অ্যালুয়েট জাতের আলু চাষে কৃষকের বাজিমাত
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু চাষ করে বাজিমাত করেছেন মোকছেদুল হক ভুট্টু নামের এক কৃষক। প্রতিটি আলুর ওজন প্রায় চার থেকে পাঁচশ’ গ্রাম। প্রতি শতকে চার থেকে পাঁচ মণ আলু চাষ করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। কৃষক মোকছেদুল হক ভুট্টুর বাড়ি উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরপাড়ায়।  সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষক মোকছেদুল হক ভুট্টু মাত্র ৬০ শতক জমিতে বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু চাষ করেন। প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আলু তোলার সময় ওই এলাকার অন্য কৃষকরা আলু ক্ষেত দেখতে আসছে। আলুর ফলন বাম্পার হওয়ায় খুবই খুশি ওই কৃষক। এ সময় আলু চাষিরা জানান, গত বছরে প্রচুর আলু হয়েছিল। কিন্তু দাম কম ছিল। এ বছর আলুর সাইজ বড় হলেও ফলন কম, তবে দাম বেশি।   হাতীবান্ধা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রবি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩০০ হেক্টর জমি, চাষ হয়েছে ৬৪০০ হেক্টর জমিতে। গতবছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আলু চাষে অধিক মুনাফা অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন প্রান্তিক চাষিরা। আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।  আলু চাষি মোকছেদুল হক ভুট্টু বলেন, ৬০ শতক জমিতে বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু লাগিয়েছি। একটি করে আলুর ওজন ৪০০ গ্রামের উপরে। আমি আলু চাষ করে খুবই খুশি আগামীতে আরও বেশি জমিতে আলু চাষ করব। আলু দেখতে আসা রেজাউল করিম বলেন, জমিতে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়েছে। প্রতিটি আলুর সাইজ বড় বড় আমরা আলু দেখতে এসেছি। এত বড় বড় আলু এই এলাকায় আর কখনো দেখিনি। হাতীবান্ধার কৃষি উপ-পরিদর্শক লতিফুল বারি বলেন, এই জাতের আলু ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। ওই কৃষক এবছর প্রতি বিঘা (২৭ শতক) আলু চাষ করে ১০১ মণ আলু পেয়েছে। এই আলুতে কোনো স্প্রে লাগে না। রোগবালাইও কম, ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভব।  এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু বীজ গবেষণাগার থেকে প্রথম ওই জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হবেন। এই জাতের আলু প্রতি বিঘা ১১০ থেকে ১২০ মণ আলু পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে।
০১ মে, ২০২৪

‘প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকার বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে’
দেশের পচনশীল পণ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরবরাহ ঠিক রাখতে কোল্ড চেইন ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলেন, চলতি বছর প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকার বেশি দাম দিয়ে কিনে খেতে হবে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন ও সেভার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে এ বছর অন্তত ২০ শতাংশ আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর কোল্ড স্টোরেজে যেসব আলু সংরক্ষণ করা হয়েছিল সেগুলোর দাম ছিল ৮ থেকে ১২ টাকা কেজি। এবারে সেগুলোর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, কৃত্রিম সংকট ও বাজার অস্থিরতার কারণে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অন্তত ৩০ শতাংশ আলু আগেই মাঠ থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে করে বড় একটি সংকট তৈরি হয়েছে।  তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের সুদ ১৩-১৪ শতাংশ। উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে আমরা প্রজেক্ট করলে সেটা লাভজনক করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ কারণে সরকার আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বা বিদেশ থেকে ফান্ড নিয়ে যদি আমাদের ৩-৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয় তাহলে আমরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারব। তিনি আরও বলেন, দেশের কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ৪টি করে চেম্বার রয়েছে। যেগুলো দুর্বলভাবে ব্যবসা করছে, সেগুলোর একটি বা দুটি চেম্বারকে বিশেষভাবে পেঁয়াজ বা অন্য পেরিশেবল কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য দরকার বিনিয়োগ, যে সহায়তাটুকু সরকারের কাজ থেকে আমরা চাই।  বক্তারা বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেই সংকট হয়, অথচ আমাদের পেঁয়াজ নষ্ট হয়। এর জন্য স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ দরকার। তরমুজ, আম, টমেটে, গাজরের জন্য কোল্ড স্টোরেজ দরকার। কারণ হাজার হাজার টন এসব খাদ্য পণ্য উৎপাদন করলেও তা একটা সময় মাঠেই নষ্ট হয়। এখানে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্টোরেজ গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজগুলোতেও গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ হয়েছে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও, রংপুরের মতো জায়গাগুলোতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। যে কারণে এ বছর বেশি দাম দিয়ে আলু খেতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।
২৮ মার্চ, ২০২৪

কুড়ানো আলু দিয়েই সংসারের চাহিদা পূরণ
আলু কুড়িয়ে সংসারের চাহিদার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করেন নওগাঁর নিয়ামতপুরের হতদরিদ্র কিছু পরিবার। প্রতি বছর আলু কুড়িয়ে সেটি কয়েক মাসের জন্য সংরক্ষণ করেন তারা। কেউ কেউ সে আলু বিক্রি করে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কেনেন। সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বটতলী বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে কয়েক শত হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। চাষিরা তাদের জমি থেকে আলু উত্তোলন শেষে আলু কুড়ানোর জন্য জমি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। সেই জমিগুলোতে আলু খুঁজতে বেরিয়েছেন শত শত মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেন কেউ বাদ নেই। তবে এদের বেশি অংশই হচ্ছে আদিবাসী নারী-পুরুষ। কেউ জমির মাটি খুঁড়ে, কেউ বা আবার হালের পেছনে ঘুরে আলু কুড়িয়ে থাকেন। নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। আলু কুড়াতে আসা মোশারফ, প্রতীব সাহা, সঞ্জীব দাস বলেন- সংসারে সারা বছরই আলু লাগে। এগুলো আলু বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হয়। তাহলে নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। এসব আলু দিয়ে কয়েক মাস সংসার চলে। গিতা রানী বলেন, এখন বাড়িতে তেমন কোনো কাজকাম থাকে না। তাই আলু কুড়াতে এসেছি। কৃষকরা আলু নিয়ে যাওয়ার পর জমি ছেড়ে দেয়। আমরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে থাকা আলু বের করে আনি। আলু উত্তোলনকারী শ্রমিক মোহসীন আলী বলেন, এখন গ্রামে তেমন কোনো কাজকাম থাকে না। তাই আলু তুলতে এসেছি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। আলু তুলে দিয়ে ৩০০ টাকা পারিশ্রমিক পাই। এতো অল্প পারিশ্রমিক দিয়ে কোনো রকম টেনেটুনে সংসার চালাই। আলু চাষি ইব্রাহিম বলেন, তিন বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছি। গরু দিয়ে হালচাষ করে শ্রমিক দিয়ে আলু তুলেছি। এরপরও কিছু আলু মাটির নিচে লুকিয়ে থাকে। সে আলুগুলো গ্রামের মানুষ কোদাল দিয়ে কুড়িয়ে নেয়। এবার আলুর ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর দামও বেশ ভালোই আছে। নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, একটি পরিবারে সারা বছরেই আলুর চাহিদা থাকে। এখন আলু তোলার মৌসুম। জমি থেকে চাষিরা আলু উত্তোলন শেষে সবার জন্য জমি উন্মুক্ত করে দেয়। এতে করে গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা আলু কুড়িয়ে এনে সংসারের চাহিদা মেটায়। গত বছরের চেয়ে এবার বাজারে আলুর দামও বেশ ভালো থাকায় আলু চাষিরা লাভবান হচ্ছে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লার গোমতীর চরে আলু তোলার ধুম
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদীর চর ও আশপাশের পতিত জমিতে আলু তোলার ধুম পড়েছে। কিষান-কিষানিরা এখন আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলু বীজ বপণের শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও এ বছর আলুর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তারা। তবে ন্যায্য দাম পাবে কি না এ নিয়ে শঙ্কায় তারা। এদিকে ব্যাপারীরাও দাঁড়িপাল্লা ও বস্তা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন ক্ষেত থেকেই আলু কিনতে। দরদামে বনে গেলেই তারা কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন নতুন আলু।   উপজলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত মৌসুমে এই উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১১৫ হেক্টর জমিতে আলুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে এ বছর আলু চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আলু চাষ হলেও মালাপাড়া ইউনিয়নের গোমতী নদীর চর ও এর আশপাশের পতিত জমিতে সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ করা হয়েছে।  সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজলার মালাপাড়া ইউনিয়নের গোমতী নদীসংলগ্ন পতিত জমি ও চরে কিষান-কিষানিরা জমি থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলু তুলে জমির এক জায়গায় এসব আলু জমা করছেন। আলুর ভালো ফলনে খুশি তারা। এ সময় তাদের কথা বলার ফুরসত নেই যেন।  তারা জানান, এ বছর তারা বিভিন্ন জাতের উচ্চফলনশীল আলু চাষ করেছেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই আলু সংগ্রহ করতে পরিবারের সবাই মিলে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে বস্তা ও দাঁড়িপাল্লা নিয়ে জমি জমি ঘুরছেন পাইকাররাও। কথা হয় গোমতী নদীর পাড় সংলগ্ন মনোহরপুর এলাকার আলুচাষি মহসিন সরকারের সঙ্গে। তিনি কালবেলাকে বলেন, এ বছর আমি গোমতীর চর ও এর পাশের মোট ৪৩ শতক জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলুর আবাদ করেছি। এ বছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। জমি থেকে আলু তোলার কাজে শ্রমিক লাগিয়েছি, আমি নিজেও তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আলু তাড়াতাড়ি না তুললে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে শ্রম আরও বেড়ে যাবে। তবে আলুর ফলন ভালো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাব কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমাদের মতো কৃষকরা সবসময়ই ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হই। একই এলাকার আরেক আলুচাষি মুরাদ হোসেন কালবেলাকে বলেন, 'আলু বীজ বপনের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। তবু এ বছর আলুর ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এখন আমরা জমিতে উৎপাদিত আলু ঘরে তুলতে পরিবারের সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। এসব আলু এখনই বিক্রি করব না। পাইকারি বাজারে আলুর দাম আরও বাড়লে তারপর বিক্রি করব।' মালাপাড়া এলাকার আলু চাষি গিয়াসউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আলু সংগ্রহে এখন আমরা জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছি। এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। আলু চাষে যা ব্যয় হয়েছে যদি সঠিক দাম পাই তবে লাভবান হব। ক্ষেত থেকে যারা আলু বিক্রি করছেন তারা দাম কিছুটা ভালো পাচ্ছেন। আবার অনেকেই এখন বিক্রি না করে এসব আলু ঘরে তুলে দাম আরও বাড়লে তারপর বিক্রি করেন, এতে অবশ্য অনেক সময় লোকসানও গুনতে হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ হয়েছে। আলু গাছে এ বছর রোগবালাই কম হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। অনেক জমিতে কৃষক ইতিমধ্যে আলু তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। আশা করছি কৃষকরা আলুর আশানুরূপ মূল্য পাবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

ভারত থেকে আরও ৩০০ টন আলু আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাল, ডাল, গম, ডিম, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের পাশাপাশি আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় ১২টি ট্রাকে ৩০০ টন আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান। এর আগে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুটি চালানে ১৬ ট্রাকে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছিল। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালানটি খালাস নিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ভারত থেকে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রাতে ১১টি ট্রাক ভর্তি আলুর চালান বন্দরে প্রবেশ করেছে। আরও এক ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানিকারক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলে দ্রুত ছাড়করণের জন্য সহযোগিতা করা হবে। এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই চালানে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়। যা ইতোমধ্যে বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছে।
২০ মার্চ, ২০২৪

বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে দিনাজপুরের আলু
দেশের সীমানা পেরিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের আলু। বিদেশে আলু রপ্তানি হওয়ায় স্থানীয় চাষিদের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এ বছর দিনাজপুরের বীরগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে আলু চাষ হয়েছে। ভালো ফলন এবং আশানুরূপ দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় আলুর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে এ উপজেলায় । উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আলু চাষি ওমর ফারুক বলেন, এ বছর ১১ বিঘা সানসাইন ও কুমারিকা জাতের আলু চাষ করেছি। আলু চাষে এ বছর আমার প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং আলু বিক্রি করেছি ১১ লাখ টাকা।  তিনি আরও বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় গতবারের চেয়ে আলুতে স্প্রে, কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়েছে। খরচ একটু বেশি হয়েছে এবার। তারপরও আমাদের এলাকার আলু বিদেশে যাওয়ায় আলুর ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দামে বিক্রি করতে পেরেছি। এতে আমার পর্যাপ্ত লাভ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নয় হাজার ৫৬২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। গত বছর ছিল নয় হাজার ৫৬০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। দামও ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন আলু চাষিরা। তিনি আরও বলেন, এ বছর উপজেলা থেকে আলু সংগৃহ করে আলুবাড়ী নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে আলু কিনছে প্রতিষ্ঠানটি।  কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ২৪৩  টন আলু রপ্তানি হয়েছে। আলু রপ্তানি করায় কৃষকরা বাড়তি দাম পাচ্ছে। এ ছাড়া চাষিদের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদানে কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
২০ মার্চ, ২০২৪

২ দিনে আমদানি করা হয়েছে ৪০০ টন আলু
বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে ২ দিনে ৪০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৬ ট্রাকে ৪০০ টন আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বেনাপোল আমদানিকৃত ভারতীয় আলু বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (২ ডিসেম্বর) ৩টি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়। এরপর আর কোনো আলু আমদানি হয়নি। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি রোববার খালাস হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, বন্দরে ভারত থেকে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক কাস্টমবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল জানান, রমজানকে কেন্দ্র করে ভারত থেকে আলুর যে চালানগুলো আসছে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত ছাড় করণ করা হচ্ছে।  বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ চালানে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি ইতিমধ্যে খালাস করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী চালানগুলো দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

রেসিপি / ইফতারে আলু চিজ রোল
উপকরণ ৫-৬টি সিদ্ধ আলু, ৬টা স্লাইস চিজ, লবণ, ১ চা চামচ অরিগ্যানো, আধা চা চামচ চিলি ফ্লেক্স, ১/৪ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া, ধনেপাতা কুচি, পরিমাণমতো কর্নফ্লাওয়ার, ৩ চা চামচ ময়দা, তেল। পদ্ধতি সিদ্ধ আলুর খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিন। লবণ, অরিগ্যানো, গোলমরিচ গুঁড়া, চিলি ফ্লেক্স, ধনেপাতা কুচি, ২ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে আলু ভালো করে মাখান। চিজ স্লাইস রোল পাকিয়ে রাখুন। এবার আলুর মিশ্রণ থেকে কিছুটা নিয়ে প্রথমে গোল করুন। হাতের তালুর সাহায্যে চ্যাপ্টা করে নিন। আলুর মধ্যে একটা চিজ স্লাইস রেখে লম্বালম্বিভাবে রোল পাকিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। একটি পাত্রে ময়দা, ৩ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার, সামান্য লবণ ভালো করে মেশান। সামান্য পানি দিয়ে পাতলা ব্যাটার বানান। আলু-চিজের রোল প্রথমে কর্নফ্লাওয়ার ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। তারপর ব্রেড ক্রাম্বস দিয়ে কোট করে গরম তেলে ছেড়ে দিন। লাল করে ভেজে নিন। পুদিনা ও টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
১৬ মার্চ, ২০২৪
X