স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ পুনর্বহালের দাবি
স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। প্রয়োজনে গণশুনানি করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ফেলো অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, ভোক্তা সংগঠক ও বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রমুখ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বর্তমানে তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অনেক আগেই বিটিআরসিকে সতর্ক করেছিল।
১০ নভেম্বর, ২০২৩

স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ পুনর্বহালের দাবি 
স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি করহার কমিয়ে ইন্টারনেটের মূল্য সহনীয় করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। প্রয়োজনে গণশুনানি করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।  বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ‘ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি ও প্যাকেজ জটিলতা নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।  সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ফেলো প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, ভোক্তা সংগঠক ও বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সাহেদা বেগম, ডা. আমিনুল ইসলাম, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, সংগঠনে দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বর্তমানে তৈরি হয়েছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অনেক আগেই সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে সতর্ক করেছিল। তখন সংগঠনটির বক্তব্য আমলে নিলে ইন্টারনেটের মূল্য নিয়ে আজকের এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো বলে দাবি করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন শুরু থেকেই ৩ দিনের মতো স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের বিরোধী ছিল। কারণ, নতুন নির্দেশনা কার্যকর করার আগে প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক ৩ দিন বা তার কম মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করতেন। সেই গ্রাহকরা এখন বাধ্য হয়ে ৭ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করছেন। তিন দিনের মতো স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ বাতিল হলে যে ইন্টানেটের মূল্য বেড়ে যাবে সে বিষয়টি মোবাইল অপারেটররাও বিভিন্ন সময়ে বিটিআরসিকে এবং গণমাধ্যমে জানিয়ে এসেছে। এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয় সেগুলো হলো- ১. ৩ দিনসহ স্বল্প মেয়াদের সব প্যাকেজ পুনর্বহাল করতে হবে ২. ইন্টারনেটের মূল্য আগের চেয়েও কমাতে হবে ৩. ইন্টারনেটের মূল্যের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা কমিয়ে সহনীয় করতে হবে ৪. গ্রাহকের পছন্দের প্যাকেজের ওপর সীমা তুলে দেওয়া ৫. মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে গত এক মাসে গ্রাহকদের যে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তা সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা ৬. প্যাকেজের সংখ্যা নিয়ে গ্রাহক বিভ্রান্তি বন্ধ করা।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে আর থাকছে না ৩ তিন এবং ১৫ দিনের মতো স্বল্পমেয়াদি মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ। এরই মধ্যে খুদেবার্তার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিষয়টি অবগত করছে মোবাইল টেলিকম নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো। এমন সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ ও ১৫ দিনের মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় বিটিআরসি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মোবাইল টেলিকম অপারেটরগুলো এমন সিদ্ধান্তে তাদের অস্বস্তি গোপন রাখেনি। বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই মোবাইল অপারেটরগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন এর আপত্তি জানিয়ে আসছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস, গ্রাহকদের ব্যয় বৃদ্ধি এবং সরকারের রাজস্বেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত টেলিকম বিশেষজ্ঞদের। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এমন সিদ্ধান্তে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো উপকারিতা দেখছে না বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত জনবিরোধী বলে মনে করেন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান। কালবেলাকে তিনি বলেন, ইন্টারনেটকে এখন আর শুধু প্রযুক্তিপণ্য হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, এটা এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। যখন একটি পণ্য ভোক্তার উপযোগিতা এবং বিক্রেতার লাভ দুটোকেই ধারণ করে, তখনই সেটা অত্যন্ত সফল পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। নইলে সেটা জনবিরোধী। নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত তাই গণবিরোধী এবং অজনপ্রিয়। অন্যদিকে এমন সিদ্ধান্তে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো উপকারিতা নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাধারণত সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো সিদ্ধান্ত নেয় অংশীজনের স্বার্থে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে মোবাইল অপারেটরগুলোও খুশি নয়, আবার আমরাও গ্রাহকদের কোনো উপকারিতা দেখছি না। তাহলে এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হচ্ছে? তৃণমূল পর্যায়ের একজন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়তো ৫০ টাকার নিচে ৩ দিনের জন্য ইন্টারনেটের প্যাকেজ নিচ্ছে। কমপক্ষে ৭ দিনের ইন্টারনেটের প্যাকেজ নিতে গেলে সর্বনিম্ন খরচ পড়বে ১৪৫ টাকা। এতে করে তো ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বেড়ে গেল। অ্যামটবের মহাসচিব লে কর্নেল (অব.) মোহম্মদ জুলফিকার বলেন, তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়ায় এখন মোবাইল ডাটা গ্রাহকদের অতিরিক্ত দামে সাত দিনের প্যাকেজ ব্যবহার করতে হবে। এখানে প্রশ্ন হলো, যেসব গ্রাহক আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তিন দিনের প্যাকেজ ব্যবহার করত এখন তাদের সাত দিনের প্যাকেজ ব্যবহার করতে হবে। এ কারণে অনেক ইন্টারনেট গ্রাহক ঝরে পরতে পারেন। এ ছাড়া প্যাকেজের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৪০ করা হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের স্বাধীনতা, পছন্দ ও সক্ষমতা সংকুচিত হতে পারে। তবে ৩ দিনের প্যাকেজ প্রতারণার জন্য করা হয়েছে দাবি করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হবে না জানিয়ে মন্ত্রী কালবেলাকে বলেন, আমি এসব মতামতের সঙ্গে একমত নই এবং সম্পূর্ণ বিরোধী। ৩ দিনের প্যাকেজটি হচ্ছে প্রতারণা করার জন্য এবং সেই প্রতারণা বন্ধ করার জন্য ৩ দিনের প্যাকেজ আমরা বন্ধ করেছি এবং করব। এটা পরিবর্তন হবে না। আর ব্যবহারকারীদের স্বার্থের কথা তারা (অপারেটরগুলো) কীভাবে বলে? ব্যবহারকারীরা তো চায় আনলিমিটেড মেয়াদ; ব্যবহারকারীরা তো ৩ দিন, ১০ দিন বা ১৫ দিনও চায় না। গ্রাহক চায় তারা অপারেটরদের থেকে ডাটা কিনেছে, শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করবে। কিন্তু ৩ দিনের বদলে ৭ দিনের প্যাকেজে ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, কারণ তারা (অপারেটর) গলা কাটবে। গলা কাটাকে আমরা সমর্থন করব না। ১০ গিগাবাইট (জিবি) ডাটা আমি ৩ দিনে দিলাম। তারপর দেখা গেল যে, ব্যবহারকারী ৩ দিনে ২ জিবি ব্যবহার করছে। বাকি ৮ জিবি ডাটা তারা মেরে দিল প্রতারণা করে। এই সুযোগ করার জন্যই তারা ৩ দিনের প্যাকেজ চায়।
১২ অক্টোবর, ২০২৩

ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলে বিটিআরসির দেওয়া বক্তব্য সাংঘর্ষিক
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তিনদিনের বা স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের ঘোষণা এবং জরিপ প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।  আজ রোববার বিটিআরসির তিনদিনের প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়া জানায় অ্যাসোসিয়েশন।  এতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ গ্রাহকের তথ্য এবং  তাদের বক্তব্য অনুযায়ী। ১৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৬০০ গ্রাহকের চাহিদা তিনদিনের ইন্টারনেট না থাকা। কিন্তু এই সকল গ্রাহকের আচরণ কী, তারা কী ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নাই। আবার ওনারাই বলছেন ৬৯ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হচ্ছে তিনদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারকারী। আবার তারা বলছে তিনদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করার ফলে গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছেন অপারেটরদের অনৈতিক কার্যক্রমের কারণে।  মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন অপারেটররা যদি অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করল না কেন? আবার অনৈতিক অর্থের লভ্যাংশ বিটিআরসি গ্রহণ করল কেন? সর্বশেষ ক্ষুদ্র প্যাকেজের মূল্য কী হবে তার ঘোষণা নয় কেন? প্যাকেজের গায়ে মেয়াদ থাকবে কেন? বা মেয়াদ তুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো না কেন? বিটিআরসির তথ্য উপস্থাপন এবং বক্তব্য ক্ষুদ্র প্যাকেজ তুলে দেওয়ার সঙ্গে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক। আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। 
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X