কোটা সংক্রান্ত রায়ে প্রতিক্রিয়া / রায়ে আদালত ও বিচারপতিদের অভিনন্দন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন, সেজন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও বিচারপতিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান এনপিপি নেতৃত্বাধীন জোট গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ ছালাউদ্দিন ছালু। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় যৌক্তিক ও যুগান্তকারী। এ ইস্যুতে দেরিতে হলেও সরকার ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রীকেও অভিনন্দন জানাই। কোটা আন্দোলন ঘিরে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্র সারা দেশে যে অরাজকতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। সর্বোচ্চ আদালত কোটা সংস্কার বিষয়ে যে রায় দিয়েছেন, তার দ্রুত বাস্তবায়ন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২৩ জুলাই, ২০২৪

গ্রাম আদালতে বাড়ছে মানুষের আস্থা
এক বছরে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে ৪০০টি ঘটনা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এ গ্রাম আদালত ইউপি সদস্যদের নিয়ে জুরি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। আর এতেই জনগণের আস্থায় পরিণত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতটি।  সেবা পেয়ে ও সমাধান পেয়ে জনগণও হচ্ছে খুশি, বাড়ছে আস্থা। নওগাঁর সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গঠিত গ্রাম আদালত ধীরে ধীরে সবার আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে। স্থানীয় বিচার প্রার্থীরা বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়ে আমরা খুশি। মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন চক্কর ও অর্থ অপচয় থেকে মুক্তি পেয়েছি। নিজের গ্রামেই বিচার হয়। বাড়তি কোনো টাকাপয়সা লাগে না। যাতায়াতের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছা. আফেলাতুননেছা বলেন, প্রথম প্রথম গ্রাম আদালতের বিচার নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করত। পরে ন্যায়বিচার পেয়ে মানুষের সন্দেহ কাটে। যার ফলশ্রুতিতে গত এক বছরে পারিবারিক কলহ, জমিসংক্রান্ত বিরোধ, মারামারি সংক্রান্ত ৪০০টি ঘটনার নিষ্পত্তি হয়েছে এ গ্রাম আদালতে। তিনি বলেন, অধিকাংশ বিচারে আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র মানুষ বিচার চেয়ে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার পেয়েছেন। যেটা আমাদের কাছে খুব শান্তিদায়ক। কারণ নিজের গ্রামেই বিচার হয়। বাড়তি কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। যাতায়াতের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। গ্রামের মানুষ বিচার চেয়ে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
১৭ জুলাই, ২০২৪

পচা মাংস রাখার দায়ে দুই হোটেলকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরে পচা মাংস রাখার দায়ে দুই হোটেল মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। জানা গেছে, হোটেল দুটির ফ্রিজে এক সঙ্গে রাখা ছিল পচা মাংস, কাঁচা মাংস ও বাসি খাবার। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য হোটেল দুটিকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আহার ক্যাফে অ্যান্ড শর্মা হাউস ও নাইয়র চাইনিজ রেস্টুরেন্ট নামে দুটি হোটেলে পচা মাংস, বাসি খাবার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ভোক্তা অধিকার আইনে দুটি হোটেল মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।  তিনি বলেন, জনসাধারণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের সময় আখাউড়া থানার পুলিশ সদস্যরা ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জুলাই, ২০২৪

ভাবির মামলায় প্যানেল মেয়র সাইফুল কারাগারে
ভাবির করা মামলায় কারাগারে গেলেন ভোলার লালমোহন পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইফুল কবির। রোববার (১৪ জুলাই) কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভোলার জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. ফারুক হোসেন। বাদিনীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাইফুল কবিরের বড় ভাই জিয়াউল কবির বরকত একজন প্রতিবন্ধী। তাদের মা নিজের জমি বিক্রি করে দুই ভাইয়ের জন্য যৌথ ঘর করে দেন। কিন্তু সাইফুল কবির তার প্রতিবন্ধী ভাইকে ওই ঘর থেকে উৎখাত করার পাঁয়তারা করছিল।  তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ এপ্রিল ভাই জিয়াউল কবির বরকত ও তার স্ত্রীকে মারধর করে সাইফুল কবির ও তার লোকজন। এ ঘটনায় দেবর সাইফুল কবিরসহ ৭ জনকে আসামি করে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন তারই ভাবি জেসমিন আক্তার। ওই মামলায় হাজিরা দিতে এলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাইফুল কবিরের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
১৪ জুলাই, ২০২৪

পোনা ও মা মাছ শিকার, নিষিদ্ধ ২৭টি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ জাল জব্দ ও বাঁধ অপসারণ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকালে জব্দ করা ২৭টি চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস করা হয়। এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পদ্মা নদীর শয়তান খালি ঘাট থেকে চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে দিনরাত মা মাছ, পোনাসহ দেশীয় মাছ ধরছে এলাকার কিছু মানুষ। এমনকি মাছ ধরতে নদীর পাড়ে স্থাপনাও তৈরি করেছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এস এম জাহাঙ্গীর কবির ও থানা পুলিশের একটি দল তার সঙ্গে ছিলেন। অভিযানে ২৭টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়। এ সময় একটি অবৈধ বাঁধ ভেঙে দেওয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধভাবে মৎস্য সম্পদ আহরণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৭০০ মিটার চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করে বিনষ্ট করা হয়। জালে আটকে পড়া পোনা মাছগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় একটি বাধও অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব জালে মাছের পোনাসহ নানা জলজ প্রাণীও উঠে আসে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ, মা মাছ, রেণু পোনা নিধন বন্ধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১২ জুলাই, ২০২৪

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে ৭ দিন ও মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ দিনের কারাদণ্ড
অনুমোদন ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাস্তা খুঁড়ে নিজ বাসায় পানির সংযোগ নেওয়ায় এক ব্যক্তিকে ৭ দিন এবং এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ঠিকাদার জনৈক ইমাম হোসেনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডিএসসিসির অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সালেহ মুস্তানজির পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজলার ভাঙ্গা প্রেস এলাকার ঢাকা ডেমরা রোড ও হাজী আব্দুস সামাদ রোডের সংযোগস্থলে ডিএসসিসির নির্মিত একটি রাস্তা খনন করে নিজ বাসায় পানির সংযোগ দেওয়ায় মো. শহিদুল ইসলামকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়াও অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক পরিচালিত আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায়  হাজারীবাগ এলাকায় বেসরকারি আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হিলস অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার ইমাম হোসেনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সালেহ মুস্তানজির বলেন, কাজলার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় জনৈক মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে করপোরেশনের সড়ক খনন করে নিজ বাসায় পানির সংযোগ দেন। এ অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৮নং ধারা তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর রহমান আশিক বলেন, আজকের অভিযানে হাজারীবাগ এলাকায় গোল্ডেন হিলস অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড নামক বেসরকারি আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মাণাধীন একটি ভবনে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় সংশ্লিষ্ট ভবনের ঠিকাদার ইমাম হোসেন নিজের দোষ স্বীকার করলে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এমডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন। এ সময় আদালত জনৈক ইমাম হোসেনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়াও আজ ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে আরও ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম মোর্শেদ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড় মগবাজারে, চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিবাজার ও শাখারীবাজারের আশপাশে, পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির হামজা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগরে, আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সনগর, সারুলিয়া, ডেমরা এবং দশ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আরেফিন ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন শ্যামপুর, কদমতলীর হাই স্কুল রোড এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন।  আজকের অভিযানে সর্বমোট ৪০৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় সর্বমোট ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
১১ জুলাই, ২০২৪

ধরা খেলে দালাল, নইলে ব্যবসায়ী!
সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও ল্যাব ব্যবসায়ীদের বেশি আনাগোনা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যন্ত ছুটোছুটি তাদের। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিলে তা বাগিয়ে নিজেদের ল্যাবে নিয়ে করান তারা। এই কাজে ল্যাব কর্তৃপক্ষ রোগী হিসাব করে দেন টাকা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর তারা হয়ে যায় দালাল। অপরদিকে তাদের পেছনের মানুষ বরাবরের মতোই থেকে যায় অধরা। নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থাও। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) দালাল পরিচয়ে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন সবাই ব্যবসায়ী। তবে তাদের পরিচালনাকারী থেকে যায় আড়ালে। জামিনে এসে আবার আগের কাজে জড়ায়। তাদের টার্গেটে থাকে রোগীর স্বজনরা। সুযোগ বুঝে তাদের ভুলভাল বুঝিয়ে নিজেদের কবজায় নেয়। তাদের কার্যক্রম হাসপাতালে প্রকাশ্যেই চলে। চেনেও সবাই। হাসপাতালে কর্মরতরাও ধোয়া তুলশী পাতা নন। তারা ও ল্যাব ব্যবসায়ীদের থেকে কমিশন পায়। বেশি কম হলে ব্যবসায়ীরা হয়ে যায় দালাল। পুলিশের দাবি, দালালরা রোগীর স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে বাগানোর সঙ্গে জড়িত। এমনকি তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা পছন্দের ল্যাবে করানোর জন্য রোগী বাগিয়ে নেয়। অথচ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম খরচে চমেক হাসপাতালে করার সুযোগ আছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে ৫ দালালকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন আনসার সদস্যরা। তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন চৌমুহনী এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে আবু কালাম (৩২), রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া পূর্ব চৌধুরী হাট এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৫), বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী ফুলতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে গোলাম কিবরিয়া (২৪), রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরাঙ্গ সিংহের ছেলে সুজন সিংহ (৩৯) ও সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের নুরুল হকের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩১)। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে কর্মরতরা কালবেলাকে জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজন বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করেন। রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বাগিয়ে নেন নিজেদের ল্যাবে।  চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, আটককৃতরা বিভিন্ন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের নির্ধারিত ল্যাবে নিয়ে হয়রানি এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন। আনসার সদস্যরা তাদের হাতেনাতে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঁচ দালালকে আটক করা হয়। চলতি বছর ২১ মার্চে চমেক হাসপাতাল থেকে ৩৮ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। তারা সবাই হাসপাতালের আশপাশের ল্যাব, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকানের দালাল বলে জানিয়েছে র‍্যাব।
১১ জুলাই, ২০২৪

আদালত অবমাননা / আমার বক্তব্যের জন্য আমি অনুতপ্ত : নুর
‘আমি ওই দিন (৭ ডিসেম্বর) জ্ঞাতসারে বক্তব্য দেইনি। আমার বক্তব্যের জন্য আমি অনুতপ্ত।’ বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগ শুনানির এক পর্যায়ে বিচারপতির কাছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে আইন-আদালত থাকবে। আর আদালতের প্রতি আমার সব সময় শ্রদ্ধা আছে এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে। বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর শুনানির সময় বিচারপতির নিকট এ কথা বলেন। বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য ও আদালত অবমাননা রুলের চূড়ান্ত রায় পিছিয়ে (১ আগস্ট) নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ শুনানির এক পর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নুরুল হক নুরকে জিজ্ঞাসা করেন- আপনি কী ২৮ অক্টোবরের আগে বক্তব্য দিয়েছেন, না এরপর বক্তব্য দিয়েছেন। জবাবে নুর বলেন- না এর পরে বক্তব্য দিয়েছি। তখন আদালত বলেন, একজন সচেতন রাজনীতিবিদ হিসেবে এ রকম বক্তব্য দেওয়ার পরদিন গণমাধ্যমে সংশোধনী কেন দিলেন না। আদালতে ভিপি নুরের পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আদালত নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি আরও সচেতন থাকবেন বলে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করা হয়। আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার আগেই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা ক্ষমা প্রার্থনার দুটি আবেদনও জমা দিয়েছি।   এদিকে বিচারপতি নুরকে উদ্দেশ করে বলেন, একজন রাজনীতিবিদের কথায়-কাজে সচেতনতা থাকা জরুরি। আদালতের মর্যাদা রক্ষা সব নাগরিকের দায়িত্ব। রাজনীতিবিদের কথায় উসকানি থাকলে, তার বিরূপ প্রভাব সাধারণ মানুষ বা কর্মীর মধ্যে পৌঁছে যায়। এ বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা দরকার। আদালতে ভিপি নুরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।   প্রসঙ্গত, গত বছর ২৮ অক্টোবরে বিএনপি ও সমমনাদের ডাকা হরতাল-অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন নুর। নুরের আপত্তিকর বক্তব্য নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশ করে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। এরপর নুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হলে, প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরপর হাইকোর্ট গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করে নুরকে তলব করেন। 
১১ জুলাই, ২০২৪

যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দায়ে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যত্রতত্র অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এম রফিকুল ইসলাম। অভিযানে বিস্ফোরক লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোট ৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। সীতাকুণ্ড উপজেলার মধ্যে নিয়মকানুন না মেনে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অভিযানকালে বিস্ফোরক লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইনে মহিম স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা, মদিনা স্টোরকে ২০ হাজার টাকা এবং জামাল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় তিন ব্যবসায়ীকে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১০ জুলাই, ২০২৪

কোটা সমস্যা নিরসনের সঠিক জায়গা আদালত
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঘটনা ঘটেছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে এটার নিরসন হবে না। এভাবে আন্দোলন করলে একপর্যায়ে হয়তো আদালত অবমাননাও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোটা সমস্যা নিরসনের সঠিক জায়গা হচ্ছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, তারা (কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা) আপিল বিভাগের মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন। আগামীকাল (বুধবার) বোধহয় শুনানি হবে। আমি মনে করছি তারা সঠিক পথে হাঁটছেন। আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই। আশা করব যেহেতু আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। সরকারের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের অবস্থানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নেই এখন, কোটার ইস্যুটা এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আছে। সরকারের কেউ কেউ বলেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক। সেক্ষেত্রে আদালত প্রভাবিত হতে পারে কি না—জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ মামলায় কী হতে পারে, সে বিষয়ে আমি কিন্তু কিছু বলব না। কারণ হচ্ছে এটা বিচারাধীন।
১০ জুলাই, ২০২৪
X