নাশকতাকারীদের ঢাকা ছাড়ার পথ বন্ধ করছে ডিএমপি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতা করা ব্যক্তিরা যাতে ঢাকা না ছাড়তে পারে, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এখন পর্যন্ত ২০০টি মামলায় ২ হাজার ১০০ জনের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কিছু মামলা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলে হামলা এবং ভাঙচুরে জড়িত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, দু-তিন দিন ধরে সন্ত্রাসীরা গা-ঢাকা দিয়ে আছে। আমাদের কিন্তু ব্লকড রেইড চলছে। ব্লকড রেইড ছাড়াও ঢাকায় দিন-রাতে পুলিশের অপারেশন চলমান। সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক, পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে কক্সবাজার কিংবা পঞ্চগড়ে পালিয়ে যাক, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করব। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব বলেন, দেশে উন্নয়নের যে জোয়ার প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, এ সন্ত্রাসী চক্র কিন্তু বেছে বেছে সেগুলোতে হামলা করেছে। সব নথিপত্র তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। এসব জামায়াত ও বিএনপি চক্রকে ধরার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, ডিএমপি তাই করবে।
২৬ জুলাই, ২০২৪

ঢাকায় পুলিশের ৮০ স্থাপনা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়: ডিএমপি
কোটা আন্দোলন ঘিরে নাশকতায় রাজধানীতে পুলিশের ৮০টি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি পুলিশ বক্স, দুটি ডিসি ট্রাফিক অফিস, চারটি এসি ট্রাফিক অফিস, তিনটি থানা এবং দুটি ফাঁড়িতে আক্রমণ করা হয়। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার এসব তথ্য জানান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে গত কয়েকদিনের নাশকতায় হামলাকারীদের প্রধান টার্গেট ছিল পুলিশ বাহিনী। তারা পুলিশ স্থাপনায় হামলা ছাড়াও তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। নাশকতাকারীদের হামলায় ডিএমপির ভবন, গাড়ি ও যন্ত্রপাতি ধ্বংসের ঘটনায় ৬১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে কয়েকদিনের যে নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে থানাসহ অন্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি কোনোভাবে ছাত্রদের আন্দোলন হতে পারে না। এটি নিশ্চিতভাবে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য এ কাজটা করেছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ভিডিও করে রেখেছে, সেগুলো আমাদের দিচ্ছে। আমরা সব তথ্য বিশ্লেষণ করছি। কারা এসব ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, তাদের গ্রেপ্তার করতে চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, যে স্তরের নেতা হোক না কেন, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারী কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে থাকুক সেখান থেকে ধরে এনে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
২৫ জুলাই, ২০২৪

নতুন ভাড়াটিয়াদের তথ্য দিতে অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের 
ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় যারা নতুন এসেছে, নতুন বাসা ভাড়া নিয়েছে, তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (২২ জুলাই) যাত্রাবাড়ী এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, এই নাশকতা চালানোর জন্য অনেকদিন আগে থেকেই সন্ত্রাসীরা ঢাকায় এসে ঘাঁটি গেড়েছে এবং বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে তারা থাকতে শুরু করেছে। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যারা গত দুই মাসে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসা ভাড়া নিয়েছেন তাদের তথ্য অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিন। পুলিশ যাচাইবাছাই করে দেখবে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে যারা উঠেছেন তারা নাশকতার সঙ্গে যুক্ত কি না। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ ঢাকা শহরের সোয়া দুই কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। পুলিশ সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে তা মানুষের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কারফিউ জারির পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করছে। তারপরেও স্বাধীনতাবিরোধী ও অপতৎপরতাকারী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেটি রোধে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছে। পুলিশ সদস্যকে হত্যার জন্য টাকা দিয়ে মানুষ নিয়োগ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের সন্তান পরিচয় পেলে তাদেরও হত্যা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া যারা এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এরপর তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার তাই করা হবে।’ নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নাশকতাকারীদের তথ্য দিন। নাশকতাকারীরা দেশের যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাদের আমরা ধরে এনে শাস্তির মুখোমুখি করব। সেই সামর্থ্য বাংলাদেশ পুলিশ তথা ডিএমপির রয়েছে।’
২৪ জুলাই, ২০২৪

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত ১২ পুলিশ : ডিএমপি
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর কবির (মিডিয়া) জানান, আহতদের কেউ কেউ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, মহাখালী, মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, বনানীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা অবরোধ করে। আহতরা হলেন বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ। পুলিশ ছাড়াও অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান ডিএমপির সহকারী কমিশনার।  
১৭ জুলাই, ২০২৪

কোটা আন্দোলন / ‘আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, কোটা আন্দোলন আদালতের বিষয়। আদালত যে আদেশ দেবে সেটি সবাইকে মানতে হবে। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকায় ১০ মহররমের তাজিয়া মিছিল ও ইমামবাড়ায় ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন কোটা আন্দোলনে চলমান অবস্থায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, চলমান কোটা আন্দোলনের বিষয়টি আদালতের বিষয়। উচ্চ আদালত যে আদেশ দেবে সেটিকে শ্রদ্ধা ও মানা নাগরিকের দায়িত্ব। আমরা আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালায়, সেটি যেই হোন তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল ও ইমামবাড়া ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। ডগ স্কয়াট দিয়ে চেকিং, সুইপিং করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে আগতদের আর্থওয়ে মেশিন দিয়ে চেকিং করা হবে। ইমামবাড়ার আশপাশের ভবন থেকে নজরদারি করা হবে। তাজিয়া মিছিলের আগে ও পেছনে পুলিশ থাকবে৷ পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হবে। সব মিলিয়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি।  মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের অনুরোধ কেউ কোনো ছুরি, চাকু বা ধার্য্য পদার্থ নিয়ে মিছিলে প্রবেশ করা যাবে না। পতাকা বহনের সময়ে সতর্ক থাকতে হবে যেন বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে না যায়। সমন্বয় মিটিং করে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। তাজিয়া মিছিল কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ঘটনার পূর্বের ঘটনা ছিল উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
১৫ জুলাই, ২০২৪

দেশ সেরা পুলিশের ওয়েসিস পুরস্কার গ্রহণ করলেন ডিএমপি কমিশনার
মাদকাসক্তি নিরাময় ও মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দেশ সেরার পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ওয়েসিস।  রোববার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়েসিসের চেয়ারম্যান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে নির্বাচিত সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও নিবন্ধিত এনজিওগুলোর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ বছর পুরস্কৃত করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘মাদকের আগ্রাসন দৃশ্যমান, প্রতিরোধেই এর সমাধান।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। সে নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনও সংস্কার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য যে ভয়ানক নেশা সেটা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।  অনুষ্ঠানে ওয়েসিস ছাড়াও বারাকা বাংলাদেশ মাদকাসক্তি চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রমিসেস মেডিকেল লিমিটেড মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, বিওয়াইএফসি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, সেফ হোম মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, হেল্প মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, আসক্ত পুনর্বাসন সংস্থা (আপস) এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানসকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবরে তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ও বর্তমান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে গড়ে তোলা হয় ওয়েসিস। উন্নত ও মানসম্মত সেবা দিয়ে তিন বছরের কম সময়ে ব্যাপক প্রশংসিত ও মানুষের আস্থা লাভ করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি।
১৪ জুলাই, ২০২৪

কোটাবিরোধীদের হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বরদাশত করা হবে না। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব চত্বরে আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল-২০২৪ ও ফল উৎসব’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিষয়টি আদালতের। আদালতের প্রতি সবার আস্থা রাখা এবং শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকা উচিত। ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সব কোটা বাতিল করে সরকার। এরপর এক রিট আবেদনের রায়ে গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই সারা দেশে নতুন করে আন্দোলনে নামেন কোটাবিরোধীরা। বর্তমানে তারা অবরোধ কর্মসূচির মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন। এরই মধ্যে আপিল বিভাগ বুধবার কোটা নিয়ে স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেন। এতে প্রধান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি। উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ অন্যরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) এবং জ্যেষ্ঠ উপনির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম মিলটন।
১৩ জুলাই, ২০২৪

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দিলেন ডিএমপি কমিশনার
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।  তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মেনে চলার জন্য বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনো কার্যক্রম কেউ যদি করে তবে সেটি বরদাশত করা হবে না।  শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্যাব চত্বরে আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল-২০২৪ ও ফল উৎসব’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালতের প্রতি সবার আস্থা রাখা ও শ্রদ্ধা-সম্মান থাকা উচিত। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনো কার্যক্রম কেউ যদি করে তবে সেটি বরদাশত করা হবে না।   উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’সহ নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।     
১২ জুলাই, ২০২৪

আন্দোলনের আর অবকাশ নেই, এরপরও নামলে ব্যবস্থা : ডিএমপি
কোটা নিয়ে গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের কোনো অবকাশ নেই। আমরা অনুরোধ করব- আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আর নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না। অন্তত এই চার সপ্তাহ। এরপরও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতিবস্থার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ থেকে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ মনে করে না। যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা, সহমর্মিতা আছে। কিন্তু সে সঙ্গে মনে রাখতে হবে, দেশের প্রচলিত আইন ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। সে জায়গা থেকে যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, সেহেতু ডিএমপির পক্ষ থেকে আমি বিনীত অনুরোধ করছি তারা যেন মানুষকে কোনো দুর্ভোগ দিয়ে কর্মসূচি না দেয়৷ তিনি বলেন, গত ১০ দিন ধরে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাবসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের গাড়ি, চলাফেরা ব্যাহত হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে মানুষ যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে৷  পুলিশ সবার অধিকারের বিষয়ে যেমন শ্রদ্ধাশীল সে সঙ্গে সম্মানিত মহানগরবাসীর নিরাপত্তা ও গমনাগমনের জন্য পুলিশ প্রাণান্ত চেষ্টা করে।  মহিদ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে আন্দোলন চলে আসছিল সেটি ৬ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা অবস্থান নেয়। পুলিশ অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে এবং ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।  আমরা আশা করি, আমাদের আবেদন এবং সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই রয়েছে। তাই পরবর্তী কর্মসূচির কোনো যৌক্তিকতা নেই৷ শিক্ষার্থীদের প্রতি সহযোগিতা এবং ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে।  এইচএসসি পরীক্ষা চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ জুলাই রথযাত্রা হয়েছে। ডিএমপি প্রচণ্ড প্রেশার নিয়েছে। সামনে আশুরা ও উল্টো রথযাত্রা রয়েছে।  আজও শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের পক্ষে রয়েছে। কাজেই আন্দোলনের যদি যৌক্তিকতা না থাকে তবে আন্দোলনে আসা উচিত নয়। আন্দোলন না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ রইলো।  এরপরও যদি নির্দেশনা না মেনে আন্দোলন করে তাহলে পুলিশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের আইন ও দেশের প্রচলিত আইনে ৩৬ অনুযায়ী অপরাধ। গত ১০ দিনে পুলিশের কোনো সদস্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করেননি যাতে করে পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা সে সম্মানটুকু রাখবেন।  আন্দোলনে গেলে অ্যাকশনে যাবে কি-না পুলিশ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে অ্যাপ্রোচ ছিল এবং সেটি পরেও রাখতে চাই।
১১ জুলাই, ২০২৪

আইজিপিকে ডিএমপি কমিশনারের ফুলেল শুভেচ্ছা
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আবারও নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) মিন্টো রোডের বাসভবনে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পুনরায় এক বছরের মেয়াদ বাড়ানো হয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত বছরের ৯ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে দেড় বছরের জন্য ওই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ জুলাই।
০৬ জুলাই, ২০২৪
X