প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১তম বার বইমেলার দুয়ার খুলবেন
মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’ শুরু হচ্ছে আজ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায় এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে বইমেলার ৫২ বছরের ইতিহাসে ২১তম বারের মতো বইমেলা উদ্বোধন করবেন তিনি। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। ১ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় মেলা শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেট্রোরেল স্টেশনের কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশ পথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থার স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজ শেষ। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ বিষয়ে বাংলা প্রকাশনীর প্রকাশক আহসান আল আজাদ বলেন, আমাদের স্টল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। শুধু কিছু সাজসজ্জার কাজ বাকি। আশা করি মেলা শুরুর দিন তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ধ্রুব প্রকাশনার প্রকাশক আবুল বশার ফিরোজ বলেন, আমাদের স্টল নির্মাণকাজ শেষ। এবার মেলায় আমাদের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু দিন দিন পাঠক যেভাবে কমছে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বইমেলাকে যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে আরও উদ্যোগী হতে হবে, যাতে ২০ থেকে ২৫ বছর পর পাঠক সংকটে মেলা বন্ধ হয়ে না যায়। সরেজমিন দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, মেলা ঘিরে জঙ্গি হামলা কিংবা অন্য সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তার পরও সব দিক মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বইমেলা অসাম্প্রদায়িক আয়োজন। এই আয়োজনকে বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। মেলায় একটি পুলিশ কন্ট্রোলরুম বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মেলা ও এর আশপাশে পর্যবেক্ষণ করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি মেলায় প্রবেশপথে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে। বিভিন্ন সময় বেশ কিছু বইয়ের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। এবার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কী—জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে এমন কোনো লেখা বা বিষয় পাঠকের নজরে আসে বা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং তা নিয়ে যদি কোনো সমালোচনা হয় তখন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের সে ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এদিকে মেলায় অগ্নিনিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। মেলার দুই অংশেই আগুন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, পাম্প ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন ফায়ার সার্ভিসের ৭৭ কর্মী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মইন উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশনের মাধ্যমে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ৯ ফায়ারফাইটার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছয়টি পয়েন্ট ও বাংলা একাডেমির তিনটি পয়েন্টে মেলা চলাকালে দুটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) নিয়ে টহল দেবেন। বাংলা একাডেমির পুকুর ও উদ্যানের লেকে দুটি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের সেবা প্রদান ও প্রয়োজনে হাসপাতালে নিতে ২৪ ঘণ্টা একটি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে থাকবে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নাদিহা আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শোক
যুক্তরাষ্ট্রে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলীর কন্যা নাদিহা আলীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। টুঙ্গিপাড়া সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে অবস্থান করা মোহা. নূর আলীর ফোনে কথা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাও ফোনে মোহা. নূর আলীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা নাদিহা আলীর অকাল মৃত্যুতে সন্তানহারা মোহা. নূর আলীকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান। তারা মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং নাদিহা আলীর পরিবার যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই কামনা করেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিমানবন্দরের কাছে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলীর কন্যা নাদিহা আলীর (৩৭) মৃত্যু হয়। নাদিহা আলী মোহা. নূর আলী ও সেলিনা আলী দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ’- গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে গণভবনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। গ্রন্থটিতে জাতির পিতার মোট ৫৮টি ভাষণ রয়েছে। প্রতিটি ভাষণের পূর্ণাঙ্গ অডিও ভার্সন কিউআর কোড সন্নিবেশিত রয়েছে। কিউআর কোডগুলো স্ক্যান করলে প্রতিটি ভাষণ পুরোপুরি শোনা যাবে।  গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন শেখ হাসিনা। প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্স। গণভবনে বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে সম্পাদক মো. আকরাম-আল-হোসেন এবং মাওলা ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আহমেদ মাহমুদুল হক উপস্থিত ছিলেন।  গ্রন্থটির প্রকাশক জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ইতিহাসের অমূল্য উপাদান। বাঙালি জাতির দুই সহস্রাব্দ প্রাচীন সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাসের ভেতর বঙ্গবন্ধু জ্যোর্তিময় প্রতিভায় উজ্জ্বল হয়ে আছেন তার অসামান্য সব ভাষণগুণে। তার ভাষণগুলো একদিকে সংগ্রামী জীবনের পরিচয়কে উদ্ভাসিত করে অন্যদিকে বাঙালির আত্মত্যাগের মহিমা এবং স্বাধীনতা প্রাপ্তির সার্থক অভিপ্সাকে তুলে ধরেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির দীপ্ত সনদ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু দেওয়া ঐতিহাসিক বজ্রকণ্ঠ ভাষণের ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ-সূত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বঙ্গবন্ধু অর্জন করেছিলেন ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ নামের অভিধা। শুধু তাই নয়, সেই ভাষণটিকে ইউনেস্কো মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে (এমওডব্লিউ) অন্তর্ভুক্ত করে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সার্বিক বিচারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণে বাংলাদেশের মানুষের আত্ম-পরিচয়ের ইতিহাস দ্যুতিময় আলোকরেখায় গ্রন্থিত হয়েছে।  এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত তার ভাষণগুলো শুধু বাংলাদেশের মানুষের নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে বলে বিশ্বাস করেন সংশ্লিষ্টরা।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামবান্ধব : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনো ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকৃত ইসলামবান্ধব সরকারপ্রধান। তিনি প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন। তিনি কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।  শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে শরীয়তপুরের সখিপুর থানায় ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সখিপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুলের পাশাপাশি মাদ্রাসাকেও এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে যেখানে পৃথিবীর সব বিবেকবান মানুষ সরব, সেখানে ইসরায়েল নাখোশ হবে তাই প্রতিবাদ করছে না বিএনপি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রীয় শোকও পালন করেছি। আর বিএনপির মুখে কোনো কথা নেই। একটা বৃহত্তর গোষ্ঠী অখুশি হতে পারে। সেই কারণে বিএনপি এ নিয়ে কোনো কথা বলে না। অর্থাৎ তাদের অবস্থান ইসরায়েলের পক্ষে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে কোনো সময় কারও পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।’ ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাহাদুরপুরের পীর সাহেব আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম পাইক, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদার।
১০ নভেম্বর, ২০২৩

মদিনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সৌদি আরবের জেদ্দায় ‘ইসলামে নারী’বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৫ নভেম্বর) সৌদি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৯ মিনিটে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সফরসূচি অনুযায়ী প্রথমেই মদিনা মনোয়ারায় মহানবীর (সা.) রওজা জিয়ারত করবেন শেখ হাসিনা। মহানবীর (সা.) রওজা জিয়ারত এবং মসজিদে নববীতে সালাত আদায় শেষে রাতে প্রধানমন্ত্রী মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। রাতেই তিনি জেদ্দা থেকে সড়ক পথে মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন। আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরের সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলন আয়োজন করেছে। সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন। জেদ্দার হিলটনে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। রাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী আবার মক্কা যাবেন এবং মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। সৌদি আরবের মদিনায় হোটেল হিলটনে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশিরা শুভেচ্ছা জানান।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩

টাইমের প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রভাবশালী রাজনীতিক শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন। তারা লিখেছে, সত্তরোর্ধ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম। তার নেতৃত্বে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত পাট উৎপাদনকারী দেশ থেকে এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্রুততম প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় এসব কথা বলা হয়েছে টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের শাসনভার ছিল তার হাতে। বর্তমানে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন নারী সরকারপ্রধান। ইসলামী মৌলবাদী শক্তি ও সামরিক হস্তক্ষেপকারী উভয় পক্ষকেই পরাস্ত করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি মার্গারেট থ্যাচার বা ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আসছে জানুয়ারির ব্যালট বাক্সের লড়াইয়ে জেতার ব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেপ্টেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা টাইমকে বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার জনগণ আমার সঙ্গে আছে।’ বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে; এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার শতাধিক। পুলিশের যানবাহন এবং বাসেও আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানিয়ে আসছে দলটি। একনজরে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। রাজনীতির শুরু: স্কুলজীবনেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৬২ সালে স্কুলের ছাত্রী হয়েও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা, সেই ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরে এসে দলটির সভাপতির গুরুদায়িত্ব নেন। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দলের ২২তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলে দশমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ১৯৯১-এর নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে এরশাদবিরোধী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন শেখ হাসিনা। পরে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপর ১৯৯১ সালে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ ৮৮টি আসন পায় এবং প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৬ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মেয়াদ, ১৯৯৬-২০০১: ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। এতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বিরোধীদলীয় নেতা, ২০০১-২০০৮: ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের কাছে হারে আওয়ামী লীগ। এ সময় তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদকাল, ২০০৯-২০১৪: ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়ী হয়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদকাল (২০১৪-২০১৯): ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদকাল (২০১৯-বর্তমান): একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জয়ী হলে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তার টানা তৃতীয় মেয়াদ। হত্যাচেষ্টা: শেখ হাসিনাকে অন্তত ২০বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। প্রতিটিতেই প্রাণে বেঁচে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের কাছে, ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে, ২০০০ সালে এক জনসভাস্থল ও হ্যালিপ্যাডে, ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনায়, একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয়, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। গ্রেপ্তার: দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই বছরের ১৬ জুলাই তাকে নিজ বাসভবন ‘সুধা সদন’ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অর্জন: অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির হার, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সমুদ্রসীমার জয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১০ মেগা প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি হয়।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রভাবশালী রাজনীতিক শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন। তারা লিখেছে, সত্তরোর্ধ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম। তার নেতৃত্বে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত পাট উৎপাদনকারী দেশ থেকে এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্রুততম প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় এসব কথা বলা হয়েছে টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত রাষ্ট্রের শাসনভার ছিল তার হাতে। বর্তমানে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন নারী সরকারপ্রধান। ইসলামী মৌলবাদী শক্তি ও সামরিক হস্তক্ষেপকারী উভয়পক্ষকেই পরাস্ত করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি মার্গারেট থ্যাচার বা ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আসছে জানুয়ারির ব্যালট বাক্সের লড়াইয়ে জেতার ব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেপ্টেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা টাইমকে বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার জনগণ আমার সঙ্গে আছে।’ বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে; এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার শতাধিক। পুলিশের যানবাহন এবং বাসেও আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। বিএনপি ২০১৪ এবং ২০১৮ উভয়ক্ষেত্রেই নির্বাচন বয়কট করার কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, শেখ হাসিনা যেন নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। একনজরে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। রাজনীতির শুরু স্কুলজীবনেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৬২-তে স্কুলের ছাত্রী হয়েও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন।  আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা, সেই ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনুরোধে শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরে এসে দলটির সভাপতির গুরুদায়িত্ব নেন। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দলের ২২তম ত্রৈবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলে দশম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।  ১৯৯১-এর নির্বাচন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে এরশাদবিরোধী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন শেখ হাসিনা। পরে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ ৮৮টি আসন পায় এবং প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৬ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মেয়াদ, ১৯৯৬-২০০১ ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। এতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।  বিরোধীদলীয় নেতা, ২০০১-২০০৮ ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের কাছে হারে আওয়ামী লীগ। এ সময় তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হন।  প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদকাল, ২০০৯-২০১৪ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়ী হয়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদকাল (২০১৪-২০১৯) ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন।   প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদকাল (২০১৯-বর্তমান) একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জয়ী হলে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তার টানা তৃতীয় মেয়াদ। হত্যাচেষ্টা শেখ হাসিনাকে অন্তত ২০ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। প্রতিটিতেই কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানের কাছে, ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে, ২০০০ সালে এক জনসভাস্থল ও হ্যালিপ্যাডে, ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনায়, একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয়, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। গ্রেপ্তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই বছরের ১৬ জুলাই তাকে নিজ বাসভবন ‘সুধা সদন’ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  অর্জন অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির হার, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সমুদ্রসীমার জয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১০ মেগা প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক অথনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি হয় । 
০২ নভেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিভূ : রাশেক রহমান
রংপুরের মিঠাপুকুরে শারদীয় দুর্গোৎসবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার-ভিডিপি সদস্যদের খাবার বাবদ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেক রহমান। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার হাতে সহায়তার নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।  অনুষ্ঠানে রাশেক রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ধর্ম নিরপেক্ষ। তিনি সম্প্রীতির পথ দেখিয়ে গেছেন। এখন স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব ধর্মের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ। কোনো অপশক্তি বাংলাদেশকে দাবায় রাখতে পারবে না।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান, মিঠাপুকুর আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ওহাব রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আফসার মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান তালুকদার, রেজাউল কবির টুটুল। এ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার ১৪৬টি পূজামণ্ডপের প্রতিটি মণ্ডপে ১ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। পূজায় দায়িত্ব পালনকারী প্রত্যেক আনসার-ভিডিপি সদস্যের মাঝে সংশ্লিষ্ট আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খাবার বাবদ এই অর্থ সহায়তা প্রদান করবেন।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩

লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসির ডুলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (বিএ-২৯২) বিমানটি ছেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ডুলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, ডা. মাসুদুর রহমান, হাজি এনাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহানারা রহমান, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনে চার দিনের এই যাত্রাবিরতিতে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্য সফরকালে লন্ডনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেবেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পর নিউইয়র্ক থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দুর্ভিক্ষ হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ হবে একটি দুর্ভিক্ষপীড়িত একটি দেশ। প্রধানমন্ত্রী না থাকলে স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। কেউ ঘর-বাড়িতে থাকতে পারবে না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না এলে সব চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তাই দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বজায় রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ মুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশিদ এতে সভাপতিত্ব করেন। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও খামারিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X