কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বড় দায়রা শরীফের উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে উত্তরাধীকার দাবি করা ফারজানা হক লিমা। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে উত্তরাধীকার দাবি করা ফারজানা হক লিমা। ছবি : কালবেলা

রাজধানীর আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের উত্তরাধিকার দাবিদার ফারজানা হক লিমা নামে এক নারীকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে সম্পত্তির অধিকার ফিরে পেতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে ফারজানা হক এই অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।

ওই সময়ে তার দুই সন্তান সৈয়দ শাহ ফারহাদ উল্লাহ ইয়াসিন (১৫) ও সৈয়দা তানজিয়া বেগম ত্রশী (২১) উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে ফারজানা হক বলেন, আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের মোতয়াল্লী তার শ্বশুর মৃত সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহ’র চার ছেলে ও দুই মেয়ে। তার মধ্যে ফারজানার স্বামী মৃত সৈয়দ শাহ বারাতুল্লাহ রজতুলা ওরফে তানভির। তানভীরের চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাইয়ের কোনো সন্তান নেই। শুধু তানভীর-ফারজানা দম্পতির এক পুত্র সন্তান শাহ ফারহাদ রয়েছে। যা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ওই নারীর ভাসুর ও ননদরা। এজন্য সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তারা।

ফারজানা বলেন, আমার স্বামী তানভীর মারা যাওয়ার পর দুই এতিম সন্তানসহ আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে ভাসুর ও ননদেরা। আমি বিচারের জন্য মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করে। পরে ডিএমপি কমিশনার লালবাগ বিভাগের তৎকালীন ডিসিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিসি ওই এলাকার সহকারী কমিশনারকে দিয়ে তদন্ত করে আমার অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর বাড়িসহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন।

গত ১০ মাস সেভাবেই চলছিলো উল্লেখ করে ওই নারী বলেন, কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তারা বদলী হয়ে গেলে ফের আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল ভাসুর-ননদ ও তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া করেন। ওই সময়ে লালবাগ থানার এসআই রাজীব উপস্থিত ছিলেন। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও তারা এতিম দুই সন্তানসহ আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে যে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে সংসার চালাতাম, পুলিশের সহযোগিতায় সেই ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে আসামীরা। এখন স্কুল-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুই সন্তান নিয়ে আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

ফারজানা হক তার প্রাপ্য দাবি করে বলেন, আসামীরা আমাকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরব যাচ্ছেন না, যাবে প্রতিনিধি দল

রোমে ১৬ বাংলাদেশির অমানবিক বসবাস, মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

এক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

আগামী নির্বাচনে আ.লীগ-জাপার অংশগ্রহণ নিয়ে আখতারের বার্তা

গরুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ গেল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের

তারেক রহমান কবে ফিরছেন, জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ

সাফ অ্যাথলেটিক্সেও হতাশা, হিটই শেষ করতে পারলেন না শিরিন

ইয়ামালের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ রিয়াল মাদ্রিদ

ওমরাহ যাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম করল সৌদি

বিএনপির ২০০ প্রার্থী চলতি মাসে পাচ্ছেন ‘সবুজ সংকেত’

১০

পাকিস্তানে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

১১

কালশীতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১২

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতার হামলা

১৩

বিশ্ববাজারে আবার চাঙা হচ্ছে স্বর্ণের দাম

১৪

অতীতের মতো আবারও বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্বে লিপ্ত : মঞ্জু

১৫

কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ঘোষণা স্থগিত

১৬

পাশের দোকানে ক্রেতা বেশি, মালিককে মারধর অন্য ব্যবসায়ীর

১৭

গোয়ালঘরে আগুন, কৃষক অগ্নিদগ্ধ

১৮

মিষ্টিকুমড়া চাষে কৃষকের মুখে মিষ্টি হাসি

১৯

মিরপুরের কালশীতে কমিউনিটি সেন্টারে ভয়াবহ আগুন

২০
X