লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে হুমকির মুখে ইসরায়েলি বাহিনী
লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একদিকে যখন ইসরায়েলি সেনারা অভিযানের জন্য লেবাননে ঢুকছে তখনই অন্যদিকে ফাঁদ পেতে ইসরায়েলি সেনাদের দলগুলোকে আক্রমণের মুখে ফেলছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।  বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী প্রযুক্তি ও মার্কিন অস্ত্রের বলে শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও স্থল অভিযানে লেবাননের মাটিতে তারা বিপাকে পড়বে। বলা হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক অথবা বিমান থেকেই ভালো যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারে। স্থল অভিযানে তাদের কোনো রকম আশ্রয় ছাড়া জীবন বাঁচানোর জন্যই দৌড়াতে হবে। এরআগে ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে একপ্রকার পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি সেনারা।  স্থল অভিযান শুরুর পর দক্ষিণ লেবাননের ওদাইশেহ শহরে ঢোকার মুখে হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি সেনারা। এ ছাড়াও সীমান্তের অন্যান্য স্থানে গেরিলা কায়দায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের যোদ্ধারা। এতে আহত সেনাদের নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।  এদিকে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রবল সংঘাতের মধ্যেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে ৪টি খুবই ভয়ংকর হামলা চালানো হয়েছে এবং একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়।  স্যাটেলাইটের ছবিতে বার্জ আল-বারাজনেহ, হারেত হারিক ও চুয়েফাত আল-আমরুসিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হওয়ার ছবি ফুটে উঠেছে। শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থলাভিযানে তারা ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই হাজার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থল।  
১৭ ঘণ্টা আগে

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী
লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সেনাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।  শনিবার (০৫ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনারা শুক্রবার বিকালের দিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের ওদেইসাহ শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।  গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তাদের ওপর ব্যাপক হারে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ফলে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। সংঘর্ষে ইসরায়েলের বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে।  হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা আবার অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ চলছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সংঘর্ষে নিহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।  এর আগে বুধবার (০২ অক্টোবর) এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়,  হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের তিনটি ট্যাংক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ট্যাংকগুলো লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা রকেটসহ তিনটি মারাকোভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। এসব ট্যাংক মারুন আল-রাস গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এলাকাটিতে সকাল থেকেই ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘর্ষ হয়ে আসছে। এরও আগে লেবাননের সীমান্তবর্তী ওদাইসাহ শহরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। এতে  ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত এবং ১৮ জন আহত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এটি প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ। আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের জন্য দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কেননা হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী শত্রুপক্ষ, যারা দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় বহু বছর ধরে যুদ্ধ করেছে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪

লেবাননের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ল ইসরায়েলি বাহিনী
লেবাননের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সীমান্ত থেকে ৪০০ মিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে তারা।  বুধবার (০২ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে খুব কাছ থেকে সম্মুখ যুদ্ধে পতিত হয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর দাবি, ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। লেবাননের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ব্লু লাইন অতিক্রম করেছে। এটি জাতিসংঘের টহল সীমানা যা ইসরায়েল এবং লেবানন থেকে অধিকৃত গোলান মালভূমি থেকে আলাদা করেছে। এলাকাটি দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের প্রায় ৪০০ মিটার ভেতের প্রবেশ করেছে। এর আগে আলজাজিরা জানায়, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের অন্তত দুই সেনা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ ভোরে লেবাননের সীমান্তবর্তী ওদাইশেহ শহরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই সেনা নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এটি প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ। আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের জন্য দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কেননা হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী শত্রুপক্ষ, যারা দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় বহু বছর ধরে যুদ্ধ করেছে। এর আগে আলজারিরা জানায়, লেবাননে স্থল হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী প্রথমবারের মতো মুখোমুখি প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। বুধবার ভোরে ওদাইসেহ শহরে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাকালে লেবাননের যোদ্ধারা তাদের গতিরোধ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে। এ ব্যাপারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আলজাজিরার কাছে পাঠিয়েছে হিজবুল্লাহ। অঞ্চলটিতে থাকা সাংবাদিকরাও যুদ্ধের আঁচ পাচ্ছেন। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে তারা সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে জয়ের পথে। ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী বাধ্য হয়েছে পিছু হটতে এবং তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।  
০২ অক্টোবর, ২০২৪

সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজা যুদ্ধে চলমান অস্থিরতার মধ্যে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর মাসের পর মাস কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। এমনই তথ্য দিয়েছে ইসরায়েলে কাজ করা একটি এনজিও। খবর আনাদোলু এজেন্সির।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি এক বিবৃতিতে বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্তত ৯১ জন সাংবাদিককে আটক করেছে। এদের মধ্যে এখনো ছয় নারী সাংবাদিকসহ ৫৩ জন ইসরায়েলি কারাগারে আটক রয়েছেন। আটক সাংবাদিকদের মধ্যে গাজার বাসিন্দা সাংবাদিক ১৬ জন এবং অন্যান্য ১৭ জনকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটকের তথ্য পেয়েছে এনজিওটি। তাদের ইসরায়েলের প্রশাসনিক আটক নীতির অধীনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি আরোপ করা হতে পারে। এ জন্য মিথ্যা অভিযোগপত্রও প্রস্তুত করতে পারে ইসরায়েলি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এনজিওটির তথ্য অনুসারে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্তত ৯ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫৯০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৫ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাজারো মানুষ কাতরাচ্ছেন। তাদের অনেকের ভাগ্যে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাও জুটছে না। হামলা হচ্ছে হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক সংস্থার চিকিৎসা ক্যাম্পেও। তবে আশার কথা হলো গত ১৯ জুলাই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। রায়ে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের কয়েক দশক ধরে দখলদারত্বকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বিদ্যমান সব ইসরায়েলি বসতি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানায় আদালত।
২৫ জুলাই, ২০২৪

লেবাননের যে অস্ত্রের ভয়ে কাঁপছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে এরই মধ্যে সাপের লেজে পা দিয়েছে ইসরায়েল। এবার সে যুদ্ধ যদি উত্তর সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননে ছড়ায় তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে আয়রণ ডোম কোনোভাবেই নিরাপত্তা দিতে পারবে না তেলআবিবকে। কিন্তু কেন? কী এমন অস্ত্রের বলে এমন শঙ্কায় ভুগছে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ বেধে গেলে ইসরায়েল ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। বলা হচ্ছে, আয়রন ডোমসহ ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোতে যত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তার চেয়ে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সংখ্যা বেশি।  সম্প্রতি লেবাননে স্থল ও আকাশপথে হামলা চালানোর প্রস্তুতির কথা জানায় ইসরায়েল। এরপরই ইরানপন্থী গোষ্ঠীটির বিপুর পরিমাণ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে পড়তে পারে ইসরায়েল, এমন আশঙ্কা জেকে বসেছে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে। গত বুধবার দক্ষিণ গাজা থেকে সামরিক সরঞ্জাম লেবানন সীমান্তে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, আয়রন ডোমের কয়েকটি ব্যাটারির পাল্টা হামলা ঠেকানোর পুরো সক্ষমতা নেই। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই আয়রন ডোম। এর পেছনে প্রতি বছর ২৯০ কোটি ডলারের খরচ করে থাকে তেলআবিব। ইসরায়েলের দাবি গত বছর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর চালানো রকেট হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে আয়রন ডোমের সফলতার হার ছিল ৯৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে তাদের চেয়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী অনেক বেশি শক্তিশালী।  বছরের পর বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আসছে ইরান। ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব অস্ত্র দিয়ে তারা বড় ধরনের হামলা চালালেই কেবল সেগুলো ঠেকানোর সক্ষমতা হারাতে পারে আয়রন ডোম। অবশ্য এরই মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে লেবাননের ইরানপন্থী গোষ্ঠীটি। চলতি মাসের শুরুতে আয়রন ডোমের একটি ব্যাটারিতে হামলা চালিয়েছে তাদের ড্রোন। চলতি সপ্তাহেই গোষ্ঠীটির ড্রোন থেকে ধারণ করা এক ভিডিওতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনার চিত্র ধরা পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ধারণা, লেবাননের সংগঠনটির হাতে প্রায় দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট আছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের ৪০ থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা রয়েছেন। তবে গত বুধবার সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ জানিয়েছেন, এই সংখ্যাটা এক লাখের অনেক বেশি। এর মধ্যে হিজবুল্লাহর বিশেষ বাহিনী ‘রেদওয়ান ফোর্সের’ সদস্যরাও রয়েছেন। হাসান নাসরাল্লাহ জানান, লেবাননের ওপর যদি যুদ্ধ ‘চাপিয়ে’ দেওয়া হয়, তাহলে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করবে না তার দল।
২৪ জুন, ২০২৪

জাতিসংঘের ‘কালো তালিকায়’ ইসরায়েলি বাহিনী
শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দায়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদের সভায় উত্থাপনের পর সপ্তাহখানেক বাদে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা রয়েছে। যুদ্ধনীতি ভেঙে যেসব দেশ শিশুদের ওপর চড়াও হয়েছে, সেসব দেশকে নিয়ে এ তালিকা করেছে সংস্থাটি। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাদের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এ সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদকেও এই তালিকাভুক্ত করা হবে। গিলাদ এরদান বলেন, শুক্রবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত নিয়ে গুতেরেসের ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে, তাতে এই বৈশ্বিক তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকাটিতে ছয় ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের কথা হয়েছে। এগুলো হলো হত্যা, পঙ্গুত্ব, যৌন সহিংসতা, অপহরণ, শিশুশ্রমিক নিয়োগ ও ব্যবহার, ত্রাণ সরবরাহে বাধা এবং স্কুল ও হাসপাতালে হামলা। তবে ইসরায়েল, হামাস বা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাতে জাতিসংঘ জানায়, আট মাস ধরে চলা যুদ্ধে হামাসশাসিত এই ভূখণ্ডে কমপক্ষে ৭ হাজার ৭৯৭ শিশু নিহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি সংবাদমাধ্যম, সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার শিশু নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য চাইল্ডের মতে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ৩৮ শিশু নিহত হয়েছে এবং জিম্মি হওয়া ২৫০ জনের মধ্যে ৪২ জন শিশু। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, মহাসচিবের চিফ অব স্টাফ শুক্রবার ইসরায়েলের দূত এরদানকে নতুন তালিকাভুক্ত দেশগুলোর বিষয়টি ফোন করে জানান। পরে এরদান সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মহাসচিবের এ সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও মর্মাহত। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী, তাই এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত কেবল সন্ত্রাসীদের সহায়তা করবে এবং হামাসকে উৎসাহিত করবে। দুজারিক ভিডিওটির আংশিক প্রকাশকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সত্যিই জাতিসংঘে আমার ২৪ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন কিছু কখনো দেখিনি।’
০৯ জুন, ২০২৪

শিশুদের পোশাক খুলে দাঁড় করিয়ে রাখে ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সব ধরনের অপরাধ করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এবার নেতানিয়াহুর বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-কারারা শহরে শিশুদের পোশাক খুলতে বাধ্য করে। খবর আনাদোলু এজেন্সির। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আনাদোলুর সাংবাদিক পোশাক খুলে শিশুদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি ধারণ করেছে। ইসরায়েলি সেনারা বুধবার (৫ জুন) ভোরে ভারি বোমাবর্ষণের মধ্য দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় শিশুদের পোশাক খুলতে বাধ্য করে। পরে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।  তবে এ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত এ ব্যাপারে ইসরায়েলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও তারা অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৮৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  এদিকে গাজার তীব্র হয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু লাশ। এত ভয়াবহতার পরও থামছে না ইসরায়েল। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এক রায়ে আদালত তেলআবিবকে অবিলম্বে দক্ষিণের শহর রাফাতে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এতেও কর্ণপাত করছে না দখলদাররা।
০৬ জুন, ২০২৪

গাজার উত্তরে প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ার সরু গলিপথগুলোর সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে এগোচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের বিমান থেকে ছোড়া বোমা আর ট্যাঙ্কগুলো মার্কেট, দোকান ও বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার প্রতিরোধের চেষ্টা করছে হামাসের যোদ্ধারা। এতে ওই অঞ্চলের সরু পথগুলোতে দুপক্ষের তীব্র লড়াই হচ্ছে। আর দক্ষিণের রাফার চতুর্দিকে জড়ো হওয়া ইসরায়েলের ট্যাঙ্কগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে হামাস। খবর রয়টার্সের। স্থানীয়রা বলছেন, গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ার কেন্দ্রস্থলের বাজার এলাকায় ইসরায়েলের সাঁজোয়া যানের বহর ঢুকে পড়েছে। সেগুলো এগিয়ে যাওয়ার পথে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি, দোকানসহ আশপাশের সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম জাবালিয়ার বাসিন্দা আয়মান রজব রয়টার্সকে বলেন, ‘বিমান ও ট্যাঙ্কগুলো আবাসিক এলাকা, মার্কেট, দোকান, রেস্তোরাঁসহ সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে।’ ইসরায়েল জানিয়েছিল, যুদ্ধের প্রথম দিকেই সামরিক বাহিনী জাবালিয়া পরিষ্কার করে ফেলেছিল। তবে হামাসের ফের সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা রুখে দিতে গত সপ্তাহে আবার তাদের বাহিনী সেখানে ফিরেছে। এরই মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। এর সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা শুক্রবার ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে তাদের সেনারা জাবালিয়ায় ৬০ জনেরও বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং একটি ‘ডিভিশনাল পর্যায়ের অভিযানে’ অস্ত্র গুদাম খুঁজে পেয়েছে। ডিভিশনাল পর্যায়ের অভিযানে সাধারণত কয়েক হাজার সেনা সম্বলিত বেশ কয়েকটি ব্রিগেড অংশ নিয়ে থাকে, তাতে এটি গাজা যুদ্ধের অন্যতম বৃহত্তম অভিযানের রূপ নিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী আইডিএফ বলেছে, ‘সপ্তম ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র বহু বিমান হামলা পরিচালনা করেছে, এতে শত্রু নির্মূল হওয়ার পাশাপাশি তাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।’ আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সেখানে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল ফালুজা নামক এলাকায় পানি আনতে গিয়ে অন্তত আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ ছাড়া খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। গতকালও মিশরের সীমান্তবর্তী রাফার আকাশে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডু্লী উঠছিল। এখানে বাড়তে থাকা ইসরায়েলি হামলার কারণে শহরটি থেকে কয়েক লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে। গাজার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রাফাহ। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র জিনস লার্কে বলেছেন, ‘লোকজন আতঙ্কিত হয়ে আছে আর পালানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েলের নির্দেশ অনুযায়ী অধিকাংশ বাসিন্দা উত্তর দিকে উপকূলের দিকে সরে যাচ্ছে। তবে সেখানে যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ সড়ক নেই।’ শুক্রবার ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধবিমানগুলো রাফার কয়েকটি অংশে বোমা বর্ষণ করেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড ও তাদের মিত্র ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, রাফার পূর্বদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং মিশরের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিংয়ের ভেতরে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে তারা ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গোলা ও মর্টারের গোলা ছুড়েছে। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মূল ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, ৬ মে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর রাফাহ থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাড়ে সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে অন্তত ৩৫ হাজার ৩০৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ত্রাণ সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করে বলেছে, ব্যাপক অনাহার এবং জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইসরায়েল বলছে, হামাসকে ধ্বংস ও তাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই রাফাহ দখল করতে হবে। তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজার উপকূলে তাদের স্থাপিত অস্থায়ী জেটি থেকে ত্রাণ নিয়ে ট্রাকগুলো ভূখণ্ডটির ভেতরে প্রবেশ করা শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম অবরুদ্ধ গাজায় সাগরপথে ত্রাণ পৌঁছানো শুরু হল। তবে এ উদ্যোগ কোনোভাবেই স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারবে না বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
১৯ মে, ২০২৪

রোগী চিকিৎসক কাউকে রেহাই দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনীর ১৩ দিনের অভিযানে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার তথ্য দপ্তর গতকাল রোববার এ কথা জানায়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছেন। খবর আলজাজিরার ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হামাসের জ্যেষ্ঠ সন্ত্রাসীরা হাসপাতালটি ব্যবহার করছেন—এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি চালানো হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, হাসপাতাল এলাকায় বিমান হামলা হয়েছে। চলেছে স্থল অভিযানও। আল শিফা গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। গত বছরের নভেম্বরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছিল। এ নিয়ে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্ষোভ জানিয়েছিল। চলমান যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে শনিবার আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ১৭ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। এর আগে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছিল। ইসরায়েল এর আগেও কয়েক দফায় গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এ ধরনের হামলা চালিয়েছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়, গাজার আল কুয়েত গোলচত্বরে এ হামলা চালানো হয়। সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনিরা কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার ওই মোড়ে জড়ো হচ্ছেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তারা একের পর এক ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। এর আগে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট বলেছিল, গত শুক্রবার একই গোলচত্বরে সাহায্য বিতরণের সময় বন্দুক হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হন। সেসময় হাজার হাজার মানুষ সেখানে ময়দা এবং অন্যান্য সরবরাহ বহনকারী ট্রাকগুলোর আসার অপেক্ষায় জড়ো হয়েছিলেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য ও সহায়তা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিকবার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে এবং এতে বহু সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

গাজায় অর্থ লুট করছে ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অভিযানে ব্যাপক ধ্বংস ও হত্যার পাশাপাশি লুটপাটও চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত তিন মাসে উপত্যকা থেকে প্রায় আড়াই কোটি ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের অর্থ স্বর্ণালংকার ও শিল্পকর্ম লুট করেছে ইসরায়েলি সেনারা। উপত্যকায় ক্ষমতাসীন হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি মিডিয়া অফিস রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য। খবর আলজাজিরার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ৯২ দিনের অভিযানে উপত্যকার বাসিন্দাদের বাসভবন, ব্যাংক ও দোকান থেকে ৯ কোটি শেকেল (আড়াই কোটি ডলার) সমমূল্যের অলংকার, অর্থ ও শিল্পকর্ম লুটপাট করেছে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে যেসব ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের দিকে ছুটছেন, তাদের বাড়িঘরে ঢুকে মূল্যবান সামগ্রী যা পেয়েছে হাতিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকা ফিলিস্তিনিদের তল্লাশির নামে তাদের কাছ থেকে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিয়েছে টহলরত ইসরায়েলি সেনারা। অনেক সেনা আবার লুটপাটের পর লুণ্ঠিত সামগ্রীর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেছে। গাজার মিডিয়া অফিসের এ অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X