সংবাদমাধ্যম গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে : বিএফইউজে মহাসচিব
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, এই সরকারের কারণে সংবাদমাধ্যম গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে। সাংবাদিকের কাজ রাজনীতি করা নয়।  শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, সরকারের কারণে সংবাদমাধ্যম গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে। সাংবাদিকের কাজ রাজনীতি করা নয়। তবে ভালোর পক্ষে কল্যাণের পক্ষে থাকতে হবে। সাংবাদিকরা হবে সত্যের পন্থি। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলবে। বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকারহরণ, ভোটাধিকারহরণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ, অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবে সাংবাদিকরা। এজন্যই গণমাধ্যম আর সাংবাদিকদের ভরসার শেষ ঠিকানা মনে করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতা না থাকায় সংবাদমাধ্যম আজ গণমুখী সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে।  সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে শহরের টিএমএসএস অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিল অধিবেশনে বিশেষ অতিথি  ছিলেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।  সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক গনেশ দাস, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাবেক সভাপতি মতিউল ইসলাম সাদী, সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, কার্যনির্বাহী সদস্য (সদ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক) এস এম আবু সাঈদ, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমিন রশিদ শাইন প্রমুখ।  এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম গণমাধ্যমের হতে পারছে না। সত্য তুলে ধরতে না পারায় সংবাদমাধ্যম দিন দিন মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলছে। যা সংবাদমাধ্যমকে অস্তিত্বের সংকটে ধাবিত করছে। গণমাধ্যম সব সময় জনগণের পক্ষে থাকার কথা। কিন্তু কীভাবে জানি না, জনগণের সঙ্গে গণমাধ্যমের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কালে কালে সে দূরত্বটা বাড়ছেই শুধু। আমরা জানি না আমাদের মিডিয়া মালিকরা তা অনুধাবন করছেন কিনা!
০৮ মার্চ, ২০২৪

বিএফইউজে নির্বাচনে গাজী-গনি পরিষদ জয়ী
বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নির্বাচনে গাজী-গনি পরিষদ জয়ী হয়েছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে রুহুল আমিন গাজী ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম. আবদুল্লাহ পেয়েছেন ১৪৭ ভোট। মহাসচিব পদে কাদের গনি চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন ২২৪ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল আমিন রোকন পেয়েছেন ১১২ ভোট। এ ছাড়া সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুর রহমান শাহীন (২১৪), মুহাম্মদ খায়রুল বাশার (১৮৮) ও এ কে এম মহসিন (১৫৭ ভোট)। সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন বাছির জামাল (২১৫), ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন (১৯৮) ও এহতেশামুল হক শাওন (১৮৯ ভোট)। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শহীদুল ইসলাম (২১১), সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ (১৮৪), দফতর সম্পাদক মো. আবু বকর (২০৯), প্রচার সম্পাদক মো. শাজাহান সাজু (১৮০ ভোট)। নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন হাসনাত (২১৩), মো. মোদাব্বের হোসেন (২০৫), অপর্ণা রায় (১৯৪), মুহাম্মদ আবু হানিফ (১৭২), ম. হামিদুল হক মানিক (১৬০), মীর্জা সেলিম রেজা (১৫৮) ও মো. আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (১৪৫ ভোট)। এ নির্বাচনে এম. আবদুল্লাহ ও নূরুল আমিন রোকনের নেতৃত্বে অপর একটি পরিষদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X