অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি কাজ করবে
অভিবাসন-সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল রোববার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তিনিও আলেসান্দ্রোর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিবাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় যেটি উঠে এসেছে তা হলো, মানব পাচারকারী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপতথ্য ছড়িয়ে মানুষকে লোভে ফেলে। মিথ্যাচার করে ফেক নিউজের মাধ্যমে। এতে মানুষ ফাঁদে পড়ে অনেক সমস্যায় পড়ে, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখিও হয়। তিনি বলেন, অভিবাসনের ক্ষেত্রে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরাই শুধু এসব অপতথ্য, ফেক নিউজ ও গুজবের ভুক্তভোগী নয়। অন্য ক্ষেত্রের মানুষরা এর শিকার হয়। এ বিষয়ে কীভাবে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেটি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপতথ্যের প্রচার যেভাবে হয়, দিনশেষে মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সেটি অভিবাসনের ক্ষেত্রে হোক বা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে। তাদের দেশে আইন কানুন যেগুলো আছে সেগুলো তারা শেয়ার করবে। অপতথ্য রোধে আমরা যে উদ্যোগ নেব সেগুলো তারা সমর্থন করবে। বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকরা এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফের সূচক প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এই সূচকের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাবে যদি পদ্ধতিগত দুর্বলতা থাকে। আমি তাদের অনুরোধ করব তারা যাতে বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে পদ্ধতিগত দুর্বলতা উতরে যেতে পারে এবং তথ্য নেওয়ার পর তা যাচাই করে। দশ-বারোজন মানুষের মতামত নিয়ে সূচক তৈরি করলে, এটি গোটা দেশের চিত্র হতে পারে না।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাকায় আইওএম’র মহাপরিচালক
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপে ঢাকায় এসেছেন।  রোববার (৫ মে) আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুস সাত্তর এসওএভ তার ভে‌রিফা‌য়েড ফেসবুক পো‌স্টে অ্যামির ঢাকায় আসার তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন। আব্দুস সাত্তর এসওএভ লেখেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপেকে বাংলাদেশে তার প্রথম সফরে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। চল‌তি সপ্তা‌হে ঢাকায় ডি‌জি কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট এবং এন‌গেজ‌মেন্টসহ ২০২৪ সা‌লের ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট উদ্বোধনের দি‌কে তা‌কি‌য়ে আছি। জানা গেছে, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা বাংলাদেশে আসবেন। এর অংশ হিসেবে তিনিই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচি শুরু করবেন। ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
০৫ মে, ২০২৪

অভিবাসন প্রত্যাশীদের দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্য
অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এবার পারিবারিক ভিসার শর্ত কঠোর করেছে যুক্তরাজ্য৷ বাড়ানো হয়েছে ন্যূনতম আয়ের সীমা৷ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে কোনো অভিবাসী যদি তার পরিবারের কোনো সদস্যকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে চান তাহলে তার ন্যূনতম আয় হতে হবে ২৯ হাজার পাউন্ড৷ এই আয় সীমা আগে ছিল ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড৷ আগামী বছর এটি বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ডে উন্নীত করা হতে পারে৷ এই সিদ্ধান্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার অংশ৷ দেশটির করদাতার বোঝা কমাতেই অভিবাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়মিত এবং অনিয়মিত মিলিয়ে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী এসেছেন যুক্তরাজ্যে৷ চলতি বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ ভোটের মাঠে অভিবাসন অন্যতম প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে৷ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে জনমত জরিপে পিছিয়ে আছে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীলেরা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, ‘গণ অভিবাসন একটি ঊর্ধ্ব সীমায় পৌঁছে গেছে৷ ফলে, এমন কোনো সহজ সমাধান বা সহজ সিদ্ধান্ত নেই, যা এই সংখ্যাটিকে ব্রিটিশ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দিতে পারে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অদক্ষদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি, যাতে ব্রিটিশ কর্মীদের এবং তাদের মজুরি রক্ষা করা যায়৷ আমরা চাই, যেসব অভিবাসী তাদের পরিবারকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসবেন তাদের কারণে যেন ব্রিটিশ নাগরিকদের ওপর করের বোঝা চাপাতে না হয়৷’ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিবাসীদের পরিবারগুলো যেন যুক্তরাজ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে, কারও ওপর নির্ভর করতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আয় সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ কর্মক্ষেত্র থেকে অর্জিত আয় আর সঞ্চয় মিলিয়েও এই শর্ত পূরণের সুযোগ থাকবে অভিবাসীদের৷ দক্ষ কর্মী হিসেবে ভিসা পাওয়ার শর্তকেও কঠোর করেছে যুক্তরাজ্য৷ গত ডিসেম্বরে দক্ষ কর্মী হিসেবে যুক্তরাজ্যে আসার ন্যূনতম বেতনের হার ৪৭ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার৷ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর নীতি এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সেবাগ্রহীতা বিদেশিদের সারচার্জ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬ শতাংশ৷ জেমস ক্লেভারলি ওই সময় বলেছেন, যুক্তরাজ্যের নিট মাইগ্রেশন কমাতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে নিট মাইগ্রেশন রেকর্ডসংখ্যক সাত লাখ ৪৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে৷ অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছেন, ২০২২ সালে নিট মাইগ্রেশন (ব্রিটেন ছেড়ে যাওয়া মানুষ এবং দেশটিতে নতুন করে আসা মানুষের সংখ্যার পার্থক্য) ধারণার চেয়ে অনেক বেশি৷ ওএনএসের ধারণা ছিল, নিট মাইগ্রেশন হবে ছয় লাখ ছয় হাজার৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংখ্যাটি এক লাখ ৩৯ হাজার বেড়ে উন্নীত হয়েছে সাত লাখ ৪৫ হাজারে৷ এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে নিট মাইগ্রেশন ছিল চার লাখ ৮৮ হাজার৷
১২ এপ্রিল, ২০২৪

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ঢাকায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তারা দেশে ফেরেন।  জানা যায়, ভোর চারটায় বোরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বেনগাজি হতে ঢাকায় প্রত্যাবাসন করেন তারা। এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯০ বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।  ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃতদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়।  বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়া ফেরত অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন মোস্তফা জামিল খান।  উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় অভিবাসন ডিপো থেকে পলাতক ৭৬ জনকে আটক
মালয়েশিয়ায় অভিবাসন ডিপো থেকে পলাতক ১৩২ জনের মধ্যে ৭৬ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং অন্যান্য কয়েকটি সংস্থার টিমসহ পুলিশ বাকি ৫৩ জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  গতকাল সোমবার পেরাকের তাপাহতের একটি পাম তেলের বাগানের একটি শেয়ার্ড হাউস থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে মোট ৭৬ জনকে আটক করা হয়েছে।   ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেন, ডিপো থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিবাসীর মধ্যে গত রাত ১০টা পর্যন্ত ৭৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জেনারেল দাতুক রুসলিন বলেন, পালিয়ে যাওয়া বাকি অবৈধ অভিবাসীরা এখনো কাছাকাছি এলাকার মধ্যে আছে। তারা সম্ভবত আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খাবারসহ সাহায্য পাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত সব এলাকায় চিরুনি অভিযান চলবে।  জেনারেল দাতুক রুসলিন স্থানীয় নাগরিকদের বলেছেন, যদি কোনো প্রকার সন্দেহভাজন অবৈধ বিদেশি দেখতে পান তাহলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য দেন। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে পালিয়ে যাওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী কে এবং এটি ফৌজদারি মামলা হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে।  
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জার্মানিতে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ
জার্মানিতে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে লাখো মানুষ। দেশটিতে কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) অভিবাসন ও শরণার্থী নীতির বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করেন তারা। রোববার (২১ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জার্মান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার দেশটির বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্যাসিবাদ বিকল্প নয়’ লেখা প্রদর্শন করে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সমালোচনা করেন।  দেশটির কট্টর জানপন্থি দলের সদস্যরা জার্মানি থেকে গণহারে অভিবাসী বের করে দিতে একটি বৈঠকে মিলিত হন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর লাখো মানুষ এ বিক্ষোভ পালন করেছেন।  পুলিশ জানিয়েছে, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন—এএফডির বিরুদ্ধে ফ্রাঙ্কফুট’ শীর্ষক ব্যানারে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। একইভাবে উত্তরাঞ্চলের শহর হানোভের এ প্রায় সমানসংখ্যক লোক ‘নাৎসিকে বের করো’ শীর্ষক পোস্টারে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের শহর ডর্টমাউন্ডেও প্রায় ৩০ হাজার লোক বিক্ষোভ করেছেন।  গত এক সপ্তাহ ধরে ব্রাউনশওয়েগ, এরফুর্ট, ক্যাসেলসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ পালিত হয়ে আসছে। জার্মানির টেলিভিশন এআরডি জানিয়েছে, শনিবার দেশটিতে দুই লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভ পালন করেছেন। সব মিলিয়ে গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত রাজধানী বার্লিনসহ অন্তত ১০০ জায়গায় এ বিক্ষোভ পালিত হয়েছে।  গত ১০ জানুয়ারি জার্মানির অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম কারেকটিভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এএফডির সদস্যরা অভিবাসীদের এবং যারা মূলস্রোতের সাথে মিশতে পারেননি তাদের বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে অস্ট্রিয়ার আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্টের নেতা মার্টিন সেলনার উপস্থিত ছিলেন। ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামের এক তত্ত্বের সাথে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।  পূর্ব জার্মানির ৩টি বৃহৎ আঞ্চলিক নির্বাচনের মাসখানেক আগে এ বৈঠকের খবর সামনে এসেছে। জরিপ অনুসারে সারা দেশে জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এএফডি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।   
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

ফ্রান্সে বিতর্কিত অভিবাসন বিল পাস
ফ্রান্সের পার্লামেন্টে মঙ্গলবার একটি অভিবাসন বিল পাস হয়েছে। বিতর্কিত এ অভিবাসন বিল পাসের মধ্য দিয়ে বেশ জটিল করা হয়েছে অভিবাসন প্রক্রিয়া। এই বিলের প্রতি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সরকারের সমর্থন ছিল। যদিও নিজ দলের ভেতর থেকে অভিবাসন বিল নিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল মাখোঁকে। এরপরও এদিন ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনে বিলটি পাস হয়। শেষ পর্যন্ত বিলটি পাসে মারি লো পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) সমর্থন ক্ষমতাসীনদের প্রয়োজন হয়নি। পার্লামেন্টে বিলের খসড়া জমা দেওয়ার পর দেখা গেছে, অভিবাসন নীতি সংশোধন করে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির ফ্রান্সের বামপন্থি রাজনীতিকদের অভিযোগ, সরকার এ বিষয়ে কট্টর ডানপন্থিদের কাছে নতি স্বীকার করেছে। পরিবর্তিত বিলটির প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মারি লো পেন। তবে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর রেনেসাঁ পার্টি ও তার রাজনৈতিক জোটভুক্ত বাম ঘরানার অনেকেই এ বিলটি সমর্থন করেননি। এমনকি সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও পদত্যাগের হুমকি দেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে তিন দফা নির্বাচনে লড়েন মারি লো পেন। পার্লামেন্টে তিনি আরএন দলের নেতা। ২০২৭ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারেন। অভিবাসন বিল পাসের বিষয়ে মারি লো পেন বলেন, এটা আরএনের জন্য একটি আদর্শিক বিজয়। কেননা, এটা এখন জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর আগে অবশ্য আরএন জানিয়েছিল, পার্লামেন্টে অভিবাসন বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন কিংবা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন দলটির আইনপ্রণেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন গত রোববার সতর্ক করে বলেন, পার্লামেন্টে অভিবাসন বিল পাস না হলে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মেরি লো পেনের জয়ী হওয়ার ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে। তবে এখন বিলটি পাস হয়ে যাওয়ায় মাখোঁ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা আদৌ পদত্যাগ করবেন কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। যা আছে বিলে : চলতি মাসের শুরুর দিকে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফ্রান্সের নতুন অভিবাসন বিলে কী আছে, তা এখনো সম্পূর্ণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত পাওয়া কিছু তথ্য অনুযায়ী, আইনে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হচ্ছে। এ ছাড়া আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আপিলের জন্য অপেক্ষার সময়ও কমিয়ে আনা হবে। পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা (ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসা) প্রক্রিয়াও কঠিন করে তোলা হচ্ছে। অর্থাৎ ফ্রান্সে পরিবারের কোনো সদস্য থাকলে তার পক্ষে অভিবাসন পাওয়া নতুন আইনে আগের চেয়ে জটিল হতে পারে। এ ছাড়া ফ্রান্সে চিকিৎসার জন্য আসার রাস্তাও কঠিন করা হচ্ছে। আগে ১৩ বছরের কম বয়সীদের ফেরত পাঠানো হতো না। এবার সেই আইনেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

আটলান্টিক থেকে ২৬২ অভিবাসন প্রত্যাশী উদ্ধার
আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ২৬২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে স্পেনের কোস্টগার্ড বাহিনী। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে ৩টি নৌকা থেকে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন বলা হয়, উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাগুলো বিকল হয়ে সাগরে ভাসছিল। তারা সবাই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের। উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর উপকূল থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তারা। এতে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পর ১০৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের এল হিয়েরো দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের গ্রান কানারিয়া দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্পেনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ সালে যত সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে এসেছিলেন, তার তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসেছেন অন্তত পাঁচগুণ বেশি মানুষ। গত মাসে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে এসেছেন ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। সাতটি দ্বীপের সমষ্টি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ স্পেনের অন্যতম প্রবেশদ্বার। তাই যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেন হয়ে ইউরোপে যেতে চান, তাদের বেশিরভাগই ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে নামার লক্ষ্য নিয়ে মরক্কোর উপকূল থেকে নৌকায় চাপেন।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩

মেক্সিকোতে ধর্ষণের শিকার অভিবাসন প্রত্যাশীরা
উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ছুটে যান লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মেক্সিকোর সীমানা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর সবাইকে সহ্য করতে হয় অসহনীয় যন্ত্রণা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি। খানিকটা উন্নত জীবনের আশায় এসব কষ্ট মেনেও নেন তারা। অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মুখোমুখি হতে হয় ধর্ষণের মতো ভয়াবহ নরক যন্ত্রণার। বিশেষ করে মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর রেইনোসা ও মাতামোরোসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে যৌন সহিংসতার মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলছে। শহর দুটি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে বড় ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। খবর: রয়টার্স
০১ অক্টোবর, ২০২৩

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৫১ বাংলাদেশি
বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল হতে বিপদগ্রস্ত ১৫১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) তারা দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রওনা দেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দরে সাক্ষাৎ করেন লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার। এ সময় তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেন। বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের উপর প্রণোদনা প্রদান এবং প্রবাসীদেরকে সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার বিষয়টি তাদেরকে জানান। এ ছাড়াও তিনি অবৈধ অভিবাসনের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ দিক তুলে ধরে তাদেরকে ভবিষ্যতে এরুপ পথ পরিহার করার উপদেশ দেন এবং অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণের জন্য তাদেরকে আহ্বান জানান। এখানে উল্লেখ্য যে, দূতাবাস হতে স্বেচ্ছায় দেশে গমনের জন্য আগ্রহী প্রবাসীদের নিবন্ধন পূর্বক পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইওএম এর সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। অন্যদিকে ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পূর্বক তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আইওএম এর সহযোগিতায় তাদেরকে বিনা খরছে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।  উল্লেখ্য যে, দূতাবাস হতে গত ৩১ জুলাই লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলী হতে ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৩১ জন বাংলাদেশিকে মুক্ত করে আইওএম এর সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X