ইসরায়েলে অস্ত্র বেচা বন্ধ করছে কানাডা
ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র বেচা বন্ধ করবে কানাডা। বুধবার (২০ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলির কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার। এক বিবৃতিতে মেলানি জোলি বলেন, গত ৮ জানুয়ারি থেকে কানাডা সরকার ইসরায়েলে নতুন অস্ত্র রপ্তানির অনুমতি দেয়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা আমাদের রপ্তানি নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামাঞ্জস্য নিশ্চিত করতে না পারি, ততক্ষণ তা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্র রপ্তানির জন্য কোনো উন্মুক্ত অনুমতি নেই। তবে ৮ জানুয়ারির আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া বিষয় কার্যকর থাকবে বলে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এগুলো বাতিল করা হলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো, গোয়েন্দা জোট ফাইভ আইজ, কানাডা ও এর মিত্রদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েল কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে। কানাডার অস্ত্র রপ্তানির শীর্ষ গ্রাহক হলো ইসরায়েল। ২০২২ সালে কানাডার কাছ থেকে ১৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আমদারি করেছে ইসরায়েল।
২১ মার্চ, ২০২৪

ইসরায়েলে অস্ত্র বেচা বন্ধ করতে ২০০ এমপির চিঠি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ১৩টি দেশের দুই শতাধিক সংসদ সদস্য (এমপি)। গত শনিবার ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি করে— এমন ১৩ দেশের এসব এমপি তাদের সরকারকে এক চিঠি দিয়ে এই আহ্বান জানান। খবর আলজাজিরার। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন—এমন এমপির মধ্যে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন, অস্ট্রেলিয়ান সিনেটের গ্রিন পার্টির নেতা লরিসা ওয়াটার্স, ফ্রান্স আনবোডের সমন্বয়ক ম্যানুয়েল বোম্পার্ড, বেলজিয়ামের ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় সম্পাদক পিটার মের্টেন্স, কানাডিয়ান এমপি ও প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য নিকি অ্যাশটন, ব্রাজিলের ফেডারেল ডেপুটি নিলটো ট্যাটো, ডাই লিঙ্কের সাবেক নেতা বার্ন্ড রিক্সিংগার, স্প্যানিশ পার্টি পোডেমোসের নেতা ইওন বেলারা, ডাচ সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা জিমি ডাইক, আইরিশ এমপি থমাস প্রিঙ্গেল এবং তুরস্কের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সহসভাপতি সেজাই টেমেলি রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একমাত্র আইনপ্রণেতা হিসেবে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ডেমোক্রেটিক নেত্রী রাশিদা তালিব। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা জানি আমাদের দেশের তৈরি বা আমাদের দেশের মাধ্যমে পাঠানো প্রাণঘাতী অস্ত্র ও যন্ত্রাংশ বর্তমানে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলায় সহায়তা করছে, যা গাজা ও পশ্চিম তীরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের পরে দেশটির ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ নৈতিক দায়িত্ববোধের চেয়ে আইনি প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে।
০৪ মার্চ, ২০২৪

ইসরায়েলে অস্ত্র বেচা বন্ধ করতে ২০০ এমপির চিঠি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ১৩টি দেশের দুই শতাধিক সংসদ সদস্য (এমপি)। শনিবার (২ মার্চ) ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি করে এমন ১৩ দেশের এসব এমপি তাদের সরকারকে এক চিঠি দিয়ে এই আহ্বান জানান। খবর আলজাজিরার। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন এমন এমপির মধ্যে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন, অস্ট্রেলিয়ান সিনেটের গ্রিন পার্টির নেতা লরিসা ওয়াটার্স, ফ্রান্স আনবোডের সমন্বয়ক ম্যানুয়েল বোম্পার্ড, বেলজিয়ামের ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় সম্পাদক পিটার মের্টেন্স, কানাডিয়ান এমপি ও প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য নিকি অ্যাশটন, ব্রাজিলের ফেডারেল ডেপুটি নিলটো ট্যাটো, ডাই লিঙ্কের সাবেক নেতা বার্ন্ড রিক্সিংগার, স্প্যানিশ পার্টি পোডেমোসের নেতা ইওন বেলারা, ডাচ সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা জিমি ডাইক, আইরিশ এমপি থমাস প্রিংগেল এবং তুরস্কের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সহসভাপতি সেজাই টেমেলি রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একমাত্র আইনপ্রণেতা হিসেবে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ডেমোক্রেটিক নেত্রী রাশিদা তালিব। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা জানি আমাদের দেশের তৈরি বা আমাদের দেশের মাধ্যমে পাঠানো প্রাণঘাতী অস্ত্র ও যন্ত্রাংশ বর্তমানে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলায় সহায়তা করছে, যা গাজা ও পশ্চিম তীরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের পরে দেশটির ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ নৈতিক দায়িত্ববোধের চেয়ে আইনি প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

ইসরায়েলে অস্ত্র বেচা বন্ধ করে দিচ্ছে একের পর এক দেশ
চলতি সপ্তাহে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। অবশ্য গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর বহু আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তাদের এই সহায়তার পরিমাণ বছরে ৩০০ কোটি ডলার। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, আরও বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলকে অস্ত্র বেচার নামে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হলে এসব দেশ ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া নিয়ে পুনরায় চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ তেল আবিবকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এসব দেশগুলো হলো— নেদারল্যান্ডস গত সোমবার ইসরায়েলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করতে নেদারল্যান্ডস সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডাচ আদালত। এই যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধ করতে সরকারকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে গাজায় বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। মূলত বেশ কয়েকটি ডাচ মানবাধিকার সংস্থার দায়ের করা এক মামলায় এই রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, রপ্তানি করা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হওয়ার স্পষ্ট ঝুঁকি রয়েছে, যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বেলজিয়াম গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেলজিয়ামের একটি আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের কাছে গানপাউডার রপ্তানি করে এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজের রায়ের বরাত দিয়ে আঞ্চলিক সরকার বলেছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে তার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। জাপান চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমের সঙ্গে অংশীদারত্বের সম্পর্কে ইতি টানার কথা জানিয়েছে জাপানি কোম্পানি ইটোচু করপোরেশন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এমন ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইটোচুর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সুয়োশি হাচিমুরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের ভিত্তিতে এলবিটের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে এর সঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের বর্তমান সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই। ইতালি গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জামের সব চালান স্থগিত রেখেছে ইতালি। গত ২০ জানুয়ারি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা এলি শ্লেইন সরকারের প্রতি ইসরায়েলের সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি এই তথ্য জানান। স্পেন গত জানুয়ারিতে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি ইসরায়েলের কাছে কোনো অস্ত্র বিক্রি করেনি। বর্তমানে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X