করা যায় না।’ দূতাবাস সূত্র জানায়, রোমানিয়ায় বেশিরভাগ বাংলাদেশি শ্রমিক ইতালি বা আশপাশের দেশগুলোতে পালিয়েছেন। আর এই পালানোকে কেন্দ্র করে ব্যবসার ফাঁদ পেতেছে এক শ্রেণির দালাল। তারা ছোট ছোট কোম্পানির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের আবেদন জানায়। এরপর শ্রমিকরা রোমানিয়ায় গেলে চুক্তি করা হয় ইতালি বা অন্য দেশে পাঠানোর। এ কারণেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। রোমানিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করা বেশ কয়েকজন প্রবাসী কালবেলাকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ শ্রমবাজার নিয়ে অরাজকতা চলছে। অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রমিকদের লোভ দেখিয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে। অনেক দালালও রয়েছে তাদের, যারা রোমানিয়ায় থাকে। এসব দালালের মাধ্যমে অনেকেই আশপাশের দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এসব কারণে রোমানিয়ান কোম্পানির কাছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দাম কমে গেছে। যার সুফল পাচ্ছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। ওইসব দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, যদি এই শ্রমবাজারটিকে ধরে রাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। শ্রমিকদের পালানো বন্ধ করার পাশাপাশি দেশের অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া বিএমইটির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা এসব অবৈধ কাজে উৎসাহ দেন। মন্ত্রণালয়কে বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে নজরদারি করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে শ্রমবাজারটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছে ইতিবাচক হবে। রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী কালবেলাকে বলেন, ‘রোমানিয়ার হিসাবে বাংলাদেশ থেকে গত সাড়ে তিন বছরে ৩৫ হাজার শ্রমিক এসেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই আশপাশের দেশগুলোতে চলে গেছেন। তবে কতজন গেছে, সেটা বলা সম্ভব নয়।’ তারা কেন চলে গেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক কারণ রয়েছে। কিছু লোকের ধারণা আছে পশ্চিম ইউরোপে গেলেই সব শান্তি। তবে তারা ওখানে গিয়ে যে বেটার অপরচুনিটি পেয়েছেন, বিষয়টা তেমন নয়। তবে বৈধভাবে গেলে বেটার সুযোগসুবিধা পেতেন। কিন্তু অবৈধভাবে যাওয়ার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রোমানিয়া থেকে অবৈধভাবে বর্ডার পার হয়ে চলে যাচ্ছেন।’ রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশেও অনেক এজেন্সি আছে, যারা টাকা আয়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে এখানে লোক পাঠায়। তাদের কাজ আছে না আছে, সেটি তারা দেখে না। যে কারণে অনেকে এসে কাজ না পেয়েও চলে যান।’ সার্বিক বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘শ্রমবাজার তৈরিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। রোমানিয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর বা বিএমইটির মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে কিছু লোক বিদেশে চলে যায় কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। যাতে অবৈধ সুবিধা নিয়ে কেউ বিদেশে যেতে না পারে সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সতর্ক রয়েছে। অবৈধভাবে যারা রোমানিয়া যায়, তারা যাতে বিভিন্ন এজেন্সি বা বিমানবন্দর থেকে আর কোনো সুবিধা না নিতে পারে, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
২৩ মার্চ, ২০২৪
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ‘রাবেডে’র আত্মপ্রকাশ
ইউরোপ ও উন্নত বিশ্বে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিস অব বাংলাদেশ ফর ইউরোপ অ্যান্ড ডেভেলপড কান্ট্রিজ (রাবেড)। গতকাল রোববার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হীরক বর্ণালী ওভারসিজের আব্দুল আজিজ, মানহালি ওভারসিজের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাবিবুল করিম, অপরাজিতা ওভারসিজের আরিফুর রহমান ও আল আকসা ইন্টারন্যাশনালের কলি বিশ্বাস। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু জাপান, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপেই ৪ কোটি দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট সুযোগ। সে লক্ষ্যকে কাজে লাগাতে নির্দিষ্ট বয়সের জনশক্তিকে মোটিভেশনের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন এবং জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগ প্রয়োজন। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাবেডের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
২৪ জুলাই, ২০২৩
ইউরোপ ও উন্নত বিশ্বে শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ‘রাবিডে’র আত্মপ্রকাশ
ইউরোপ ও উন্নত বিশ্বে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘রিক্রুটিং এজেন্সিস অব বাংলাদেশ ফর ইউরোপ অ্যান্ড ডেভেলপ কান্ট্রিস (রাবিড বা আরএএবিইডি)। রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীতে রাওয়া কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ হয়। এ সময় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হীরক বর্ণালী ওভারসিজের আব্দুল আজিজ, মানহালি ওভারসিজের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) হাবিবুল করিম, অপরাজিতা ওভারসিজের আরিফুর রহমান, আল আকসা ইন্টারন্যাশনালের কলি বিশ্বাস। সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু জাপান, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ কোটি দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট সুযোগ। সে লক্ষ্যকে কাজে লাগাতে নির্দিষ্ট বয়সের জনশক্তিকে মোটিভেশনের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ জন্য সরকারি, বেসরকারি সংগঠন এবং জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্যোগ প্রয়োজন। সে লক্ষ্যকে সামানে রেখে রাবিডের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
২৩ জুলাই, ২০২৩
আরও
X