থানচিতে বাড়ছে ম্যালেরিয়া নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক
পার্বত্য বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় হঠাৎ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে থাকায় আরেকজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে সেবাদান। এতে রীতিমতো চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক দরকার বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন ও জুলাইয়ের দেড় মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৪ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করে সুস্থ করা হয়েছে। একই মাসে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক কর্মীরা চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ২২২ জন ম্যালেরিয়া রোগীকে। প্রতি বছর বর্ষাকালের শুরুতে জুন-অক্টোবর বান্দরবানের থানচির দুর্গম এলাকায় দেখা দেয় ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাব। নানা প্রতিকূলতায় রোগীরা পাচ্ছে না জরুরি চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ। দুর্গম এলাকায় যাতায়াতব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকায় প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স লালসাংপার বম বলেন, পাহাড়ে বেশিরভাগ মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ দেবতা পূজা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। তবে এ বছর কোনো রোগীকে চিকিৎসার অভাবে মরতে হয়নি। আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ২০২৩ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাড়াও আবাসিক চিকিৎসক ডা. মেহনাজ ফাতেমা তুলি ও আমি মিলে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। চলতি মাসে ডা. তুলি ট্রেনিংয়ে গিয়েছেন। এখন আমাকেই ২৪ ঘণ্টা ডিউটি দিতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, গত জুন থেকে উপজেলা গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক মাত্র দুজন, তার মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে। চিকিৎসক সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও আমাদের চিকিৎসক পোস্টিং দিচ্ছে না। যোগাযোগ করা হলে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, থানচি উপজেলার চিকিৎসক সংকটের কথা জেলার আইনশৃঙ্খলার সভায় উপস্থাপন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
২৪ জুলাই, ২০২৪

থানচিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, ১ চিকিৎসক দিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা
বান্দরবানের থানচি উপজেলা হঠাৎ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে থাকায় অপর একজন চিকিৎসক দিয়ে রীতিমতো চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এ সময়ের পর্যাপ্ত চিকিৎসক দরকার বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে জুন ও জুলাই দেড় মাসের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট ৬৪ জন ম্যালেরিয়া রোগীকে ভর্তি করে সুস্থ করেছেন। একই মাসের এনজিও সংস্থা ব্র্যাক কর্মীদের পাড়া পাড়ায় চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ২২২ জন ম্যালেরিয়া রোগীকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে সেবা দিতে না পেরে ইতোমধ্যে তিনজনকে বান্দরবান জেলা ও একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেছে। প্রতি বছর বর্ষাকাল শুরুতে জুন-অক্টোবর ৪ মাস বান্দরবানের থানচির দুর্গম এলাকায় দেখা দেয় ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাব। নানা প্রতিকূলতায় রোগীরা পাচ্ছেন না জরুরি চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ। দুর্গম এলাকায় যাতায়াতব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকায় প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই এলাকাগুলো। তবে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রোগী স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়েছেন।  চিকিৎসকদের মতে, বর্ষায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে পারে । এদিকে থানচি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মোট ২৭৭টি গ্রামের মধ্যে ৬৬টি গ্রামকে ম্যালেরিয়া রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ও নারী দুটি ওয়ার্ডে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে ম্যালেরিয়া রোগী ৯ জন দেখা মিলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র নার্স লালসাংপার বম বলেন,পাহাড়ে বেশিরভাগ মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে অনেকে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ দেবতা পূজা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। তবে এ বছরে কোনো রোগীকে চিকিৎসা অভাবে মরতে হয়নি। যারা হাসপাতালের ভর্তি হয়েছে তাদের সুস্থ করে তোলার আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব। আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ২০২৩ সাল থেকে  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাড়াও আবাসিক চিকিৎসক ডা. মেহনাজ ফাতেমা তুলি ও আমি দুজন দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। চলতি মাসে ডা. তুলিকে ও ট্রেনিংয়ে নিয়ে গেছে, এখন আমাকে একাই ২৪ ঘণ্টা ডিউটি দিতে হয়। কি করে সম্ভব প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত বোধ হয় একা সামলাইতে হবে। যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, আমি বর্তমানে চট্টগ্রামে ট্রেনিংয়ে আছি এক সপ্তাহ সময় লাগবে। গত জুন হতে উপজেলা গ্রামে গ্রামে ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক মাত্র দুজন তার মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে। চিকিৎসক সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়ে দেওয়ার পর ও আমাদেরকে চিকিৎসক পোস্টিং দিচ্ছে না। চিকিৎসক সমস্যা কারণে কোনো একজন ম্যালেরিয়া রোগী যদি মারা যায় তাহলে আমরা দায়ী থাকব না।  তিনি বলেন, আমি রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে ভ্যাকসিন টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণ চাহিদাপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠালেও এখনো ভ্যাকসিন টিকা দিচ্ছে না। আমাদের কর্মীরা পাহাড়ে হেঁটে চিকিৎসা দিতে গেলে সাপের কামড় দিতে পারে পাহাড়ে প্রচুর সাপ রয়েছে জরুরিভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োজন। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা হাসপাতালে আমাদের একজন চিকিৎসক প্রেষণে রয়েছে তাকে পুনরায় পাঠানো জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এ সময়ের দাবি জানাচ্ছি। যোগাযোগ করা হলে বান্দরবানের সিভিল সার্জেন্ট ডা. মো. মোহাবুবুর রহমান বলেন, থানচি উপজেলার চিকিৎসক সংকট কথা জেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। থানচি থেকে প্রেষণে একজন চিকিৎসক রয়েছে তিনি বদলি হয়ে গেছে। প্রেষণে অপর একজনের আছে সেটি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে জেলা সদরে প্রেষণে থাকলে শিগগিরই থানচি উপজেলা পাঠানো হবে। সাপের কামড়ে ভ্যাকসিন ও শিগগিরই পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, গত বছরে ১১ জুলাই থানচিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক সংকটের কারণে তিনজন শিশু প্রাণ হারায়।
১৫ জুলাই, ২০২৪

ছুরি দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, চিকিৎসক দম্পতি কারাগারে
সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহকর্মীকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করেছে এক চিকিৎসক দম্পতি। এ ঘটনায় চিকিৎসক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী শিশুর মা। রোববার (১৪ জুলাই) সকালে চিকিৎসক ও তার স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সাভারের রাজাশন লালটেক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চিকিৎসক দম্পতি হলেন- সাভারের রাজাশন এলাকার কাজী ইসমাইল ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন পরশ। কাজী ইসমাইল ৪২তম বিসিএস ক্যাডার ও বরগুনা সদর হাসপাতালে কর্মরত। নির্যাতনের শিকার শিশুটি সাভারের বিরুলিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মিম। এ ঘটনায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক কাজী ইসমাইল ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন পরশ ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সঙ্গে পূর্বপরিচয়ের সুবাদে মিমকে গৃহকর্মী হিসেবে তাদের বাসায় কাজে নেয়। গত ১ বছর কাজ করার পরেও ঠিকমতো তাকে বেতন দেয়নি। সেই বেতনের টাকা চাইলে শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের বিষয়টি যাতে শিশুটি তার পরিবারকে জানাতে না পারে সে জন্য সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে নির্যাতনে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায় তারা। নির্যাতনের শিকার শিশু মিম বলেন, আমি ওই বাসায় প্রায় ১ বছর ধরে কাজ করছিলাম। ওই বাসায় যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন আমাকে আদর করেছে। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই আমাকে মারধর করতে থাকে। সর্বশেষ আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে সারা শরীরে খুঁচিয়ে নির্যাতন করেছে। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক সায়েমুল হুদা কালবেলাকে বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশুটি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। আমরা তার সার্বক্ষণিক চিকিৎসায় মনোযোগ দিচ্ছি। শিশুটি এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে তা সারা শরীরে নতুন এবং পুরাতন মিলিয়ে যথেষ্ট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  সাভার মডেল থানার ওসি শাহ জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের দোষী মনে হওয়ায় থানায় একটি মামলা নিয়ে চিকিৎসক ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করি।  তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা শিশুটিকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। একজন ছোট্ট শিশুকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ছুরি, রান্নার খুন্তি ও তার দিয়ে শিশুটির শরীরে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়েছে। সাভার মডেল থানা পুলিশ  শিশুটিকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দিচ্ছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিকিৎসা চলমান রয়েছে। ওসি শাহ জামান আরও বলেন, রোববার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 
১৪ জুলাই, ২০২৪

সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে স্বাচিপের দীর্ঘদিনের গ্রুপিং আবারও প্রকাশ্যে
খুলনায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ জুলাই। ওই দিন খুলনা জেলা শাখা, খুলনা মেডিকেল কলেজ শাখা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলা শাখার সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভেন্যু নির্ধারণ নিয়ে খুলনায় আওয়ামী পন্থি চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের গ্রুপিং আবারও প্রকাশ্যে এলো। তোপের মুখে সংগঠনটির কার্যকরী কমিটির সভা মুলতবি করে সভা শেষ করতে হয়েছে বর্তমান নেতৃত্বকে।  এদিকে এবারের সম্মেলনে নতুন চমক খুলনা মেডিকেল কলেজ কমিটি। দেশের বড় শহরগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবারও কেন্দ্র থেকে মেডিকেল কলেজ শাখা কমিটি করা হবে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। তবে সম্মেলনের সময় যত এগিয়ে আসছে খুলনায় চিকিৎসকদের মধ্যে বিদ্যমান গ্রুপিং আরও মাথাচাড়া দিচ্ছে।  রোববার (৭ জুলাই) রাতে খুলনা স্বাচিপের নির্বাহী কমিটির সভায় সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আবারও প্রকাশ্যে আসে। মিটিংয়ে উপস্থিত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক কাওসার আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়- আগামী ১৪ জুলাই খুলনা স্বাচিপের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবং খুলনার বেসরকারি টাইগার গার্ডেন হোটেলের কমিউনিটি সেন্টারকে সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে বলা হয়েছে। এ চিঠি পাওয়ার পর খুলনা জেলা স্বাচিপের নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করে কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মেহেদী নেওয়াজ। এতে সভাপতিত্ব করেন ডা. সামসুল আহসান মাসুম।  তবে তাদের অজ্ঞাত রেখে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারণ করে দেওয়ায় বিরোধ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাহী কমিটিতে সভায় যোগ দেওয়া ডা. গাজী মিজানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য।  সম্মেলনে উপস্থিত একাধিক সদস্যের ভাষ্যমতে ডা. গাজী মিজান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হলেও খুলনা বিএমএ নির্বাচনে পরাজয়ের পর খুলনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রিক স্বাচিপের রাজনীতি নিয়ন্ত্রক গ্রুপটিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগসাজশে তিনি নিজের মতো ভেন্যু নির্ধারণ করেছেন। এতে ডা. গাজী মিজানের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ওই সভায় উপস্থিত অনেক নেতা। তবে তার পক্ষেও বেশ কয়েকজন যুক্তি দেখিয়েছেন হোটেল টাইগার গার্টেনে সম্মেলন করার ব্যাপারে।  খুলনা বিএমএ ও স্বাচিপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, যেহেতু কেন্দ্র ইতোমধ্যে একটি চিটি দিয়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে কোনো কথা নেই। কিন্তু সারা দেশের ন্যায় মেডিকেল কলেজের সুবিশাল অডিটোরিয়ামে সম্মেলন করা হলে স্বাচিপ আর্থিকভাবে লাভবান এবং রাজনৈতিক সৌন্দর্য ঠিক থাকতো। তারপরও আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। খুলনার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বর্তমান পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর। ওই দিন খুলনার তৎকালীন সভাপতি ডা. বাহার ও তাদের অনুসারীদের বাদ রেখেই সম্মেলন করে ডা. সামসুল আহসান মাসুম ও ডা. মেহেদী নেওয়াজ কমিটি। কমিটি থেকে বাদ পড়ে ডা. বাহারুল আলম ও তার অনুসারী হিসেবে বিবেচিত ডা. গাজী মিজানুর রহমান ডা. বঙ্গকমোল বসুসহ তাদের অনুসারীরা প্রথমে একটি কমিটি করে। পরবর্তীতে ওই কমিটি টিকে না থাকলে মামলা দিয়ে বর্তমান পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়। পরবর্তীতে আদালতে মামলা খারিজ হলে বহাল থাকে বর্তমান কমিটি।  দুই বছর মেয়াদী কমিটি থাকলেও ৭ বছরের বেশি সময় ধরে চলমান বর্তমান কমিটি মূলত তাদের কার্যকারিতা হারায় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। ওই দিন অনুষ্ঠিত খুলনা বিএমএ নির্বাচনে স্বাচিপের বর্তমান পরিষদের নেতারা দুভাবে ভাগ হয়ে নির্বাচন করার পর খুলনায় স্বাচিপ পরবর্তীতে শুধু ফুল দেওয়া সংগঠনে পরিণত হয়। গেল বছরের ২৫ নভেম্বর স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব আসলে গুঞ্জন শুরু হয় খুলনা স্বাচিপের সম্মেলনের।   খুলনার চারটি পদে আসতে পারে নতুন মুখ খুলনা জেলা স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি ডা. সামসুল আহসান মাসুম তার কর্মকালের পুরো সময় ছিলেন নিষ্প্রভ। মূলত কোনো অনুসারী না থাকায় এবারের নেতৃত্বের আলোচনায় তাকে দেখা যাচ্ছে না। তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মেহেদী নেওয়াজ। তবে বিএমএ খুলনার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ এবং বিএমএ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. বঙ্গকমোল বসুকেও দেখা যেতে পারে সভাপতি হিসেবে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খুলনা জেলা স্বাচিপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএমএ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সুমন রায়, জেলা স্বাচিপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএমএ যুগ্ম সম্পাদক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, স্বাচিপের প্রচার সম্পাদক ডা. জিল্লুর রহমান তরুণের নাম শোনা যাচ্ছে। এদিকে এবারই প্রথম খুলনা মেডিকেল কলেজ স্বাচিপের কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। এই কমিটিতেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় আছেন। জেলা স্বাচিপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএমএ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সুমন রায়, জেলা স্বাচিপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএমএ যুগ্ম সম্পাদক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, স্বাচিপের প্রচার সম্পাদক ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ এবং ডা. এসএম তুষার আলম।  খুলনা জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ কালবেলাকে বলেন, খুলনায় জেলা ও মেডিকেল কলেজ এ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সম্মেলনের মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করবেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও খুলনার চিকিৎসকরা যদি চায় তাহলে আমাকে আবারও দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে সম্মেলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি কমিটি যাই হোক সম্মেলন সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে। একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে।  উল্লেখ্য আগামী ১৪ জুলাই খুলনা নগরীর হোটেল টাইগার গার্টেন এর কমিউনিটি সেন্টারে খুলনা বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল জেলা স্বাচিপের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এ ছাড়া স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
০৮ জুলাই, ২০২৪

চিকিৎসক সংকটে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট আর বেডের অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে একের পর এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জটিলতার কারণে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। ২০২২ সাল নৌ থেকে পার্শ্ববর্তী অপর একটি জরাজীর্ণ ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই বেডে দুই রোগী, ফ্লোর ও করিডোরে চলছে চিকিৎসা। অবস্থার নিরিখে এলাকার সংসদ সদস্য নিজস্ব অর্থায়নে ওই অস্থায়ী ভবনের উপড়ে দেওয়াল করে (টিন শেড) বর্ধিত করে দিচ্ছেন। সংকটের মধ্যে চিকিৎসা, জরুরি সেবা, ভর্তি রোগী রাখা ও অফিশিয়াল কার্যকলাপ চলার পাশাপাশি ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজন সাহা জানান, কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের সামনে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ঠিকাদার নিয়োগ দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পিলার ঢালাই ও সামান্য গাঁথুনি কাজ করে ঠিকাদার ৭ থেকে ৮ বছর কাজ বন্ধ রাখেন। এরপর বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি, মানববন্ধন, আবেদন নিবেদনের পর ওই ঠিকাদারকে কার্যাদেশ বাতিল করে তাকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়। অতঃপর ২০২২ পুনরায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পুনরায় টেন্ডার দিলে ২৫ কোটি ১১ লাখ (অধিক) টাকায় কাজ পায় কহিনুর এন্টারপ্রাইজ। ওই বছরই মূল ভবন ভেঙে ফেলেন ঠিকাদার। তিনি ২০২৩ সালে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। ওই ঠিকাদার সঠিক সময়ে কাজ শেষ না করায় ও কাজের অগ্রগতি  না থাকায় কার্যাদেশ বাতিল করে কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আদালতের আশ্রয় নিলে প্রায় ৬ মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। ডা. সুজন সাহা বলেন, ২০২২ সাল থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে চিকিৎসাসেবা ও অফিসিয়াল কাজ চালানো হচ্ছে পাশের একটি ভবনে ভর্তি রোগীদের রাখা হচ্ছে। স্থান সংকুলান না হওয়া একই বেডে একাধিক রোগী, ফ্লোরে করিডোরে রোগী রেখে অমানবিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এ বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন মহারাজকে জানানো হলে তিনি নিজের অর্থ ব্যয়ে ওই ভবনের ছাদের ওপড় একটি টিন শেড নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সুজন সাহা বলেন, এ কমপ্লেক্সে তিনি ছাড়াও ১৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে মাত্র তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে সরকারি কাজে বা প্রশিক্ষণের জন্য সেবা দিতে পারেন না। সুতরাং মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের সেবা দেওয়া কতটা কঠিন তা ভেবে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলে কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তি রোগী হাফিজা বেগম (৪৫) বলেন, কাউখালীতে মাত্র একটি হাসপাতাল তার অবস্থা এতই নাজুক যে একই বেডে দুই জন করে রোগী থাকতে হয়। হাসপাতালে ডাক্তারও নাই, আমি অসুস্থ হইছি কোথায় চিকিৎসা নিমু কোথায় যামু, গরিব মানুষ তাই আমাগো যাওয়ার জায়গা ও নাই। বাধ্য হইয়া এখানেই থাকতে হইতাছে।  কাউখালীতে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা সদর ইউনিয়নের মজিবর রহমান জানান, হাসপাতালের অবস্থা এতই করুণ যে, ডাক্তার নাই। তারপরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দু’টি কক্ষের ভিতরে ২ থেকে ৩ জন চিকিৎসক প্রতিদিন শত শত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসকদেরও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, অস্থায়ী ভবনে ঝুঁকির ভিতরে আমরা চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছি। ডাক্তার সংকট থাকার কারণে চিকিৎসা সেবায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। রোগীদের সিটের অভাবে অনেক সময় একই বেডে একাধিক রোগী থাকতে বাধ্য হচ্ছে। পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, কাউখালীতে ভবন সমস্যা ও চিকিৎসক সংকট রয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
০৮ জুলাই, ২০২৪

রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক কারাগারে
পাবনায় নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ও মালিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযুক্তরা হলেন নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পাবনা শহরের শালগাড়িয়া ইংলিশ রোডের মৃত ফরমান আলীর ছেলে জীবন আলী এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক শহরের শালগাড়িয়ার মৃত সুবোদ কুমার সরকারের ছেলে ডা. সোভন কুমার সরকার। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়েছিল। এ সময় জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামুঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পাবনা সদর থানার পাশে অবস্থিত নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের আটক করে পাবনা সদর থানা পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য যান। ওই নারীকে নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে নারী সহকারীকে দিয়ে তলপেটে জেল মেখে প্রস্তুত করা হয়। এ সময় কৌশলে ওই নারী সহকারীকে বাইরে পাঠিয়ে রোগীর আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করে যৌন উত্তেজনামূলক কথাবার্তা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে রোগী বাইরে এসে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় রোগী ও তার স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন। পাবনা সদর থানার ইনপেক্টর (ওসি-তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
০৭ জুলাই, ২০২৪

রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসক আটক
পাবনায় নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিককে আটক করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পাবনা সদর থানার পাশে অবস্থিত নিউমেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, নিউমেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পাবনা শহরের শালগাড়িয়া ইংলিশ রোডের মৃত ফরমান আলীর ছেলে জীবন আলী এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক শহরের শালগাড়িয়ার মৃত সুবোদ কুমার সরকারের ছেলে ডা. সোভন সরকার। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে নিউমেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য যান। ওই নারীকে নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে নারী সহকারীকে দিয়ে তলপেটে জেল মেখে প্রস্তুত করা হয়। এ সময় কৌশলে ওই নারী সহকারীকে বাহিরে পাঠিয়ে রোগীর যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে যৌন উত্তেজনা মুলক কথাবার্তা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে রোগী বাহিরে এসে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় রোগী ও তার স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আগামীকাল রোববার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
০৭ জুলাই, ২০২৪

কমিশনের লোভে চিকিৎসক লেখেন দামি বিদেশি ওষুধ
আড়াই বছরের ছোট্ট শিশু হাবিবা। জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছে কয়েকদিন ধরে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছেন বাবা-মা; কিন্তু উপকার মেলেনি। হাবিবার শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান ইসরাফিল-সাথী দম্পতি। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের বাসিন্দা তারা। হাবিবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক। সেখানে জ্বর ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধের পাশাপাশি ‘স্মার্ট আইকিউ’ নামের একটি ওষুধের নাম লেখেন। সিরাপটি ১৫ দিন দিনে দুবেলা করে খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘স্মার্ট আইকিউ’ নামের ওষুধটি মূলত ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট। এটি থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা। প্যাকেটের তথ্য অনুযায়ী, ওষুধটিতে টুনা মাছের তেল ও মাল্টিভিটামিন উপাদান আছে। ওষুধটির দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। অন্যদিকে দেশি কোম্পানি উৎপাদিত একই ধরনের ওষুধের দাম বাজারে মাত্র ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ ধরনের সিরাপ ১৫ দিন দুবেলা করে খাওয়াতে কমপক্ষে তিনটি ফাইল প্রয়োজন, যার দাম পড়বে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। অথচ দেশি কোম্পানির ওষুধ কিনতে খরচ পড়বে মাত্র ৩শ টাকা। ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, শিশুরা যে ধরনের অসুস্থতা নিয়েই আসুক না কেন, সবার ব্যবস্থাপত্রেই এ ধরনের একটি বিদেশি দামি ওষুধের নাম ঢালাওভাবে লিখে দিচ্ছেন চিকিৎসক। সাভারের নবীনগর এলাকার মাহফুজ-নাদিয়া দম্পতির এক বছরের মেয়ে মার্জিয়া। প্রদাহজনিত কারণে তাকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মার্জিয়ার ব্যবস্থাপত্রে অন্য ওষুধের সঙ্গে ‘গ্রোথ বেবি’ নামে একটি বিদেশি ওষুধের নাম লিখেছেন চিকিৎসক। দিনে দুই চামচ করে চলবে বলে লেখা আছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ওষুধটিও ভিটামিন ডি জাতীয় বিদেশি ওষুধ। দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিশু বিশেষজ্ঞ কালবেলাকে জানান, কিছু অসাধু চিকিৎসক বিদেশ থেকে বৈধ-অবৈধ পথে আনা ভিটামিন ও ফুড সাপ্লিমেন্ট কোম্পানির প্রলোভনে পড়ে সব শিশুর ব্যবস্থাপত্রে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে এ ধরনের ওষুধ লিখছেন। এটা লিখলে কোম্পানি থেকে তিনি ৫০০ টাকার মতো কমিশন পান। অর্থাৎ দিনে ৫০টি ব্যবস্থাপত্রে এসব ওষুধের নাম লিখলে এক চিকিৎসক দৈনিক গড়ে আয় করেন ২৫ হাজার টাকা। তারা আরও বলেন, স্মার্ট আইকিউ, গ্রোথ বেবি ও হেলথ জয়সহ আরও বেশকিছু বিদেশি ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে এখন বেশি লেখা হচ্ছে। নীতিহীন চিকিৎসক এবং অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের লোভের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য শিশুর পরিবার। আইনি জটিলতা না থাকলেও একই মানের কম মূল্যের দেশি ওষুধ থাকার পরেও উচ্চমূল্যের এসব ওষুধ লেখাকে অনৈতিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টিকে দেখছেন স্বাভাবিকভাবেই। তিনি কালবেলাকে বলেন, বৈধ যে কোনো ওষুধই লিখতে পারবেন চিকিৎসকরা। এখানে তাকে আটকানো বা বাধা দেওয়ার আইন নেই। তবে চিকিৎসা মানবিক পেশা বলে চিকিৎসকদের অনুরোধ করব তারা যাতে একই মানের দেশি ওষুধ থাকার পরেও বিদেশি উচ্চমূল্যের ওষুধ না লেখার। এখানের চিকিৎসকরা এগুলো লেখেন বলে জানা নেই। তবে, রোগীর স্বজনরা প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসুস্থ শিশুর চিকিৎসায় এ হাসপাতালে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। সেই প্রতিষ্ঠানই চিকিৎসার নামে গলা কাটছেন কিছু চিকিৎসক। তাদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিদেশি ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীর স্বজন। মোহাম্মদপুরের ইসরাফিল কালবেলাকে বলেন, সন্তানের চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ওষুধ কিনি। কম দামে এসব বিদেশি ওষুধের মানসম্পন্ন বিকল্প থাকার কথা জানালে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। পরে আক্ষেপ করে বলেন, শিশুদের চিকিৎসায়ও দানবীয় লোভ! যাওয়ার আর জায়গা থাকল না। বাজারে ১০০ টাকায় থাকার পরে একই ওষুধ ১৫০০ টাকার বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এটা তো গলা কাটার শামিল। বিদেশি ওষুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী পরিচয়ে কথা হয় শিশু হাসপাতালে উপস্থিত এ ধরনের ওষুধ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে। তারা বলেন, যত ভালো ওষুধই আমদানি করেন চিকিৎসক না লিখলে বিক্রি হবে না। প্রথমে তাদের ম্যানেজ করতে হবে, খুশি করতে হবে তাহলেই আপনার ওষুধ লিখবে। এসব বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এম আজিজ বলেন, যেসব ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয় এবং দাম কম সেক্ষেত্রে বেশি দামের বিদেশি ওষুধ লেখা নীতিবহির্ভূত। তাছাড়া সেগুলো ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত কি না, সেটাও দেখা দরকার। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রশাসনের নজরদারি জরুরি। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
০৬ জুলাই, ২০২৪

শিশু কিডনি চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম
শিশু কিডনি চিকিৎসকদের সংগঠন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএনএসবি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম। তিনি ২০২৪-২৬ সালের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।  সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পিএনএসবির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিসেস অ্যান্ড ইউরোলজির চিকিৎসক মো. কবির আলম।   শিশু ও শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে বিএসএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ডা. আফরোজা বেগম।  তিনি শিশু বিষয়ে এফসিপিএস এবং শিশু কিডনি বিষয়ে এমডি এবং যুক্তরাজ্য থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন। একইসঙ্গে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন ফেলো। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে যোগ দিতে আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।  শেরপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী ডা. আফরোজা বেগম ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্র সন্তানের জননী এবং তার স্বামী গোলাম আউলিয়া এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক এমডি। বাংলাদেশের শিশু কিডনি চিকিৎসকদের একমাত্র সংগঠন পিএনএসবি। ২০০৪ সালে গঠিত এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৯৪ জন চিকিৎসক।
০৩ জুলাই, ২০২৪

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান (৩৭) শ্রীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে। তার বাবা একজন আইনজীবী। শনিবার (২৯ জুন) রাতে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর বাজারের নিজস্ব চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ। ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবা একজন রিকশাচালক। কিশোরী গৃহকর্মীর মা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীপুরে ভাড়া থেকে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার স্বামী একজন রিকশাচালক। গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর সে আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে তাদের বাসার কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বেতন ঠিক করে মেয়েকে তার বাড়িতে কাজ করতে পাঠাই।’ ‘এর কিছুদিন যাওয়ার পর অভিযুক্ত সুকৌশলে আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসায় ও চেম্বারে নিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।’ কিশোরীর মা আরও বলেন, ‘বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে আমি ও আমার স্বামী গিয়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন করে মেয়েকে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর একদিন পর আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানায় মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর আমি থানায় এসে পুলিশকে লিখিত আকারে জানালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়। আমি এর সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’ শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
৩০ জুন, ২০২৪
X