শুধু গলাটা ধরে আসছে কান্নায় : পরী
চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে বরাবরই আলোচনায় থাকেন তিনি। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় এই তারকা। এবার ছেলে পুণ্যর জন্মদিনে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলের প্রতি জানালেন তার ভালোবাসা। স্ট্যাটাসে পরী লিখেছেন, ‘আজকে আমার ছেলের জন্মদিন! দেখতে দেখতে দুই বছর হয়ে গেল। কত কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, বলতে ইচ্ছে করছে… কিন্তু পারছি না কেন জানি। শুধু গলাটা ধরে আসছে কান্নায়। খুশিতে! আনন্দে। নানাভাইকে মিস করছি ভীষণ। হারানোর ক্ষত বুকে নিয়েই আমরা জীবনের আনন্দটুকু উদযাপন করতে চাই। আপনারা সবাই আমার বাচ্চাদের যে ভালোবাসা দিয়েছেন আমি সত্যি অনেক কৃতজ্ঞ সবার এই ভালোবাসার কাছে। দোয়া করবেন।’       ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পৃথিবীতে আসে পুণ্য। জন্মের পর তার নাম ছিল রাজ্য, পরে অবশ্য পুণ্য নামেই ডাকেন অভিনেত্রী। তবে পূণ্য ছাড়াও পরীর এখন আরও একটি মেয়ে আছে। কয়েক মাস আগে একটি কন্যা সন্তান দন্তক নেন পরী। নাম রাখা হয়- সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম।
১০ আগস্ট, ২০২৪

জামিন পেলেন পরীমণি
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে ১ হাজার টাকা মুচলেকায় মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির আদেশ দেন। এ ছাড়া অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। গতকাল সকাল সোয়া ৯টায় আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন পরীমণি। পরে সকাল ১১টায় জামিন শুনানি শুরু হয়। এ সময় আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি আসামি পরীমণিকে নারী ও মা বিবেচনায় জামিন চেয়ে প্রার্থনা করেন। মামলার বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল জামিন আবেদনে অনাপত্তি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি বলেন, পরীমণির মামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করা হয়েছে। পরীমণি আদালতের সমন পেয়েই হাজির হয়েছেন। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মনির হোসেন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২৬ জুন, ২০২৪

জামিন পেলেন পরীমণি
ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় মঞ্জুর করেন।  এর আগে নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা পেয়ে গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি। পরে গত ১৮ এপ্রিল আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরীমণিকে হাজির হতে সমন জারি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাছির মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের উপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্ক যুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভিতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরিমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভিতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাছির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে গিয়ে বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শন পূর্বক ২-৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদিনীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মামলার বাদী নাছির উদ্দিন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, পরীমণি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ছিল। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমি সব সময় ন্যায় বিচার চেয়েছি, এখনো আমি ন্যায় বিচার চাই। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।  
২৫ জুন, ২০২৪

আত্মসমর্পণ করলেন পরীমণি
ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে তিনি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হন।  ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এ আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজিরের জন্য ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম সমন জারি করেন। আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে। ২০২২ সালের ৬ জুলাই একই আদালতে সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।  ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।      
২৫ জুন, ২০২৪

রাজ-পরীকে ঘিরে নতুন তর্ক
অনেক দিন ঘরের কথা পরকে জানাননি চিত্রনায়িকা পরীমণি। তবে সম্প্রতি পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে বরাবরের মতোই সৃষ্টি করেছেন রহস্য। অভিনেতা রাজ গিয়েছিলেন পরীর বাসায়। এরপর নায়িকার কিছু কথা এবং ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এসব দেখেশুনে নেটিজেনদের একাংশ ভাবছে, রাজ হয়তো যাননি পরীর বাসায়। আরেক দল মনে করছে, সাবেক এই দম্পতি হয়তো মিলে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন। আলাদা হওয়ার পর মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল রাজ-পরীর। তবে সন্তান পুণ্যের জন্য এই দুই তারকার সম্পর্কের সুতা পুরোপুরি ছিঁড়ে যায়নি। যদিও রাজকে নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলেছেন পরী। বলেছেন, রাজ তার জীবনে মৃত। এই অভিনেতা এখন তার কাছে ঘৃণার পাত্র, গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন পরী। সম্প্রতি পরীর বাসায় গিয়েছিলেন রাজ। বিষয়টি গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন চিত্রনায়িকা। সেখানে একসঙ্গে খাবার খেয়েছেন তারা। তবে রাজকে নায়িকা নিজ হাতে রান্না করে খাইয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি। শুধু বলেছিলেন, বাসায় রান্না হয়েছিল, সবাই একসঙ্গে খেয়েছিলেন। কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে নায়িকার বাসায় গিয়েছিলেন অভিনেতা, এমনটাই জানিয়েছেন পরী। পরীর বাসায় যাওয়ার বিষয়ে বরাবরের মতোই মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিনেতা রাজ। অন্যদিকে শনিবার পরী ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট দিয়েছেন যা দেখে নেটিজেনরা ভাবছেন, রাজকে রান্না করে খাওয়ানো তো দূরের কথা, অভিনেতাকে বাড়িতে ঢুকতেই দেবেন না পরীর দারোয়ান। পোস্টে রাজের নাম উল্লেখ না করে পরী লিখেছেন, যাকে আমার বাসার দারোয়ানই গেটে অ্যালাউ করবে না, সে স্বপ্নে আমার রান্না খায়! ভক্তদের ধারণা রাজকে ইঙ্গিত করেই পোস্টটি লিখেছেন নায়িকা। রাজ কি পরীর বাসায় গিয়েছিলেন? না কি যাননি- এ নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরীর স্ট্যাটাসে দ্বিধায় পড়েছেন ভক্তরা। 
০২ জুন, ২০২৪

রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না পুণ্য : পরীমণি
চলচ্চিত্রে পা রাখতে না রাখতেই অভিনয়, গ্ল্যামার ও বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত হন পরীমণি। ক্যারিয়ারে প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই সর্বাধিকসংখ্যক চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। কখনো কাজ, কখনো বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় থেকেছেন পরীমণি। এছাড়া বেশ কয়েকবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ, শুটিংয়ে অশিল্পীসুলভ আচরণ, নির্মাতা-সহকর্মীদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাংবাদিকদের সঙ্গে একাধিকবার বিবাদে জড়ানো, বিলাসবহুল গাড়ি কেনা, মদকাণ্ডসহ নানা বিষয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই সুন্দরী। গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'গুণিন' ওয়েবফিল্মে অভিনয় করার সময় সম্পর্কে জড়ান পরীমণি ও শরিফুল রাজ। এরপর দুজনার ভালোলাগা, ভালোবাসা—অবশেষে বিয়ে। কিন্তু বরাবরের মতো এ সংসারও টেকাতে পারলেন না। বিচ্ছেদ হয় ঢালিউডের আলোচিত এই দম্পতির। এরপর সন্তান পুণ্যকে নিজের কাছেই রাখেন পরী। জানা যায়, বিচ্ছেদের পর ছেলের কোনো খোঁজ রাখেননি বাবা শরিফুল রাজ। তবে এখন বদলেছে সময় ও দৃশ্যপট। অভিনেত্রীর সাবেক স্বামীকে জীবন থেকে মৃতই ঘোষণা করার পরে আর তার মুখোমুখি হবেন না এমন বললেও মাস খানেক ধরেই নাকি তার বাসায় যাচ্ছেন রাজ। এরপরই শোবিজাঙ্গনে আবারও জুটিকে নিয়ে নানান গুঞ্জন ভাসতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন পরীমণি। জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে রাজ তার বাসায় এসেছিলেন রাজ। একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আর দেখা হয়নি পরী-রাজের। বিচ্ছেদের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রেখেই চলে গিয়েছিলেন নায়ক। সে কাগজ নিতেই নতুন করে বাসায় আসা। এমনটাই বলছেন পরী। পরীমণি জানিয়েছেন, রাজ এলে তাকে রান্না করে খাইয়েছেন। তবে তার ছেলে এখন বাবাকে চিনতে পারে না। এটা নায়কের জন্য শাস্তি। তবে পরী চান রাজ যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে বড় হয়ে কারও কাছে তাদের সন্তানকে ছোট হতে না হয়।
৩০ মে, ২০২৪

নাসিরকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন পরীমণি
আলোচনা-সমালোচনার আরেক নাম যেন নায়িকা পরীমণি। মাদক, প্রেম, একাধিক বিয়ে ও বিচ্ছেদ সবকিছু দিয়েই হয়েছেন খবরের শিরোনাম। অল্প আলোর ক্যারিয়ারে যেতে হয়েছিলো জেলেও। এবার আবারও পুরনো ঘটনা দিয়ে আলোচনায় তিনি। তার বিরুদ্ধে আলোচিত বোট ক্লাব মামলায় ক্লাবটির সভাপতি নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। পরে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। বাদীক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মদ পান শেষে একপর্যায় তিনি মদ পার্সেল নিতে চান। মদ না দেয়ায় বোটক্লাবে ভাঙচুর ও উপস্থিত থাকা ক্লাব সভাপতিকে উত্তেজিত হয়ে মারধর করেন। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মারেন।    এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নাসির উদ্দিন বলেন, শুরু থেকেই নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অভিযোগ এনে মামলা করে আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছিল। তবে আমি বিশ্বাস করি সত্যের জয় হবেই। মানুষ এখন জানবে সেদিন আমি নিরাপরাধ ছিলাম। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ভালো লাগত হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে। এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমনি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমনি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্কযুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরীমনির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাসির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শনপূর্বক ২/৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।  এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।  একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন।  এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।  
৩০ নভেম্বর, ০০০১

৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েও পার্সেল চেয়েছিলেন পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া সেই রাতের ঘটনা হয়তো কেউ ভুলে যায়নি। যে ঘটনা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েছিল মিডিয়াপড়াসহ গোটা দেশজুড়ে। হয়েছিল একাধিক মামলা।  নানা অভিযোগ তুলে বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পরীমণি। তবে ছেড়ে কথা বলেনি নাছির উদ্দিনও। মামলা করেছিলেন তিনিও।  পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের করা সেই হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- মামলার সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং একে অপরের বাসায় আসা যাতায়াত ছিল। ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম অমিকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে। ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের এ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন। একপর্যায়ে পরীমণিকে নিয়ে নাছির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাছির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাছির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’ তখন পরীমণির অনুরোধে নাছির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ঐ বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’ এ সময় পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের উপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুঁড়তে থাকেন। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের উপরে মাথায় লাগে। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির উপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’ তখন জিম তেড়ে এসে নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করে ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাছির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাছির মাহমুদ আহত অবস্থায় ঐ রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই ক্লাব থেকে চলে যায় পরীমণিরা। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, বাদীর অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় তদন্ত করে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী আছে, মেডিকেল রিপোর্ট আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করেছি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

নাসির উদ্দিনকে ১০০০ টাকা দিতে পরীমণিকে নির্দেশ আদালতের
চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবন ঘটনাবহুল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। বড় পর্দায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিতে পারেননি পরী। একাধিক বিয়ে করলেও কারও সঙ্গেই থিতু হতে পারেননি এই নায়িকা। মাদককাণ্ডে জেলেও যেতে হয়েছে এই সুন্দরীকে। এবার মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় আসামিদের যাতায়াত ভাড়া দিতে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকার আদালত এ আদেশ দেন। এ দিন পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকলেও এদিন পরীমণি আদালতে হাজির হননি। পরে পরীর আইনজীবী জয়া রাণী দাশ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময় আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পরীমণি শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অন্যদিকে আসামি নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল পরীমণির অসমাপ্ত সাক্ষ্য শেষ করার আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পরীমণি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমণির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করার আদেশ প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত পরীমণিকে শেষবারের মতো সময় দেন। পাশাপাশি আসামিদের যাতায়াত ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।  উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন। ২০২২ সালের ১৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২২ মার্চ, ২০২৪
X