Tue, 21 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
‘উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ’
২৬ মিনিট আগে
ইসির নতুন সচিব শফিউল আজিম
২৬ মিনিট আগে
খাদ্য কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
৩৭ মিনিট আগে
ইসি সচিবকে বদলি
১ ঘণ্টা আগে
জানা গেল বাংলাদেশের উপকূলে কবে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২১ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুমিল্লার চান্দিনায় ৬ বছরের শিশু সুবর্ণা আক্তার মীম নামে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় সাড়ে ৬ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ওমর ফারুক (২৫)। মঙ্গলবার (২১ মে) কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. জাহিদুল কবির এ রায় দেন। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের পাশাপাশি আরও ২টি ধারায় ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন আসামি ওমর ফারুক। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. ওমর ফারুক হলেন উপজেলার বেলাশ্বর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ভিকটিম চান্দিনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বেলাশহর গ্রামের কোরবান আলীর শিশু কন্যা সুবর্ণা আক্তার মীমকে ধর্ষণের পর হত্যাকালে গাড়ি চালক আসামি ওমর ফারুকের বয়স ছিল ১৯ বছর। আইনজীবী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাদত আলী মেম্বারের ছেলে মো. কোরবান আলী ও খাদিজা আক্তার শিমু দম্পতির কন্যা সুবর্ণা মীম। মা-বাবার দাম্পত্য কলহে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে শিশুটি তার বাবার সঙ্গেই থেকে যায়। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর কোরবান আলী মোবাইল করে শিশুর মাকে জানায় তার মেয়ে সুবর্ণা মীমকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এরপর সন্ধ্যায় কোরবান আলী জানান, কে বা কারা সুবর্ণা মীম এর মুক্তিপণ হিসেবে দশ লাখ টাকা দাবি করে। পরদিন সকালে চান্দিনা আর এন আর সিরামিক ফ্যাক্টরির সংলগ্ন থানগাঁও খালের পশ্চিম পাশের সুবর্ণা মীমের লাশ পাওয়া যায়। শিশু সুবর্ণা আক্তার মীমের বাবা কোরবান আলী জানান, এমন নির্মম হত্যা মামলায় আমরা তার ফাঁসির রায় প্রত্যাশা করেছিলাম। রাষ্ট্রপক্ষে কুশলী স্পেশাল পিপি অ্যাড. মো. মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রাখবেন। এদিকে, আসামি পক্ষের অ্যাড. মো. হাছান বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
সাড়ে ৭ শতাংশ জমির জন্য গৃহবধূকে হত্যা
নাটোরের গুরুদাসপুরে সাড়ে ৭ শতাংশ জমির জন্য গৃহবধূ নাহার বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্ৰেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (২০ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সোনাবাজু গ্রাম থেকে তাদের গ্ৰেপ্তার করা হয়। গ্ৰেপ্তার চারজন হলেন- মো. মাজেম আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহানুর, আব্দুল মতিন। এর আগে গৃহবধূ নাহার বেগম হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নাটোর র্যাব-৫ সিপিসি-২ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু পাটপাড়া গ্রামের নাহার বেগমের একই এলাকার লোকমান সাকিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর লোকমান সাকিদার নাহারের নামে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল করে দেয়। পরে লোকমান সাকিদার প্রায় ২ বছর আগে তারা বেগম নামের আরেক নারীকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে লোকমান সাকিদার নাহারের কাছ থেকে জমি নিতে নাহারকে নির্যাতন করতেন। নাহার অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বড়াইগ্রাম উপজেলার পারকোল গ্রামের আজমি আরা বেগম নামে এক নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শনিবার (১১ মে) দুপুরে লোকমান সাকিদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারা বেগমকে নিয়ে আজমি আরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে নাহার বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বনপাড়া উপজেলার নওপাড়ায় রওনা হয়। সোমবার (১৩ মে) লোকমান সাকিদার একই গ্রামের দুলাল প্রাংক নামে একজনকে জানান, নাহার বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে নাহারের পরিবার জানতে পারে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের পানির ট্যাংকের পাশে নাহারের মরদেহ পড়ে আছে। অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নাহারের ভাই আজাদ প্রামানিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে মাজেম আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহানুর, আব্দুল মতিনকে গ্ৰেপ্তার করে। বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম কালবেলাকে বলেন, নাহার হত্যা মামলায় এর আগে পুলিশ মূল অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার র্যাব বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করেছে। আসামিদের সোমবার (২০ মে) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
২০ মে, ২০২৪
রাইসিকে কি হত্যা করা হয়েছে?
প্রিয় মাতৃভূমির জন্য এমন কোনো পদক্ষেপ নেই যা নেননি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। যার কারণে চিরশত্রু ইসরায়েল এমনকি পশ্চিমাদের চক্ষু শূল ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের জাঁদরেল এই নেতা। আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি। রাজি হননি আপোষেও। তাইতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। পোস্টে তিনি বলেন, ‘তাকে (রাইসি) ভালোবাসা বা সম্মান নয়, এমনকি কেউ তাকে মিসও করবে না। যদি তিনি মারা যান, আমি সত্যিই আশা করি ইরানি জনগণ তাদের দেশকে খুনি স্বৈরশাসকের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।’ এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র প্লেয়ার ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে খোদ ইরানের প্রশাসন এ নিয়ে কোনো কথা বলছে না। তারা এখন পর্যন্ত দুর্গম পাহাড়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনাকে দুর্ঘটনাই বলছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে গণমাধ্যমে। সাথে সাথে অভিযানে নামে দেশ-বিদেশের শত শত উদ্ধারকারী। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেশ বেগ পেতে হয় দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টার উদ্ধারে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের লোকেশন জানা যায়। এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ৯ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। এর আগে দুর্ঘটনার খবর শুনে প্রার্থনায় বসে যান ইরানের হাজার হাজার মানুষ। সারা রাত মসজিদে বসে নামাজ আর কোরআন তেলওয়াত করেন প্রিয় নেতার বেঁচে ফেরার জন্য। এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ইরানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
২০ মে, ২০২৪
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় ব্যবসায়ী সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান কাজল বলেন, পাওনাকে টাকাকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন হোমনা উপজেলার ছোট গানিয়ারচর এলাকার ব্যবসায়ী মো. সাদেক মিয়া। ওই দিন দুপুরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে সাদেক মিয়ার হাত পা কেটে ফেলে রাখা হয় ধনিয়া খেতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকাল ৮টায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় সাদেক মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার ১৮ জনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী কামরুজ্জামান আরও জানান, নিহত সাদেক মিয়া মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি দেন। বিচারক রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামি ও খালাস পাওয়া একজন উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী রেখা আক্তার বলেন, আসামিরা সবাই সাদেক মিয়ার পূর্ব পরিচিত। তাদের কাছে সাদেক মিয়া যে টাকা পেতেন সেই টাকা যাতে না দিতে হয় সেজন্য পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে আদালতের রায় কার্যকরের দাবি জানান।
১৯ মে, ২০২৪
ধান ক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বোডিংয়ের অংশের ধান কাটতে গিয়ে ইউনুস আলী (৬০) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করার অীভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দর্বনগ্রামে নিহতের মালিকানাধীন বোডিংয়ের ধান কাটতে গেলে মাঠের মধ্যেই নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ সময় গুরুতর যখম হন আরও চারজন। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত ইউনুস আলী খোদ্দর্বন এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে এবং হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মুক্তার হোসেনের সম্বন্ধী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সম্পর্কের জেরে মুক্তার শেখের মেয়ে জুঁইয়ের সঙ্গে ইউনুস আলীর ছেলে হোসেনের পারিবারিকভাবে মৌখিক বিয়ে দেওয়া হয়। বনি-বনা না হওয়ায় বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় উভয় পক্ষের সমঝোতায় কনে পক্ষকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান সাপেক্ষে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে একাধিক দিন ধার্য করেও ছেলেপক্ষ কনে পক্ষকে মিটমাটের ধার্যকৃত টাকা না দিলে বাড়তে থাকে অন্ত কলহ। উল্লেখ্য, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বেও ধান কাটতে গিয়ে একইভাবে বাধার সম্মুখীন হন ইউনুস আলী। সহিংসতা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আঁচ করে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ ও দায়ের করেন তিনি। মুক্তার হোসেনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ পূর্বক ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাতেও। অভিযোগ প্রদানের একদিনের মাথায় সকালে মুক্তার হোসেনের হাতেই খুন হন তিনি। এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির ছেলে হোসেন আলী জানান, সকালে পানি সেচের ভাগের ধান কাটতে গেলে তার মামা মুক্তারসহ ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র কাঁচি, রামদা, হাসুয়া নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনিসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্ষয়-ক্ষতির ভয়ে মালামাল নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সহিংসতা এড়াতে এলাকায় মোতায়ন রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। কুমারখালী সদর হাসপাতালের আর এম ও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দর্বন গ্রাম থেকে কয়েক জন মারামারির রোগী এসেছিল। এদের মধ্যে ইউনুস আলীর হাসপাতালের আসার পূর্বে মারা গেছে। সেই সঙ্গে দুইজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আংশকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে একজন নিহত হয়েছে। অপরাধীধের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তিনাথ জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪
ধানক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করল বোন জামাই
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইউনুস আলী নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বোন জামাই মুক্তার শেখ ও তার লোকজন। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ চারজন। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রামে মাঠে ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ইউনুস আলী শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ক্ষয়ক্ষতি ও হত্যাচেষ্টার কথা জানিয়ে কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন ইউনুস আলী। মুক্তার শেখকে প্রধান করে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেন তিনি। এ ঘটনার একদিন পরেই মুক্তার শেখের হাতেই খুন হন ইউনুস আলী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে মুক্তার শেখের মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইউনুস আলীর ছেলের। এ সম্পর্কে মুক্তার শেখ ও ইউনুস আলী দুজনে বেয়াই। বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সকালে ইউনুস আলী বেশ কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে মাঠে ধান কাটতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে মুক্তার শেখ। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কুমারখালী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, শনিবার সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রাম থেকে কয়েকজন মারামারির রোগী এসেছিল। তার মধ্যে ইউনুস আলী হাসপাতালের আসার আগেই মারা গেছেন। আহত দুজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪
ইউপিডিএফের ২ কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির লংগদুতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংগদু উপজেলার বড়হাড়ি কাবার ভালেদি ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক ও ধন্য মনি চাকমা। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংগদু উপজেলার বড়হাড়ি কাবার ভালেদি ঘাট পার্শ্ববর্তী স্থানে ৭/৮ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা নিহত হন। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) রাঙামাটির সংগঠক সচল চাকমা এক বিব্রতিতে নিহতদের নিজেদের কর্মী সমর্থক দাবি করে ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপর্কমের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। লংগদু থানার ওসি হারুনুর রশিদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গুলিতে দুজন নিহতের খবর আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। সেখানে গেলে ঘটনার সত্যতা এবং বিস্তারিত জানা যাবে। রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ বলেন, শনিবার সকালে লংগদুতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুজন মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ মে, ২০২৪
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের শিশু ফারিয়া আক্তারকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মা পলাতক রয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর অসুস্থ ফারিয়াকে নিয়ে তার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা শাপলা বেগম হাসপাতালে রউনা হন।হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা গেলে বাড়ি ফিরে গোপনে দাফনের চেষ্টা করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা দেখে ফেলায় তারা দাফনের কাজ শেষ না করেই পালিয়ে যায়। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাচ্চাটিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষ প্রয়োগের পর প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সেখান থেকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। শিশুটির নানা ওয়াসিত মিয়া বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে সেখানে যায়। এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা করব। শ্রীমঙ্গল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশুটির বাবা-মা পলাতক আছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
চুরির অভিযোগে দুই জেলেকে বৈদ্যুতিক শকে হত্যা
কক্সবাজার সদর উপজেলায় দুই জেলেকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে খুরুশকুল ইউনিয়নের মনুপাড়ায় একটি ঘেরের কিনার থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মছিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতরা হলেন মনুপাড়ার জামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (২২) এবং আবু তাহেরের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৪)। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা মছিউর রহমান বলেন, সকালে মনুপাড়ার শামশুল হুদার মাছের ঘেরের পাশে দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকলেও বৈদ্যুতিক শকের মতো পোড়া ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শকে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে জানাই। নিহত দুজনের শরীরে বৈদ্যুতিক শকের চিহ্ন রয়েছে। নিহত ইয়াছিনের বাবা আবু তাহের বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন স্থানীয় কাজল মেম্বার ও শামসু মেম্বারের ছেলে ইমতিয়াজ। আমাদের ধারণা, মাছে ঘেরে নিয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিহতের আব্দুল খালেকের বাবা জামাল হোসেন বলেন, আমার ছেলেসহ দুজনই জেলে। তাদের ধরে নিয়ে মারধর করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশ কর্মকর্তা মছিউর রহমান জানান, দুজনের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪
হাত কাটার শোধ নিতে হত্যা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে
নড়াইলের লোহাগড়ার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আকবর হোসেন লিপনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছিল পূর্বশত্রুতা। ২০২২ সালে কামাল ও লিপনের অনুসারীদের সংঘর্ষে লিপন গুরুতর আহত হন ও তার একটি হাত কাটা পড়ে। সেই হাত কাটার প্রতিশোধ নিতে লিপনের নির্দেশে তার সহযোগীরা কামালকে গুলি করে হত্যা করে। গত বৃহস্পতিবার কামাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজেদুল মল্লিক, পাভেল শেখ, মামুন মোল্যা ও রহমত উল্লাহ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি জানান, ১০ মে মোস্তফা কামালকে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই লোহাগড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, র্যাব-৭ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযানে অন্যতম আসামি, শুটারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। মোস্তফা কামালকে তিনটি গুলি করেন সাজেদুল। এর মধ্যে দুটি তার বুকে ও পিঠে লাগে। র্যাব জানিয়েছে, সাজেদুল স্থানীয় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথম বর্ষের ছাত্র ও লিপনের অন্যতম প্রধান সহযোগী। লিপনের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধ করতেন। রহমত উল্লাহ সাজেদুলের বন্ধু। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করায় তাকে এক লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ করা হয়। পাভেল লিপনের সহযোগী। মামুন পেশায় চালক। তার কাছে থাকা ছুরি, চাকুসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘটনার দিন মোস্তফা কামালকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।
১৮ মে, ২০২৪
আরও
X