ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জোট গঠনের ঘোষণা সৌদির
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ ঘোষণা দেন। খবর আনাদোলুর। সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জোটের লক্ষ্য হবে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী সমর্থন সংগ্রহ করা। প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান জানান, জোটের প্রথম বৈঠকটি রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে। আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আমরা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৈশ্বিক জোট গঠনের ঘোষণা করেছি। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের স্থায়ী মীমাংসা শুধু স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আসতে পারে। এই দৃঢ় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই এ জোট গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা যা করার চেষ্টা করছি তা হলো, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি জোট তৈরি করা এবং এর জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কিছু মৌলিক উপাদান প্রয়োজন। প্রিন্স ফারহান আরও জানান, সৌদি আরব এবং মিত্ররা এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিয়াদ, ব্রাসেলস (ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়), কায়রো, অসলো, আম্মান এবং আঙ্কারায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করবে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর প্রশংসা করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সব দেশকে সাহস দেখাতে এবং যে ১৪৯টি দেশ এর মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী আন্তর্জাতিক জোটে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানাই। এ সময় লেবাননে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি বিপজ্জনক আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করছি আমরা, যা আমাদের মিত্র লেবাননকে প্রভাবিত করছে। এ আঞ্চলিক যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে বিপন্ন করছে। অবিলম্বে লেবাননে চলমান যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ফিলিস্তিন নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস
ফিলিস্তিন নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যদম সমন্বয়ক সারজিস আলম।  শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন।  স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, You are always deep in our hearts. Our support will be with you till our last breath. InshaAllah, Palestine will be free. যার অর্থ, আপনারা সবসময় আমাদের হৃদয়ের গভীরে আছেন। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের সমর্থন আপনাদের পাশে থাকবে। ইনশাআল্লাহ, প্যালেস্টাইন মুক্ত হবে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল,স্কুল, শরণার্থী শিবির , মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জোট গঠনের ঘোষণা সৌদি আরবের
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ ঘোষণা দেন। খবর আনাদোলুর। সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জোটের লক্ষ্য হবে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী সমর্থন সংগ্রহ করা। প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান জানান, জোটের প্রথম বৈঠকটি রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে। আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আমরা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৈশ্বিক জোট গঠনের ঘোষণা করেছি। ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকটের স্থায়ী মীমাংসা কেবল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আসতে পারে। এ দৃঢ় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই এই জোট গঠন করা হয়েছে।  তিনি জানান, আমরা যা করার চেষ্টা করছি তা হলো, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি জোট তৈরি করা এবং এর জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কিছু মৌলিক উপাদান প্রয়োজন। প্রিন্স ফারহান আরও জানান, সৌদি আরব এবং মিত্ররা এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিয়াদ, ব্রাসেলস (ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়), কায়রো, অসলো, আম্মান এবং আঙ্কারায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করবে।  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর প্রশংসা করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সমস্ত দেশকে সাহস দেখাতে এবং যে ১৪৯টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী আন্তর্জাতিক জোটটিতে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানাই। এ সময় লেবাননে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি বিপজ্জনক আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করছি আমরা, যা আমাদের মিত্র লেবাননকে প্রভাবিত করছে। এই আঞ্চলিক যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে বিপন্ন করছে। অবিলম্বে লেবাননে চলমান যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। 
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ছাড়তে আলটিমেটাম দেবে জাতিসংঘ
অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতি (দখলদারি) ছাড়তে আলটিমেটাম দেবে জাতিসংঘ। এ আলটিমেটামে তাদের অঞ্চল ছাড়তে ১২ মাসের সময়ে বেঁধে দেওয়ো হবে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পদক্ষেপের  কারণে ইসরায়েল জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বার্ষিক অধিবেশনকে কেন্দ্র করে বিশ্বনেতারা নিউইয়র্কে জড়ো হবেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। একইদিন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও ভাষণ দেবেন।  জানা গেছে, গত জুলাই মাসে দেওয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতকে নতুন এ প্রস্তাবে স্বাগত জানানো হবে। ওই সময়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও বসতি স্থাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে তা প্রত্যাহারের পক্ষে মত দেন আদালত।  আদালত তখন দখলদারিত্ব অবৈধ ও বসতি প্রত্যাহারের কথা বললেও এ বিষয়ে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি। তবে এবার এ কাজের জন্য সাধারণ পরিষদ ইসরায়েলকে ১২ মাসের সময় নির্ধারণ করে দেবে।  আইসিজের মতামত মেনে চলা কারো জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও আন্তর্জাতিক আইনে তার গুরুত্ব রয়েছে। ফলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনে এটি প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবও বাধ্যতামূলক না হলেও এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার জন্য উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হবে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর প্রস্তাব পাস হওয়ার মতো ভোট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আপনারা ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকুন। আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে, স্বাধীনতার সঙ্গে, শান্তির সঙ্গে থাকুন। এদিকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন এ প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। তিনি এটিকে কূটনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বলে  উল্লেখ করেছেন। এছাড়া এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডও।  ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা এ তিন অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। 
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ইসরায়েলকে আমিরাত-সৌদির কড়া বার্তা
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল পৃথক বার্তা দেন।  সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  আমিরাত জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ-পরবর্তী কোনো পরিকল্পনায় সমর্থন দেবে না তারা। অন্যদিকে সৌদি আরব জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না তারা।  শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, আমিরাত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে প্রস্তুত নয়। এমন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে যেখানে সরকার ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এবং সততা, যোগ্যতা, স্বাধীনতা ও সম্মানের সঙ্গে এটি পরিচালিত হবে। এ ধরনের সরকারকে আমিরাত সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে।  এদিকে সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সাল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না ততক্ষণ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না সৌদি আরব।  এর আগে গত মে মাসে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ইসরায়েলকে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সৌদির শর্ত মানতে হবে। তবেই এ সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এ শর্তগুলো হলো- গাজা থেকে সরে যাওয়া, বসতি স্থাপন বন্ধ করা এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা। নিবন্ধে লেখক উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এ চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সৌদির শর্ত মেনে নেওয়ার মতো ইসরায়েলে কোনো সরকার এলে তখন চুক্তি হতে পারে। চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। এছাড়া পারমাণবিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে তারা।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা চায় আমিরাত
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের কোনো পরিকল্পনায় সমর্থন করবে না সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত শনিবার আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এক এক্স বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন। নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।’ এর আগে গত মে মাসে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। তার দাবি, এটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে। এ পরিকল্পনায় বন্দর, সৌরশক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। নেতানিয়াহুর প্রস্তাবিত ওই পরিকল্পনায় যুদ্ধে বিজয়ের পর আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে তিনটি পর্যায়ে ধাপগুলো সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছিল। সেই রোডম্যাপে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অধীনে পরিকল্পনাটি চালাবে, যা সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কোসহ আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোট তত্ত্বাবধান করবে। নেতানিয়াহুর প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ। তার মতে, এ পদক্ষেপটিতে বাস্তবায়ন বা অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার বৈধ কর্তৃত্বের অভাব রয়েছে। কেননা, গাজা পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি উপস্থিতির স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে যে কোনো পরিকল্পনায় জড়িত হতে অস্বীকার করে। তিনি আরও বলেন, যখন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে, যা ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সততা, যোগ্যতা এবং স্বাধীনতার দ্বারা আলাদা হবে। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকবে।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের পরিকল্পনায় সমর্থন নয়’
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের কোনো পরিকল্পনায় সমর্থন করবে না সংযুক্ত আরব আমিরাত। শনিবার আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এক এক্স বার্তায় একথা জানিয়েছেন।  নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।’   এর আগে, গত মে মাসে, ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। নেতানিয়াহুর দাবি, এটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে। এই পরিকল্পনায় বন্দর, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল।  নেতানিয়াহুর প্রস্তাবিত ওই পরিকল্পনায় যুদ্ধে বিজয়ের পর আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে ৩টি পর্যায়ে ধাপগুলো সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছিল।  সেই রোডম্যাপে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অধীনে পরিকল্পনাটি চালাবে। যা সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কোসহ আরব রাষ্ট্রগুলির একটি জোট তত্ত্বাবধান করবে। নেতানিয়াহুর প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ। তার মতে, এই পদক্ষেপটিতে বাস্তবায়ন বা অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার বৈধ কর্তৃত্বের অভাব রয়েছে। কেননা, গাজা পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি।  আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি উপস্থিতির স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে যে কোনো পরিকল্পনায় জড়িত হতে অস্বীকার করে।  তিনি আরও বলেন, যখন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে যা ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সততা, যোগ্যতা এবং স্বাধীনতার দ্বারা আলাদা হবে। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকবে।   
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অনড় জার্মানি
ফিলিস্তিন স্বাধীন না হলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মনে করে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সোমবার (১৯ আগস্ট) জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ব্রেমেনের টাউন হলে আয়োজিত জনসভায় দেওয়া ভাষণে ওলাফ এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, জার্মানি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় দ্বিরাষ্ট্র সমাধান। শান্তিপূর্ণভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি সেই রাষ্ট্রকে চলতে দেওয়ার মধ্যেই মুক্তির উপায় নিহিত রয়েছে। ফিলিস্তিনি জাতি যদি স্বাধীনতার আশা হারিয়ে ফেলে, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। ওলাফ আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে এটাই ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির অবস্থান। যে যত সমালোচনাই করুক, জার্মানি এই অবস্থানে অনড় থাকবে।   এর আগে গত মাসে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আইসিজে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে পশ্চিম তীর অঞ্চলে ইসরায়েলের বসতি খালি করার নির্দেশ দেন। আইসিজে রায় দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এখন থেকে ইসরায়েলের দখলদারী নীতিকে সমর্থন করবে না জার্মানি। এ বিষয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান ওয়াগনার বলেন, জার্মানি ইসরায়েলকে সমর্থন করে, কারণ বার্লিন মনে করে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে সমর্থন করা জার্মানির ঐতিহাসিক দায়িত্ব। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, জার্মানি ইসরায়েলের দখলদারী নীতিকেও সমর্থন করবে।
২১ আগস্ট, ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় ব্যথিত পুতিন
ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশায় মস্কো ব্যথিত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ স্বাধীন একটি রাষ্ট্র সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষাকেও মস্কো সমর্থন করে বলে জানান তিনি। রাশিয়ায় সফররত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এমনটি জানান পুতিন।  ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেছেন, সবাই ভালোভাবেই জানে রাশিয়াকে আজ দুঃখজনকভাবে হাতে অস্ত্র নিয়ে নিজেদের স্বার্থ ও জনগণকে রক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে কী হচ্ছে, ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে, সেটিও আমাদের পক্ষ থেকে নজর এড়িয়ে যাচ্ছে না। আর আমরা অবশ্যই খুবই বেদনা আর উদ্বেগ নিয়ে ফিলিস্তিনে নেমে আসা এই মানবিক বিপর্যয় লক্ষ করছি। রাষ্ট্রীয় সফরে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গেছেন আব্বাস। বুধবারও (১৪ আগস্ট) সেখানেই ছিলেন তিনি। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করতে আঙ্কারায় যাওয়ার কথা রয়েছে তার। 
১৫ আগস্ট, ২০২৪

হানিয়াকে হারিয়ে কাঁদছে ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর যেন শোকে কাঁদছে গাজাসহ পুরো দেশটি। ইরানের রাজধানী তেহরানে মঙ্গলবার ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার শিকার হন তিনি। প্রিয় জন্মভূমির স্বাধীনতার দাবিতে আমৃত্যু লড়ে যাওয়া এ নেতার মৃত্যুতে যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ। হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে চলছে সাধারণ ধর্মঘট। বিশ্বজুড়ে চলছে এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। জানাচ্ছেন ওয়াহেদুজ্জামান সরকার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া মঙ্গলবার থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার সকালে হানিয়া এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হলেও তাকেই গোষ্ঠীটির সর্বোচ্চ নেতার সম্মান দেওয়া হতো। ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের এ লড়াকু সৈনিক কখনো মাথানত করেননি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছে। ফিলিস্তিনিদের হৃদয় জয় করা এ নেতাকে হারিয়ে তাই অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, ১৯৬২ সালে ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে হানিয়ার জন্ম। শিশু বয়স থেকেই তার জীবন দুঃখ-দুর্দশায় ভরা। জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে গাজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। হানিয়া প্রথম ইন্তিফাদার প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন এবং ইসরায়েলি সামরিক আদালত তাকে কারাদণ্ড দেয়। ১৯৮৯ সালে তিন বছরের জন্য কারাবরণ করেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফিরে রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হন। তার বিচক্ষণতায় ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এর সূত্র ধরে গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর উপত্যকায় ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে। এ নেতার সরাসরি রাজনীতিতে উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। তখন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলকে হারিয়ে চমক দেখায় হামাস। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান হানিয়া। কিন্তু খুব বেশি দিন তিনি এ পদে টিকে থাকতে পারেননি। কিছুদিন পরই গাজায় হামাস ও ফাতাহের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হলে হানিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন আব্বাস। তবে হানিয়া এ সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে সে সময় বলেছিলেন, তার সরকার ফিলিস্তিনের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন থেকে তিনি বা তার সরকার সরবেন না। তারপর থেকেই মূলত গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হামাসের হাতে। ২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান হন হানিয়া। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এ দায়িত্বই পালন করে আসছিলেন। জনপ্রিয়তার কারণে তিনি বারবার গোষ্ঠীটির নেতা নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তাকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ঘোষণার পর গাজা ছেড়ে কাতারে চলে যান হানিয়া। গত কয়েক বছর সেখানেই বসবাস করছিলেন। তিনি গাজা থেকে কাতারে চলে আসার পর সেখানে প্রধান নেতার দায়িত্ব চলে যায় ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের হাতে।
০১ আগস্ট, ২০২৪
X