গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার টেপিরবাড়ি মাটির মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম ফরিদ আহমেদ (২৩)। তিনি উজিলাব গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে। ফরিদ স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের সামনে ফলাফল জানার অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন তরুণের সঙ্গে ফরিদসহ তার বন্ধুদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই পক্ষটি অতর্কিত হামলা চালায় তাদের ওপর। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন ফরিদ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বন্ধুরা অভিযোগ করেন, তারা ১০ থেকে ১২ জন একসঙ্গে নির্বাচনের পর ফলাফল জানার জন্য আনসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর বাড়ি ফেরার পথে টেপিরবাড়ি মাটির মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে তারা দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মৃত্যু হয় ফরিদের।
নিহতের চাচা বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিছুক্ষণ পর শুনি তাকে গুলি করছে। আমার ভাতিজা কারো সমর্থক ছিল না।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, মৃত অবস্থায় মো. ফরিদকে হাসপাতালে আনা হয়। ফরিদের সঙ্গে যারা ছিলেন তারা জানিয়েছেন, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমরা দুটি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন