বিএনপির অসুস্থ নেতাদের খোঁজ নিলেন আবদুস সালাম 
বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুকে দেখতে হাসপাতালে যান দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।  শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাবলুকে দেখতে যান তিনি। এ সময় চিকিৎসকদের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন সালাম। বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু সম্প্রতি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৪ এপ্রিল শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার (১৫ মে) সকাল থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মাহফুজ কবির মুক্তা আরও জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম এরপর মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ‘অসুস্থ’ বজলুর রহমানকে দেখতে তার শ্যামলীস্থ বাসভবনে যান। সেখান থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হানিফ ব্যাপারীকে দেখতে যান। আব্দুস সালাম উভয় নেতার শারীরিক ও চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
১৭ ঘণ্টা আগে

তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তীব্র গরমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ ১ শিক্ষার্থীকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সালমা আক্তার।  জানা যায়, তীব্র গরম থাকায় এ দিন ১ম শ্রেণির একটি কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করতে থাকেন। পরে অন্য শ্রেণিগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। অসুস্থ এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলের অফিস রুমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।  এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা জানান, হঠাৎই তীব্র গরমে একটি ক্লাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রেণিতে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে যায়। পরে আমরা প্রতিষ্ঠানটি ছুটি দিয়ে দেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল জানান, গরম কিছুটা বেশি। ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেছে। স্কুল ছুটি দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১৬ মে, ২০২৪

অসুস্থ তাঁতীদল নেতার পাশে আবুল কালাম আজাদ
জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ‘অসুস্থ’ কাজী রেজাউল করিম রানার খোঁজ-খবর নিতে তার বাসায় যান সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর পরিবাগে রানার বাসায় যান তিনি। সম্প্রতি কাজী রেজাউল করিম রানা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন। রানার শারীরিক খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম মাস্টার, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল সেন্টু, মন্জুরুল ইসলাম মন্জু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৪ মে, ২০২৪

আদালতে হঠাৎ অসুস্থ বাবুল আক্তার
চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করার পর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগারে ফেরার জন্য তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয়নি। সোমবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বাবুল আক্তারকে আদালত কক্ষে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে বসানো হয়। তখন অন্য মামলার কার্যক্রম চলছিল। আদালত কক্ষেই একপর্যায়ে অসুস্থবোধ করতে থাকেন বাবুল আক্তার। তখন তাকে বেঞ্চে শোয়ানো হয়। সেখানে পুলিশ ও স্বজনরা তাকে প্রাথমিক সেবা দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সুস্থবোধ করতে থাকেন। নেছার আহমেদ বলেন, ‘সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সময়ের আবেদন করেছেন। আদালত ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন। মামলার কার্যক্রম শুরুর আগেই আসামি বাবুল আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় তাকে যখন কারাগারে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ, তিনি প্রিজন ভ্যানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি মাইক্রোবাসে করে তাকে কারাগারে নেওয়ার দাবি করেন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়েছে।’ নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাবুল আক্তার নাকি দুই-তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। এজন্য তিনি আদালতে আনার পর থেকে অসুস্থবোধ করছিলেন। ওনি নিজেই পুলিশকে বলেছেন, নাপা খাওয়ালে তিনি সুস্থবোধ করবেন। কিন্তু সেটা তো আমরা পারি না। আমরা বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমাদের এখতিয়ার এটুকুই। ওনাকে ফেনী কারাগার থেকে আনা হয়েছিল। পরে শুনেছি, আবার ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৪৯ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

গণহারে ছুটিতে কর্মীরা, ৮৬ ফ্লাইট বাতিল
অসুস্থতার কারণে গণহারে ছুটি নিতে শুরু করেছেন বিমানের কেবিন ক্রুরা। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা। কেবিন ক্রু সংকটে বাধ্য হয়ে বাতিল করেছেন বিমানের অন্তত ৮৬ ফ্লাইট। বুধবার (০৮ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচিত্র এ ঘটনা ঘটেছে ভারতে। দেশটিতে বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়া এক্সেপ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, কেবিন ক্রুরা গণহারে অসুস্থতার ছুটি নেওয়ায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ক্রু সংকটে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ৩০০ জ্যেষ্ঠ কেবিন ক্রু ফ্লাইটের অল্প সময় আগেই অসুস্থতার কথা জানিয়ে ছুটির আবেদন করেন। এরপর থেকে ক্রুরা তাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। দেশটিতে নতুন নিয়োগ শর্তের কারণে আন্দোলনের অংশ হিসেবে শেষ মুহূর্তে কাজ থেকে তারা সরে এসেছেন।  ভারতের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী টাটার মালিকানাধীন এ কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেন, গতকাল রাত থেকে কেবিন ক্রুদের কাছ থেকে তাদের অসুস্থতার খবর পেতে থাকি। এজন্য ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বের ঘটনা ঘটেছে।  তিনি বলেন, আমার ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটা ঘটার কারণ জানার চেষ্টা করছি। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এজন্য সৃষ্ট যাত্রীদের অসুবিধা দূর করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগের জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।  আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, টাটা গ্রুপের অধীনে এয়ার ইন্ডিয়া চলে যাওয়ার পর থেকে চাকরিতে বৈষম্য চলছে। নির্দিষ্ট পদের জন্য ভাইবা দিয়ে তার চেয়ে নিচু পদে কাজ করতে হচ্ছে।  ক্রুদের আরও অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে আগের ভর্তুকি প্যাকেজের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো ক্ষেত্রে এগুলো বাতিল করা হয়েছে। 
০৮ মে, ২০২৪

বাটারবন খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিশু
চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখার মোড়ের মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের নিজস্ব তৈরি বাটারবন খেয়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন। শনিবার (৪ মে) রাতে বাটারবন খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় ওই শিশুটির মা ওই দোকানে গিয়ে হট্টগোল করে কান্নাকাটি করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ হওয়া শিশুর নাম আরোওয়া। যার বয়স ২ বছর। সে মমিনপাড়ার বাসিন্দা। ক্ষুধা নিবারণের জন্যই ক্রিমযুক্ত বাটারবনটি তাকে তার মা কিনে খাইয়েছিলেন।  ভুক্তভোগী শিশুর মা মমিনপাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে আসমা তালুকদার বলেন, দুই পিস বাটারবন বিশ টাকা দিয়ে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুড দোকান থেকে কিনে নিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি বাটারবন খেয়ে আমার ২ বছরের ছোট্ট শিশুটি পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি সবার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। এদিকে সরেজমিনে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ধুলোবালিময় গ্লাস, পুরানো-বাসি খাবার এবং দোকানে মাকড়সার বাসা বেঁধে রয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকনের পরিচালক মো. হাসান বলেন, বাটারবনগুলো আমি বিক্রি করিনি। করেছে আমার দোকানের স্টাফ। আর রাস্তার পাশের দোকান হওয়ায় ধুলোবালি তো একটু হবেই। তবে দোকান যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে আমি নজর রাখব। যে বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে হয়তো গরমেও অসুস্থ হতে পারে। তবে আমাদের নিজস্ব কারখানায় বাটারবনসহ সব খাবার তৈরি হচ্ছে। বাসি-পচা খাবার তো দোকানে রাখি না। তবুও ওনাদের সমস্যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী মো. রুবেল বলেন, বাটারবনগুলো হয়তো গরমে নষ্ট হতে পারে। মালিক এগুলো দোকানে এনেছে বলেই বিক্রি করেছি। ভবিষ্যতে খাবার বিক্রিতে আরও সতর্ক হবো।
০৫ মে, ২০২৪

অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে যে দোয়া পড়বেন
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া সুস্থতা আল্লাহতাআলার অনেক বড় নেয়ামত। অসুস্থতাও আল্লাহর নেয়ামত। অসুস্থতার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে পরীক্ষা করেন। তার সগিরা গুনাহ মাফ করেন। বিভিন্ন হাদিসে রোগ- শোক ও বালা-মসিবতের তাৎপর্য ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ এবং ওষুধপথ্য ব্যবহারের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়া পাঠ এবং পদ্ধতির অনুসরণ করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলেও দোয়া পড়ার কথা এসেছে হাদিসে। এখানে তেমনই কিছু দোয়া তুলে ধরা হলো— হজরত আলী রা. বর্ণনা করেন, আমি রসুল সা. কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকেল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে পর দিন সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে। (সুনানে তিরমিজি ৯৬৭)   অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়ে পাঠ করার মতো কয়েকটি দোয়া নিচে দেওয়া হলো।   لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَآءَ اللّهُ উচ্চারণ : লা-বাসা তুহুরুন ইংশা-আল্লহ। অর্থ : ভয় নেই, আল্লাহ চান তো তুমি খুব শিগগিরই ভালো হয়ে যাবে। এ রোগ তোমার পবিত্র হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।   أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا উচ্চারণ : আজহিবিল বা’স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফি লা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক-মা। অর্থ : হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন। তাকে নিরাময় করে দিন। নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোনো রোগকে বাকি রাখে না।   আরেকটি দোয়া রয়েছে।   أَسْأَلُ اللّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَّشْفِيَكَ উচ্চারণ: আস্আলুল্লহাল ‘আজিম রব্বাল ‘আরশিল ‘আজিম আই ইয়াশ্ফিয়াকা। অর্থ : আমি মহান আল্লাহর দরবারে দু’আ করছি তিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন, যিনি মহান আরশের রব।   হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার একজন অসুস্থ বেদুইনকে দেখতে গেলেন। আর কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তিনি বলতেন, (লা-বাসা তুহুরুন ইংশা-আল্লহ) ভয় নেই, আল্লাহ চান তো তুমি খুব শিগগিরই ভালো হয়ে যাবে। এ রোগ তোমার পবিত্র হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ নিয়ম অনুযায়ী তিনি বেদুইনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ভয় নেই, তুমি ভালো হয়ে যাবে।    আল্লাহর ইচ্ছায় এটা তোমার পবিত্র হওয়ার কারণ হয়ে যাবে। তার কথা শুনে বেদুইন বলল, কখনো নয়। বরং এটা এমন এক জ্বর, যা একজন বৃদ্ধ লোকের শরীরে ফুটছে। এটা তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। তার কথা শুনে এবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আচ্ছা, তুমি যদি তাই বুঝে থাক তবে তোমার জন্য তা-ই হবে। (বুখারি ৩৬১৬, ৫৬৫৬, ৫৬৬২, মিশকাত ১৫২৯) وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ إِذَا اشْتَكى مِنَّا إِنْسَانٌ مَسَحَه بِيَمِينِه ثُمَّ قَالَ: «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)   হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমাদের কারও অসুখ হলে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ডান হাত রোগীর গায়ে বুলিয়ে দিয়ে বলতেন, (আজহিবিল বা’স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফি লা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক-মা।) অর্থ : হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন। তাকে নিরাময় করে দিন। নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোনো রোগকে বাকি রাখে না। (বুখারি ৫৭৫০, মুসলিম ২১৯১, ইবনু মাজাহ ৩৫২০, মিশকাত ১৫৩০) وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا فَيَقُولُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَسْأَلُ اللّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَّشْفِيَكَ إِلَّا شُفِيَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ قَدْ حَضَرَ أَجَلُه». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ   হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক মুসলিম তার এক অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে গিয়ে যদি সাতবার বলে, আস্আলুল্ল-হাল ‘আজিম রব্বাল আরশিল আজিমি আই ইয়াশ্ফিয়াকা। অর্থ : আমি মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছিতিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন, যিনি মহান আরশের রব)। তাহলে তাকে অবশ্যই আরোগ্য দান করা হয় যদি না তার জীবনের শেষ সময় উপস্থিত হয়। (আবু দাউদ ৩১০৬, তিরমিজি ২০৮৩, মিশকাত ১৫৫৩)    হাদিসে রোগী দেখার অসংখ্য ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আলী রা. বর্ণনা করেন, আমি রসুল সা. কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকেল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে পর দিন সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে। (সুনানে তিরমিজি ৯৬৭)  
০৩ মে, ২০২৪

পুতিনের নতুন অস্ত্রে অসুস্থ হচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা
রাশিয়ার নতুন অস্ত্রে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ওই অস্ত্রের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া দুজন ইউক্রেনীয় সৈন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতে উঠে আসে ভয়াবহ এক অস্ত্রের তথ্য। ওই সৈনিকরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের মুখে এবং গলার ভেতরে পোড়া ক্ষত তৈরিসহ নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গোটা ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যেই এক ধরনের ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।  সিএনএন জানিয়েছে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। দেশটি বলছে, ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ব্যবহার করছে মস্কো। যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে এ কাজ করছে রুশ সেনারা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এর আগে বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে রাশিয়া, যা আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের সমতুল্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের রাসায়নিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রুশ সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরিয়ে দিতে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত জয় পেতে এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। এই গ্যাসের প্রভাবে ফুসফুস, চোখে এবং ত্বকে জ্বালাতন শুরু হয়, সরাসরি সংস্পর্শ হলে সপ্তাহ ধরে বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। ক্লোরোপিক্রিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। বর্তমানে এর সামরিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও কৃষিকাজে ব্যবহার রয়েছে।  গত মার্চে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায় যে, তারা এক হাজারেরও বেশি হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে, যেখানে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে তৈরি টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই এরকম ২৫০টি ঘটনা ঘটেছে। তারা আরও জানিয়েছে, অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসার জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে এবং একজন টিয়ার গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছে। তবে অনেক আগে থেকেই যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি তারা। গেল জানুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের রুশ দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছে রুশ সেনাবাহিনীর মজুতে কোনো রাসায়নিক অস্ত্র নেই।
০৩ মে, ২০২৪

পুরুষের তুলনায় বেশি বাঁচলেও অসুস্থ থাকে নারীরা : গবেষণা
গড় আয়ুতে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। তবে গবেষণা বলছে, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি বাঁচলেও তারা অসুস্থ থাকেন অনেক বেশি। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যেসব রোগে ভোগেন সেগুলো প্রাণঘাতী না হলেও অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে। এসব রোগের অন্যতম হলো পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথা।  অন্যদিকে পুরুষেরা জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। এসবের মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্র, যকৃতের রোগ এবং কোভিড-১৯। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারায় পুরুষেরা।  স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নারী-পুরুষের ব্যবধান বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নারীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে জরুরি ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী রোগব্যাধির ২০ শীর্ষস্থানীয় কারণ পরীক্ষার ভিত্তিতে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে নারী-পুরুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান দেখা গেছে। গত তিন দশকে এ ব্যবধান পূরণে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে।  নারী-পুরুষের মধ্যকার স্বাস্থ্যগত ভিন্নতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। এতে করে নারীরা ক্রমেই জীবনভর অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতায় ভোগেন। এমন সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করে তারা পুরুষের চেয়ে বেশি সময় বাঁচেন।  স্বাস্থের এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর গবেষক ড. লুইসা সোরিও ফ্লর। তিনি বলেন, এতে স্পষ্ট দেখা গেছে যে গত ৩০ বছরে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অসম। নারীরা বেশি বছর বাঁচলেও তাদের অসুস্থতার হার অপেক্ষাকৃত বেশি।  তিনি আরও বলেন, নারীদের বিশেষ করে বয়স্ক অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। এ দিকে নজর দেওয়া এখন জরুরি। একইভাবে পুরুষরা অপেক্ষাকৃত উচ্চঝুঁকি ও প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হন।  গবেষণায় ২০২১ সালের গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে এতে স্ত্রীরোগ ও প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো স্বাস্থ্য অবস্থার তথ্যগুলো নেওয়া হয়নি।  গবেষণায় ২০২১ সালের অসুস্থতা ও মৃত্যুর শীর্ষ ২০ কারণের মধ্যে ১৩টি পুরুষের মধ্যেই দেখা গেছে। পুরুষের মাঝে শনাক্ত হওয়া রোগগুলো হলো কোভিড-১৯, সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্র এবং যকৃতের রোগ। এসব রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষরা আক্রান্ত হয়েছেন।  অন্যদিকে নারীদের মাঝে শনাক্ত হওয়া রোগগুলো হলো মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা, বিষণ্নতা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, হাড় ও পেশির সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, এইচআইভি। নারীরা এসব রোগে ভুগলেও তাদের এসবের কারণে অকাল মৃত্যু হয় না তাদের।   
০২ মে, ২০২৪

ভোট চাইতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন সোহম
কলকাতার বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সোহম চক্রবর্তী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের খবর, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণা গিয়ে অসুস্থ হলে তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তীব্র গরমের মধ্যে টানা নির্বাচনের প্রচারণা অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। তার ডিহাইড্রেশন হয়েছে; একইসঙ্গে জ্বর। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গত রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিকে সোহমের টিমের এক সদস্য জানান, ‘তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তার শরীর খুবই দুর্বল, তাই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে আরও কয়েক দিন দাদাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে তৃণমূলের হয়ে মালদা ও মুর্শিদাবাদে নির্বাচনি প্রচার অংশ নেন সোহম। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। আর এই গরমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহম।
০১ মে, ২০২৪
X