জনগণ আ.লীগকে ৪২ বছর ক্ষমতার বাইরে রাখবে : আলাল
বাংলাদেশের জনগণ সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকে ৪২ বছরের জন্য ক্ষমতা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। শনিবার (১১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলাল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ অনুভব করছে ২১ বছর যেভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ নির্বাসিত ছিল, একটা সুযোগ পেলে ৪২ বছরের জন্য তাদের ক্ষমতা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিবে জনগণ। কারণ, ক্ষমতার উপযুক্ত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নয়। তিনি বলেন, জনজীবনে আজ অনেক সমস্যা। বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে সিন্দবাদের দৈত্যের মতো চেপে বসা এই আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে দেশের কোনো সমস্যার সমাধান তো হচ্ছেই না, বরং প্রত্যেকটি সমস্যার নতুন শাখা, উপশাখা বের হচ্ছে। এই শাখা, উপশাখা বেয়ে দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য চলছে বাংলাদেশে। বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একতরফা চাপাবাজির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে সব কিছু ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আমাদের আন্দোলনের বর্তমান ক্যাপ্টেন তারেক রহমানকে অসংখ্য অসত্য বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ আজকে আশ্রয় খুঁজছে, একটা প্ল্যাটফর্ম খুঁজছে, পতাকা খুঁজছে। সেই সুযোগ থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করার জন্য সরকার ‘আমি মামু খামু যামু’ এই নির্বাচন করছে। তিনি বলেন, এই সরকারটা হচ্ছে জান, মান, সম্মান সবকিছুকে বিসর্জন দেওয়া সরকার। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশের কোনে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই সংকট উত্তরণে আন্দোলনে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।  সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১১ মে, ২০২৪

অহেতুক কথা বলে হাস্যাস্পদ হবেন না : সরকারকে আলাল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেননি’। এটি ছিলো শহীদ জিয়ার বড় মনের পরিচয়। এ ধরনের অহেতুক কথা বলে হাস্যাস্পদ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম আয়োজিত এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল হয়।   আলাল বলেন, আমরা চাই- আওয়ামী লীগ সঠিক ইতিহাসের পথের দিকে আসুক। তাহলে হয়ত মানুষের হদয়ে ঢুকতে পারবে। ইতিহাস বিকৃত করে সাময়িক বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে, কিন্তু এর ফলাফল ভালো হবে না। এই বিকৃতির জন্য এই আওয়ামী লীগই একদিন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। তাই দেশের মানুষগুলোকে তারা প্রজা ভাবে। এ দেশের মানুষ যেমন শান্তিপ্রিয় তেমনি প্রতিবাদী। তার প্রমাণ মিলেছে ’৭১ সালে। এই প্রতিবাদী জনতা যখন রুখে দাঁড়াবে তখন কেউ ক্ষমা পাবেন না। তাই সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। সংগঠনের সভাপতি মঞ্জুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক হাওলাদার, সাবেক ছাত্রদল নেতা এজমল হোসেন পাইলট, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রমুখ।
২৯ মার্চ, ২০২৪

জ্বালানির দাম কমানো নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে : আলাল
জ্বালানির দাম কমানো নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।  তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, পেট্রলের দাম কমানো হলো তিন টাকা আর অকটেনের দাম কমাল চার টাকা। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিজেদের কাছে নিজেদেরকে সংকুচিত হতে হয়। তারা (সরকার) বলে রোজার মাসে কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। তারা কিন্তু সত্যি কথাই বলেছেন। তারা (সরকার) রোজার তিন মাস আগে থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতেই থাকে। এরপর আর রোজার সময় দাম বাড়ায় না। তার মানে আওয়ামী লীগ তার ওয়াদা ঠিক রাখে।    তিনি বলেন, দেশটাকে এমন এক অরাজকতার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো পাড়া-মহল্লা, কোনো এলাকা এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত এখন আর ভোট অনুষ্ঠিত হয় না। সব আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করে নিয়েছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি নাসির উদ্দিন বেপারীর সভাপতিত্বে এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির, সাবেক ছাত্র নেতা এজমল হোসেন পাইলট, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসা ফরাজী প্রমুখ।
০৮ মার্চ, ২০২৪

বিএনপি নেতা আলালকে বিদেশে যেতে বাধার অভিযোগ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধার অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ তার পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রেখে বসিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন আলালের একান্ত সহকারী জাহাঙ্গীর হাওলাদার। তিনি জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর আগে ভারতের চেন্নাইতে তার অপারেশন হয়েছিল। নিয়মিত চেকআপের জন্য অনেক আগেই চেন্নাইতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকায় তিনি যেতে পারেননি। এতে তার শরীর অনেক খারাপের দিকে গেছে। কারামুক্ত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী সৈয়দা নাসিমা ফেরদৌসীসহ ভারতে যাওয়ার সময় তাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হচ্ছে।  তিনি আরও জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিদেশে যেতে কোনো বাধা নেই- উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তাকে বার বার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।  উল্লেখ্য যে, গত ২১ ফেব্রয়ারি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান আলাল।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা আলাল
অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে করা ছয় মামলার সবকটিতেই জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিক তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন আলালের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, আলালকে আটক করার পর তাকে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া তাকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন করা হয়। তাকে কয়েকটি মামলায় হাজতি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ১ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এরপর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএনপির আলাল-নীরবসহ আটজনের কারাদণ্ড
দশ বছর আগে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরবসহ আটজনের পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় ধারার সাজা একত্রে হওয়ায় তাদের দুই বছরের কারাভোগ কর‍তে হবে।  আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপির হারুন অর রশিদ, ওবায়দুল হক, শহীদুল ইসলাম হীরা ও মো. ইব্রাহিম।  মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানার সাতমসজিদ রোধে আসামিরা একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ফরাজী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

দুদু রিমান্ডে কারাগারে আলাল
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া রিমান্ড শেষে আরেক মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শামসুজ্জামান দুদুকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল এবং জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মো. আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুনানিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমি অসুস্থ, বয়সও হয়েছে। ছাত্রদল ও কৃষক দলের সভাপতি ছিলাম। এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। রিমান্ড বাদেও মামলার তদন্ত হয়। প্রতি মাসে বিভিন্ন মামলায় ১০-১৫ দিন আদালতে হাজিরা দিতে আসি। আমার পরিবারের ৯ জন আইনজীবী। সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি, এর মতো লজ্জাজনক ঘটনা জীবনে নেই। আমরা আইনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছি। দুর্ভাগ্যজনক, আমরা যে মঞ্চে ছিলাম, সেই মঞ্চে থাকা কোনো ভাইস চেয়ারম্যান বক্তব্য দেননি। যেটা সত্য নয়, সেটা কেন অন্যের ঘাড়ে চাপাতে হবে। এটার জন্য কি ৫০ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছি। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ। এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন শামসুজ্জামান দুদু। রিমান্ড শেষে কারাগারে আলাল: অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার এসআই ফরহাদ মাতুব্বর। এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের শহীদবাগ থেকে আলালকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গত ১ নভেম্বর আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

রিমান্ড শেষে কারাগারে আলাল
অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের শহীদবাগ থেকে আলালকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে ১ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর। আর আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করেন। এজাহারে আরও বলা হয়, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

মির্জা আব্বাস ও আলাল রিমান্ডে
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া একই আদালত অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এদিন আদালতে তোলার সময় মির্জা আব্বাস স্লোগান দেওয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিজয় চিহ্ন দেখান। এরপর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, পলাতক ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের প্রকৃত নাম-ঠিকানা সংগ্রহের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক নুরুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম ভূঁইয়া রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি চলাকালে মির্জা আব্বাস কথা বলতে চান। এ সময় বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। শুধু বিএনপিকে নয়—আওয়ামী লীগকেও নেতৃত্বশূন্য করে দিতে চায়। এক সময় দেশে নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী বলে দিলাম। আমি কিছু কথা বলতে চাই। কখনোই কথা বলি না। আমার কথায় কিছু মনে করবেন না। আমি ৫০ বছর রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন মামলা হতে দেখিনি।’ এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এতে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আলাল রিমান্ডে: অস্ত্র ছিনতাই ও রাজারবাগের পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ক্যান্টিন ভাঙচুরের অভিযোগে গতকাল বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আলালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন শহীদবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইট-পাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতি সাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সম্পাদনা: রাসেল
০২ নভেম্বর, ২০২৩

৫ দিনের রিমান্ডে আলাল
অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাংচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এদিন আসামি আলালকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর তার দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।  এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন শহীদবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০১ নভেম্বর, ২০২৩
X