Tue, 08 Oct, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
সাবেক সতীর্থকে নিয়ে মেসির আবেগী বার্তা
১ ঘণ্টা আগে
শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে স্কালোনির অবাক করা মন্তব্য
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ
১৫ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৭৪
১৫ ঘণ্টা আগে
আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কারে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন
১৫ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ইরানের হামলায় কাঁপছে ইসরায়েল
ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি হামলা চালিয়েছে তেহরান। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হামলায় ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে একশরও বেশি মিসাইল ছুড়েছে ইরান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানের আকাশ দিয়ে মিসাইল উড়ে যেতে দেখা গেছে। মিসাইলের কারণে জর্ডানেও সাইরেন বেজে ওঠেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এক বার্তায় নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে। ইসরায়েলি নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘সাইরেন শুনলে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে। যেসব বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে; সেগুলো হয় মিসাইল আটকানোর কারণে হচ্ছে অথবা আঘাত হানার কারণে হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা পৌঁছেছে।
০১ অক্টোবর, ২০২৪
ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে অনুমোদন করে সিনেট। বিলটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আলোচিত এই সামরিক সহায়তা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম অনুমোদন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কিয়েভকে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এছাড়া এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের জন্য রয়েছে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা। এর আগেও গত ফেব্রুয়ারিতে একই সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছিল সিনেট। কিন্তু একদল কনজারভেটিভস ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এই বিল ভোটাভুটিতে আসতে বাধা পায়। গত সপ্তাহে, নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানেরা একজোট হয়ে এই বিরোধিতাকে পাশ কাটিয়ে সহায়তা প্যাকেজের পক্ষে ভোট দেন। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, দ্বিদলীয় ৭৯–১৮ ভোটে বিলটি পাস হয়। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শ্যুমার বলেছেন, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন তাঁর চেম্বারে বৈদেশিক সহায়তা বিলটি পাসের জন্য চাপ দেওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শী থাকা সত্ত্বেও আমাদের দ্বিদলীয় মনোভাব হাত মেলানোর কারণে কংগ্রেসে এই বড় ও কঠিন বিলটি পাস করানো সম্ভব হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পাস হওয়া বৈদেশিক সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আরও রয়েছে: • ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা। • ইসরায়েলের জন্য ২৬.৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা, এর মধ্যে ৯.১ বিলিয়ন ডলার গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে । • ‘কমিউনিস্ট চীন মোকাবিলায়’ তাইওয়ানসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিত্রদের জন্য ৮.১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বরাদ্দ। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যেই ইসরায়েলকে এই সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক, নির্বিচার হামলার প্রায় সাত মাস হতে চলেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই হামলায় ৩৪ হাজার ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ১৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা বরাদ্দের জন্য ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ মার্কিন সিনেটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইসরায়েলের শত্রুদের 'কড়া বার্তা' দেওয়া হয়েছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
ইরানে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল
সব আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহরে এসব হামলা চালানো হয়। গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সিনেটরের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেওয়া হয়। এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও ইস্ফাহানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরান, ইস্ফাহাস, সিরাজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইরানের ইস্ফাহান শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে নানান ছক কষছে পশ্চিমাদের ভরকেন্দ্র আমেরিকা। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
ইরানে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল
ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দেশটির ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলি স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কেএএন জানিয়েছে, তেল আবিব একটি সীমিত জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে হামলার ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে পারবে তেহরান। এ ছাড়া সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানো যাবে। সম্প্রচার মাধ্যমটি বলছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে রাখতে চাইছে ইসরায়েল। তাই নতুন করে দ্বিতীয় আর কোনো যুদ্ধ ফ্রন্ট খুলতে চায় না দেশটি। ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাটির ধরন কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছে কেএএন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ভেতরে গুপ্ত হত্যাকাণ্ড বা বড় ধরনের সাইবার হামলা করতে পারে তেল আবিব। গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান। সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে তেল আবিবকে চাপ দিয়ে আসছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪
প্রতিশোধ নিলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘কঠোর জবাব’ দেবে ইরান
ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আরও বড় আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে ইরান বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করা উচিত নয় যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী শাসক (ইসরায়েল) বা তার সমর্থকরা বেপরোয়া আচরণ প্রদর্শন করে, তাহলে তারা আরও ব্যাপক এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে। এর আগে একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন ইরানের সামরিক প্রধান, মেজর-জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, ইসরায়েল যদি ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়, তারা যদি ইরানে হামলা করে তবে তাদের জন্য আরও ‘অনেক বড়’ প্রতিক্রিয়া অপেক্ষা করছে। জেনারেল বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের ওপর ইরানের আক্রমণ তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং আমাদের দৃষ্টিতে অপারেশনটি শেষ হয়েছে। এর আগে রবিবার, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরায়েলে প্রতিশোধ নেবে ইরান এবং এতে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষ নেয় তাহলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে। মূলত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই রোববার রাতে ইসরায়েলজুড়ে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। শনিবার রাতের এই হামলাকে ‘অপারেশন ট্রু প্রোমিজ’ নাম দিয়েছে ইরান। এ হামলাকে সীমিত ও নির্ধারিত বলে জানিয়েছেন ইরানি কর্মকর্তারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান কী করতে সক্ষম তার সামান্য চিত্র দেখাল মাত্র। এটা এমন একটি দৃশ্য যা কখনো কেউ দেখেনি। এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে দেশটি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে আইআরজিসির এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েল যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তার চেয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে ইরান।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
আনাদোলু এজেন্সি থেকে /
ইসরায়েল বয়কট: সত্যিই কি পরিবর্তন আনতে পারবে?
কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টা হলো- বয়কট। তবে অর্থনৈতিক চাপ ছাড়াও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে এবং সম্মিলিত পদক্ষেপের সূত্রপাত ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই বয়কট কৌশল। গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল বয়কট মুভমেন্টটি সামনে চলে এসেছে। সম্প্রতি, স্টারবাকসের মধ্যপ্রাচ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজি, আলশায়া গ্রুপ তার প্রায় ২ হাজার চাকরি ছাঁটাই ঘোষণা করেছে। এই কর্মী ছাঁটাই কোম্পানিটির মোট কর্মশক্তির ০৪ শতাংশ। ম্যাকডোনাল্ডস, অ্যামাজন, কোকা-কোলা, ডিজনিসহ ইসরায়েল বা তার সেনাবাহিনীর সমর্থক হিসাবে পরিচিত কোম্পানিগুলোকে বয়কটের ঘোষণা এসেছে বিভিন্ন কোম্পানি এবং বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ডাকা প্রোটেস্টগুলো থেকে। গত ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় বোমা হামলার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলিতেও ইসরায়েল বয়কটের আহ্বান জোরে শোরে বেড়েছে। X, Facebook এবং TikTok-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ইসরায়েলবিরোধী হ্যাশট্যাগগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি এবং সংস্থাগুলোকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে ডাকা হচ্ছে বয়কট আন্দোলন। NoThanks এবং Buycott-এর মতো মোবাইল অ্যাপগুলোও এসব ব্রান্ড শনাক্ত করতে মানুষকে সহায়তা করেছে। বয়কট কি যথেষ্ট? শুধু বয়কটই কি কোম্পানিগুলোকে ধ্বংস করতে এবং ইসরায়েলের নীতি পরিবর্তনের জন্য পর্যাপ্ত চাপ সৃষ্টি করতে যথেষ্ট? এমনটাই প্রশ্ন করছেন অনেকে। বয়কট নীতি কার্যকর হবে বলে যরা আশা করছেন তাদের জন্য কিছুটা হলেও সুসংবাদ রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিকা চেনোয়েথের গবেষণা অনুসারে, একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩.৫% জনসংখ্যার সম্মিলিত এবং সক্রিয় অবস্থান। গবেষণা মতে, সক্রিয় কণ্ঠস্বর সংখ্যালঘুতে থাকলেও, এই কণ্ঠগুলো একটি পার্থক্য তৈরি করতে পারে। ইতিহাসে সফল বয়কটের উদাহরণ রয়েছে অনেক। ১৭৯১ সালে ইংল্যান্ডে দাস ব্যবসায়ীদের দ্বারা উৎপাদিত চিনি বর্জন করার জন্য বয়কট আহ্বান করা হয়। মানুষ স্বতঃস্পূর্তভাবে সেই বয়কট আহ্বানে সাড়া দিলে চিনি কলগুলোর লাভ কমে যায়। ট্রান্সআটলান্টিক দাস ব্যবসার বিরুদ্ধে জনমত গঠিত হয় এবং মাত্র কয়েক দশক পরেই দাশপ্রথা বিলুপ্ত হয়। অনুরূপভাবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী বয়কটের সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কট নীতি গ্রহণ করে। এই বয়কট পশ্চিমা সরকারগুলোর বিরুদ্ধে চাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে যা ১৯৯৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদ শাসনের অবসান ঘটাতে সাহায্য করেছিল। বয়কট রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে পারে: বয়কট কোম্পানিগুলোর মুনাফা এবং ইসরায়েলের অর্থনীতিকে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটা কোম্পানিগুলোর বা ইসরায়েলের নীতি পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট নয়। তবে এই বয়কট অন্যদিকে রাজনৈতিক সচেতনতাও বাড়াতে পারে। অর্থনৈতিক চাপের সঙ্গে রাজনৈতিক চাপ মিলে একটি কঠিন প্রভাব তৈরি করতে যা ইসরায়েলের সরকারেও পরিবর্তন ঘটাতে পারে। বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট এবং নিষেধাজ্ঞা (বিডিএস) এগুলো স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং সমতার জন্য ফিলিস্তিনি-নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলন। নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডগুলোকে টার্গেট করা এর লক্ষ্য নয় বরং এই ধরনের আন্দোলনের লক্ষ্য কোম্পানিগুলোকে ইসরায়েল থেকে বিচ্ছিন্ন করার দিকে ঠেলে দেওয়া। বয়কটের লক্ষ্য হল - ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কয়েক দশকের দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়া। শিক্ষা খাতে চাপ: শিক্ষা ক্ষেত্রের চাপও বড় ভূমিকা পালন করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল বা ইসরায়েল-সংযুক্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে কন্টাক্ট বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদদের মধ্যেও এক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডিসেম্বরে, ইসরায়েলের পার্লামেন্ট বা নেসেটে পাঠানো একটি ইসরায়েলি গবেষণায় সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমে ইসরায়েলি শিক্ষাবিদদেরকে এক ধরনের “বেসরকারিভাবে বয়কট”-এর মধ্যে ফেলা হয়েছে। সেই গবেষণায় ইসরায়েলের বৈজ্ঞানিক অবস্থান এবং অর্থনীতির জন্য বিপদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের বর্তমান হামলার আগে, হলিউড অভিনেত্রী টেলর সুইফ্ট থেকে শুরু করে বিয়ন্স পর্যন্ত অনেক গায়ক ইজরায়েলে কাজ করতে অস্বীকার করেছিলেন। এসব ঘটছে আংশিকভাবে রাজনৈতিক চাপের কারণে। ইজরায়েলে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন আরও অনেক মার্কিন শিল্পি ও অভিনেতা। ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমের সবচেয়ে বড় সমর্থন হলো অস্ত্র বিক্রি। আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোও ইসরায়েলকে অস্ত্র সাপ্লাই দিয়ে থাকে। সম্প্রতি এসব দেশে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আইনি চাপ এবং প্রতিবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, স্পেন এবং এমনকি যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপজুড়ে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে আইনি চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। গাজার মানবিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আরও সোচ্চার হচ্ছে। তাদের আহ্বান ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে প্ররোচিত করেছে বিশ্ব নেতাদের। যদিও এটি এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে নীতি পরিবর্তনের চেহারায় প্রকাশ পায়নি। এটি স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক নীতি পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত চাপ প্রয়োজন। আর এই চাপ প্রয়োগে ভূমিকা রাখতে পারে বয়কট। ইসরায়েল বয়কটের আহ্বানগুলো তাই অবহেলার সুযোগ নেই। জনাথন হার্ভে: গবেষক এবং সাংবাদিক
২৪ মার্চ, ২০২৪
যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম
মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন নামের যে এলাকা, সেটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সেনাদের হাত থেকে জেরুজালেম দখল করে ব্রিটেন। ১৯১৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ভূমি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য সহায়তা করবে। ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন ইহুদি আন্দোলনের নেতা ব্যারন রটসচাইল্ডকে। তৎকালীন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সে চিঠি ‘বেলফোর ডিক্লারেশন’ হিসেবে পরিচিত। ইহুদিদের কাছে ব্রিটেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ফিলিস্তিনের জমিতে তাদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ করে দেবে। যদিও রোমান সময় থেকে ইহুদিদের ছোট্ট একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী সে জায়গায় বসবাস করত। ইউরোপে ইহুদিদের প্রতি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, সেটি তাদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের ভাবনাকে আরও ত্বরান্বিত করে। ১৯৩৩ সালের পর থেকে জার্মানির শাসক হিটলার ইহুদিদের প্রতি কঠোর হতে শুরু করেন। ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে ব্রিটেন চেয়েছিল হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান জোরালো করতে। সেজন্য আরব এবং ইহুদি—দুপক্ষকেই হাতে রাখতে চেয়েছে ব্রিটেন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যেসব ইহুদি বেঁচে ছিল, তাদের জন্য কী করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দুটি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। একটি ইহুদিদের জন্য এবং অন্যটি আরবদের জন্য। ইহুদিরা মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হলেও তাদের দেওয়া হয় মোট জমির অর্ধেক। কিন্তু আরবদের জনসংখ্যা এবং জমির মালিকানা ছিল তাদের দ্বিগুণ। স্বভাবতই আরবরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তারা জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে তখন ইহুদিরা বিজয় উল্লাস শুরু করে। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যায় ব্রিটেন। একইদিন তৎকালীন ইহুদি নেতারা ঘোষণা করেন যে, সেদিন রাতেই ইহুদি রাষ্ট্রের জন্ম হবে। এভাবেই আরবদের হটিয়ে সে রাতেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে ইসরায়েল নামে একটি রাষ্ট্র।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪
গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ সেনা হারাল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে গিয়ে একদিনে ২৪ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। গত অক্টোবরে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে একদিনে এত সেনার মৃত্যু দেখেনি ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। খবর রয়টার্সের। মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজায় একটি বিস্ফোরণে ২১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাস যোদ্ধরা একটি ট্যাংকে রকেট গ্রেনেড ছুড়েছে। দুটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটি উড়িয়ে দিতে সেখানে আগে থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। বিস্ফোরণ হলে ভবন দুটি তাদের ওপার ধসে পড়ে। তিনি বলেন, আমরা এখনো এসব ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছি। বিস্ফোরণের কারণ উদঘাটন করতে তদন্ত চলছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের এমন তথ্য জানানোর আগে দক্ষিণ গাজায় পৃথক হামলায় আরও তিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পশ্চিম খান ইউনিস শহরের ভেতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তারা সব দিক থেকে বোমাবর্ষণ করে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। এ সময় তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বলেন, গত রোববার রাতে খান ইউনিসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতাল অবরোধ করে রাখায় বহু আহত মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবেন না। তবে হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের কার্যলয়ও কোনো মন্তব্য করেনি। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
আটক ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ইসরায়েল
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের সাথে দুর্ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক বেশকিছু ফিলিস্তিনিকে অজানা স্থানে কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্দি এবং তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। মানবাধিকার কর্মকর্তা অজিথ সুংহে তার রিপোর্টে বলেন, এসব ফিলিস্তিনি পুরুষদের ৩০ থেকে ৩৫ দিন ধরে আটক রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার গাজা সফরের সময় সেখানে মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন বন্দির সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। অজিথ সুংহে তার রিপোর্টে বলেন, আটককৃতদের মধ্য থেকে পরবর্তীতে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও পর্যাপ্ত পোশাক ছাড়াই তাদের শুধু ডায়াপার পরিয়ে রাখা হয়েছিল। তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারা সবাই প্রচণ্ডভাবে শকড ছিল এবং তাদের সঙ্গে দেখা করার সময় আমি নিজেও কেঁপে উঠেছি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দ্বারা শেয়ার করা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শত শত ফিলিস্তিনি পুরুষ তাদের অন্তর্বাস খুলে বাইরে ঠান্ডায় বসে আছে, কখনও কখনও তাদের চোখ ও বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। কয়েকটি ভিডিওতে নারী ও শিশুদেরও দেখা গেছে। ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর অনুসারে, মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক বন্দি বলেছেন- নিজেদের অভিশাপ দেওয়ার জন্য এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অপমান করার জন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাদের ওপর শারিরীক নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে তাদের ট্রাকে করে খোলা আকাশের নিচে আটকে রাখা হয়েছে। এই মানবাধিকার কর্মকর্তা তার রিপোর্টে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব গ্রেপ্তার বা আটক ব্যক্তিদের সাথে যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নিয়ম ও মান অনুযায়ী আচরণ করা হয় সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের। অজিথ সুংহে জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের উচিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বন্দিদের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান বজায় রাখা। ইসরায়েল যদি আটক রাখা প্রতিটি ব্যক্তির সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে তাদের অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। শুক্রবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আটক থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকজন বন্দি দক্ষিণ গাজার রাফাহ-এর আবু ইউসুফ আল নাজ্জার হাসপাতালে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। সূত্র : আল জাজিরা
২১ জানুয়ারি, ২০২৪
ইসরায়েল হামাস যুদ্ধের পরে কী হবে?
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। পরবর্তী সময়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। অন্যদিকে নিহত হয়েছে ৫০১ ইসরায়েলি সৈন্য। জাতিসংঘের হিসাব মতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উপত্যকার ৪০ শতাংশ মানুষ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী মনোভাব, ফলে সংকট আগে থেকেই ছিল। গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানের পর একটি প্রশ্ন আবারও সামনে আসছে, তা হলো—এই সংকটের শেষ কোথায়? ঠিক এমনই প্রশ্ন উঠেছিল ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েল তার স্থল অভিযান শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন দি আটলান্টিকের নিবন্ধকার ফ্রাঙ্কলিন ফোয়ার তার নিবন্ধের শিরোনামে প্রশ্ন রেখেছিলেন ‘আমাকে বলুন এই যুদ্ধের শেষ কোথায়?’ ফ্রাঙ্কলিনের সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নয়। তবে আমরা যেটি দেখছি তা হলো প্রতিদিন নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে... কীভাবে এই সংকটের শেষ হয়?—ফ্রাঙ্কলিনের সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই নিবন্ধে। আগামীতে কী করা হতে পারে বা কী করা উচিত, সে বিষয়ে কিছু দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হলো এই নিবন্ধে— ইসরায়েল গাজার দখল রাখলে কী হবে?: ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য গাজা উপত্যকা থেকে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। কিন্তু এই লক্ষ্য পূরণ হওয়া অসম্ভব। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞ হুসেইন ইবিশ বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলিরা যদি গাজায় থেকে যায় তবে তা হবে হামাসের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক বিজয়। এবং এই রাজনৈতিক বিজয় প্রকৃতপক্ষে হামাসের জন্য মূল্যবান। যদি এমনটিই ঘটে, তবে এই যুদ্ধ কয়েক মাস বা বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকবে।’ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান?: ইসরায়েলি বা ফিলিস্তিনিরা কেউই তাদের জাতীয় পরিচয় ত্যাগ করবে না। কেউই তাদের জন্মস্থান ও তাদের ভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আরাশ আজিজি তার নিবন্ধে লিখেছেন, ‘যারা সত্যিই পবিত্র ভূমিতে শান্তি ও ন্যায়বিচার চান তাদের এই বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু করা উচিত।’ কার্যকর কূটনৈতিক কৌশল গ্রহণ?: বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাহসী কূটনীতি অনুশীলন করেছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতেও সেটি কাজ করতে পারে। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল কার্টজার লিখেছেন, ‘শান্তির সম্ভাবনার অগ্রগতি, ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ফিলিস্তিনিদের অভিযোগের সমাধান করা জরুরি। সেই লক্ষ্যে কূটনীতি অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে।’ নেতানিয়াহুর পরের যুগ: ইসরায়েল শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং টিকে আছে। কিন্তু এর পেছনে তাদের নেতাদের থেকে বেশি অবদান ইসরায়েলের জনগণের। দি আটলান্টিকের লেখক ইয়ার রোজেনবার্গ লিখেছেন, ‘ইসরায়েলের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী ও তার কট্টর ডানপন্থি মিত্ররা ব্যর্থ হয়েছেন। রাষ্ট্রের শক্তির আসল উৎস জনগণ। নেতানিয়াহু একসময় বিদায় নেবেন এবং ইসরায়েল কট্টরপন্থি অবস্থান থেকে হয়ত সরে আসবে।’ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নাগরিকরা শান্তি চায়: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংকট এবং সংঘাতের কারণে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ। স্বাভাবিক জীবন থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজার হাজার ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি। সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহতা সত্ত্বেও-বা সম্ভবত এই সংঘাতের কারণেই অনেক ইহুদি এবং ফিলিস্তিনি আগের চেয়ে বেশি শান্তি চাইছে। ব্রিটিশ ফিলিস্তিনি লেখক জন আজিজ লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের শান্তি দরকার। তার থেকেও বেশি দরকার সঠিক নেতৃত্ব। মুসলিম ও অমুসলিম সম্প্রদায়গুলোর প্রতিও যাদের দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। যারা কাউকে নিপীড়ন করার পরিবর্তে সবার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে।’ শান্তির বার্তা: ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংকটের সামরিক সমাধান কখনো হয়নি, হবেও না। ফিলিস্তিনে আমেরিকান টাস্ক ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াদ আসালি লিখেছেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে গাজাকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে ইসরায়েল। এটি করার জন্য তাদের কাছে বড়বড় অস্ত্র এবং বোমা রয়েছে। তবে এটি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে পারবে না।’
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
আরও
X