লেবাননে ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ নিশানায় ইসরায়েলের হামলা
গাজার পর এবার লেবাননে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটিতে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে তারা। গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ১৫০টির বেশি নিশানায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।  রোববার (০৬ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ  তথ্য জানানো হয়েছে।  আইডিএফ জানিয়েছে, স্থল অভিযান চলাকালে রোববার তারা লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ১৫০টির বেশি নিশানায় হামলা চালিয়েছে। এছাড়া তারা হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি দাহিয়েহের বেশ কয়েকটি ভবনের কাছাকাছি বেসামরিক লোকদের জন্য আরও সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করেছে।  এ এলাকাটি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।  সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৯৮ এবং ৩৬ ডিভিশনের সঙ্গে সেনারা অভিযান চালিয়ে অস্ত্রাগার টানেল ও হিজবুল্লাহর অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে এ হামলা চালানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দিন হিজবুল্লাহর সেনাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া তাদের ও তাদের স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।  এদিকে বিবিসির এক বিশ্লেষনে বলা হয়েছে, সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য। গত এক বছরে বিশ্বে অনেক বিপদের মুহূর্ত এসেছে। তবে এবারেরটি সব চেয়ে ভয়াবহ। গত সাত দিনের মধ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইসরায়েলে। তেহরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭–এর পক্ষ থেকে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। গত এক সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কারণে মূলত এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় লেবাননের বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালায়। সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনেক আবাসিক ভবন ধসে পড়ে। মাটিতে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। আকাশ ধুলাবালি ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। পুরো লেবানন থেকে ওই দৃশ্য দেখা যায়। এ হামলা হয় মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লাহর বাংকার লক্ষ্য করে। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের এক সপ্তাহ ধরে চালানো হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর আসে। তারও এক সপ্তাহ আগে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে লক্ষ্য করে পর পর অসংখ্য ওয়াকি-টকি এবং পেজার বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এতে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং তিন হাজার জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
০৭ অক্টোবর, ২০২৪

নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা হাশেম সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। খবর আলজাজিরার। হামলায় হাশেম সাফিউদ্দিন আহত বা নিহত হয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেনি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। হাশেম সাফিউদ্দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর স্বজন। বৃহস্পতিবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকণ্ঠে ১১ বার ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মাটিতে মিশে গেছে অনেক আবাসিক ভবন। হিজবুল্লাহর দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির একজন সাফিউদ্দিন। হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সংগঠনের প্রধানের দায়িত্ব পাবেন। সাফিউদ্দিন বর্তমানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান। হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির উপপ্রধান নাইম কাশেমও। সাফিউদ্দিন লেবাননের টায়ার শহরের কাছে দের কানুন এন-নাহর গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে ইরাকের নাজাফ ও ইরানের কম শহরে শিয়াদের প্রধান দুটি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। হিজবুল্লাহর যাত্রার শুরুর দিকেই তারা একসঙ্গে সংগঠনটিতে যোগ দেন। ইরানের সঙ্গে সাফিউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তিনি ইরানের আলোচিত সেনাপ্রধান নিহত কাশেম সুলাইমানির মেয়ের জামাই। কাশেম ২০২০ সালে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন। হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনটির শুরা বা পরামর্শ পরিষদের প্রধান সদস্য ও জিহাদ কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাফিউদ্দিন। আলজাজিরার একজন প্রতিবেদক বলেন, একটি, দুটি কিংবা তিনটি নয়—বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠ দহিয়েহ এলাকায় ১১টি বোমা আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি। এসব বোমা মাটির অনেক গভীরে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাশেম সাফিউদ্দিন হিজবুল্লাহর অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন। তিনি ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই হিজবুল্লাহর সঙ্গে আছেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সংগঠনটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে বলেনি যে, সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। আবার হিজবুল্লাহও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফিউদ্দিনকে সন্ত্রাসী তকমা দেয়। গত জুনে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওই কমান্ডারের দাফন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘(শত্রুরা) কান্না ও বিলাপের জন্য প্রস্তুত হও।’ সাফিউদ্দিনের বিবৃতিতে প্রায় সময়ই হিজবুল্লাহর শক্তিশালী সামরিক অবস্থানের বিষয়গুলোর প্রতিফলন থাকে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। তাকে হত্যার পর গোটা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চরমে উঠেছে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪

লেবাননের প্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির রাজধানী বৈরুতে দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি উপশহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি-এনএনএ জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও রয়েছে। একটি ভবনে হামলা চালানোর পর ওই শিশুরা হতাহত হয়। আবাসিক এলাকায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে দুটি হামলা চালানো হয় জানায় এনএনএ। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা লেবাননের রাজধানীতে একটি ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’ চালিয়েছে। হামলার স্থান লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ দাহিয়াহ ফ্যাসিলিটির কাছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এ ঘটনায় বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। আলজাজিরা জানিয়েছে, দাহিয়াহ লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শক্ত অবস্থান হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে, টার্গেটেড আততায়ী হামলা চালানো হয়েছে সেখানে। এর আগেও এই এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবারের ওই হামলায় বেসামরিক ব্যক্তি হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এর আগে দিনের শুরুতে উত্তরাঞ্চলীয় ইসরায়েলে ১৪০টি রকেট দিয়ে হামলা চালায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এর আগে গ্রুপটির প্রধান হাসান নাসারুল্লাহ পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিন বারে ওই রকেট হামলা চালানো হয়।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লেবাননে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (১৭ আগস্ট) ভোরে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিহ শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েল হামলা করে। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।  সম্প্রতি এই অঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উত্তেজনা বেড়েছে। ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে মারাত্মক রকেট হামলার পর সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বৈরুতের শহরতলীতে হামলা করে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর হিজবুল্লাহও প্রতিশোধের অঙ্গীকার করে। তারা যুদ্ধ প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে বলে জানায়। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে হত্যা করা হয়। এ গুপ্তহত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়, ইরানের সঙ্গে হিজবুল্লাহ-হুতির মতো বাহিনীগুলো যোগ দেবে। এ নিয়ে এখনো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
১৭ আগস্ট, ২০২৪

এবার লেবাননের রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলা
এবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ হামলা হয়। এতে অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৭৪ জনের বেশি আহত হয়েছেন।  আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল তাদের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা। বেসামরিক নাগরিক বা স্থাপনার ওপর হামলার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। জানা গেছে, লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া ওই কমান্ডারের নাম মুহসিন শোকর। তিনি হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নসরুল্লাহর সামরিক উপদেষ্টা। এ নেতা ফুয়াদ শোকর নামেও পরিচিত। তিনি হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের আক্রমণ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।  এদিকে হামলার পর মুহসিন শোকরের অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল বলছে, অভিযান সফল হয়েছে। কুখ্যাত কমান্ডার নিহত হয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহ বলেছে, এ হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তাদের শীর্ষস্থানীয় এই কমান্ডার। এটি তাদের গোয়েন্দা সফলতা। ফিলিস্তিন ইস্যুতে গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ে হিজবুল্লাহর। গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে হিজবুল্লাহ সীমান্তঘেঁষা ইসরায়েলি এলাকায় হামলা করে আসছে। জবাবে ইসরায়েলও হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে দুই শক্তির মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখা দেয়। এরই মধ্যে গত শনিবার ইসরায়েলের দখলে থাকা গোলান মালভূমির দ্রুজ অধ্যুষিত মাজদাল শাম গ্রামে খেলার মাঠে রকেট হামলা হয়। এতে ১২ জন নিহত হন। এ হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করে ইসরায়েল। অঙ্গীকার আসে প্রতিশোধ গ্রহণের। এ পরিস্থিতিতে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই সরাসরি রাজধানীতে হামলা হলো। এদিকে রাজধানীতে হামলার আগেই উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করে হিজবুল্লাহ। ইতোমধ্যে তারা তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের স্থানান্তরও শুরু করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, ইসরায়েলিরা লেবাননে যদি বড় কোনো হামলা চালায় তাহলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। আর এর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে লেবানন।  তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদেশিদের পক্ষ থেকে তাদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েল হামলা চালালেও তারা যেন কোনো প্রতিশোধ না নেয়। কিন্তু হামলা হলে তারা অবশ্যই পাল্টা হামলা চালাবেন। তবে এটির পরিধি কেমন হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছেন, আগ্রাসনের জবাবের পরিধি ও বিস্তৃতি ঠিক করবেন প্রতিরোধ বাহিনীর নেতারা। বিদেশি দূতরা বলছেন ইসরায়েল হামলা চালালে আমরা যেন প্রতিশোধ না নেই, যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না দেই। কিন্তু আমরা জবাব দেব। এই নেতা আরও হুমকি দিয়েছেন, যদি ইসরায়েলি সেনারা লেবাননে স্থল হামলা চালায় তাহলে হিজবুল্লাহও দখলদার ইসরায়েলে স্থল হামলা চালাবে। তিনি বলেছেন, আমরা ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো স্থল হামলার আশঙ্কা করছি না। কিন্তু তারা যদি স্থল হামলা চালায় তাহলে আমরা প্রস্তুত। যদি তারা লেবাননে প্রবেশ করে তাহলে আমরা গ্যালিলিতে (ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী অঞ্চল) প্রবেশ করব। এ ধরনের হুংকারের মধ্যেই ইসরায়েল রাজধানীতে হিজবুল্লাহর প্রাণকেন্দ্রে হামলা চালালো। এখন হিজবুল্লাহ কী জবাব দেবে তাই দেখার বিষয়। 
৩১ জুলাই, ২০২৪

লেবাননের যোদ্ধাদের একাধিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা
ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান মালভূমিতে হামলার জবাবে লেবননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর একাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (২৭ জুলাই) রাতভর এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।  রোববার (২৮ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের গভীরে হিজবুল্লাহর সাতটি স্থাপনাকে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা গয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান হিজবুল্লাহর অস্ত্র ডিপোসহ পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকা, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর টায়রের কাছাকাছি শাব্রিহা ও বুর্জ এল-শেমালি এবং কাফর লিলা, রব আল-থালাথিন, খিয়াম ও তায়র হারফার গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়েছে।  এর আগে হিজবুল্লাহকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, গোলান মালভূমিতে হামলার ঘটনায় হিজবুল্লাহকে চরম মূল্য দিতে হবে।  ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা ও সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, গোলান মালভূমির মাজদাল শামস এলাকায় একটি ফুটবল মাঠে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের ১১ জনই কিশোর ও তরুণ বয়সের। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতাকে এ হত্যাকাণ্ডের জবাব দেওয়ার কথা জানান। বলেন, হিজবুল্লাহকে এ জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। অবশ্য ইসরায়েলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল।
২৮ জুলাই, ২০২৪

এবার জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলের হামলা
গাজায় এবার জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গাজা মিডিয়া অফিস এ দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) নুসেইরাত এলাকায় স্কুলটি পরিচালনা করছিল। এটি উদ্বাস্তুদের আবাস হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছিল। সংবাদমাধ্যমটির বৃহস্পতিবারের (৬ ‍জুন) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে তারা স্কুলকে টার্গেট করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, বিদ্যালয়টি হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।  এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলে, হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বোমা ফেলে। হামলায় নিহতরা ‘সন্ত্রাসী’।  তবে নিহতদের বিষয়ে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। হতাহতের বিষয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক কিছু জানায়নি। ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও তারা অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৮৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে গাজার তীব্র হয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু লাশ। এত ভয়াবহতার পরও থামছে না ইসরায়েল। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এক রায়ে আদালত তেলআবিবকে অবিলম্বে দক্ষিণের শহর রাফাতে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এতেও কর্ণপাত করছে না দখলদাররা। নেতানিয়াহুর বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-কারারা শহরে শিশুদের পোশাক খুলতে বাধ্য করে। আনাদোলুর সাংবাদিক পোশাক খুলে শিশুদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি ধারণ করেছে। ইসরায়েলি সেনারা বুধবার (৫ জুন) ভোরে ভারি বোমাবর্ষণের মধ্য দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় শিশুদের পোশাক খুলতে বাধ্য করে। পরে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
০৬ জুন, ২০২৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে চীনের অভিনব প্রচার
বিশ্বব্যাপী পরাশক্তিগুলো যখন ইসরায়েলের নগ্ন দালালিতে ব্যস্ত তখন সবার বিপরীতে গিয়ে ফিলিস্তিনি ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে চীন। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও গাজা যুদ্ধ বন্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ফিলিস্তিনপন্থি পোস্টের মাধ্যমে ক্রমাগত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে বেইজিং। যার প্রমাণ মেলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে।  চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল ঘুরে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি হামলা থেকে শুরু করে গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের বিভিন্ন ছবি, ভিডিও পোস্ট করেছে চীনা কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার ছবিও পোস্ট করছে বেইজিং। গাজা হামলার প্রতিবাদের পাশাপাশি ৭৬ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের জীবনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিপর্যয়ের সঙ্গে বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের নিজ বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার ছবিও পোস্ট করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর ঘটে যাওয়া মানবিক অত্যাচার ও অবিচারের কথা উল্লেখ করে তার ইনসাফভিত্তিক সমাধান দাবি করে বেইজিং। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচার ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলি গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায়ও ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে চীন। এমনকি জাতিসংঘে দেশটির পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তিতেও নিজেদের সমর্থনের কথা জানায় বেইজিং প্রশাসন।  এর আগে মার্চে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দেখা করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দূত ওয়াং কেজিয়ান। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা গাজায় চলমান সংঘাত ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ফিলিস্তিনের জাতীয় ঐক্যের খাতিরে হামাসের সঙ্গে বেইজিং তার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী বলেও জানান কেজিয়ান। তবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি চীন সরকার। সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকে ফিলিস্তিনের জন্য আরও ৬৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেয় জিনপিং প্রশাসন। এ সময় চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। চিরদিনের জন্য ন্যায়বিচার অনুপস্থিত থাকতে পারে না এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। যাতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।
০৫ জুন, ২০২৪

ইরানের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছাড়ল আরব আমিরাত
যুক্তরাষ্ট্রের ইশারায় নাচলেও কিছু করার আগে দুবার ভেবে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ইরানের ভয়েই অনেক আরব দেশ চাইলেও প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পরম মিত্র ইসরায়েলের তোষামোদি করতে সাহস পায় না। এবার তেমনটাই ঘটছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে। ইরানের ভয়ে আমিরাতের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। ইরান ও দেশটির সমর্থিত মিলিশিয়াদের হামলার ভয়েই আমিরাত পিছু হটেছে। আরব সেন্টার ওয়াশিংটন ডিসির নন-রেসিডেন্ট ফেলো গ্রেগরি আফতানডিলিয়ান এক নিবন্ধে লিখেছেন, আবুধাবির আল দাফরা বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে ইরানের প্রক্সিদের ওপর হামলা চালাতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইরান ও তার মিত্র মিলিশিয়ারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে হামলা চালাতে পারে, এমন ভয়ে ওয়াশিংটনকে না করে দিয়েছে দেশটি। উপায় না দেখে কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের দীর্ঘ সংঘাতে চাপে পড়েছেন জো বাইডেন। ইসরায়েল হামাসকে হারাতে পারছে না, আর বাইডেন নেতানিয়াহুকে বোঝাতে পারছেন না। এমতাবস্থায় আবুধাবি থেকে বিমান হামলা চালাতে চেয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু ব্যবসায় ক্ষতির শঙ্কায় পিঠটান দিয়েছে আমিরাত সরকার। তাদের ভয় এতে তারা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। জনমতের বিপরীতে গিয়ে ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু গেল বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন সাধারণ আমিরাতিদের মনে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। এখন ব্যবসার পরিবেশ ঠিক রাখতে আতঙ্কে ভুগছেন আমিরাতের কর্মকর্তারা। কী করবেন বুঝতে পারছেন না তারা। আবার যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইরান কাউকেই চটাতে চায় না আবুধাবি। সব মিলিয়ে আমিরাতের অবস্থা শ্যাম রাখি না কূল রাখি। কয়েক দশক ধরে হরমুজ প্রণালির ৩টি দ্বীপ নিয়ে আমিরাত-ইরানের দ্বন্দ্ব চলছে। তারপরও দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। এত দিন পর্যন্ত দেশটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিকে নিজ দেশের জন্য সুরক্ষা কবজ হিসেবে মনে করে আসছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু গেল এক দশকে তেহরান-আবুধাবির সম্পর্ক নানা উত্থান-পতন দেখেছে। তবে আঞ্চলিক সংঘাতের মাঝে পড়ে প্রাপ্তির চেয়ে হারানোর ভয় বেশি, এমন শঙ্কায় হাত গুটিয়ে বসে থাকতে চাইছে আবুধাবি।
০৩ জুন, ২০২৪

যে কারণে পুলিৎজার জিতল রয়টার্স
সাংবাদিকতার নোবেল খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার এ বছর জিতেছে রয়টার্স। ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে বার্তাসংস্থাটি। গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ছবি তাদের এ সম্মান এনে দেয়। সোমবার কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে। সেই ঘোষণাপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জানা গেছে, গত বছর থেকেই গোটা বিশ্বের চোখ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের এ অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণ আর নির্মম নিপীড়ন কাঁদিয়েছে গোটা মানবতাকে। ইহুদিবাদী দেশটির সামরিক বাহিনীর এসব নিপীড়ন আর ধ্বংসযজ্ঞের ছবি প্রকাশ করে এ বছরের আলোকচিত্র বিভাগে পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  ব্রিটিশ বার্তা সংস্থার তোলা ছবিগুলোতে ওঠে এসেছে গাজার নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলার গল্প। এবারে পুলিৎজারের জন্য যে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে তার মধ্যে গেল বছরের অক্টোবরে রয়টার্সের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি রয়েছে, যেখানে গাজায় একজন ফিলিস্তিনি মহিলা তার ৫ বছর বয়সী ভাতিজির মৃতদেহকে জড়িয়ে ধরেছেন৷ এই ছবিটি আগে চলতি বছরের জন্য বিশ্ব প্রেস ফটো অফ দ্য ইয়ারের পুরস্কার জিতেছিল। এ ছাড়া টুইটার ও স্পেস এক্সের সিইও ইলন মাস্কের উৎপাদন সাম্রাজ্যের একাধিক তদন্তের জন্য জাতীয় রিপোর্টিং বিভাগে পুলিৎজার জিতেছে রয়টার্স। পুলিৎজার পুরস্কার মূলত যুক্তরাষ্ট্রের। জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার এটি। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা, সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। রয়টার্স ছাড়াও সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিভাগে ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, প্রোপাবলিকা, লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), দ্য নিউইয়র্কার ও দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে।
০৭ মে, ২০২৪
X