Tue, 08 Oct, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ইতালির ভিসাপ্রত্যাশীদের সুখবর দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৪ মিনিট আগে
মেসি ফিরলেও দুর্দশায় আর্জেন্টিনা
৫৬ মিনিট আগে
টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ
৪৭ মিনিট আগে
সাবেক সতীর্থকে নিয়ে মেসির আবেগী বার্তা
২ ঘণ্টা আগে
শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে স্কালোনির অবাক করা মন্তব্য
৩ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
জলাবদ্ধ ঘটনার পুনরাবৃত্তি পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে মনিরামপুরের ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতায় প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ মানুষের দুর্দশা সৃষ্টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বছরের পর বছর ধরে মানবিক বিপর্যয় সংগঠিত হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া পদ্ধতিগত মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ অভিযোগ গ্রহণ করেন। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কেন এতদিনেও এ সমস্যার সমাধান করা যায়নি তা কমিশন জানতে চায়। সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যার একটি প্রকৃত সমাধানের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদান ও পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে এ অঞ্চলকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যশোর-খুলনা অঞ্চলের মানুষের দুঃখের একটি নাম হলো ভবদহ। বৃষ্টির মৌসুম এলেই এই অঞ্চলের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটে। ভারি বৃষ্টি হলে এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় ফসলের খেত, হাজার হাজার মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতি হয় মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সরকার আসে, সরকার যায়, প্রকল্প আসে, প্রকল্প শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ভবদহ এলাকার মানুষের সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। বন্যা হলেই এখানকার মানুষ নওয়াপাড়া, খুলনা, যশোর ও মনিরামপুর শহর এলাকায় গিয়ে কেউ রিকশা বা ভ্যান চালায়, কেউ মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। কেউ শাপলা-কলমিশাক বিক্রি করে দিন চালায়। সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে রাস্তার ওপর উঁচু জায়গায় টংঘর বেঁধে বসবাস করছে। বিশেষ করে ছিয়ানব্বই এলাকার কুলটিয়া, লাখাইডাঙ্গা, নেহালপুর, পাতাকড়ি ও কপালিয়া অঞ্চল বেশি বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের শত শত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা হাঁটুপানি ভেঙে কেউবা বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে যায়।
২০ ঘণ্টা আগে
তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা এবং তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ নির্দেশ দেয়। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের মতে, কমিশন আইন, ২০০৯-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাগেরহাটের পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি বাগেরহাটের সিভিল সার্জনকে প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলে, মারধর করার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমীচীন। এ বিষয়ে কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। অভিযোগে বলা রয়েছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে গত ২ অক্টোবর দুপুরে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তিন চিকিৎসককে মারধর করে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেনকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে মুফতি কামালের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির কর্মীও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুরে হঠাৎ করেই ২০ থেকে ২৫ দুর্বৃত্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে। তারা সেখানে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) চন্দন দাসকে মারধর করে। তাকে রক্ষায় ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া ও ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা এগিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা তাদেরও বেধড়ক মারধর করে। ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা বলেন, মো. শিমুল শেখ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল জরুরি বিভাগে হামলা করে। তারা চন্দন দাসকে বের করে বেধড়ক মারধর করে। ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া আর আমি চন্দন দাসকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা আমাদেরও মারধর করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়কে গালাগাল করে। শিমুল শেখের সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের শাহীন ও একমি ফার্মাসিউটিক্যালসের রাব্বিকে চিনতে পেরেছি। হাসপাতালের ভেতরে এমন হামলার ঘটনায় চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হামলার বিচার দাবি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ
কয়েক মাস পরপরই ওষুধের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিতে উদ্বেগ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোববার (০৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিবৃতিতে বলা হয়, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নজরদারিসহ রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। সুয়োমটোতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেট, ভিটামিন, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিকসের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। অপরদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ওষুধের দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। রাজধানীর গোপীবাগ, শাহবাগ, মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। জানা যায়, দেশে উৎপাদিত মোট ওষুধের মাত্র ৩ শতাংশের দাম নির্ধারণ করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বাকি ৯৭ ভাগের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো ওষুধ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে বরাবরই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওষুধের কাঁচামাল, মার্কেটিং খরচ ও ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে গত ২৯ এপ্রিল উচ্চ-আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় কিন্তু সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গৃহীত সুয়োমটোতে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের তালিকা করা, সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রেখে ওষুধের দাম নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনকে অবহিত করতে মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪
প্রতিমা ভাঙচুর /
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ‘ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল আলমসহ ৩ সদস্য। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে উক্ত কমিটি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলেন। গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণকে আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিমা ভাঙার ঘটনা অত্যন্ত ঘৃণিত, নিন্দনীয় এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন মর্মে কমিশন মনে করে। উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। একইসঙ্গে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরি।
০১ অক্টোবর, ২০২৪
দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান
আসন্ন দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়ে কমিশন বলেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে আগামী অক্টোবরের প্রথমাংশে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে জনসংখ্যায় স্বল্পতার অস্তিত্ব আছে, যদিও কমিশন লঘু বা গুরুর পরিবর্তে সম-নাগরিকতায় বিশ্বাস করে এবং সবাইকে সমান নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কেউ যদি অসহায় বোধ করেন তবে দেশের মানবাধিকার সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে দেশ স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কিছু স্বার্থান্বেষীর অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও বাড়িঘরে, কোথাও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরই প্রেক্ষিতে দুর্গাপূজা উদযাপন ঘিরে কোথাও কোথাও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কমিশন আসন্ন দুর্গাপূজায় সকল মণ্ডপে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছে। কমিশন মনে করে, সারা দেশব্যাপী বিশাল সংখ্যক (৩২৬৬৬টি) পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এলাকাভিত্তিক সক্ষমতা যাচাই করে উপযুক্ত করে তোলা বা সহযোগী শক্তি গঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রতিপালন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিতকরণ, পূজা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন, সংশ্লিষ্ট সকল এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানায় কমিশন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পৌরশহরের গোবিন্দ জিউর মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গোবিন্দ বাড়ি জিউর মন্দিরে এসে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম, সদস্য সচিব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. মোজাফফর হোসেন ও সদস্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ, গৌরীপুর থানার ওসি মো. মির্জা মাযহারুল আনোয়ার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আইয়ুব, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর, মধ্যবাজার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রঞ্জিত চন্দ্র সাহা প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গৌরীপুর মধ্যবাজার পূজামণ্ডপ কমিটির উদ্যোগে পৌরশহরের মধ্যবাজার এলাকায় অস্থায়ী মণ্ডপ তৈরি করে প্রতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজন করা হয়। মণ্ডপের প্রতিমা বানানো হয় পৌরশহরের গোবিন্দ জিউর মন্দিরে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মন্দিরে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মধ্যবাজার পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি রঞ্জিত সাহা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এরই মধ্যে পুলিশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গজন্দর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে ইয়াসিন মিয়া (১৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরিবারের দাবি ইয়াসিন প্রতিবন্ধী। সে সরকারি ভাতা পায়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আইয়ুবও তার প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন /
নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে শিশুদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। নিহত শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ ও সার্বিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ ও নিরাপত্তা বলয়ে আনতে একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয় জানালেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে শিশু অধিকার ও শিশুশ্রম বিষয়ক থিমেটিক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন শিশুর মৃত্যুর ঘটনাগুলো দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল সবাইকে নিরাপত্তা প্রদান করা, যা করতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে প্রতিটি ঘটনা পৃথকভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনাপূর্বক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে । ভবিষ্যতে শিশু সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আন্দোলনকালীন সহিংসতায় শিশুদের উপর যেসব নেতিবাচক শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব পড়েছে তা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি শিশুদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সেসব দ্রুত নিরসন ও নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আহত শিশুদের ব্যক্তিভিত্তিক তালিকা ও বিবরণ প্রস্তুত করে অতিসত্বর তাদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করা এবং নিহতদের পরিবারের পক্ষে সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে সহায়ক ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহত শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম নিরসন, আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণকে চেয়ারম্যান প্রাধান্য দেন। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুর মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এসডিজির ৫.৩নং অনুচ্ছেদে বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিবাহ নিরসনে যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সে বিষয়ে লক্ষ্যনির্ভর ও সুনির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক কর্মপন্থা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এদিকে বিদ্যমান শ্রম আইনের বিভিন্ন দিক বিবেচনাপূর্বক এটি সংশোধন ও আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। শিশুশ্রমের জন্য বয়স ও কর্মঘণ্টা বিষয়ক আইনের বিদ্যমান বিতর্ক নিরসনপূর্বক সরাসরি শ্রমে নিয়োজন ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে বিরত থাকার বিষয়ে বিধান রাখার প্রতি গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও একাধিক বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে কক্সবাজারের রামুর দুর্গম এলাকায় চারটি গ্রাম, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার কয়েকটি গ্রামসহ ৩টি উপজেলার কয়েকটি (৯টি) গ্রাম বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম বর্তমানে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার ঘোষণার জন্য প্রস্তাব রয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. তানিয়া হক। অংশ নেন সম্মানিত সদস্য কংজরী চৌধুরী, অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ইউনিসেফের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি, প্লান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধি ও ইনসিডিন বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শিশু প্রতিনিধি এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বিচারবহির্ভূত ৩ হাজার হত্যার বিচার চাইল শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন
দেশে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার কোনো সমালোচনায় বিরক্ত হয় না। বরং গঠনমূলক সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে একটি হোটেলে বিশ্বের অর্ধডজনেরও বেশি শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এ সাক্ষাতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব এবং গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা সরকারের শাসন আমলে চালানো নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে প্রায় ৩ হাজারের মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আরও তদন্তের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া তারা নিরাপত্তা সেক্টর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং অধিকতর তদন্ত, একনায়কতন্ত্রের সময় বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের রাখা ডিটেনশন কেন্দ্রগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। বৈঠকে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও এ বৈঠকে যোগ দেন। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে কীভাবে নাগরিকদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার খর্ব হতো এবং অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কী কী করছে, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার পুলিশসহ প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। তার সরকার যে কোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানায় এবং অন্তর্বর্তী প্রশাসন মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সংস্কারের জন্য বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া নানা সংস্কারের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে সংস্কারের জন্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দেবেন বলে জানান। বৈঠকে ড. ইউনূস তার নেওয়া সংস্কার কাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের আরও সহায়তা চান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। তিনি বলেন, অন্তত দুই বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ দেওয়া হবে এবং বিদ্যমান ঋণ কর্মসূচি থেকে আরও দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ খুলতে চান ড. ইউনূস: চীনকে বাংলাদেশের জনগণের ‘পুরোনো বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই। এর মাধ্যমে অতীতের মতো সব উন্নয়ন কাজের অংশীদার হবে চীন। বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক আরও গভীরে নিয়ে যেতে চায় বলে জানান। নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারা এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস বলেন, চীনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের কাছে পছন্দের বাজারে প্রবেশাধিকার ভোগ করে। তিনি অন্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থাপন করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশে সোলার প্যানেল প্রকল্পে বিনিয়োগকে গুরুত্বসহকারে দেখছে চীন। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করতে চায় দেশটি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর বলেন, চীন বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ এবং ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। এ সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান চীনা মন্ত্রী। ইউনূস-শেহবাজ বৈঠক: সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আগ্রহ প্রকাশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ‘সার্ক’কে পুনরুজ্জীবিত করতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ঐকমত্য পোষণ করেছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ উন্মোচন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বৈঠকে মিলিত হন। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তাদের মধ্যে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই দেশের সরকারপ্রধান দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার, এ ক্ষেত্রে একটি ভালো উপায় হতে পারে পাকিস্তানের সমর্থন।’ উত্তরে শেহবাজ শরিফ তার সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মকে পুনরুজ্জীবিত করতে ধাপে ধাপে তারা এগিয়ে যাবেন। শরিফ বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘নতুন পৃষ্ঠা’ উন্মোচন করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা খুবই জরুরি।’ শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে তার দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ‘যুব কর্মসূচি’ বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা নবায়ন এবং দুই দেশের মধ্যে যৌথ কমিশন ফের সক্রিয় করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনাকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ড. ইউনূসকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা: দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন তারা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উভয় নেতা কুশল বিনিময় করেন। জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে ইউনূস-ওলি আলোচনা: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উভয় নেতা এ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশে নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে আমি আনন্দিত। এ সময়ে জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষাগত সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতার ওপর নজর দেওয়া হয়।’ বৈঠকের ফল সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ও কে পি শর্মা ওলির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তারা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রেস সচিব বলেন, নেপালের জলবিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং তারা দু-তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে সক্ষম হবে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধানকে ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্মারকলিপি
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন হত্যা বন্ধ করতে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে, চেপে বসা অপশক্তির অবৈধ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে এবং তাদের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান ভলকার টুর্ক বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছেন ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরে একজন কর্মকর্তা স্বারকলিপি গ্রহণ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে এই স্বারকলিপি হস্তান্তর করেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান প্রমুখ। স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারী-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে গত ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েকশ মিথ্যা মামলা, সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন, হত্যা, নৈরাজ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলছে। দেশে মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করি। কিন্তু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আছেন, ওখানে আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বাংলাদেশে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সম্পত্তি লুট করা হচ্ছে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, হত্যা বন্ধ করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ নেতাদের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা অভিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে কয়েকটি শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা হয়। মানবাধিকার কর্মকর্তারা স্বৈরশাসকের সময় সম্পাদিত প্রায় তিন হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তারা নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার ও নির্বিঘ্নে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং শেখ হাসিনার স্বৈর-শাসনামলে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটক কেন্দ্রের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো যে, এটি এক নতুন বাংলাদেশ। কীভাবে পূর্বের স্বৈরাচারী শাসনামলে নাগরিকদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণ করা হয়েছিল এবং তার সরকার দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এ পর্যন্ত কী করেছে- তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের জন্য তার সরকার পুলিশ সংস্কারসংক্রান্ত একটি কমিশনসহ বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার তার কর্মকাণ্ডের যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন বাকস্বাধীনতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয়। আসলে আমরা সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সরকার দেশে কারো কণ্ঠরোধ করবে না। হংকং-ভিত্তিক সাবেক মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক জুলিয়া ব্লেকনারও বৈঠকে বক্তৃতা করেন। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আরও
X