উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা জরুরি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার সময় দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা তাতে কতটা উপকৃত হবে, তা বিবেচনা করা জরুরি। প্রথমে ভাবতে হবে এর ফল কী হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পর জনগণ তাতে কতটা উপকৃত হবে। দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে, যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। গতকাল সকালে গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এসব কথা বলেন। রূপরেখা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে ও প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার দিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের আহ্বান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন উৎস থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য তহবিল কমে গেছে। তই আইওএমের উচিত তাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহ করতে নতুন অংশীদারদের খুঁজে বের করা। গতকাল সকালে গণভবনে আইওএমও মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যামি পোপ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে আইওএমকে সহায়তা করার কথা বলেছেন। কারণ, এখানে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা, কর্মসংস্থানসহ সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরে এ পর্যন্ত ৩০-৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৈঠকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের নিরাপদ অবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন দল ও উপগোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে লিপ্ত। রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় স্থানীয়রা এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা স্থাপন, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপে আস্থা তৈরি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং সাড়া প্রদানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গতকাল গণভবন থেকে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং মহামারি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার জন্য স্বাধীন প্যানেলের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
০৮ মে, ২০২৪

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়ান
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বরাদ্দ কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। ফলে আরএডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, সংশোধিত এডিপিতে নতুন করে যোগ হয়েছে অন্তত শ খানেক নতুন প্রকল্প। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমানোর কারণ কর্মকর্তাদের অদক্ষতা। এজন্য কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেসব চলমান প্রকল্প অল্প বরাদ্দ দিয়ে চলছে, কিন্তু বরাদ্দ বাড়ানো হলে দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে, সেসব প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নে আরও নজরদারি বাড়ানো এবং অগ্রাধিকার চিহ্নিত করে জনগণের কল্যাণে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৩ মার্চ, ২০২৪

সাতক্ষীরায় ৩২১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন
সাতক্ষীরায় ৩২১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়সংবলিত ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলাধীন কপোতাক্ষ নদের ওপর ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৯৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ ও ২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। ১২৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জেলার ৯টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, ৮৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১ম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় জেলায় ৫টি নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন ও ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জেলার ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ। ২৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। অপরদিকে, দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। যা ২য় পর্যায়ে শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ ও ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শ্যামনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ। আর বাকি ১টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। এ ছাড়া ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ক্যানসারের রোগীদের জন্য ইসমাস তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের জগলুল হায়দার এমপি, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএমসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

নরসিংদীতে আরও ১০ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন
নরসিংদীবাসীর জন্য উপহার হিসেবে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি। পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নৌকায় ভোট চান বঙ্গবন্ধুকন্যা। সার কারখানা উদ্বোধনের পর সড়ক পথে থেকে বিকেল ৩টা ২৪ মিনিটে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামের মঞ্চে ওঠেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় হাজারো নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখর হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। পরে মঞ্চে বসেই বঙ্গবন্ধুকন্যা ৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো নরসিংদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বাঁশগাড়ী নিউ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের ছয়তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, কাজী মফিজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, গোয়ালদী ছাকিয়াতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বাঘার দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বেলাব টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, পলাশ উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবন ও উপজেলা পরিষদ হলরুম এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর (ক্ষুদ্র সেচ) কার্যালয় (চারতলা ভবন) নির্মাণ। এ জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নরসিংদী সদর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হীরুসহ দলীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি করেন। এগুলো হলো, জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও তিন উপজেলায় কমপক্ষে তিনটি হিমাগার স্থাপন। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিগুলো ছিল নরসিংদীর মানুষের মুখে মুখেও; কিন্তু এসব দাবির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি। শিবপুর থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহন বলেন, আজকে ঘটা করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দেওয়ার কিছু নেই। ঘোষণা না দেওয়ায় হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। শিবপুরের শাষপুরে মেডিকেল কলেজ নির্মাণে জমি নেওয়ার জন্য পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তাই নরসিংদীতেও হবে। এতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। এদিকে সকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশে এসে জমায়েত হন নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার আগেই স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে যায়। স্টেডিয়ামের বাইরে ডিসি সড়কজুড়েই ছিলেন দলীয় নেতাকর্মী। নরসিংদী সদর থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আলী হোসেন শিশির বলেন, জনসভা সফল করতে পেরে আমরা আনন্দিত। নেত্রীকে কথা দিয়েছি, পাঁচটি আসনই উপহার দেব ইনশাআল্লাহ। এবার ক্ষমতায় এলে নরসিংদীবাসীর সব দাবি পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

সাতক্ষীরায় ৩২১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন হবে মঙ্গলবার
দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে একের পর এক বড় প্রকল্প উদ্বোধন করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে এত প্রকল্পের উদ্বোধন ভোটার টানার একরকম কৌশল হিসেবে দেখছেন অনেকে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধন হতে যাওয়া ৯টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেগুলো হলো- সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলাধীন কপোতাক্ষ নদের ওপর ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৯৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ ও ২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। সেগুলো হলো- ১২৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জেলার ৯টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, ৮৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১ম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় জেলায় ৫টি নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন ও ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জেলার ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ। এদিকে, ২৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। অপরদিকে, দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সেগুলো হলো- ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২য় পর্যায়ে শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ ও ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শ্যামনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ। আর বাকি ১টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। তারা ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ক্যানসারের রোগীদের জন্য ইসমাস তৈরি করেছে। এ ছাড়া সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় এসে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জের বসন্তপুররে নৌবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী । প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ভার্চুয়ালি কালীগঞ্জের বসন্তপুররে নৌবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করবেন। ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়সংবলিত ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।  
১২ নভেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন ১৩ নভেম্বর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৩ নভেম্বর খুলনায় ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খুলনা জেলা প্রশাসন জানায়, এই ২৪টি প্রকল্পের কাগজপত্র ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার ইয়াসির আরেফিন আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ৩৯১.১২ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং অপর ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ২২টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে গণপূর্ত বিভাগ। সেগুলো হচ্ছে- জেনোসাইড অ্যান্ড টর্চার আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও আবাসিক ভবন, পাইকগাছা উপজেলার কারিগরি প্রশিক্ষণ সেন্টার, খুলনা এ্যাপরেন্টিস ট্রেনিং অফিস, খুলনা বিএসটিআই আঞ্চলিক কার্যালয়, নারী হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং দৌলতপুরে কৃষিপ্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ। আর বাকি ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ (ইইডি)। সেগুলো হচ্ছে- ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বয়রা মাধ্যমিক স্কুল, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি ওমেন্স কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, চালনা বাজার সরকারি গার্লস হাইস্কুল, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, নজরুল নগর মাধ্যমিক স্কুল, আরআরএফ মাধ্যমিক স্কুল এবং আড়ং ঘাটা মাধ্যমিক স্কুল। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী যে দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন; তা হচ্ছে- স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও দীঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্মাণ। এগুলো বাস্তবায়ন করবে যথাক্রমে কেসিসি ও ইইডি।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছান। এরপর ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।  আরও পড়ুন : গয়েশ্বরকে আপ্যায়ন, ভিডিও কে করেছে জানেন না ডিবিপ্রধান মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১টা ১৩ মিনিটে রংপুরে পৌঁছান। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাস হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জনসমাবেশে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এর আগে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে দুপুরে মহাসমাবেশ শুরু হয়। প্রথমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করার মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।  আরও পড়ুন : নুরের বাসায় অভিযানের কারণ জানালেন ডিবি প্রধান নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে এনেছি। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে এবং নগরীজুড়ে থাকবে। সঙ্গে থাকবে স্বেচ্ছাসেবকরা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার রংপুরে এসেছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
০২ আগস্ট, ২০২৩
X