হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় শিশু রুবেল হোসেন হত্যার দায়ে মো. সোহাগ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।  নিহত রুবেল হোসেন সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইয়ামিন আলীর ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেলে আসামি সোহাগ কৌশলে রুবেলকে পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের একটি খেজুর বাগানে নিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা ইয়ামিন আলী পরদিন সদর থানায় সোহাগের নামে হত্যা মামলা করেন। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এসএম শরীফউদ্দিন হাসু কালবেলাকে বলেন, বয়স বিবেচনায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
২৬ জুলাই, ২০২৪

আধিপত্য বিস্তারে শৈলকুপায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রানা (২০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রানা ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় আদিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। স্থানীয়রা জানান, গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বর্তমান সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক শিকদারের সঙ্গে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাসের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সংসদ নির্বাচনের পরই মোস্তাক শিকদার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মোস্তাক শিকদারের অনুসারীরা। এর এক দিন পর বুধবার দুপুরে মোস্তাক সমর্থিত রানা নামে এক যুবককে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করলে পথিমধ্যে রানার মৃত্যু হয়। এদিকে পৃথক দুটি ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইমরান জাকারিয়া বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারী আকরাম ও আবুল মেম্বারের নেতৃত্বে এই হামলা এবং হত্যা সংঘটিত হয়েছে। এলাকায় গত সোমবার রাত থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও হামলাকারীরা পুলিশের অবস্থানের উল্টো দিকের গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৫ জুলাই, ২০২৪

আধিপত্য বিস্তারে শৈলকুপায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহত ওই যুবকের নাম রানা (২০)। তিনি ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় আদিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বর্তমান সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক শিকদারের সঙ্গে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাসের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সংসদ নির্বাচনের পরই মোস্তাক শিকদার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।  এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মোস্তাক শিকদারের অনুসারীরা। এর এক দিন পর বুধবার দুপুরে মোস্তাক সমর্থিত রানা নামে এক যুবককে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করলে পথিমধ্যে রানার মৃত্যু হয়। এদিকে পৃথক দুটি ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইমরান জাকারিয়া বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারী আকরাম ও আবুল মেম্বারের নেতৃত্বে এই হামলা এবং হত্যা সংঘটিত হয়েছে। এলাকায় গত সোমবার রাত থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও হামলাকারীরা পুলিশের অবস্থানের উল্টো দিকের গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৪ জুলাই, ২০২৪

বগুড়ায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যা
বগুড়ার গাবতলীতে মাসুদ মিয়া (৫০) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মাসুদ মিয়া উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাহাট্টা মধ্যপাড়ার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। গাবতলী মডেল থানার ওসি আশিক ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে মাসুদ তার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সারা রাত তিনি বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে কালাইহাট্টা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে তার বোনের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে মাসুদের লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওসি আরও বলেন, মরদেহে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মাথায় রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ দাফনের পর তার পরিবার মামলা করবে বলে নিহতের ছেলে বাবুল মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন।
২৪ জুলাই, ২০২৪

সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
সিলেটে পাথর ব্যবসার টাকা লেনদেনের জেরে আব্দুল মজিদ লস্কর নামে এক পাথর ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ। নিহত আব্দুল মজিদ লস্কর টিপু জকিগঞ্জ উপজেলার বলরাম চকের মৃত আব্দুল গনির ছেলে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, পাথর ব্যবসার টাকা লেনদেনের জেরে আব্দুল মজিদকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা রহস্য উদ্ঘাটন করতে কাজ করছি। আসামি ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৪ জুলাই, ২০২৪

ত্রিপল মার্ডার মামলার আসামি গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সজীব, আতিক ও উজ্জ্বল হত্যা মামলার আসামি মো. কনককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজ উদ্দিন ফরাজীর আদালতে ত্রিপল মার্ডার মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি মো. কনক টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের তালেব আলীর ছেলে।  বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম সবুর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।   এসপি গোলাম সবুর বলেন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, গোপালপুর এবং জামালপুরের তিন যুবকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কনক ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।  কনক ওই তিনজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। পরে তাদের চাকরিতে না পাঠাতে পেরে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কনক ও তার সহযোগীরা সজীবকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করে।  তিনি বলেন, সজীবকে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য মরদেহে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলায় একটি ভুট্টাক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, একই কায়দায় ২ মার্চ আতিক হাসানকে মধুপুরের পাহাড়ি এলাকার আনারস বাগানে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর লাশের শরীরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে গাছের শুকনা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। গোলাম সবুর বলেন, সর্বশেষ ৩ মার্চ রাতে উজ্জ্বলকেও টাঙ্গাইল শহরের আট পুকুরপাড় এলাকায় গলাটিপে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর মহাসড়কের ১৫ নম্বর ব্রিজের কাছে বালিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহতদের কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদ্যসরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে তদন্ত করে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৮ জুলাই, ২০২৪

লঙ্কান সাবেক অধিনায়ককে গুলি করে হত্যা
মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটেতে শ্রীলঙ্কায়। দেশটির সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ধম্মিকা নিরোশানাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে আম্বালাঙ্গোডায় সাবেক ক্রিকেটারের কান্দা মাওয়াথার বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। ঘটনার সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বাড়িতে ছিলে বলেন জানিয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম। যে ব্যক্তি নিরোশানাকে হত্যা করেছিল সে ১২ বোর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এর বেশি আর কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কী কারণে এমন ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাও এখনো জানা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার পুরোপুরি বিকশিত হওয়ার আগে ২০০৪ সালে অবসরে যান ধম্মিকা নিরোশানা।  মূলত পেস বোলিং অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি। ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও সমনা পারদর্শী ছিলেন এই লঙ্কান। ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কা অনূধ্ব-১৯ দলে অভিষেক হয়েছিল তার। ২০০২ সালে যুবদলের অধিনায়ক করা হয় তাকে। তবে ক্যারিয়ারটা খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি তিনি।  জাতীয় দলে খেলা হয়নি তার। তবে তার অধিনায়কত্বে খেলেছেন একাধিক লঙ্কান তারকা। এদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হচ্ছেন পারভিজ মাহরুফ, উপুল থারাঙ্গা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। যুবদল ছাড়াও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও খেলেছেন তিনি।  গল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১২টি প্রথম শ্রেণি ও ৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছিলেন নিরোশানা। 
১৭ জুলাই, ২০২৪

হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় ডাকাতি করার সময় এক সদস্যকে হত্যার দায়ে ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লার সামছুল হুদা, দাদড়াজন্তি গ্রামের মো. মিজান, ভিটি দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবু মিয়া, মুক্তিয়ার হোসেন, চকবম্বু পাতারপাড়া গ্রামের সবুর হোসেন এবং ভিটি প্রধানপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম। জাহিদুল ইসলাম জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে রায়ের নকল তুলে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন কি না পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লায় উৎপল চন্দ্রের বাড়িতে ডাকাতি করে আসামিরা। ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে সোনার অলঙ্কার ও টাকাসহ ২ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। বাড়ির অপর সদস্য প্রতুল চন্দ্র বাধা দিলে তাকে হত্যা করে। অপর সদস্য পলাশকে মারধর করে আহত করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় উৎপল কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে জয়পুরহাট সদর থানায় ডাকাতি এবং হত্যা মামলা করেন। সদর থানার এসআই ফারুক খলিল মামলাটি তদন্ত করে ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, মামলার পাঁচ আসামি হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর এক আসামির বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার হওয়ায় ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হলো। বাদীপক্ষ বাকি ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
১৬ জুলাই, ২০২৪

হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় জমি বন্ধকের টাকার লেনদেন এবং পূর্বশত্রুতার জেরে কৃষক নূরুল ইসলাম হত্যা মামলায় একই পরিবারের তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫  জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।  কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামের সানাউল ইসলাম, তার স্ত্রী লতিফা বেগম ওরফে বেলো বেগম ও তাদের ছেলে ফিরোজ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।  এ ঘটনায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কৃষক নূরুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের জমি বন্ধকের টাকা লেনদেন নিয়ে শত্রুতা চলছিল। এ কারণে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি পূর্বশত্রুতার জের ধরে ওই দিন সকাল ১০টার দিকে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় আসামিরা নূরুল ইসলামের মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে এবং লাঠিপেটা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় নূরুল ইসলামকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে কৃষক নূরুল ইসলাম মারা যান।  এ ঘটনায় পরদিন নিহত নূরুল ইসলামের স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পাঁচবিবি থানা পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারে সাক্ষ্য-প্রমাণে আদালত এ রায় দেন।
১৬ জুলাই, ২০২৪

সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর কৃষক লীগ নেতা হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর কৃষক লীগ নেতা কাসেম আলী কাগুজিকে কুপিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি সালাহ উদ্দিন গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব- ৬। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সেকেন্দার মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি মো. সালাহ উদ্দিন গাজী (২৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিন গাজীর ছেলে। র‌্যাব সূত্র জানায়, র‌্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল কৃষক লীগ নেতা হত্যায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার আভিযানিক দলের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, পলাতক আসামি সালাহ উদ্দিন গাজী সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সেকেন্দার মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই মধ্যরাতে স্ত্রীকে নৌকায় বেঁধে রেখে গাবুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাশেম আলী কগুজিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে মুছা গাজী ও সালাহ উদ্দিন গাজীসহ আটজনের নামের উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শ্যামনগর থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, আসামি মো. সালাহ উদ্দিন গাজীকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৬ জুলাই, ২০২৪
X