দুবাইয়ের হামরিয়াহ বন্দরের জেটিতে এমভি আবদুল্লাহ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) আল হামরিয়াহ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩মিনিটে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানো হয়। এ সময় আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং জাহাজের মালিকপক্ষ এটিকে স্বাগত জানায়। গত রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৩মিনিটে আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এমভি আবদুল্লাহ রোববার দুবাই পৌঁছায়। সোমবার রাতে মালামাল খালাসের জন্য জাহাজটি হামরিয়াহ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। এখন পর্যন্ত নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী দুজন বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবে। এ ছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। তবে নাবিকরা চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারেন।  কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজে থাকা কয়লা খালাসের পর অন্য মালামাল লোড করে এটি বাংলাদেশে ফিরবে। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।  ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। পরে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে। একপর্যায়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগগুলো কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।  এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

দুবাইয়ে নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। সোমবার (২২ এপ্রিল) জাহাজটি থেকে কয়লা খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। কালবেলাকে তিনি বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে দুজন নাবিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি ২১ জন নাবিক ফিরবেন জাহাজে করে। তারা সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবেন।   জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছে। জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, কয়লা খালাসের জন্য জাহাজটির আজ রাতেই (গতকাল) জেটিতে ভেড়ানোর কথা রয়েছে। তা না হলে সোমবার জাহাজটি জেটিতে ভিড়বে। বন্দরের জেটিতে বার্থিং পাওয়ার পণ্য খালাস করতে আরও ৪-৫ দিন লাগতে পারে। প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ এপ্রিল রাত ১২টা ৮ মিনিটে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এই পথ পাড়ি দিয়ে আট দিনের মাথায় জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছাবে আজ
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহসহ জাহাজটির ২৩ নাবিক। যদিও এ জন্য দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। জাহাজটি মুক্তির পর আরব আমিরাতের দিকে রওনা দেয়।  আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছবে জাহাজটি। জানা গেছে, সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাজটি বহিনোর্ঙরে অবস্থান নেবে।  একদিন পর ভিড়তে পারে জেটিতে। হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে সূত্র বলছে, নাবিকদের দেখভালের জন্য জাহাজের মালিকপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি দল দুবাই যাচ্ছে। শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। ২৩ নাবিকের ২১ জন জাহাজেই ফিরবেন। ২৫ থেকে ২৬ দিন পর তারা দেশে এসে পৌঁছাতে পারেন। অপর দুই নাবিক দুবাই থেকে ফ্লাইটে দেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর চারদিকে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত জাহাজের গতিরোধ
সোমালিয়া উপকূলে ছিনতাইকৃত পণ্যবাহী একটি জাহাজের গতিরোধ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বর্তমানে এই জাহাজে থাকা সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ এবং সেখানে কোনো জিম্মি থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (১৬ মার্চ) দেশটির নৌবাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। ভারতীয় নৌবাহিনীর গতিরোধ করা জাহাজটির নাম রুয়েন। মাল্টার পতাকাবাহী এই জাহাজটি একটি কার্গো জাহাজ। গত ১৪ ডিসেম্বর এই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এরপর থেকে এই জাহাজ ব্যবহার করে সাগরে জলদস্যুতা করে আসছিল তারা। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানায়, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করতে রুয়েন নামের জাহাজটি ব্যবহার করে থাকতে পারেন জলদস্যুরা। শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, শুক্রবার (১৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিনতাইকৃত জাহাজটি থামাতে গেলে যুদ্ধজাহাজের দিকে গুলি ছুড়ে জলদস্যুরা। এরপর আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষা ও জলদস্যুতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ ছাড়া জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে জাহাজ ও জিম্মি নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনারা। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ে। আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের দাবি করে তারা।
১৬ মার্চ, ২০২৪
X