ইন্টারনেট খরচ বাঁচবে যেভাবে
দিন যত যাচ্ছে ইন্টারনেটের কাজ তত বাড়ছে। এতে যারা স্মার্টফোনে ডাটা ব্যবহার করে তাদের খরচ বাড়ছে অতিমাত্রায়। অনেকের ক্ষেত্রে যা বাড়তি চাপের কারণ।  তবে এখানেও রয়েছে সমাধান পরিবর্তন করা প্রয়োজন কিছু সেটিংসের। এতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডাটা কম ব্যবহার হবে। বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এ ফিচারের নাম ‘ডাটা সেভার মোড’। যা ডাটা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে শেখায়। স্মার্টফোন ওয়াইফাই-এর সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপগুলোর ডাটা ব্যবহার সীমিত করে। মূলত ডাটা সেভার চালু থাকলে, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করতে সক্ষম হবে না। এ সময়ে অ্যাপগুলো আপডেট হবে না। এতে করে পুশ নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবে না। হবে না ডাটার ব্যবহার। এ ছাড়া ফোনে পর্যাপ্ত ব্যাটারি ব্যাকআপেও দারুণ কাজ করে। কারণ- অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে কম আপডেট হওয়ায়, সেগুলোও কম শক্তি ব্যবহার করে। এই মোড চালু করলে যে অ্যাপটি খুব সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটিও কম ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। যেমন- কিছু অ্যাপের ছবি ততক্ষণ পর্যন্ত লোড হবে না, যদি না তাদের ওপর ক্লিক করা হয়।
১১ মে, ২০২৪

ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগ নেতা থাকেন ঢাবির হলে, করেন ইন্টারনেট ব্যবসাও
ছাত্র না হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে দীর্ঘদিন ধরে থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সিফাতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে শুধু হলে থাকাই নয়, বরং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক এ শিক্ষার্থী হলটিতে করেন ইন্টারনেট ব্যবসাও। জানা গেছে, সাব্বির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের আশ্রয়ে হলটিতে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাব্বির সূর্যসেন হলের ৩৪৩ নম্বর কক্ষে থাকেন। হলটির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুদিন আগে ‘গ্রিন অনলাইন জোন’ নামক এক কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেন তিনি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। পরে জানা যায়, কোনো কোম্পানির থেকে নয়, বরং তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে এ কানেকশন নিয়েছেন তারা। তাদের দুইজনের সহায়তায়ই তৃতীয় পক্ষের রবিন ও নাভিদ সাচ্চু নামে দুই ব্যক্তি বিলের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গত মাসের বিল পরিশোধ না করায় প্রায় এক মাস ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে হলটিতে। এ প্রসঙ্গে ঢাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, সাব্বির ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের শেল্টারে দীর্ঘদিন ধরে দোর্দণ্ডপ্রতাপে থাকছেন সূর্যসেন হলে। শুধু তাই নয়, হলের ইন্টারনেটের ঠিকাদারিও তার হাতে। এ পর্যন্ত সবকিছু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু গত একমাস ধরে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়েও হলে ইন্টারনেট কানেকশন দিচ্ছেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চলমান। এদিকে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। হল প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরাও আবার অসহায়। তাদের আছে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়। ছাত্রলীগের হাত থেকে হলকে উদ্ধার করবে কে? জানতে চাইলে সাব্বির আহমেদ সিফাত অভিযোগ অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, আমি সূর্যসেন হলে থাকিনা। ঢাকায় আমার বাসা আছে। আব্বু-আম্মু আছেন, আমি তাদের সঙ্গে থাকি। আর আমি ইন্টারনেটের ব্যবসাও করিনা। সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নকে বারবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
০৩ মে, ২০২৪

সেটিংস পরিবর্তনে বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ
মানুষের প্রাত্যহিক কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে স্মার্টফোনে ডাটা ব্যবহারকারীদের বাড়ছে খরচ। অনেকের ক্ষেত্রে যা বাড়তি চাপের কারণ। কাজ শেষ হওয়ার আগেই ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়াতে পরিবর্তন করা প্রয়োজন কিছু সেটিংস। এতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডাটা কম ব্যবহার হবে। বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এ ফিচারের নাম ‘ডাটা সেভার মোড’। যা ডাটা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে শেখায়। স্মার্টফোন ওয়াইফাই-এর সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপগুলোর ডাটা ব্যবহার সীমিত করে। মূলত ডাটা সেভার চালু থাকলে, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করতে সক্ষম হবে না। এ সময়ে অ্যাপগুলো আপডেট হবে না। এতে করে পুশ নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবে না। হবে না ডাটার ব্যবহার। এ ছাড়া ফোনে পর্যাপ্ত ব্যাটারি ব্যাকআপেও দারুণ কাজ করে। কারণ- অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে কম আপডেট হওয়ায়, সেগুলোও কম শক্তি ব্যবহার করে।  এই মোড চালু করলে যে অ্যাপটি খুব সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটিও কম ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। যেমন- কিছু অ্যাপের ছবি ততক্ষণ পর্যন্ত লোড হবে না, যদি না তাদের ওপর ক্লিক করা হয়। ডেটা সেভার মোড চালু করবেন যেভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস ওপেন করুন। এরপর নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটে ক্লিক করুন। তারপরে ডেটা সেভার অপশনে যেতে হবে। এরপর ইউজ ডেটা সেভারে অপশনে ক্লিক করে এটি চালু করতে হবে। কেউ যদি এটি বন্ধ করতে চায়, তাহলে বাঁ দিকে থাকা ডেটা সেভার অপশন ব্যবহার করতে হবে।
০২ মে, ২০২৪

ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি-ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে
বর্তমানে সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারে সহজ পদ্ধতি এবং উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সবার কাছেই অ্যাপটি জনপ্রিয়। ব্যবহারকারীদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি-ফাইল পাঠানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে অ্যাপটিতে। মেটা জানিয়েছে, নতুন এ ফিচারের মাধ্যমে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও ছবি ও ভিডিও পাঠানো যাবে। যেখানে অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু- অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে। তাই নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা থাকবে না। বলা হয়েছে, যে সব ডিভাইসে ব্লুটুথের মাধ্যমে লোকাল ফাইল-শেয়ার করা যায়, সেসব ডিভাইসে একইভাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে চলে যাবে ফাইল। এই ফিচার সাপোর্ট করবে এমন নিকটবর্তী ডিভাইস খুঁজে বের করার পাশাপাশি আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে ছবি গ্যালারি ও সিস্টেম ফাইল ব্যবহারের অনুমতিও দেবে। যদিও কবে থেকে এই ফিচারের সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। বর্তমানে সুবিধাটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে শিগগিরই এ সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইন্টারনেট নিয়ে দুঃসংবাদ দিল বিএসসিপিএলসি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। যার কারণে সারা দেশে গত পাঁচদিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে সহসাই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরছে না। ধীরগতির এ পরিস্থিতি চলতে পারে আরও এক মাস। বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত শেষ হতে অন্তত ৫ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষ নাগাদ সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে। জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিক থেকে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ। দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ ঢুকেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, ইন্টারনেট স্বাভাবিক হবে কবে
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে, যা ঠিক করতে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ দিয়ে ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যান্ডউইথ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে দুই-তিন দিন লাগবে।  বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির এমডি মির্জা কামাল আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, সমস্যা মোকাবিলায় সিমিউই-৪ সাবমেরিন কেবল দিয়ে বিকল্পভাবে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।  বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।  গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।  এর আগে সিমিউই-৫ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দেশে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ধীরগতি ছিল।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কাজ চলে। ফলে এই সময়ে এই ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ ছিল।  বুধবার সিমিউই-৫ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এই ধীরগতি গুরুতর প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তরিকুল ইসলাম।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

বিচিত্র / ৩ সপ্তাহে ফোনে ইন্টারনেট বিল দেড় কোটি!
মোবাইলের ইন্টারনেট বিল সর্বোচ্চ কত হতে পারে? ১ থেকে ৫ হাজার টাকা। হাজার বা লাখ টাকা নয়, ৩ সপ্তাহের মোবাইল বিলের পরিমাণ শুনলে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য। মোট বিল এসেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ দশমিক ৭৪ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় দেড় কোটির বেশি)! যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক দম্পত্তির এমন নেট বিল আসায় বিষয়টি হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার রেনে রেমন্ড ও তার স্ত্রী লিন্ডে তিন সপ্তাহের জন্য সুইজারল্যান্ডে ছুটি কাটাতে যান। তারা মূলত টি-মোবাইল নামে একটি সিম কোম্পানির গ্রাহক। ভ্রমণের আগে তারা সিম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। দেশে ফিরে দেখেন তারা ৯ দশমিক ৫ গিগাবাইট ডাটা ব্যবহার করেছেন। এতে প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার ডলারের বেশি চার্জ করা হয়েছে। যাতে মোট বিল এসেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ দশমিক ৭৪ মার্কিন ডলার। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে টি-মোবাইলকে জানালেও তারা অভিযোগ তদন্ত করেনি। পরে রেনে আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা হয়। পরে পুরো অর্থ রিফান্ড (ফেরত) করতে সম্মত হয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র: এনডিটিভি
২০ এপ্রিল, ২০২৪

বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালু করল রাকাব
ডেটা ছাড়াই রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সেবা প্রদান এবং রাকাব মোবাইল অ্যাপে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক মিলনায়তনে প্রধান অতিথি থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাকাবের চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (এটুআই প্রোগ্রাম) মোল্লা মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রূপ রতন পাইন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাকাব এর অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। আশা করেন যে, বিশেষায়িত ব্যাংকটি তার মানসম্পন্ন, সম্ভাবনাময় ও কল্যাণমুখী সেবা প্রদানের মাধ্যমে অতি শিগগিরই সফলতা অর্জন করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার‌ম্যান রইছউল আলম মন্ডল বলেন, এটুআই প্রোগ্রামের কেন্দ্রীয় ই-পেমেন্ট সিস্টেম ekpay এর মাধ্যমে রাকাবের সেবা প্রদান এবং রাকাব মোবাইল অ্যাপে ফ্রি- ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রমের সংযোজনের মধ্য দিয়ে অনগ্রসর এলাকায় আধুনিক ব্যাংকিং সেবাদানে রাকাব আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এর ফলে গ্রাহকগণ নিরবচ্ছিন্ন ই-ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, কৃষি ও গ্রমীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পল্লী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রাকাব বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কৃষকের দোরগোড়ায় অনলাইন ব্যাংকিং ও স্মার্ট মোবাইল অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানে রাকাব অঙ্গীকারবদ্ধ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণত রাকাব মোবাইল অ্যাপসহ সকল অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ বা ডেটা প্যাক না থাকলে অ্যাপ ব্যবহার করা যায় না। তবে রাকাবের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ডেটা ছাড়াই ব্যাংকটি শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করল। এখন থেকে রাকাবের গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা ডেটা ছাড়াই রাকাব মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে। এই সুবিধা পেতে গ্রাহককে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন চালু রাখতে হবে। ডেটা ছাড়া ফ্রি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রাকাব মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও রাকাব লেন্স এর সকল সেবা পাওয়া যাবে। এই ফ্রি ইন্টারনেট সেবার মধ্য দিয়ে রাকাব ই-ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, রাকাবের ৩৮৩টি শাখার আওতায় প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহককে সুষ্ঠুভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্যাংকটি দীর্ঘদিনের লোকসান কাটিয়ে গত জুন ২০২৩ এ ৭২.৬৭ কোটি এবং অর্থবার্ষিক সমাপনী ডিসেম্বর ২০২৩ এ ৬৯.২৪ কোটি টাকা শাখা পর্যায়ে পরিচালনা মুনাফা অর্জন করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিতের নির্দেশ পলকের
সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অত্যন্ত অপরিহার্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো হচ্ছে সাবমেরিন কেবল। স্মার্ট প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ কোম্পানিকে সময়োপযোগী দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা প্রদান করেন পলক। তিনি বলেন, দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো, তখন ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৭ লাখ। বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে ৫ হাজার। দেশের জন্য তৃতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় আরও একটি ঐতিহাসিক অর্জন। স্মার্ট জীবনধারা নিশ্চিতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ সময় বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামালসহ স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সাবপোস্ট অফিস ভবনের উন্নয়ন কাজও ঘুরে দেখেন জুনাইদ পলক।
২৪ মার্চ, ২০২৪
X