তৃতীয় দফায় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকের পাওনা আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।  টাকা ফেরত দেওয়া গ্রাহকদের একটি তালিকা পোস্ট করে রাসেল লিখেছেন, আমরা আমাদের ক্যাম্পেইন মার্জিন (আগের) থেকে বিভিন্ন লংকাবাংলার কার্ড হোল্ডারদের ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। নিম্নলিখিত গ্রাহকদের লংকাবাংলা দ্বারা নির্বাচিত করা হয়েছে। যদি তালিকায় আপনার নাম থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার ব্যাংক বা কার্ড চেক করুন। এর আগে গত ৫ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় ইভ্যালি ১০০ জন গ্রাহককে তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার মহাপরিচাক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে, ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।  তারও আগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দিয়েছিল ইভ্যালি।  উল্লেখ্য, নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করে ইভ্যালি। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের।  তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
২৮ মার্চ, ২০২৪

আরও ১০০ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় পাওনা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির আর ১০০ জন গ্রাহক।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে গ্রাহকদের টাকা হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে, ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পাওনা টাকা ফেরত প্রদান অনুষ্ঠানে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. রাসেল আসেননি বলেও জানান ভোক্তার ডিজি।   তিনি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।   অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের হাতে এসব পাওনা টাকার চেক তুলে দেন। এর আগে গত মাসে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ১৫০ গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছিলেন অধিদপ্তরের নিষ্পত্তির মাধ্যমে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

রাতেই মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে আসছে ইভ্যালি
প্রথম দুটি ক্যাম্পেইন সফলের পর এবার নতুন করে মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে আসছে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে নিয়ে আসছে মেগা ক্যাম্পেইন ‘বিগ ব্যাং-৩’। শুক্রবার (১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইভ্যালি। এতে বলা হয়, ‘বিগ ব্যাং-৩’ ক্যাম্পেইনে সময়ের সর্বোচ্চ সেরা অফারে তানজিন শপে ৯৬ শতাংশ ছাড়ে থাকছে কটন পাঞ্জাবি। সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারি নিয়মের বিগ ব্যাং-৩ ক্যাম্পেইন চলবে। রাত ১০টায় শুরু হবে ক্যাম্পেইন অফার। বিগ ব্যাং-৩ ক্যাম্পেইনে যে কোনো অর্ডারে ফ্রিতে থাকছে ইউনিক টাইলস এবং ১০০ গ্রাম বাথরুম ক্লিনিং পাউডার। ৪টি অর্ডার করলে পাওয়া যাবে ১৪০ টাকা মূল্যের ৫০০ গ্রাম মূল্যের টাইমস প্রিমিয়াম ডিটারজেন্ট পাউডার। এ ছাড়াও ৭টি অর্ডার করে পাওয়া যাবে ৩০০ টাকা মূল্যের ২০০ গ্রাম রোজ গার্ডেন পাম। পণ্য রিটার্ন করতে চাইলে ৭ দিনের মধ্যে ইভ্যালি অ্যাপ থেকে কুরিয়ার চার্জ ছাড়াই পণ্যটি ফেরত পাওয়া যাবে। 
০১ মার্চ, ২০২৪

১৫০ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকের পাওনা টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে। নতুন করে ১৫০ জন গ্রাহককে মোট ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। মোহাম্মদ রাসেল ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম শফিকুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নতুন করে ইভ্যালি শুরু করার পর আমাদের যে টাকা লাভ হয়েছে সে টাকা থেকেই পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ শুরু করেছি। এর মধ্যে আমরা প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি পণ্য ডেলিভারি সম্পন্ন করেছি। ইভ্যালি থেকে অনেকেই টাকা পাবে তা স্বীকার করে রাসেল বলেন, আমরা এখন যে পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করছি এতে করে খুব দ্রুতই সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে। যারা অভিযোগ করেছে শুধু তাদের নয়, যারা টাকা পাবেন এমন সবার টাকাই পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন বলেন, ইভ্যালির ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারে প্রায় ৭ হাজারের মতো অভিযোগ পড়েছে। এর মধ্যে আজ (রোববার) ১৫০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব গ্রাহকদের ১৫ লাখ টাকার ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর আগে কালবেলাকে রাসেল বলেন, ‘গ্রাহককে এখন আর বিশ্বাসের ওপর টাকা দিতে হচ্ছে না। পণ্য হাতে পেয়ে টাকা দেবে। এ জন্য ইভ্যালিতে গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আমরা খুব সামান্য লাভ করছি যেন কোম্পানির খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর যেসব পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেটা বিক্রেতা নিজের পক্ষ থেকে দিচ্ছেন। এ জন্য ইভ্যালির আর লোকসানের সুযোগ নেই।’ এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর গত ২৬ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করে ইভ্যালি। এর মধ্যে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় রয়েছে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, স্মার্ট টেলিভিশন, ব্লেন্ডার, বেল্ট, জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও কম্পিউটার এক্সেসোরিজসহ বিভিন্ন পণ্যে।  এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি।  উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আবারও মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে আসছে ইভ্যালি
প্রথম ক্যাম্পেইনটি সফলের পর এবার নতুন করে মেগা ক্যাম্পেইন নিয়ে আসছে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নিয়ে আসছে মেগা ক্যাম্পেইন ‘বিগ ব্যাং-২’।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইভ্যালি। এতে বলা হয়, ‘বিগ ব্যাং-২’ ক্যাম্পেইনে স্যামসাং, ওয়ালটন, ইউসিসি, যমুনা, মিনিস্টার, ইউনিলিভার, টিকে গ্রুপ, সেনা, তীর, নোকিয়ার মতো দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাওয়া যাবে। ক্যাম্পেইনটিতে ২৬ টাকায় বিভিন্ন সেলার তাদের সীমিত সংখ্যক জামা, জুতা, গ্যাজেট গ্রাহকদের জন্য অফার করবে। ইভ্যালি বলছে, বাজারমূল্য থেকে কিছুটা ডিসকাউন্ট দিবে কোম্পানিগুলো। অফারে মাত্র ৫০০ টাকায় ফ্লোরা লিমিটেডের একটি এইচপি কি-বোর্ড-মাউস কম্বো পাওয়া যাবে। ওয়ান+ এন২০ এসই স্মার্টফোন পাওয়া যাবে মাত্র ১৪৯৯৯ টাকায়। ম্যারিকোর সব পণ্যে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে। ফুড এগ্রো নেটওয়ার্ক শুধু ঢাকার গ্রাহকদের জন্য ৫৫০ টাকা কেজিতে গলদা চিংড়ি অফার করবে। আরও বলা হয়েছে, ইভ্যালির প্রতিটি পণ্যে তাদের মুনাফা যোগ করে পণ্য মূল্য নির্ধারণ করেছে। ইভ্যালিতে যেসব অর্ডার আসবে সেগুলো মার্চেন্ট সরাসরি ই-কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবেন। গ্রাহক পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করবেন। এ বিষয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে মেগা অফার নিয়ে হাজির হচ্ছি আমরা। সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারি মেথডে বিক্রেতারা তাদের পণ্য নিয়ে ইভ্যালির এই ক্যাম্পেইনে যোগ দিয়েছেন।  গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জামিনে বের হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল। এরপর গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনসহ নানা অফার ও পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

পাওনাদারদের সুখবর দিল ইভ্যালি
পুরাতন গ্রাহক ও মার্চেন্টদের লেনদেন কিংবা অর্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দুমাসের মধ্যে ইভ্যালির নতুন অ্যাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ইভ্যালির কাছে সাধারণ গ্রাহক এবং মার্চেন্টরা সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকা পাবেন। এর মধ্যে সাধারণ গ্রাহকরা ৩৫০ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টরা পাবেন ১৫০ কোটি টাকা। সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে ‘বিগ ব্যাং’ অফারের আওতায় গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কিন্তু কোনো অর্ডার ফেইল করেনি। অর্থাৎ কেউ পণ্য পায়নি এমন অভিযোগ নেই। ইভ্যালির এ কর্ণধার বলেন, গুণগত মানের কারণে গ্রাহকের কোনো পণ্য পছন্দ না হলে সরাসরি ফেরত নেবে ইভ্যালি। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার চার্জসহ সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হবে। ইভ্যালির নিবন্ধিত কোনো সেলারের পণ্য গুণগত মানে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মো. রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। অভিযোগ আছে, দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মিলে ইভ্যালিকে থামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করে তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে। কিন্তু রাসেলকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। রাসেলকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

২০ ঘণ্টায় ২ লাখ পণ্যের অর্ডার পেল ইভ্যালি
নতুনভাবে শুরু করেই হইচই ফেলে দিয়েছে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। প্রথম ক্যাম্পেইনে ২০ ঘণ্টায় ২ লাখের বেশি পণ্য বিক্রয়ের অর্ডার পেয়েছে তারা। শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনে গতকাল শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি ইনভয়েসে এসব পণ্যের অর্ডার হয়। তবে আগের মতো এবার কোনো বিজ্ঞাপনী ব্যয় নেই প্রতিষ্ঠানটির। এ ক্যাম্পেইনের প্রচারে ১ টাকাও খরচ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল। জানা গেছে, কারামুক্ত হওয়ার পর ইভ্যালির ব্যবসা নতুনভাবে শুরুর উদ্যোগ নেন রাসেল। ইভ্যালির সঙ্গে ব্যবসা পুনরায় শুরু করতে প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতা তাদের পণ্য সরবরাহ করছে। তাদের নিয়ে শুক্রবার ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেয় ইভ্যালি। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার কথা থাকলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রাহকের আগ্রহ দেখে সন্ধ্যা থেকেই অর্ডার উন্মুক্ত করা হয়। এরপর রাত ৮টায় ফেসবুকে লাইভে আসেন রাসেল। রাত ১০টায় ক্যাম্পেইনের সময় শুরু হওয়ার আগেই প্রায় ৩৫ হাজার ইনভয়েসে ৮০ হাজারের বেশি পণ্যের অর্ডার করেন গ্রাহকরা। এর কিছু সময় পর গ্রাহকের চাপে ইভ্যালির নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। পরে সার্ভার ঠিক করলে নতুন অর্ডার আসতে শুরু করে। গতকাল দুপুর ২টায় ইভ্যালির বিগ ব্যাং ক্যাম্পেইন শেষ হয়। ২টার পর ইভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মোট ৮০ হাজারের কিছু বেশি ইনভয়েস হয়েছে। প্রতিটি ইনভয়েজে গড়ে ২ থেকে ৩টি করে পণ্যের অর্ডার রয়েছে। এ হিসেবে মাত্র ২০ ঘণ্টায় ইভ্যালি প্রায় ২ লাখ পণ্য বিক্রির অর্ডার পেয়েছে। তবে ইভ্যালির আগের ক্যাম্পেইনের তুলনায় এবার বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। আগে ব্যাপক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলেও এবার ১ টাকাও বিজ্ঞাপনে ব্যয় হয়নি। আগে বেশিরভাগ পণ্যই লোকসানে বিক্রি করা হতো। তবে এবার প্রায় সব পণ্যে খুব সামান্য পরিমাণ লাভ রাখা হয়েছে। এই লাভের অর্থ দিয়ে কোম্পানির মাসিক ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। এ জন্য ইভ্যালিকে নতুন করে কোনো দেনায় পড়তে হবে না। বরং লাভের পরিমাণ একটু বাড়লেই আগের ঋণ শোধ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ রাসেল। অন্যদিকে আগে গ্রাহকরা পণ্য পাওয়ার আগেই সরাসরি ইভ্যালিকে টাকা পরিশোধ করতেন; কিন্তু এবার ক্যাশ অন ডেলিভারি হওয়ায় গ্রাহকের কোনো ঝুঁকি নেই। এ ছাড়া গ্রাহকের পরিশোধ করা পণ্যের মূল্য এখন থেকে সরাসরি বিক্রেতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বিক্রেতার কোনো বাকি পড়ার ঝুঁকি নেই। মোহাম্মদ রাসেল কালবেলাকে বলেন, গ্রাহককে এখন আর বিশ্বাসের ওপর টাকা দিতে হচ্ছে না। পণ্য হাতে পেয়ে টাকা দেবে। এ জন্য ইভ্যালিতে গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আমরা খুব সামান্য লাভ করছি যেন কোম্পানির খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর যেসব পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, এটা বিক্রেতা নিজের পক্ষ থেকে দিচ্ছেন। এ জন্য ইভ্যালির আর লোকসানের সুযোগ নেই। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। তবে ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। অভিযোগ আছে, দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মিলে ইভ্যালিকে থামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করে তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে। তবে রাসেলকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। রাসেলকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X