পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ওপর খুব কাছ থেকে নজর রাখা হচ্ছে। রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে ইরানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটি ঘন কুয়াশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে এরই মধ্যে রওনা দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত হয়েছেন বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে সেগুলো খুবই চিন্তার।’
২০ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিরলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে ১৪ থেকে ১৬ মে অনুষ্ঠিত দ্য ল্যান্ড ফোর্সেস প্যাসিফিক (LANPAC) সিম্পোজিয়াম এবং এক্সপোজিশন-২০২৪ শেষে গতকাল রোববার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সেনাবাহিনী প্রধান ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা মহাকাশ হুমকি মোকাবিলা, স্থল বাহিনীকে ভবিষ্যৎ অপারেশনের জন্য প্রস্তুতকরণ, সংঘাতপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীর আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান। সে সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদার সম্পর্ক উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
২০ মে, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের নেমেছে ৪০টি অনুসন্ধানী দল। তাদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন রয়েছে। এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সম্ভাব্য হার্ড ল্যান্ডিংয়ের খবর জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র।  হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রাহমাতিসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। খবর আল জাজিরা। এর আগে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভিন্নধর্মী তথ্য প্রচার হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪

ডলারের জোগান বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ব্যাংকের এমডিরা
ডলারের জোগান বাড়াতে সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। প্রবাসীরা যাতে অবসর ব্যাংকিং হিসেবে ব্যাংকে ডলার জমা রাখেন, সেই প্রচারণায় অংশ নেবেন এসব এমডি। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধ-সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানেও তাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানও। তথ্য বলছে, দেশের ডলার সংকটের এ সময়ে ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা প্রচার চালাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় ডলার জমায় উদ্বুব্ধ করতে দেশটিতে প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানগুলোতে যুক্ত থাকবেন এমডিরা। পাশাপাশি একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আরও ২৫ জন এমডি। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়া-সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। তথ্য বলছে, ২৪ মে নিউইয়র্কে একটি হোটেলে প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট-সংক্রান্ত প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি থাকবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন। এ অনুষ্ঠানের খরচও বহন করবে উল্লিখিত ব্যাংকগুলো।
১৮ মে, ২০২৪

র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র
র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা জানান। প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশ সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, পররাষ্ট্র দপ্তর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। জবাবে প্যাটেল বলেন, এসব দাবি মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহির প্রচার। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এলে তার সঙ্গে নৈশভোজের বৈঠকের পর সালমান এফ রহমান গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন। সেখানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, এ বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছেন, এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন, হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।’ ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে র‍্যাবের পাশাপাশি সংস্থার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
১৮ মে, ২০২৪

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা জানান। প্যাটেলের কা‌ছে প্রশ্ন করা হয়- বাংলাদেশ সফরকা‌লে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জানানো হয়, তথ্যটি সঠিক নয়। বেদান্ত প্যাটেল ব‌লেন, এসব দাবি মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এলে তার সঙ্গে নৈশভোজের বৈঠকের পর সালমান এফ রহমান মিডিয়াকে ব্রিফ করেন। সেখানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, এ বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছে এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন- হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।’ ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে র‌্যাবের পাশাপাশি সংস্থার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
১৭ মে, ২০২৪

যুদ্ধ শেষে গাজায় যে পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলা ধ্বংসনগরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার  উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।  ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।  ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ এ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।  গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও এতো কোনো মার্কিন সেনা থাকবে না। আরব দেশগুলোকে  এতে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্ষিয়টির সঙ্গে পরিচিত এক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রচেষ্টায় ওয়াশিংটন নেতৃত্ব দেবে। যদিও তা বাস্তবায়নের এখনও অনেক কাজ বাকি। 
১৭ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কাছে অপ্রাসঙ্গিক!
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে কি বিএনপির মোহভঙ্গ ঘটেছে? বিষয়টা অনেকটা এমনই। গত কয়েক বছরে এবং এ বছর ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথের বিরোধী দল হিসেবে বিশাল বিশাল সমাবেশ, নানা প্রকার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলেও বিএনপির মনোজগৎ জুড়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দলীয় সাংবাদিককে দিয়ে প্রশ্ন করানো, সেটা নিউজ আকারে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা, ভাইরাল করা, ঘন ঘন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় যাওয়া, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ডেকে ডেকে ঘন ঘন বৈঠক করা সবই করেছে বিএনপি। দেশের ভেতরের কিছু বুদ্ধিজীবী এবং দেশের বাইরে অবস্থানকারী বিএনপি সমর্থক ইউটিউবার আর ফেসবুকাররা তারিখ দিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ফেলে দিয়েছেন। বিএনপি এদের ওপর নির্ভর করেছে এবং বলতে গেলে এদের বক্তব্যের লাইন অনুসরণ করে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। বিএনপি নেতারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভেবেছেন নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন না হওয়ার জন্য আমেরিকা একটা কিছু করবেই। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। বিএনপি ছাড়াই নির্বাচন করে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি এখন আবার রাজপথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে, তবে এখনো সেভাবে জনপরিসরে তার কোনো প্রভাব নেই। তবে এ কথা বলতেই হবে যে, সরকারের জন্য একটা চাপ যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই তৈরি করেছিল। প্যারামিলিটারি এলিট বাহিনী র‍্যাবের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে, হঠাৎ করে শ্রম আইনের ডিক্রি জারির মাধ্যমে সরকারের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নানা কথা বলছিল পশ্চিমা দেশগুলোও। কিন্তু কোনো কিছুই শেখ হাসিনাকে টলাতে পারেনি। নির্বাচন হয়েছে, সরকার পুরোদমে দেশ পরিচালনা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজ করা, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলে চিঠি দিয়েছেন। যে ফেসবুকাররা গলা ফাটিয়ে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে টিকতে দেবে না, তারা এখন হতাশ শুধু নন, ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের পক্ষে ওকালতির অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন এবং তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিএনপিও এখন সেই গান গাইছে। এ সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন, তখন বিএনপি তাকে উপেক্ষা করছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের কাছে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিএনপি তাদের রাজনীতির পক্ষে, তাহলে আমেরিকাকে প্রাসঙ্গিকই মনে করছে না যতটা ছিল নির্বাচনের আগে। বলতে গেলে পুরো পশ্চিমা শক্তির ওপরই আস্থা হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। গত বছর ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পর বিএনপি যখন সরকারি দমন নীতিতে পুরো কোণঠাসা, তখনো আস্থা ছিল যে, আমেরিকা একটা কিছু করছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি ঘোরের মধ্যে ছিল যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে চাপ দেবে, সেই চাপে সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবে আর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এমন একটি সহজ-সরল অঙ্ক বিএনপির মাথায় ঢুকিয়েছিলেন সেসব বুদ্ধিজীবী আর ইউটিউবার। বিএনপি নেতারা তখন প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দেশটির কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নালিশ জানিয়েছেন। গত বছর ২৪ মে যখন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে, সেই ভিসা নীতির ঘোষণা হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতাদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ লক্ষ করা গিয়েছিল। তারা এ ভিসা নীতি নিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। এর ফলে তারা অর্ধেকটা ক্ষমতায় প্রায় এসেই গেছেন এমন একটা ধারণাও দিতে শুরু করেন। বিএনপির অনেক নেতা প্রকাশ্যেই বলছেন, বাংলাদেশে ২০১৪ বা ২০১৮-এর মতো নির্বাচন হবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে সেই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে না; কিংবা সেই নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি তার দাবি আদায় করতে পারেনি, নির্বাচনও ঠেকাতে সক্ষম হয়নি। বিএনপির কাছে যুক্তরাষ্ট্র এখন অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু একটা দল কেন এমন করে চিন্তা করল? যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোনো কিছুতে বাধ্য করতে পারবে বলে কেন মনে করেছিল বিএনপি? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চেয়েছিল তা পায়নি। কিন্তু কী আসলে চেয়েছিল? চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র দলটিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিক। বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ নির্ভরতার কারণে দলটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের নেতাকর্মীর চেয়ে বিদেশিদের দিকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট হওয়ার কারণে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা তৈরি হয়নি। একসময় অতিমাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাজনীতির গতিপথ দলটিকে মারাত্মক সংকটে ফেলে দিয়েছে। আবার এখন অতিমাত্রায় উপেক্ষা করার মনোভাব দলটিকে অপরিপক্ব হিসেবে জনপরিসরে উপস্থিত করে। নির্বাচনের আগে খবর বেরিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী লবিস্ট ফার্ম ব্লু স্টারকে নিয়োগ করেছে বিএনপি। দলটির যুক্তরাষ্ট্রের নেতা আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়, সেজন্য যেন যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখে এটি নিশ্চিত করার জন্যই ব্লু স্টারকে লবিস্ট ফার্ম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বের একগুঁয়েমি, অপরিপক্ব আচরণ এবং সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরামর্শ দলকে নিরুদ্দেশের পথে নিয়ে গেছে। এখন নানাভাবে খবর আসছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছিল। একটি পত্রিকা খবর দিয়েছে, দলটির শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতার সঙ্গে দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা পৃথকভাবে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে দুজন নেতার সঙ্গে আলোচনা হয় কারাগারে। গত বছর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সহিংস ঘটনার পর ওই দুই নেতা কারাগারে ছিলেন। স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী ওই দুই নেতা কারাগারে বসেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের মনোভাবের কথা তাকে জানান। কিন্তু তারেক রহমান সাফ জানিয়ে দেন, তিনি নির্বাচনে যাবেন না। বিএনপি কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করল না? এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত তারা মনে করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব একটি ফাঁদ। দ্বিতীয়ত বিএনপি ভেবেছিল, সরকার নরম হবেই। দুটির কোনোটিই হয়নি। বিএনপি সমর্থক ইউটিউবাররা এখন বলছেন, ভিসা নীতি, পিটার হাসের দৌড়ঝাঁপ সবই ছিল একটি ফাঁদ এবং ভারতের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ খেলা খেলেছে শেখ হাসিনার পক্ষে। নির্বাচনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রও সেভাবে বিএনপিকে কাছে টানছে না। বিএনপিকে সংলাপে যাওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ দিয়েছিল। বিশেষ করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে ডোনাল্ড লুর বার্তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি সেখানে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, ২৮ অক্টোবরে ঘটনা এবং তার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ট্রেনে হামলা, বাসে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটনায় বিএনপির কিছু না কিছু যোগসাজশ থাকাকে সহজভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র আগামী নভেম্বরে একটি নতুন নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। ঠিক এ সময়ে বিরোধিতার নামে বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে চীনা বলয়ে ঠেলে দিতেও আগ্রহী নয় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের চাপে সরকার শেষ পর্যন্ত নমনীয় হবে, এ আশা ছিল বিএনপির একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে। সেটা না হওয়ায় এখন দল বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনে যায়নি, সরকার হটাতে পারেনি। দলের রাজনীতি এখন এমন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অভিমান আর ভারতকে বর্জন। লেখক: সাংবাদিক ও সমাজ বিশ্লেষক
১৬ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কাছে অপ্রাসঙ্গিক!
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে কি বিএনপির মোহভঙ্গ ঘটেছে? বিষয়টা অনেকটা এমনই। গত কয়েক বছরে এবং এ বছর ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথের বিরোধী দল হিসেবে বিশাল বিশাল সমাবেশ, নানা প্রকার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলেও বিএনপির মনোজগৎ জুড়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দলীয় সাংবাদিককে দিয়ে প্রশ্ন করানো, সেটা নিউজ আকারে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা, ভাইরাল করা, ঘন ঘন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় যাওয়া, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ডেকে ডেকে ঘন ঘন বৈঠক করা সবই করেছে বিএনপি। দেশের ভেতরের কিছু বুদ্ধিজীবী এবং দেশের বাইরে অবস্থানকারী বিএনপি সমর্থক ইউটিউবার আর ফেসবুকাররা তারিখ দিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ফেলে দিয়েছেন। বিএনপি এদের ওপর নির্ভর করেছে এবং বলতে গেলে এদের বক্তব্যের লাইন অনুসরণ করে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। বিএনপি নেতারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভেবেছেন নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন না হওয়ার জন্য আমেরিকা একটা কিছু করবেই। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। বিএনপি ছাড়াই নির্বাচন করে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি এখন আবার রাজপথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে, তবে এখনো সেভাবে জনপরিসরে তার কোনো প্রভাব নেই। তবে এ কথা বলতেই হবে যে, সরকারের জন্য একটা চাপ যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই তৈরি করেছিল। প্যারামিলিটারি এলিট বাহিনী র‍্যাবের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে, হঠাৎ করে শ্রম আইনের ডিক্রি জারির মাধ্যমে সরকারের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নানা কথা বলছিল পশ্চিমা দেশগুলোও। কিন্তু কোনো কিছুই শেখ হাসিনাকে টলাতে পারেনি। নির্বাচন হয়েছে, সরকার পুরোদমে দেশ পরিচালনা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজ করা, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলে চিঠি দিয়েছেন। যে ফেসবুকাররা গলা ফাটিয়ে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে টিকতে দেবে না, তারা এখন হতাশ শুধু নন, ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের পক্ষে ওকালতির অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন এবং তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিএনপিও এখন সেই গান গাইছে। এ সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন, তখন বিএনপি তাকে উপেক্ষা করছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের কাছে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিএনপি তাদের রাজনীতির পক্ষে, তাহলে আমেরিকাকে প্রাসঙ্গিকই মনে করছে না যতটা ছিল নির্বাচনের আগে। বলতে গেলে পুরো পশ্চিমা শক্তির ওপরই আস্থা হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। গত বছর ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পর বিএনপি যখন সরকারি দমন নীতিতে পুরো কোণঠাসা, তখনো আস্থা ছিল যে, আমেরিকা একটা কিছু করছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি ঘোরের মধ্যে ছিল যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে চাপ দেবে, সেই চাপে সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবে আর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এমন একটি সহজ-সরল অঙ্ক বিএনপির মাথায় ঢুকিয়েছিলেন সেসব বুদ্ধিজীবী আর ইউটিউবার। বিএনপি নেতারা তখন প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দেশটির কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নালিশ জানিয়েছেন। গত বছর ২৪ মে যখন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে, সেই ভিসা নীতির ঘোষণা হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতাদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ লক্ষ করা গিয়েছিল। তারা এ ভিসা নীতি নিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। এর ফলে তারা অর্ধেকটা ক্ষমতায় প্রায় এসেই গেছেন এমন একটা ধারণাও দিতে শুরু করেন। বিএনপির অনেক নেতা প্রকাশ্যেই বলছেন, বাংলাদেশে ২০১৪ বা ২০১৮-এর মতো নির্বাচন হবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে সেই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে না; কিংবা সেই নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি তার দাবি আদায় করতে পারেনি, নির্বাচনও ঠেকাতে সক্ষম হয়নি। বিএনপির কাছে যুক্তরাষ্ট্র এখন অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু একটা দল কেন এমন করে চিন্তা করল? যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোনো কিছুতে বাধ্য করতে পারবে বলে কেন মনে করেছিল বিএনপি? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চেয়েছিল তা পায়নি। কিন্তু কী আসলে চেয়েছিল? চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র দলটিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিক। বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ নির্ভরতার কারণে দলটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের নেতাকর্মীর চেয়ে বিদেশিদের দিকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট হওয়ার কারণে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা তৈরি হয়নি। একসময় অতিমাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাজনীতির গতিপথ দলটিকে মারাত্মক সংকটে ফেলে দিয়েছে। আবার এখন অতিমাত্রায় উপেক্ষা করার মনোভাব দলটিকে অপরিপক্ব হিসেবে জনপরিসরে উপস্থিত করে। নির্বাচনের আগে খবর বেরিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী লবিস্ট ফার্ম ব্লু স্টারকে নিয়োগ করেছে বিএনপি। দলটির যুক্তরাষ্ট্রের নেতা আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়, সেজন্য যেন যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখে এটি নিশ্চিত করার জন্যই ব্লু স্টারকে লবিস্ট ফার্ম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বের একগুঁয়েমি, অপরিপক্ব আচরণ এবং সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরামর্শ দলকে নিরুদ্দেশের পথে নিয়ে গেছে। এখন নানাভাবে খবর আসছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছিল। একটি পত্রিকা খবর দিয়েছে, দলটির শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতার সঙ্গে দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা পৃথকভাবে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে দুজন নেতার সঙ্গে আলোচনা হয় কারাগারে। গত বছর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সহিংস ঘটনার পর ওই দুই নেতা কারাগারে ছিলেন। স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী ওই দুই নেতা কারাগারে বসেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের মনোভাবের কথা তাকে জানান। কিন্তু তারেক রহমান সাফ জানিয়ে দেন, তিনি নির্বাচনে যাবেন না। বিএনপি কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করল না? এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত তারা মনে করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব একটি ফাঁদ। দ্বিতীয়ত বিএনপি ভেবেছিল, সরকার নরম হবেই। দুটির কোনোটিই হয়নি। বিএনপি সমর্থক ইউটিউবাররা এখন বলছেন, ভিসা নীতি, পিটার হাসের দৌড়ঝাঁপ সবই ছিল একটি ফাঁদ এবং ভারতের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ খেলা খেলেছে শেখ হাসিনার পক্ষে। নির্বাচনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রও সেভাবে বিএনপিকে কাছে টানছে না। বিএনপিকে সংলাপে যাওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ দিয়েছিল। বিশেষ করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে ডোনাল্ড লুর বার্তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি সেখানে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, ২৮ অক্টোবরে ঘটনা এবং তার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ট্রেনে হামলা, বাসে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটনায় বিএনপির কিছু না কিছু যোগসাজশ থাকাকে সহজভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র আগামী নভেম্বরে একটি নতুন নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। ঠিক এ সময়ে বিরোধিতার নামে বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে চীনা বলয়ে ঠেলে দিতেও আগ্রহী নয় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের চাপে সরকার শেষ পর্যন্ত নমনীয় হবে, এ আশা ছিল বিএনপির একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে। সেটা না হওয়ায় এখন দল বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনে যায়নি, সরকার হটাতে পারেনি। দলের রাজনীতি এখন এমন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অভিমান আর ভারতকে বর্জন। লেখক: সাংবাদিক ও সমাজ বিশ্লেষক
১৬ মে, ২০২৪

আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
দুদেশের সম্পর্কে নতুন করে আস্থা তৈরি করতেই বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চাই। দুদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডোনাল্ড লু। এর আগে দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু বলেন, আমাদের লোকজনের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশনের কথা বলেছিলাম। যে চাওয়াটা ছিল দুদেশেরই। কিন্তু তখন এক ধরনের টেনশন তৈরি হয়েছিল। এখন আমরা সামনে এগোতে চাই, পেছনের দিকে নয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য উপায় বের করতে চাই। এজন্য আজ আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে। যেমন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম আইনের সংস্কার, মানবাধিকার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার। অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। লু বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলেছি। অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করবে, এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। ক্লিন এনার্জি নিয়ে কথা বলেছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কীভাবে একসঙ্গে লড়াই করতে পারি, মন্ত্রীর সঙ্গে সে বিষয়ে আলাপ করেছি। আমরা সেটা করতে পারি সরকারের স্বচ্ছতা, সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির মাধ্যমে। করসীমা বাড়ানোর কথা বলেছি, যাতে বাংলাদেশ সেখান থেকে উপকৃত হতে পারে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, র্যাবের কয়েকজন ব্যক্তিবিশেষের ওপর দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেক লম্বা। এ নিয়ে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বৈঠকের অন্যান্য আলোচ্য সম্পর্কেও জানান। এদিন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেন লু। বৈঠক শেষে পরিবেশমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামীতে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব, সেটা নিয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তারা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করবে, সে বিষয়ে কথা বলেছি। আমি আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবে। তিনি আরও বলেন, আলোচনায় পরিবেশগত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪
X