Tue, 10 Sep, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বিধবার জমি দখলে নিলেন সাবেক মেম্বার
২১ মিনিট আগে
ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করুন : পীর চরমোনাই
৩১ মিনিট আগে
ডিএমপির ৩৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি
৪৬ মিনিট আগে
বিশ্বকাপ জিততে নেইমারকে চায় ব্রাজিল!
১ ঘণ্টা আগে
মায়ের ওড়না মাথায় পেঁচিয়ে আন্দোলনে যান শ্রাবণ, অতঃপর...
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
কলকাতায় গম্ভীরের জায়গায় কে?
গৌতম গম্ভীর ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিপাকে পড়েছে আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তাদের এখন নতুন মেন্টরের খোঁজ করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে, কেকেআরের প্রাক্তন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার এবং ফিল্ডিং কোচ রায়ান টেন দুশখতেও ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন গম্ভীরের সহকারী হিসেবে। ফলে কেকেআরে সাপোর্ট স্টাফের অভাব দেখা দিয়েছে। এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য সম্ভাব্য মেন্টর হিসেবে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারার নাম সামনে এসেছে। সাঙ্গাকারা বর্তমানে রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই রাজস্থান রয়্যালসের কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে রাহুল দ্রাবিড়কে। সে প্রেক্ষাপটে, সাঙ্গাকারা রাজস্থানের সঙ্গে থাকতে আগ্রহী নন। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী সাঙ্গাকারাকে মেন্টর হিসেবে কেকেআরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে দলটি। গম্ভীরের বদলে সাঙ্গাকারাকে মেন্টরের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বেশ জোরালোভাবেই আলোচনা হচ্ছে। ২০২১ সালে সাঙ্গাকারা রাজস্থান রয়্যালসের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে যোগ দেন এবং ২০২২ সালে রাজস্থানকে আইপিএলের ফাইনালে নিয়ে যান, যদিও ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে যায় তারা। পরবর্তী দুই বছরেও রাজস্থান আইপিএল শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়। এর ফলেই সাঙ্গাকারা রাজস্থানে আর থাকতে রাজি নন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুরুর দিকে শোনা গিয়েছিল, দ্রাবিড় কোচ হলে সাঙ্গাকারা হয়তো রাজস্থানে থেকে যাবেন, কিন্তু সে সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ। কেকেআরের বর্তমান প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। সাঙ্গাকারাকে যদি মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে তাকে পণ্ডিতের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এছাড়াও, কেকেআরকে আইপিএল নিলামের আগে সহকারী এবং ফিল্ডিং কোচ নিয়োগেরও পরিকল্পনা করতে হবে। সাপোর্ট স্টাফ দ্রুত নির্ধারণ করতে চাইছে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটি।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
কলকাতা আদালতে পি কে হালদারের বিচার শুরু
বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ অভিযুক্তদের ভারতের কলকাতার নগর আদালতে তোলা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১ বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলাটি ওঠে। সেখানেই আদালত আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। এই দিন মামলার আরেক অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের জামিনের ব্যাপারে নগর দায়রা আদালতে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। যদিও তার জানানো হয়নি। অন্যদিকে পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদন করা হয়েছে কলকাতার হাইকোর্টে। ৯ সেপ্টেম্বর সেখানে এই জামিনের আবেদন শুনানি হবে। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের সম্পৃক্ত থাকার যে বিষয়টি সামনে এসেছে, তা নিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, এসবই বিচারাধীন বিষয়। আদালতের কাছে রয়েছে। ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাট থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। এ ছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের আরও ৫ সহযোগী- তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ মামলার শুনানি চলছে। আদালতের নির্দেশে পাঁচ অভিযুক্ত রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর আদালতের নারী শেলে।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মমতার পদত্যাগ দাবিতে রণক্ষেত্র কলকাতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কলকাতা। পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবি নিয়ে রাজ্য সচিবালয় ‘নবান্ন’ ভবন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। সংঘর্ষে ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। গ্রেপ্তার করা হয় ২২০ বিক্ষোভকারীকে। সংঘর্ষে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন—এমন অভিযোগ করে আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় এ সাধারণ ধর্মঘট চলবে। অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মঘট প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এ আন্দোলন ছাত্রসমাজের নয়। রাজ্যের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পেছন থেকে অন্য কেউ কলকাঠি নাড়ছে। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইনের। বিক্ষোভকারীদের পদযাত্রা ঠেকাতে রাজ্য পুলিশ সচিবালয় নবান্নের চারপাশে আগে থেকেই দুর্গ গড়ে তোলে। যে কোনো দিক থেকে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ পদযাত্রা ঠেকাতে ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভের ওপর নজর রাখতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যারিকেডও দেওয়া হয় রাস্তায়। এর মধ্যেও মঙ্গলবার সকালের দিকে একদল বিক্ষোভকারী কলেজ চত্বরে জড়ো হয়ে নবান্নের দিকে পদযাত্রা শুরু করে। এ সময় আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। কলকাতার প্রধান প্রধান সব সড়কে শিক্ষার্থীরা নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সব জায়গাতেই পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় পুলিশের দিকে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়লে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ডাক দেওয়া বিক্ষোভে যোগ দেয় রাজ্যের কয়েকটি ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক ফোরাম। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে কালো পোস্টারেও স্লোগান লেখা। কারও কারও হাতে জাতীয় পতাকা। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া সেতুতে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোনোর সময় পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করা হয়। কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) কাছেও কয়েকশ মানুষ মমতার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোনোর চেষ্টা করলে তাদের ওপর জলকামান ছোড়ে পুলিশ। সাঁতরাগাছিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সহিংসতার আশঙ্কায় সাঁতরাগাছি স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের একাংশ নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার পর হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে তাদের আটক করে পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। প্রিন্সেপ ঘাটেও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এ বিক্ষোভের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযুক্ত করেছে। তবে বিক্ষোভের আয়োজকরা বলছেন, এ বিক্ষোভে ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বিক্ষোভের আগে চার ছাত্র নেতাকে মধ্যরাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের কিছু হলে মমতাকে জবাবদিহি করতে হবে। গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে ৩১ বছরের এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। এর পর থেকেই বিক্ষোভ চলছে কলকাতাজুড়ে। মঙ্গলবার আরজি করের ওই ঘটনার বিচার চেয়ে সচিবালয় অভিমুখে এ পদযাত্রা কর্মসূচি ডেকেছিলেন আন্দোলনকারীরা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় ‘নবান্ন’ ভবন থেকে রাজ্যের সব দাপ্তরিক কাজ পরিচালিত হয়। নবান্নতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কার্যালয়ও রয়েছে। ‘এ আন্দোলন ছাত্রদের হতে পারে না’: আরজি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর নবান্ন অভিযান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ২২০ জনকে। কর্মসূচি চলাকালে ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে নবান্ন অভিযানকে ‘বিশৃঙ্খল তাণ্ডব’ বলে অভিহিত করে পুলিশ। এডিডি (দক্ষিণ বঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম অশান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন। এই আন্দোলন কখনো বাংলার প্রকৃত ছাত্রসমাজের হতে পারে না।’ তিনি এ-ও জানান, এই আন্দোলন ছিল দুষ্কৃতকারীদের! একই কথা জানান এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা এবং ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সুপ্রতিম বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা হবে। যাতে পুলিশ বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। আমাদের সেই আশঙ্কা অনেকটা সত্যি হয়েছে।’ ওই আন্দোলনের নেপথ্যে যে চক্রান্ত করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে তাদের কাছে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ রয়েছে বলে জানান সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, কর্মসূচি ঘিরে লাশ ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। অভিযুক্তদের আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
২৮ আগস্ট, ২০২৪
বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কলকাতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজ্যের রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে পুলিশসহ অনেক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে চলা বিক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী মমতাবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি ‘নবান্ন অভিযান’ ঘোষণা করে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা করেন আন্দোলনকারীরা। পথে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের হঠাতে লাঠিপেটা, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস)-এর কাছেও বিক্ষোভকারীদের আটকাতে জলকামান ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবু আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিমুখে যেতে অনড়। তারা ব্যারিকেডের উপরে উঠেও ‘দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ’ স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও রয়েছে এই স্লোগান। কারও কারও হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা নবান্নে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে। এদিকে কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তাদের ইট-পাটকেলে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মতে, হাওড়া ব্রিজ, সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুল এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
২৭ আগস্ট, ২০২৪
আনার হত্যা মামলার চার্জশিট দিল কলকাতা সিআইডি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় প্রথম অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে কলকাতার সিআইডি। গত শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা আদালতে প্রায় ১ হাজার ২০০ পাতার ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। পরে ১৮ মে বরাহনগর থানায় তার নিখোঁজের অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৩ মে প্রথম জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সিআইডি জানিয়েছে, চার্জশিটে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ হাওলাদার এবং মোহাম্মদ সিয়ামের নাম আছে। তবে কী উদ্দেশে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তদন্তকারীরা বলছেন, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনো জেরা করা যায়নি। জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে জিহাদকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন সিয়াম। জিহাদ ও সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একাধিক হাড়গোড়। প্রাথমিকভাবে সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হাড়গোড় মানুষের। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম পুলিশকে জানিয়েছিল, তিনি পলাতক আখতারুজ্জামানের অধীনে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। তার নির্দেশেই তিনি জিহাদকে কলকাতা এনে রাজারহাটে ভাড়া ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন। আনোয়ারুল আজিমকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র, প্লাস্টিকের চাদর, ব্যাগ- সবকিছুই কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা থেকে কিনে আনা হয়েছিল। মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত আসামি ফয়সাল সাজি ও মুস্তাফিজ রহমান মাংস কাটার মেশিন কিনে এনেছিলেন। আজিমকে হত্যার পর তার দেহ থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করা হয়। এরপর মাংস কাটার মেশিনে ছোট ছোট টুকরা করা হয়। সিআইডি সূত্র আরও জানায়, সেই খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ আনোয়ারুল আজিমের কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে চান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই লক্ষ্যে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন এবং রক্তের সম্পর্ক থাকা অন্য ব্যক্তিদের ডেকে তাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ডোরিনকে কলকাতায় আসার জন্য সিআইডির পক্ষ থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি এখনো কলকাতায় আসতে পারেননি।
১৯ আগস্ট, ২০২৪
চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় উত্তাল কলকাতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় সরকারি হাসপাতালের ভেতর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এক নারী চিকিৎসককে। কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো দেশ। এ ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হলেও থামছে না প্রতিবাদের ঝড়। আগামীকাল মঙ্গলবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মৃত ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা প্রতি রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার রুমে বিশ্রাম নেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাছ থেকে খাবার আনান চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই চিকিৎসক। সহযোগী অন্যান্য চিকিৎসকের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খান তিনি। সেদিন মধ্যরাতে অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোর ফাইনালে নেমেছিলেন ভারতের নিরজ চোপড়া। সেই খেলা চিকিৎসকরা সবাই মিলে দেখেন। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ইভেন্ট শেষ হয়। এরপর ২টার দিকে ঘুমোতে যান ৩১ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক। পরদিন সকালে সহযোগী এক চিকিৎসক দেখতে পান, সেমিনার রুমে পড়ে রয়েছে চিকিৎসকের মরদেহ। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোনো কাপড় নেই। শরীরের ওপরের অংশের পোশাকও ছেঁড়া। পাশে পড়ে রয়েছে তার ভাঙা চশমা। শুক্রবার হাসপাতালেই নিহতের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তেই অনুমান করা হয়, ধর্ষণ শেষে খুন করা হয় ওই নারী চিকিৎসককে। এদিকে নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ছাত্ররা। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশও কর্মবিরতি পালন করে। এর ফলে ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিয়ে বের হওয়ার সময় বাধা দেন বিজেপি ও বামকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ একেবারে শুরুতে এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল। যদিও ময়নাতদন্তের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই কারণে ছাত্রদের একাংশ এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, সিবিআই তদন্তে তাদের কোনো আপত্তি নেই। শনিবার একের পর এক মিছিলে স্তব্ধ হয় কলকাতার পথঘাট। এসএফআই, ডিএসও মিছিল করেছে। পথে নামেন কলেজের নারী চিকিৎসক, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা। মৌলালি, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক মিছিল আসে আরজি কর হাসপাতালে। মূল ফটকের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের অবরোধে মুখে আটকে যায় কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের একটি মিছিল। তুমুল ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। একাধিক আন্দোলনকারীকে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
১২ আগস্ট, ২০২৪
আনারকন্যা ডরিন কলকাতা যাচ্ছেন, দেবেন ডিএনএ নমুনা
ডিএনএ নমুনা দিতে ভারতের কলকাতা যাচ্ছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এরই মধ্যে কলকাতার সিআইডি তাকে ফোন করে সেখানে যেতে বলেছে। কলকাতার নিউটাউনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা মাংসখণ্ড ও ডোবা থেকে উদ্ধার হাড়গোড় আনারের কি না, তা নিশ্চিত করতে ডরিনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ গতকাল শুক্রবার কালবেলাকে বলেন, এমপিকন্যা ডরিনকে কলকাতার সিআইডি ফোন দিয়েছিল। তার কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার জন্য যেতে বলেছে। বিষয়টি এরই মধ্যে ঢাকার ডিবি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, এমপিকন্যা বাবার লাশ শনাক্তে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। এরই মধ্যে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তার সঙ্গে ডিবির তদন্তকারী দলের যাওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য এখনো ঠিক হয়নি তারা কবে যাবেন, তবে তা আগামী সপ্তাহেই হতে পারে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে জানিয়েছেন, ডরিনের সঙ্গে ডিবির একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাবে। এজন্য সরকারি আদেশ (জিও) নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রোববার মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে আবেদন করা হতে পারে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ডিএনএ পরীক্ষায় উদ্ধার করা হাড় ও মাংসখণ্ড আনারের নিশ্চিত হওয়া গেলে দেহাংশ দেশে ফিরিয়ে আনতে পরবর্তী সময়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে ভারত যান এমপি আনার। পরদিন থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় কলকাতায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার এক বন্ধু। পাশাপাশি হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন ডরিন। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান নামে তিনজনকে আটকের পর ডিবি জানতে পারে ১৩ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে আনারকে খুন করা হয়। আনারের মরদেহ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ওই তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য নিয়ে কলকাতা যান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ তিন সদস্যদের দল। এরপর সঞ্জিভা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে মানবদেহের মাংস খণ্ড উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। পরে ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে হাড় উদ্ধার করা হয়। এই মাংস খণ্ড ও হাড় আনারের বলে ধারণা করা হলেও তা নিশ্চিতের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা সিআইডি। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত দুই দেশের পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে কলকাতা পুলিশ জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। খুনের পর নেপালে আত্মগোপনে থাকা সিয়াম হোসেন নামে আরেক আসামিকে কাঠমান্ডু থেকে ফিরিয়ে আনে কলকাতা পুলিশ। এদিকে ঢাকার ডিবি প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান ছাড়াও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে মিন্টু ছাড়া অন্য চারজন ঢাকার আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ঢাকার ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড নিহত এমপি আনারের বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। এরই মধ্যে শাহীন ভারত, নেপাল ও দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছে। সে ওই দেশের পাসপোর্টধারী। তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) থেকে ওয়াশিংটনে এনসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
২২ জুন, ২০২৪
কলকাতা থেকে আরেক বাংলাদেশি নিখোঁজ
কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিলওয়ার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন আগে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসেন দিলওয়ার। শহরের ব্যস্ততম এলাকা মির্জা গালিব স্ট্রিটের এক হোটেলে রুম ভাড়া করে রয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাকে আর খুঁজে পায়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে পুরো বিষয়টি নিয়ে পার্ক স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন হোটেল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত মাসেই বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। গত ১২ মে কলকাতায় এসেছিলেন আজিম। ১৩ মে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নিউ টাউনের আবাসনে খুন হয়েছেন তিনি। সিআইডি তদন্তে নেমে প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক কসাই জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের তথ্যের ওপর নির্ভর করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা আমানুল্লা ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী এবং আনারের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর পলাতক। পুরো ঘটনা নিয়েই তদন্ত চলছে। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। এর মধ্যেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে কলকাতায় নিখোঁজ হলেন বাংলাদেশি যুবক।
২১ জুন, ২০২৪
কলকাতা উপ-হাইকমিশনে সাংবাদিক রঞ্জন সেনের মেয়াদ বাড়ল
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) পদে সাংবাদিক রঞ্জন সেনের মেয়াদ আরও বাড়ল। আরও দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
১৩ জুন, ২০২৪
এমপি আনার হত্যা /
নেপাল থেকে এক আসামি ধরেছে কলকাতা সিআইডি : ডিএমপি কমিশনার
ভারতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার আরেক আসামিকে নেপাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা সিআইডি। এর আগে গ্রেপ্তার জিহাদসহ কলকাতা সিআইডির কাছে দুজন আসামি ধরা পড়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, কলকাতা সিআইডি এই হত্যা মামলাটি তদন্ত করেছে। তাদের কাছে দুজন আসামি আছে। একজনকে তারা নেপাল থেকে নিয়েছে। আরেকজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে। নেপাল থেকে কলকাতা সিআইডি কোন আসামি গ্রেপ্তার করেছে তার নাম বলেননি কমিশনার। তবে দেশের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নেপাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম সিয়াম। আনার হত্যার বিচার কোন দেশে হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে ঘটনা সংঘটিত হয় সেখানেই তদন্ত হয়। এটি একটি সেট রুল। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের আইনেও বলা আছে, বিদেশি যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেক্ষেত্রে সেই অপরাধীকে আমরা বাংলাদেশে এনে বিচার করতে পারি....। আমরাও তদন্ত করছি, তারাও (কলকাতা) তদন্ত করছে। একপর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যেকোনো জায়গায় এই বিচারটি হতে পারে। সংসদ সদস্য আনার হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার আছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে। বাকি দুজন কলকাতায়। বাংলাদেশে গ্রেপ্তাররা হলেন- আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও শিলিস্তি রহমান। ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন জিহাদ ও আরেকজন।
০৭ জুন, ২০২৪
আরও
X