রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদারতা দেখাবে না বাংলাদেশ
মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের সংঘর্ষের মধ্যে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নতুন করে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে আগের মতো উদারতা দেখাবে না বাংলাদেশ। কারণ তারা এখন দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বুধবার বনানীর সেতু ভবনে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, বিশেষ করে চীন ও ভারতের সঙ্গে কথা হচ্ছে। চীনের সঙ্গে কথা বলা হবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরে আছেন, সেখানেও কথা উঠবে। এর আগে (ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) অজিত দোভাল এ ব্যাপারে কথা বলে গেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সংকটের কারণে তাদের বিজিপির সদস্যসহ তিন শতাধিক সেনাসদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার। সরকার অনির্বাচিত হওয়ায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না— বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সব আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়া, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পর বিএনপি এখন হতাশার মধ্যে আছে। তাদের এ কথার জবাব দেওয়ার মতো সময় আমার কাছে নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এ বোঝা আমরা আর কতদিন বইব? সড়ক নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকার প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের সহায়তাকারী পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান। প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো মূল্যায়নপূর্বক সংক্ষিপ্ত তালিকা করে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, সড়কের নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গৃহীত প্রকল্পটির ব্যয় প্রায় ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, বাংলাদেশ পুলিশ ও ডিজিএইচএসের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের
নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আরও কোনো সুযোগ নেই। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইব? তিনি বলেন, এটা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। আরাকান আর্মিদের সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গেছেন। চীনের সঙ্গেও আমরা আলাপ আলোচনা করছি। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। দেশটির স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর লড়াই চলছে। অশান্ত মিয়ানমার সীমান্তের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। গুলিতে দেশের একাধিক ব্যক্তি মারা গেছেন।   
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিসিক কাউন্সিলরদের ‘হোটেল বিলাস’ মেয়রের উদারতা
শপথ নেওয়ার আগে করপোরেশনের অর্থে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কর্মকর্তা ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। পাঁচ তারকা হোটেলে জনপ্রতিনিধিদের দুই রাত যাপনের এ ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তাদের মতে, সিসিকের টাকায় জনপ্রতিনিধিদের যাত্রার শুরুতে এমন ‘বিলাসিতা’ হতাশার। গত সোমবার শপথ নিয়েছেন দেশের পাঁচ সিটির নবনির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলররা। তবে শপথ ও পূর্ববর্তী মহড়ার জন্য দুদিন আগে অর্থাৎ শনিবারই তারা ঢাকায় পৌঁছান। অন্য সব সিটি মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠজনরা ঢাকার বিভিন্ন হোটেল এবং স্বজনের বাসাবাড়িতে উঠলেও ব্যতিক্রম ঘটেছে সিসিকের ক্ষেত্রে। করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, ৫৬ জন কাউন্সিলরসহ প্রায় একশ লোক এই দুদিন অবস্থান করেন পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে। নবনির্বাচিত মেয়রও ছিলেন সেই তালিকায়। তবে নিজের ও সঙ্গী-সাথীদের হোটেলের খরচ সিটি করপোরেশন থেকে নেননি মেয়র। এক্ষেত্রে তিনি উদারতা দেখিয়েছেন। সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছাকাছি ও ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়ায় হোটেল সোনারগাঁওকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ৬০ জনের বিল বাবদ ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সিটি করপোরেশন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার সুপারিশে হোটেল কর্তৃপক্ষ অর্ধেক টাকা ডিসকাউন্ট দিয়েছে। এদিকে জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের পাঁচ তারকা মানের হোটেলে দুই রাত অবস্থান করার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করছেন। তাদের মতে, দেশের এই আর্থিক সংকটের সময়ে পাঁচ তারকা হোটেলে না থেকে একটি সাধারণ মানের ভালো হোটেলে থাকতে পারতেন। এ অর্থ গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিলে জনপ্রতিনিধিদের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেত। অনেকে আবার বলছেন, সরকারের সেবাধর্মী এ প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কাঠামো তেমন শক্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী যেখানে কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য খুবই আন্তরিক, সেখানে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সিটি করপোরশেনের খরচে পাঁচ তারকা হোটেলে দুদিন থাকা ‘হোটেল বিলাস’ ছাড়া কিছুই নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল ও গাজীপুর সিটির মেয়র-কাউন্সিলররা সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শপথ মহড়া ও শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। খুলনা ও রাজশাহী সিটি মেয়র নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ঢাকায় ছিলেন। খুলনা সিটির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উঠেছেন হোটেল ৭১-এ। আর রাজশাহী সিটির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা অবস্থান করেন হোটেল ভিক্টরিতে।
০৫ জুলাই, ২০২৩
X