কবি নজরুল কলেজের ছাত্রাবাসে পলেস্তারা খসে আহত শিক্ষার্থী
কবি নজরুল কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাস শহীদ সামসুল আলম হল এর ডি ব্লকের একটি রুমে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রুমেই ঘুমাচ্ছিলেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফিদবি।  তিনি বলেন, হঠাৎ করেই আমি অনুভব করি আমার গায়ে কিছু পড়ছে। এর মধ্যেই হুট করে বিকট শব্দে ছাদ থেকে বেশ বড় মাপের পলেস্তারা খসে পড়ে। আমার গায়েও কিছু পড়েছে।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী জানান, হলটি এখন কলেজের নিয়ন্ত্রণে নেই। মাঝে মধ্যে কলেজ ছাত্রলীগ ও স্থানীয় নেতারা শুটিংয়ের জন্য হলটি ভাড়া দিয়ে থাকে। সাধারণত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রাবাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণ বা রক্ষণাবেক্ষণ হওয়ার কথা তা হয় না। এই শহীদ শামসুল আলম হলের ব্যাপারে এখানে যে যার ইচ্ছেমতো থাকে, মাদক গ্রহণ করে এই ভবনেই।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাগজে কলমে হলটির নিয়ন্ত্রণকারী কলেজ প্রশাসন জানেও না এখানে কারা কীভাবে থাকে, কে কী করে।  এদিকে হলে নেই কোনো সংস্কার, ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। সব রুমে একই অবস্থা। যে কোনো সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত হল সংস্কার ও কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে হলে বৈধ সিট চালুর দাবি জানিয়েছেন হলের আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা।  এ বিষয়ে একাধিকবার কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ক্লাস চলাকালে খুলে পড়ল সিলিং ফ্যান, আহত শিক্ষার্থী
জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি শহরের বগাবাইদ এলাকার ফেরদৌসের মেয়ে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের উপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায়নি আহত শিক্ষার্থীর পরিবারও। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪
X