Tue, 10 Sep, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
সীমান্ত হত্যা বন্ধে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
৪ মিনিট আগে
পাকিস্তান নয় লিটনের ভাবনাজুড়ে ভারত সিরিজ
৬ মিনিট আগে
বিধবার জমি দখলে নিলেন সাবেক মেম্বার
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করুন : পীর চরমোনাই
১ ঘণ্টা আগে
ডিএমপির ৩৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
প্রধান বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট গেটে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ
প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট এবং মৎস্য ভবন সংলগ্ন সড়কে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-শোভাযাত্রা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ৩০ আগস্ট থেকে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট এবং মৎস্য ভবন সংলগ্ন সড়কে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো। এর আগে গত ২৫ আগস্ট সচিবালয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবনের আশপাশে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়।
৩০ আগস্ট, ২০২৪
সুপ্রিম কোর্ট কমিটি বিলুপ্ত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও মহাসচিব এ সিদ্ধান্ত নেন। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফের ছুরিকাহতের পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হলো। সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার আশরাফের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার কয়েক নেতাকর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছায়। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে যে কোনো বিশৃঙ্খলা কঠোরভাবে দমনের নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত করার পাশাপাশি দুই আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কাইয়ুমকে বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কালবেলাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। ব্যক্তিস্বার্থে সংগঠনের কেউ অপেশাদার আচরণ কিংবা বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আরও দুজনকে শোকজ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি বর্তমান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আবদুল জাব্বার ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং গাজী কামরুল ইসলাম সজলকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট বার ইউনিটের কমিটি অনুমোদন করা হয়।
২৫ আগস্ট, ২০২৪
বিলুপ্ত করা হয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখা কমিটি
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও মহাসচিব এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে ফোরামের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফকে ছুরিকাহত করার পর এই সিদ্ধান্ত এলো। সূত্র জানিয়েছে, ওই আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের কয়েকজন নেতা-কর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরপর বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছায়। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি বজায় রখার জন্য যে কোন বিশৃঙ্খলা কঠোরভাবে দমনের নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত করার পাশাপাশি দু'জন আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনজীবী আশরাফকে ছুরিকাহত করার ঘটনায় জড়িত থাকায় ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কাইয়ুমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হলে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কালবেলাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য আমরা সর্বদা সচেষ্ট। ব্যক্তিস্বার্থে সংগঠনের কেউ অপেশাদার সুলভ আচরণ করলে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে একজনকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও কিছু সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি বর্তমান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আবদুল জাব্বার ভূঁইয়াকে সভাপতি ও গাজী কামরুল ইসলাম সজলকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট বার ইউনিটের কমিটি অনুমোদন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ২৫১ জন আইনজীবী।
২৪ আগস্ট, ২০২৪
অনেক প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসক হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মধ্যে। গত ৯ আগস্ট ভোরে চিকিৎসক খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ওইদিন রাতে ঘটনাস্থল সিল করা পর্যন্ত যে ঘটনা পরম্পরা আদালতে পেশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা দিয়েছে এসব প্রশ্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারকরা এসব প্রশ্ন তোলেন। এদিকে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনো প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকে। পূর্ব ঘোষণা মতো দলটি স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে এগোতে না পারলেও ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেয় দলটি। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইনের। গতকাল শুনানির সময় বিচারপতিরা সময় ধরে ধরে জানতে চেয়েছেন আরজি করের ঘটনায় তাদের মনে হওয়া প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা কী? উত্তর জেনেও শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারেননি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পারদিওয়ালা শুনানির একপর্যায়ে বলেন, ‘অবাক হচ্ছি, ময়নাতদন্তের আগেই বলে দেওয়া হলো অস্বাভাবিক মৃত্যু? এটা কীভাবে সম্ভব? তাহলে ময়নাতদন্তের প্রয়োজনই কী ছিল?’ আবার পরে এ ব্যাপারে রাজ্যের সংশোধিত ব্যাখ্যা শুনে তিনিই বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পরই বা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হয় কী করে? তখন তো মৃত্যুর কারণ জেনেই গেছে পুলিশ!’ আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সিবিআর কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সেই রিপোর্ট জমা দিয়ে সিবিআই আদালতকে বলে, ‘ঘটনার পাঁচ দিন পর তদন্ত করতে নেমেছে তারা। তবে ততদিনে সবকিছু বদলে গেছে।’ যদিও রাজ্য সিবিআইর দাবিকে নস্যাৎ করে বলে, তাদের কাছে ঘটনার সম্পূর্ণ ‘টাইমলাইন’ রয়েছে। রয়েছে ‘ভিডিওগ্রাফি’ও। তাই সিবিআই যে দাবি করছে, তা সত্য নয়। কিছুই বদলে যায়নি। রাজ্যের তরফে আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে সিবিআইর তরফে সওয়াল করছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এ দুই আইনজীবীর সঙ্গে গতকাল আরজি করের ঘটনা পরম্পরা নিয়ে তর্ক চলে সুপ্রিম কোর্টে। তিন বিচারপতি বারবার প্রশ্ন তোলেন ঘটনা পরম্পরার সত্যাসত্য নিয়ে। গতকাল আরজি কর মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। সেখানেই রাজ্যের দেওয়া ‘টাইমলাইন’ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল মেহতা। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকের দেহ সৎকারের পর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইআর করা হয়েছে। এটা আমাকে সব থেকে বেশি অবাক করেছে।’
২৩ আগস্ট, ২০২৪
অনেক প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসক হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মধ্যে। গত ৯ আগস্ট ভোরে চিকিৎসক খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ওইদিন রাতে ঘটনাস্থল সিল করা পর্যন্ত যে ঘটনা পরম্পরা আদালতে পেশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা দিয়েছে এসব প্রশ্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারকরা এসব প্রশ্ন তোলেন। এদিকে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনো প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকে। পূর্ব ঘোষণা মতো দলটি স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে এগোতে না পারলেও ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেয় দলটি। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইনের। গতকাল শুনানির সময় বিচারপতিরা সময় ধরে ধরে জানতে চেয়েছেন আরজি করের ঘটনায় তাদের মনে হওয়া প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা কী? উত্তর জেনেও শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারেননি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পারদিওয়ালা শুনানির একপর্যায়ে বলেন, ‘অবাক হচ্ছি, ময়নাতদন্তের আগেই বলে দেওয়া হলো অস্বাভাবিক মৃত্যু? এটা কীভাবে সম্ভব? তাহলে ময়নাতদন্তের প্রয়োজনই কী ছিল?’ আবার পরে এ ব্যাপারে রাজ্যের সংশোধিত ব্যাখ্যা শুনে তিনিই বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পরই বা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হয় কী করে? তখন তো মৃত্যুর কারণ জেনেই গেছে পুলিশ!’ আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সিবিআর কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সেই রিপোর্ট জমা দিয়ে সিবিআই আদালতকে বলে, ‘ঘটনার পাঁচ দিন পর তদন্ত করতে নেমেছে তারা। তবে ততদিনে সবকিছু বদলে গেছে।’ যদিও রাজ্য সিবিআইর দাবিকে নস্যাৎ করে বলে, তাদের কাছে ঘটনার সম্পূর্ণ ‘টাইমলাইন’ রয়েছে। রয়েছে ‘ভিডিওগ্রাফি’ও। তাই সিবিআই যে দাবি করছে, তা সত্য নয়। কিছুই বদলে যায়নি। রাজ্যের তরফে আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে সিবিআইর তরফে সওয়াল করছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এ দুই আইনজীবীর সঙ্গে গতকাল আরজি করের ঘটনা পরম্পরা নিয়ে তর্ক চলে সুপ্রিম কোর্টে। তিন বিচারপতি বারবার প্রশ্ন তোলেন ঘটনা পরম্পরার সত্যাসত্য নিয়ে। গতকাল আরজি কর মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। সেখানেই রাজ্যের দেওয়া ‘টাইমলাইন’ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল মেহতা। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকের দেহ সৎকারের পর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইআর করা হয়েছে। এটা আমাকে সব থেকে বেশি অবাক করেছে।’
২৩ আগস্ট, ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথের বৈধতা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপতি এ সরকারের শপথের বৈধতার প্রশ্নে মতামত জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ সাত বিচারপতি ভার্চুয়ালি শুনানি করে মতামত দেন। আপিল বিভাগ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তাতে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এ সময় শুনানিতে যুক্ত হন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। জানতে চাওয়া হলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মতামত চেয়েছিলেন। আমি আপিল বিভাগকে বলেছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বৈধতা দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। পরে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বৈধতা দিয়ে মতামত দিয়েছেন।’ এদিকে, গতকাল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারেন। সে অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি আসে, যেখানে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়ে পাঠান। সেই আলোকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, এ রকম পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের নির্বাহীকার্য পরিচালনার নিমিত্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে এবং রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য উপদেষ্টাগণকে নিযুক্ত করতে পারেন এবং প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণকে শপথ পাঠ করাতে পারেন বলে মতামত দিয়েছেন। জানা যায়, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এতে তৈরি হয় সাংবিধানিক শূন্যতা। এরপর ৬ আগস্ট বিকেলে রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেন। এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। এর আগে এমনভাবে সাংবিধানিক সংকট রেখে কোনো প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে পালিয়ে যাননি। এমনই এক পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের শপথ নেওয়ার আগেই প্রশ্ন ওঠে এই সরকারের বৈধতা নিয়ে। তখন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক আইনজীবীর মতামত নেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আইনজীবীরা ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সরকারের বৈধতার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিলেই সাংবিধানিক সংকট কেটে যাবে। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ারের বিষয়ে বলা আছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।’ আইনজীবীদের পরামর্শে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতার প্রশ্নে মতামত চাওয়া হয়। পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা ভার্চুয়ালি আদালত বসিয়ে মতামতের বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ঘণ্টা খানেকের শুনানি নিয়ে ১৭ পৃষ্ঠার মতামত দেন সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়, শপথ নেওয়ার সাত মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে গেছেন। এ মুহূর্তে দেশে একটি মধ্যবর্তী সরকার প্রয়োজন। কাজেই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের শপথ নিতে কোনো বাধা নেই। দুর্যোগ মুহূর্তে এমনটি হতেই পারে। ভবিষ্যতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, সে কারণে বৈধতা দেওয়া হয়। মতামত জারি ও তা বঙ্গভবনে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া শেষ হতে বিলম্ব হওয়ায় বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের সময়ও পিছিয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের মতামত পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এই সরকারে নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন শপথ নেন। তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তারা গতকাল শপথ নেননি। তারা হলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক-ই-আজম।
১০ আগস্ট, ২০২৪
সুপ্রিম কোর্ট বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের ছয় প্রস্তাব বিচারপতির
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে সর্বোচ্চ আদালতের বিষয়ে ছয়টি কাজ করা দরকার বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। গতকাল বুধবার ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্ট, যা দলীয় রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমানে কোনো দলীয় সরকার নেই। তাই নতুন বাংলাদেশের কারিগর, সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক হিসেবে কথাগুলো বলা আমার নৈতিক দায়িত্ব। নিম্নে বর্ণিত কাজগুলো বাস্তবায়িত না হলে সুপ্রিম কোর্ট সবসময় বিতর্কিতই থেকে যাবে এবং তোমাদের স্বপ্নের দেশ গঠনে বড় বাধা হয়ে থাকবে বলে মনে করি। কাজগুলো হচ্ছে ১. বিচারপতি নিয়োগে দলনিরপেক্ষ আইন প্রণয়ন করা; ২. হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠনে প্রধান বিচারপতির একচ্ছত্র ক্ষমতায় চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের ব্যবস্থা রাখা; ৩. হাইকোর্ট বিভাগের জিএ কমিটি এবং জাজেজ কমিটি গঠনে প্রধান বিচারপতির একচ্ছত্র ক্ষমতায় লাগাম টানা; ৪. হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতার ব্যত্যয় ঘটিয়ে আপিল বিভাগে নিয়োগ সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করা; ৫. একইভাবে আপিল বিভাগের বিচারকদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতার ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করা; ৬. বিচারকদের দুর্নীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধে বিচারক এবং সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সাংবিধানিক পদ্ধতি প্রণয়ন করা।
০৮ আগস্ট, ২০২৪
‘বিএনপি-জামায়াত দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৎপর’
কোটা আন্দোলনের সময় সাধারণ ছাত্রদের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশকে একটি মৌলবাদী ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৎপর বলে অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সম্পাদক শাহ মঞ্জরুল হক। সুপ্রিম কোর্ট আইজীবী সমিতি (সুপ্রিম কোর্ট বার) কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত ১০ জনের উপস্থিতিতে বুধবার (৩১ জুলাই) এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘বিএনপি-জামায়াত-শিবির কর্তৃক স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদ’ নামে সংবাদ সম্মেলন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইজীবী সমিতি। সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় সাধারণ ছাত্রদের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে। বর্তমানে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামায়াত দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৎপর। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে সরকার আন্তরিকভাবে দাঁড়িয়েছেন এবং ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যেন এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন না হয়, সে জন্য সরকার ও বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার বাংলাদেশের জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, আইনশৃঙ্খলা ও জনজীবন রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। তাই সুপ্রিম কোর্ট বার স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ৩০ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির এক জরুরী সভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের দেশবিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) মোট কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ জন সদস্যের মধ্যে গত নির্বাচনে ১০টি পদ পায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে সমর্থিতরা। আর বাকি ৪টি পেয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য সমর্থকরা।
৩১ জুলাই, ২০২৪
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালা
আইপিডিআই ফাউন্ডেশন ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে অসংক্রামক রোগবিষয়ক সচেতনতা ও সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। গেস্ট অব অনার ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সেক্রেটারি শাহ মঞ্জুরুল হক। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ। প্রধান বিচারপতি বলেন, সারা বিশ্বের বহু মানুষ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলেই সিপিআরের মাধ্যমে এতে আক্রান্তকে বাঁচানো সম্ভব। অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, দেশে হৃদরোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ অবস্থায় হৃদরোগবিষয়ক সচেতনতা ও প্রতিরোধই হতে পারে এর মূল প্রতিকার। অধ্যাপক মহসীন আহমদ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এএম আমিন উদ্দিন বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সার্বিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন বাঁচায় সিপিআর, ঘরে ঘরে হোক এর ট্রেনিং সেন্টার’ এই অঙ্গীকার নিয়ে এ কর্মশালা হয়। এতে অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় ৫০০ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি এআরএম কাইউম খান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
১২ জুলাই, ২০২৪
তালাকপ্রাপ্ত হলেও মুসলিম নারীরা ভরণপোষণ পাবে: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
তালাকপ্রাপ্ত বা বিবাহবিচ্ছেদ হলেও মুসলিম নারীরা ভরণপোষণ পাওয়ার যোগ্য। বুধবার (১০ জুলাই) বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহর বেঞ্চ এ রায় সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন ভারতীয় আইনে তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম নারীরা আদালতে ভরণপোষণের দাবি জানাতে পারবেন। জানা গেছে, এক মুসলিম ব্যক্তি তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে চাননি। পারিবারিক আদালত তাকে মাসিক ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ-আদালতে আবেদন করা হলে সেখান থেকে নির্দেশনা আসে যে, তালাক দেওয়া সাবেক স্ত্রীকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভরণপোষণের জন্য দিতে দিতে হবে এবং পারিবারিক আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। উচ্চ আদালতও একই রায় দিলে ওই ব্যক্তি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই পিটিশনকে খারিজ করে দিয়েছে। এই ঘটনা ঘটার পরপরই বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, সকল ধর্মের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীরা ভরণপোষণের দাবি জানাতে পারেন। আদালত জানিয়ে দেয়, বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীদের অধিকার রক্ষা আইন, ১৯৮৬ অনুসারে মুসলিম নারীদের ধর্মনিরপেক্ষতার চোখে আলাদা করে দেখা যায় না। বেঞ্চ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ নম্বর ধারায় যদি কোনো মুসলিম নারীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে থাকে তাহলে তিনি ভরণপোষণ পাওয়া অধিকার পাবেন। মুসলিম নারী (বিবাহ অধিকার রক্ষা) আইন, ২০১৯-এ এর বন্দোবস্ত আছে। বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, 'কিছু স্বামী রয়েছেন যে, তারা বুঝতেই পারেন না যে তাদের স্ত্রী, যে পরিবারের দেখাশোনা করেন, তিনি মানসিক ও অন্যান্য দিক থেকে স্বামীর ওপরে নির্ভরশীল। সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে ভারতীয় পুরুষদের স্ত্রীদের ভূমিকা তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করার সময় এসেছে।' সূত্র: ইকোনমিক টাইমস
১১ জুলাই, ২০২৪
আরও
X