ঢাকায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাজধানীর বিমানবন্দরে এনা ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের চাপায় আলিফ হাসান (২৭) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালায়।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বলাকা ভবন সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলিফের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে জানা যায়, তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুরে। তার বাবার নাম আশরাফুল ইসলাম।  বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী এনা পরিবহনের বাসটি মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি বাসের নিচে চলে যায়। মোটরসাইকেলের চালক বাসের চাপায় নিহত হন। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাস এবং নিহতের মরদেহ বিমানবন্দর থানায় রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন এসআই।   
০৪ জুলাই, ২০২৪

টাঙ্গাইলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা
টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাইভেটকার-মাহিন্দ্রা গাড়ির সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮ জন। শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর শহরের মালাউবাড়ী নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।  মধুপুর থানার ওসি মোল্লা আজিজুল ইসলাম জানান, সকালে মালাউবাড়ী এলাকায় প্রাইভেটকার-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মাহিন্দ্রার একজন মারা যায়। এতে আহত হয় অন্তত ৯ জন। তাদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২১ জুন, ২০২৪

ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আহ্ছানিয়া মিশনের ছয় সুপারিশ
নিরাপদ ঈদ যাত্রায় ছয় দফা সুপারিশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। গতকাল সোমবার মিশনের রোড সেফটি প্রকল্পের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলো হলো মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা মেনে চলা, সড়ক ও পরিবহনের ধরন অনুযায়ী গতি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন অতিসত্বর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা, যানবাহনে চালকসহ যাত্রীদের সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করা। পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জিপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলন সংক্রান্ত বিধিবিধান জারি করা। মদ্যপ অবস্থায় বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধিবিধান বাস্তবায়ন করা। যাতে করে কেউ মদ্যপ অবস্থায় মোটরযান চালিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটায়। সর্বোপরি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আদলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জারি করা মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা রোডক্র্যাশ ও প্রতিরোধযোগ্য অকাল মৃত্যু ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি উন্নত সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী গত ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন, যা গত ঈদের তুলনায় ১৯ শতাংশ মৃত্যু বেশি। এসব মৃত্যুরোধ করতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বলছে, দেশের সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে মোটরযান গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০২৪ সড়কে অকাল মৃত্যু কমাবে।
১১ জুন, ২০২৪

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আহ্ছানিয়া মিশনের ৬ সুপারিশ
নিরাপদ ঈদযাত্রায় ৬দফা সুপারিশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। সোমবার (১০ জুন) মিশনের রোড সেফটি প্রকল্পের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশসমূহ হলো, মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা মেনে চলা, সড়ক ও পরিবহনের ধরন অনুযায়ী গতি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন অতিসত্তর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা, যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করা। পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জীপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলন সংক্রান্ত বিধি-বিধান জারি করা। মদ্যপ অবস্থায় বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা। যাতে করে কেউ মদ্যপ অবস্থায় মোটরযান চালিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটায়। সর্বোপরি, বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আদলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ‘মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪’ প্রণয়ন করেছে। জারি করা মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা রোডক্র্যাশ ও প্রতিরোধযোগ্য অকাল মৃত্যু ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি উন্নত সড়ক ও পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে জারিকৃত গতিসীমা নির্দেশিকা বাস্তবায়ন সহজ ও কার্যকর হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী গত ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারাদেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। যা গত ঈদের তুলনায় ১৯ শতাংশ মৃত্যু বেশি। সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল ১১৭টি, যার হার প্রায় ২৯ শতাংশ। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়। এসব মৃত্যুরোধ করতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বলছে, ‘দেশের সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। পাশাপাশি মোটর সাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত গতি প্রতিনিয়ত দেশের কর্মক্ষম তরুণসহ অনেকের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে মোটরযান গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা- ২০২৪ সড়কে অকাল মৃত্যু কমাবে।
১০ জুন, ২০২৪

গাজীপুরে পিকআপচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাজীপুরের কড্ডা বাইমাইল এলাকায় পিকআপভ্যান চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও এক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার মোয়াজ্জেমপুর থানার মারফত আলীর ছেলে মনজুর সরকার (৩৮), বগুড়ার মোকামতলা এলাকার এহসান হাসান (৪২)। নিহত মনজুর গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এশরারনগর হাউজিং এলাকায় ও এহসান হাসান হরিণাচালার এলাকায় বসবাস করতেন। আহত আব্দুল হামিদের (৪৫) বাড়ি পাবনায়। তিনি হরিণাচালায় বসবাস করতেন। তারা তিনজনই এলাকায় ঝুট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। কোনাবাড়ী থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, রাতে কোনাবাড়ী থেকে ঝুট গুদাম ব্যবসায়ী মঞ্জুর হোসেন, হাসানসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে চড়ে চান্দনা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কড্ডা বাইমাইল ব্রিজ এলাকায় ময়লার ভাগাড়ের সামনে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি পিকআপ সজোরে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জূর হোসেন ও হাসান নিহত হন আর গুরুতর আহত হন হামিদ মিয়া। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ছাড়া আহত হামিদকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহতরা কোনাবাড়ী এলাকায় ঝুট গুদামের ব্যবসা করতেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১০ মে, ২০২৪

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ
এবারের ঈদে গতবারের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। চলতি ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩৯৮ জন।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে। একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ০২ টি দুর্ঘটনায় ০৭ জন নিহত, ০৫ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯ টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১৪২৪ জন আহত হয়েছে।  আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছে, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়। এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ০৪ জন শিক্ষক, ০১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ০১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ০২ জন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন  আরও দুজন। আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে পবা উপজেলার মুরারীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত তিনজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে আহতরা হলেন, দামকুড়া এলাকার ইসলাম এবং রিমন হোসেন (৩৫)। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মহানগরীর দামকুড়া থানার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), একই থানার সূত্রাবন এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে সুইট (৩১) এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (২৫)। আর আহতরা হলেন, দামকুড়া থানার আলীগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে জুলহাস ইসলাম (৩২) এবং একই থানার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. রিমন হোসেন (৩৫)। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মুরারীপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর মোটরসাইকেলটিতে তিনজন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন মারা যান। বাকি দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দামকুড়া থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে দুজন মারা গেছে। বাকিদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যায়।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদপুরে আবারও সড়ক দুর্ঘটনা / মাইক্রোবাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে নিহত দুই
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৫ জনের শোক কাটতে না কাটতেই আবারও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার মাইক্রোবাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে দুজন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর-সালথা আঞ্চলিক সড়কের সমেশপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের ইমদাদ হুসাইন (৪৮) এবং সালথা উপজেলা সদরের সিদ্দিক মাতুব্বর (৫২)। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর থেকে সালথাগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ফরিদপুরগামী একটি মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাহিন্দ্রাতে চালক ও আটজন যাত্রী ছিল। ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রাচালক সিদ্দিক মাতুব্বর মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমদাদ হুসাইন মারা যান। বাকি আহত ছয় যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, গতকাল দুর্ঘটনা ঘটেছে মাইক্রোবাস ও মাহিন্দ্রা উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল জেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীসহ ১৫ জন নিহত হন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই : বিএনপি 
ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় প্রাইভেট কার এবং ৩টি ইজিবাইকের ১৪ জন যাত্রী নিহত ও আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী।  তিনি বলেন,  প্রতিনিয়ত সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছে, অথচ সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। সড়কে চরম অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের খামখেয়ালির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে-যা গভীর উদ্বেগজনক। তিনি ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়া হতাহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

দুই কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা
সড়ক-মহাসড়কে নজরদারি কমে যাওয়া ও ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত উপার্জনের মানসিকতার কারণে বেড়ে গেছে সড়ক দুর্ঘটনা। পাশাপাশি অনুমোদনহীন যানবাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। আর সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। যাত্রী অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, দেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৯ জন মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছেন। এর প্রায় ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা রোধে সড়ক-মহাসড়কে নজরদারি কম হচ্ছে। মূলত জনবল সংকটের কারণে রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ সারা দেশে অভিযান চালাতে পারছে না। সেইসঙ্গে চালকদের বেশি আয়ের মানসিকতার কারণে দ্রুতগতিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এজন্য ঈদের আগে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মুহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী কালবেলাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা সবাই যদি সচেতন না হই, এই দুর্যোগ মোকাবিলা কষ্টকর হবে।’ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মুকসুদপুরের ছাগলছড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিন নীলফামারীতে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ১৯ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকচাপায় দুই বাইকচালকের মৃত্যু হয়। গত সোমবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। অভিযোগ উঠেছে, পিকআপ ও লেগুনা চালকের কোনো লাইসেন্স ছিল না। তেমনি দুটি যানের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল কি না—এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ১৭ মার্চ পিরোজপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ মার্চ ঈশ্বরদীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়। গত ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে মুখোমুখি সংঘর্ষ। বিশেষ করে এক লেনের পথে এ ধরনের দুর্ঘটনা বেশি দেখা গেছে। জানতে চাইলে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে কালবেলাকে বলেন, ‘পথের দুর্ঘটনা তো নতুন কিছু নয়। কখনো কমে, কখনো বাড়ে। এর পেছনে সড়কে নজরদারি একটা বড় বিষয়। যখন সড়কে কঠোর নজরদারি হয়, তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।’ তিনি মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতি বছর ঈদের আগে বা পরে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ে। এবার ঈদের আগে দুর্ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘দিনে সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ১৯ জনের। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। তরুণদের হাতে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই তুলে দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুদানব মোটরসাইকেল। দেখা যায়, একজনের গাড়ি অন্যজন চালাচ্ছেন। কারও লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ কোনোটিই নেই। এসব বিষয়ে সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন।’ মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএর পাশাপাশি মূলত হাইওয়ে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবার ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শ্যামল কুমার মুখার্জি কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের জনবল স্বল্পতার মধ্যেও ঈদ সামনে রেখে সড়কপথে শৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা রোধে কাজ করব। এ নিয়ে কোনো আপস নেই।’ সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদীউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘পথের দুর্ঘটনা রোধে সারা বছর কাজ করে যেতে হবে। তা ছাড়া সড়ক আইন যথাযথ বাস্তবায়ন না হলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে না।’ ঈদ সামনে রেখে ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন যেন রাস্তায় চলতে না পারে—এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
২১ মার্চ, ২০২৪
X